নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
২১। দ্যা সিক্সথ সেন্স (The Sixth Sense) কাহিনীটা কিন্তু আধাভৌতিক। কোল নামের এক ছেলে ভয়াবহ এক সমস্যায় আক্রান্ত। সমস্যাটা মানসিক নাকি সত্যি- তার দ্বন্দ্ব মুভির আদ্দেকটা জুড়ে। ৯ বছর বয়সি এক ছেলে কেন এত চুপচাপ, কারও সাথে মিশে না, কেন একা একা খেলে, কি তার সেই সিক্রেট - সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে এ মুভিতে।
‘কোল’ তার সমস্যার কথা ম্যালকমকে জানায় যে- ‘সে মৃত ব্যাক্তিদের দেখতে পায় এবং তারা জীবিতদের মতই ঘুরে বেড়ায় কিন্তু তারা জানে না যে তারা মৃত।’ ম্যালকম কোলের কথা বিশ্বাস করে। এক পর্যায়ে কোল এবং ম্যালকম বুঝতে পারে যে মৃত ব্যাক্তিরা কোলের সাথে দেখা দেয় কারন তারা কোন একটি বিষয়ে কোলের সাহায্য চায় এবং কোলকে দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নিতে চায়।
২২। লাইফ ইজ বিউটিফুল (Life Is Beautiful) ১৯৩৯ সাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন ঘটনার পটভূমিতে নির্মিত।গুইডো অরিফিস একজন আমুদে এবং ক্যারিশমেটিক তরুণ জিউস যিনি নগরীতে চাকুরী খুজছেন।তিনি এক স্কুল শিক্ষিকার ডোরার প্রেমে পড়লেন। কমেডি রোমাঞ্চের মধ্যে এগিয়ে যেতে থাকা ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজী বাহিনির কনসেন্ট্রশেন ক্যাম্পে আটকা পরেন গুইডো। স্বপরিবারে। সেখানে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মমতা দিয়ে গুইডো তার ছেলে যশুয়ার বন্দী জীবনের নিষ্ঠুরতাকে একটা লোভনীয় খেলা বানিয়ে ফেলেন।
একজন বাবা কিভাবে ভয়ানক বন্দীদশাকে তার শিশুর জন্য খেলায় পরিণত করে ফেলতে পারে তারই নিখুত চিত্রায়ণ ছবিটি ।একজন হৃদয়বান প্রেমিকের অসাধারণ প্রেমকাহিনি ,একজন মহান বাবার পুত্র স্নেহের তীব্র আবেদনে নির্মল আনন্দ বেদনার অসাধারণ ছবি।
২৩। দ্য গডফাদার (The Godfather) ইতালীয় মাফিয়া ডন ভিত্তো কর্লিওন অপরাধ সাম্রাজ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। মার্কিন মুল্লুকে বাস করে তিনি পুলিশ তথা রাষ্ট্রীয় সব ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে নিজের আইন-কানুন চালু করেছেন। বড় ছেলে সনি কর্লিওন পিতার সাম্রাজ্য দেখা-শোনায় সাহায্য করে। কিন্তু সে অতি রগচটা এবং পিতার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিও পায়নি। মেঝো ছেলে ফ্রেডো যথার্থ অর্থে এ পরিবারের অযোগ্য, সে ভিতু এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। ছোট ছেলে মাইকেল ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। প্রাক্তন সৈনিক হিসাবে তার সুনাম আছে। সে বাবার ‘ব্যবসা’ পছন্দ করে না। পিতার সাথে এক তর্কের পর সনি বাড়ি ছেলে চলে যায়। এদিকে ডনকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। পরিবার ও মাফিয়া সাম্রাজ্যের খাতিরে সামনে এগিয়ে আসে মাইকেল। পারিবারিক বন্ধু টমের সহায়তায় মাইকেল একই সঙ্গে খুনিদের খুঁজে বের করে এবং অসুস্থ পিতার সাম্রাজ্য চালানোর দায়িত্ব নেয়।
২৪। শশাঙ্ক রিডেম্পশন (The Shawshank Redemption) একটা জেলখানা। আর তার ভিতরে বন্দীদের জীবন যাপন। ক্ষতবিক্ষত সময়। একজন মানুষের গল্প, যে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করার অপরাধে জেল খাটছে। IMDB তে অবস্থান ১ এবং রেটিং- ৯.৩। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৯৪সালে মুক্তি পায়।
