নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে (পাঁচ)

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৬

৪১। মাইন্ডহান্টারস (MindHunters) জন এজেন্টকে ট্রেনিং এর জন্য এফ.বি.আই একটি জনমানব শুন্য দ্বিপ এ পাঠায় । তবে সেখানে একটি নির্দিস্ট সময় পর পর একজন করে এজেন্ট খুন হতে থাকে। খুনি কে? তাদের মধ্যে কেউ নাকি এখানে কেউ আগে থেকেই আছে। মুভিতে আপনার যাকে খুনি মনে হবে দেখা যাবে একটু পর সেই খুন হয়ে গেছে। মুভি টা তাই শেষ করেও আরো একবার দেখতে হতে পারে। অসাধারন একটা ক্রাইম থ্রিলার।

৪২। এলিয়েন (Alien) ‘এলিয়েন’ মূলত সায়েন্স ফিকশনধর্মী হলেও কাহিনীর জন্য এটিকে ‘সায়েন্স ফিকশন হরর ফিল্ম’ বলা হয়। সর্বকালের সেরা সায়েন্স ফিকশনের তালিকায় স্থান করে নেওয়া সিনেমা ‘এলিয়েন’ নির্মিত হয়েছে সুদূর ভবিষ্যতের কল্পকাহিনী নিয়ে ; একটি বাণিজ্যিক স্পেসশিপ ‘থিডাস’ গ্রহ থেকে কয়েক টন খনিজ পদার্থ নিয়ে রওনা দেয় পৃথিবীর উদ্দেশ্যে। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী একটি সৌরমণ্ডল থেকে তাদের রাডারে অপরিচিত অদ্ভুত বার্তা ধরা পড়ে। তখন স্পেসশিপটিকে পৃথিবী থেকে নির্দেশ পাঠানো হয় ঐ সৌরমণ্ডলে অবতরণ করার জন্য। আর ওখানে অবতরণ করার পর থেকে শুরু হয় একের পর এক ঘটনা। ‘এলিয়েন’ ছিল সত্তর দশকের অন্যতম সেরা ‘স্পেশাল ইফেক্ট’ সম্বলিত সিনেমা।

৪৩। দি রিডার (The Reader) কেন উইনস্লেট একজন মধ্যবয়সী নারী। জার্মানিতে ট্রাম কন্ডাক্টার। ১৬ বছরের মাইকেল তার প্রেমে পড়ে। শারিরীক প্রেম। ছবির প্রথম আধাঘণ্টা খালি দুইজনের প্রেম। মানে খালি কাপড় খোলাখুলি। কেট এই ব্যাপারে বেশ দ অনেকদিন ধরেই। কিন্তু মন খারাপ করার উপাদানও রয়েছে। বাঙ্গালীর প্রথম কেট দর্শন টাইটানিকের মাধ্যমে।
দি রিডার মুভিটির কাহিনী নেয়া হয়েছে জনপ্রিয় উপন্যাস দি রিডার থেকে। এ উপন্যাসটির লেখক জার্মান আইন বিষয়ক অধ্যাপক এবং বিচারক বেনহার্ড শলিঙ্ক। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। মুভিটির কাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও এর পরবর্তী সময়কে ঘিরে। ১৯৫৮ সালে পনের বছরের এক স্কুল বালক মাইকেল বার্গ। ঘটনাক্রমে মাইকেল প্রেমে পড়ে যায় ৩৬ বছর বয়সী এক ট্রাম কন্ডাক্টর হান্নার। মাইকেল প্রায় প্রতিদিনই হান্নার কাছে যায় । অক্ষরজ্ঞানহীন হান্নাকে বিভিন্ন উপন্যাস পড়ে শোনায় সে। এর মধ্যে আছে দি ওডেসি, দি লেডি উইথ দি লিটল ডগ, দি হাকলবেরি ফিন ইত্যাদি। কিন্তু হঠাৎ একদিন হারিয়ে যায় হান্না।
সিনেমাটিতে যৌনতার ব্যবহার গল্পের উদ্দেশ্য ব্যহত করেছে। বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্কের সাথে মিলনের দৃশ্যগুলো বিস্তারিত দেখাবার খুব প্রয়োজন ছিল না।

