নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো বই কাকে বলে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫০

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'ভালো বই কাকে বলে?' উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'যে বইটা পাঠককে ভাবায়, সেটাই ভালো বই।'

আমরা জানি আমাদের মস্তিষ্কে দুটো বলয় রয়েছে। ডান বলয় আর বাম বলয়। ডান বলয় নিয়ন্ত্রণ করে কল্পনা, আবেগ, বিশ্বাস, সৃজনশীলতা, অতিচেতনা, আত্মিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবনা ইত্যাদি। আর বাম বলয় নিয়্ন্ত্রণ করে কথা, শ্রুতি, অঙ্ক, যুক্তি, ভাষা-র মতো জিনিসগুলো। আমরা যখন কোন কিছু লিখতে শুরু করি, নতুন নতুন ভাবনা, নতুন নতুন চিন্তাধারা, দৃষ্টিভঙ্গি, যুগান্তাকারী আইডিয়া আমাদের মাথায় আসে।

মুক্তবুদ্ধির চর্চার কারণে দৃষ্টির সীমাটা আমাদের দিন দিন প্রসারিত হতে থাকে। চারপাশের পুরো জগতের যেন একটা নতুন মানে আমরা খুঁজে পাই। এবং এই উপকারটা যে শুধুমাত্র যিনি লিখছেন শুধু তিনিই পাচ্ছেন না। যিনি লিখছেন আর যিনি লেখা পড়ছেন, দুজনেই আলোকিত হচ্ছেন।

আপনি গাড়িতে করে যাচ্ছেন। গাড়িটা চলতে চলতে একসময় সিগন্যালে থেমে গেল। গাড়ির জানালা দিয়ে ছোট্ট একটা হাত ঢুকে গেল ভেতরে। হাতে ধরা টকটকে লাল, তাজা চমৎকার ক'টা গোলাপ ফুল। পাঁপড়ির ওপর দুয়েকটা পানির ফোঁটায় রোদের সোনালি ঝিলিক। অদ্ভুত সুন্দর একটা দৃশ্য।

হঠাৎ ফুলগুলো ধরে রাখা মেয়েটার দিকে আপনার নজর যেতে আপনি একটা ধাক্কামতো খেলেন। মলিন চেহারার একটা মেয়ে। তারচেয়ে মলিন তার পোশাক। খড়ের মতো চুলগুলোয় শেষ কবে তেলপানি পড়েছিল তা কে জানে! আসামান্য সৌন্দর্যের সওদাগর হচ্ছে অতিসামান্য, অতিমলিন একটি শিশু। মেয়েটাকে দেখে আপনার খুব মায়া লাগছে। আপনি ব্যাগ হাতড়ে মোটামুটি বড় একটা নোট মেয়েটাকে দিয়ে বললেন, পুরোটাই রাখ, ফেরত দিতে হবে না।

আনন্দে মেয়েটি ফিক করে হেসে ফেলো। সাদা দাঁতের ঝলকানিতে আপনি আবারও বিস্মিত হয়ে পড়লেন। অতি অদ্ভুত সুন্দর সেই হাসি। মুহূর্তে জন্য আপনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন, কোনটা বেশি সুন্দর? আপনার হাতের গোলাপগুলো, নাকি বাইরের মলিন আবরণের পেছনের ওই নির্মল হাসিটুকু?!

সিগন্যাল বাতি বদলে সবুজ হয়ে গেছে। গাড়ি চলতে শুরু করেছে। আর আপনি তাতে বিহ্বল হয়ে বসে আছেন।

পূর্ববাংলার আঞ্চলিক ভাষাকে অবলম্বন করে যে কি চমৎকার উপন্যাস লেখা যায় তার সার্থক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার দীর্ঘ কলেবরের উপন্যাস খোয়াবনামার মাধ্যমে। আঞ্চলিক ভাষার অধিক ব্যবহার রয়েছে বইটিতে, রয়েছে কিছু খিস্তি-খেউরও।

কাহিনীর ভেতর একবার ঢুকে যাওয়ার পর আর কোন সমস্যা হয়নি, একটানে সমাপ্ত করেছি খোয়াবনামার দীর্ঘ যাত্রা। গ্রামীণ মানুষের সংস্কৃতিচর্চা, কুসংস্কারচর্চা, এমনকি মানুষের অযাচারচর্চাও বাদ পড়েনি এই উপন্যাস থেকে। ’৪৭ এর দেশভাগ গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে খোয়াবনামার।

বাংলা সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বইটি উপভোগ করবেন বলে আমার বিশ্বাস; আর বইটির সাহিত্যমানই আমাকে এই বিশ্বাস দান করেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খোয়াবনামা পড়া হয়নি| পাই নি কোথাও

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০২

প্রামানিক বলেছেন: খোয়াবনামা পড়েছি। খুব ভাল বই। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.