২৫। দি সিক্রেট ইন দেয়ার আইজ (The Secret in Their Eyes) আগাগোড়া একটি ভালোবাসার মুভি। রোমান্টিক মুভি নির্মান করতে নর-নারীর আবেগের অত্যাধিক ছড়াছড়ি আর যৌনতার যে প্রয়োজন নেই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দি সিক্রেট ইন দেয়ার আইজ। মুভিটির ফিনিশিং এক কথায় দুর্দান্ত।
বেঞ্জামিন একজন অবসরপ্রাপ্ত ফেডারেল জাস্টিস এজেন্ট। অবসর জীবন কাটাতে তিনি একটি উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। উপন্যাসের বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেন ২৫ বছর আগের তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। ২৫ বছর আগে কমবয়সী এক গৃহিণী ধর্ষিত ও খুন হওয়ার একটি তদন্তে তিনি, তার মদ্যপ বন্ধু পাবলো আর একজন এডভোকেট আইরিন জড়িয়ে পড়েছিলেন। তদন্তটি তারা সফলভাবে শেষ করে দোষীকে খুঁজে বের করতে পারলেও ক্ষমতাশীল মহলের চাপে খুনি এক বছরের মধ্যেই সাজামুক্তি পায়। খুনি বেঞ্জামিনকে হত্যা করার চেষ্টা চালায় কিন্তু নিহত হয় পাবলো। বেঞ্জামিন আত্মগোপন করে। সময়ের স্রোতে ২৫ বছর পর বেঞ্জামিন এ ঘটনাটি নিয়ে উপন্যাস লেখার জন্য সাহায্য চাইতে তার পুরাতন বান্ধবী আইরিনের কাছে যায়।
২৬। কুং ফু পান্ডা (Kung Fu Panda) এটি একটি এ্যানিমেশন মুভি। মুভিটিতে শিক্ষনীয় অণেক কিছু পাবেন। কাহিনী গড়ে উঠেছে PO নামক এক পান্ডাকে নিয়ে যে কুংফু খুবই ভালোবাসে কিন্তু নিজে কুংফুর কিছুই জানেনা। চায়না'র পিচ অফ ব্যালিতে নামক শহরের কুংফু গুরু ওগোয়ে একদিন মাস্টার সিফোকে ডেকে জানায় যে অবাধ্য ছাত্র টাইলন যাকে ২০ বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে সে আবার এই শহরে ফিরে আসবে শহরকে ধ্বংস করে দিবে তখন ওগোয়ে একজন ড্রাগন ওয়ারিওর নির্বাচন করার কথা বলে যে টাইলনকে হারাতে পারবে কিন্তু দুঘটর্নাবশত PO যে কুংফুর কিছুই জানেনা সে ড্রাগন ওয়ারিওর নির্বাচিত হয়। অবশেষে ঠিকই PO ভিলেন টাইলনকে হারাতে পারে।
আমার রেটিং অবশ্যই ১০/১০।
২৭। দ্য পিয়ানিষ্ট (The Pianist) একজন পোলিশ পিয়ানিষ্টের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে করুণভাবে বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প নিয়ে এই মুভিটি হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়ার মত। তবে এ ধরণের মুভি দেখতে কিছুটা হলেও মানসিক শক্তি প্রয়োজন। যুদ্ধের হানাহানি ছাপিয়ে মানবতাবোধ আর সুকুমার প্রবৃত্তির প্রতি ভালবাসাই মূর্ত হয়ে উঠেছে এই চলচ্চিত্রে। ছবির গল্প, নির্মাণশৈলি, অভিয়ন, উপস্থাপনা সব কিছু অসাধারণ।
২৮। দি পারস্যুট অব হ্যাপিনেস (The Pursuit of Happyness) মুভিটি যারা দেখেননি, তারা জানেন না কি দেখেননি। আমি দেখেছি, আবার দেখবো। যারা শুন্যের উপর দাড়িয়ে জীবন বাজি রেখে লড়ে...তাদের জন্য অনুপ্রেরণা ছবিটা । শীর্ষ বিক্রি হওয়া বই ‘দ্য পারস্যুট অব হ্যাপিনেস’ অবলম্বনে মুভিটি তৈরি করা হয়েছে।
রাতে খুঁজে ফেরে থাকার জায়গা। অনেক সংস্থা একরাতের জন্য থাকার জায়গা দেয়। মার্কিন হোমলেসরা লাইন ধরে সেই জায়গা পেতে চেষ্টা করে। লাইনে দাঁড়ায় ক্রিস ও ক্রিস্টোফার। মাঝে মধ্যে চাতুরীর আশ্রয়ও নিতে হয় একটু খাদ্য আর আশ্রয়ের সংস্থানের জন্য। এমনকি একদিন তারা পাতালট্রেন স্টেশনের বাথরুমেই কাটাতে বাধ্য হয় রাত। তবে উল্লেখ বিষয় এটাই যে, এত কিছুর মাঝেও ক্রিসের ছোট্ট ছেলেটি কিন্তু কোনও অভিযোগ-অনুযোগ করে না। বরং বন্ধুর মতন পিতাকে সহায়তা করে প্রতিটি মুহূর্তে।
২৯। ট্যাক্সি ড্রাইভার (Taxi Driver) ভিয়েতনাম যুদ্ধের আগে আগে নিউ ইয়র্কের পরিবেশ ছিল ছবির পটভূমি। এই পটভূমিতে এক ট্যাক্সিক্যাব চালকের অদ্ভুত জীবন নিয়ে ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে। গল্পটার আসল শুরু হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার ক্যাম্পে। এক প্রার্থীর প্রচার ক্যাম্পে সুন্দরীকে দেখে পিছু নিলেন ডি-নিরো। কয়েকবার দূর থেকে দেখার পর সামনাসামনি। কথা হলো, অ্যাপেল পাই আর কফি খাওয়া হলো। দ্বিতীয় সাক্ষাতেই মিসটেক। সিনেমা দেখার অফার। জোরাজুরিতে মেয়েটা রাজি হলেও অঘটন ঘটলো অন্যখানে। ছবিটা ছিল অ্যাডাল্ট। মাঝখানেই হল ছেড়ে বেরিয়ে আসলো মেয়েটা। আরে ভাই সব বলে দিলে মুভি দেখার আগ্রহ থাকবে নাকি? যান, ছবি দেখেন গিয়া।
৩০। শিন্ডলার্স লিস্ট (Schindler’s List) ১৯৯৩ সালে নির্মিত এই মুভিটি সাদাকালো। কিন্তু প্রচন্ড আকর্ষণী ক্ষমতাধর এই ছবিটি আপনার প্রতিটি মুহূর্তকে আবেগময় করে তুলবে। এই মুভির মূল চরিত্র অস্কার শিন্ডলার একজন জার্মান ব্যবসায়ী। যিনি ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় চলাকালীন হলোকাস্ট বা ইহুদী নিধনের সময় প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ১,০০০ এরও বেশি ইহুদীর। সে সময় যে সব জার্মানই ইহুদিদের প্রতি মায়া দেখাচ্ছিলেন বা সাহায্যের চেষ্টা করছিলেন তাদের কঠোর শাস্তি দিচ্ছিলো হিটলার বাহিনী। এমন অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, হিটলার সেনাদের নানা কৌশলে ভুলিয়ে ন্যায়ের পথে থাকা এই ব্যক্তি আমাদের শেখাবে কিভাবে কোন সৎ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা যায়, মানুষকে ভালবেসে ঝুঁকি নেয়া যায়। এই মুভিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত।
সিনেমা দেখা আমার অন্যতম প্রিয় একটা কাজ। সেরা মুভি বাছাই করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি শুধু আমার খুব প্রিয় কিছু মুভির কথা বলব। তবে একটা কথা, এই মুভিগুলো কারো পছন্দ না হলে খুবই আশ্চার্য হব। যাদের এই মুভিগুলো এখনো দেখার সুযোগ হয়নি তারা শিঘ্রই দেখে ফেলুন। মুভিগুলো দেখা হয়ে থাকলে অথবা কারো প্রিয় কোন মুভি বাদ পরলে অবশ্যই করে কমেন্ট করে জানাবেন।যাতে অজানা ভালো ভালো মুভি দেখা বাদ না পড়ে। এই মুভিগুলো দেখতে বলার পেছনে আরেকটা কারণ আছে, সেটা হল জীবনে চলার পথে কোন না কোন সময় এগুলো আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে।
আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে। কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না। এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৩
আরাফাত নিলয় বলেছেন: অধিকাংশই দেখা। কয়েকটা বাকী আছে, দেখে ফেলবো। আপনি নিশ্চয়ই হাচিঃ এ ডগস্ টেল দেখেছেন??
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: দেখেছি।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
জাহিদ বেস্ট বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটি রিভিউ সুন্দর। ভালো লাগলো। আর প্রতিদিন আপনার এই পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকি।
৪| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
আহসানের ব্লগ বলেছেন: +++
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৭
মাহামুদ হাসান বাপ্পী বলেছেন: ধন্যবাদ.