৪৪। লিভিং লাস ভেগাস (Leaving Las Vegas) এই ছবি বার বার দেখা যায় কেবলমাত্র নিকোলাস কেজের জন্য। অসাধারণ অভিনয়। মুভিতেও নায়ক সারাক্ষন মদ খেতে থাকে। কেন? এর উত্তর কখনোই পাওয়া যায়না। এবং সবচে বড় সার্থকতা হোল, পুরো সিনেমায় এই প্রশ্নটাই কখনো উঠেনি। যেন নায়কের মদ খাওয়াটাই স্বাভাবিক।

৪৫। দ্য গার্ল নেক্সট ডোর (The girl next door) মুভির কাহিনী গড়ে উঠেছে ম্যাথু কিডম্যান নামের এক তরুনকে নিয়ে।হাইস্কুলের এই মেধাবী তরুনের স্বপ্ন পলিটিশিয়ান হওয়া।স্কলারশিপ নিয়ে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।কিন্তু এরই মধ্যে তার পাশের বাসায় এক সুন্দরী মেয়ের আগমন হয়।তারপর যাকে বলে প্রথম দেখাতেই প্রেম।স্কুল বাদ দিয়ে তাকে নিয়েই ডেটিং।কিন্তু এরই মাঝে পাল্টে যায় সব কিছু যখন সে জানতে পারে তার প্রেমিকা আসলে একজন পর্নস্টার ছিল।কিন্তু পরবর্তীতে ম্যাথু বুঝতে পারে আসলে দানিয়েলকে (তরুণীর নাম) সে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসে।তার পর্নস্টার পরিচয় এর জন্য কোনো বাধা নয়।কিন্তু দানিয়েল এখন আর ম্যাথুর সাথে থাকতে চায় না।তার কাছে মনে হয় ম্যাথু তার এই পরিচয় জানার পর শুধুই তাকে দৈহিক ভাবে কামনা করে।

৪৬। ওল্ডবয় (Oldboy) ১৫ বছর একজন মানুষকে অকারনে বন্দী ও নির্যাতন করার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয় একটি মাত্র শর্তে যে ৫ দিনের মধ্যে তাকে তার বন্দীকর্তাকে খুঁজে বের করতে হবে।
প্রতিশোধের আগুনে পুড়ে মানুষ কতটা নির্মম হয়ে অমানবিক কাজ করতে পারে এই ছবিটি তারই একটি উদাহরণ।

৪৭। প্রিজনারস (Prisoners) গল্পের শুরুটা কেলার ডোভের এবং ফ্রাঙ্কলিন বার্চ পরিবারকে নিয়ে। থ্যাংকস গিভিংডেতে প্রতিবেশী ফ্রাঙ্কলিন বার্চ এর বাসাতে দাওয়াত খেতে যান ডোভের পরিবার। পরিবার বলতে তার কিশোর ছেলে আর ছোট মেয়ে এবং তার পত্নী। ফ্রাঙ্কলিন পরিবার ও বেশী বড় নয় তার মেয়ে দুটি কেলারের ছেলে মেয়ের প্রায় সমবয়সী। খাওয়া শেষে দুই পরিবারের বড় সদস্যরা গল্প গুজবে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন তখন কেলারের ছোট মেয়েটি তার সমবয়সী মেয়েটিকে নিয়ে তাদের বাসায় যেতে চান। আড্ডায় ব্যাস্ত থাকা কেলার, মেয়েকে তার ভাইকে সাথে করে নিয়ে যেতে বলেন।
১৫৩ মিনিটের এই ছবিটিতে সবচেয়ে যেটির প্রশংসা করতে হবে তাহলো ক্যামেরার অসাধারণ কাজ।

৪৮। এল এ কনফিডেনশিয়াল (L. A. Confidential) মুভির কাহিনী লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে ঘিরে আবর্তিত হলেও বার বার ঘুরে ফিরে সামনে এসেছে তিনজন পুলিশ চরিত্র।
মুভির কাহিনী গড়াতে থাকে “নাইট আউল” কফিশপের ম্যাস মার্ডারকে কেন্দ্র করে। রসহ্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু হলে কাহিনী মোড় নেয় নানা দিকে। কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসে, মনে হয় লস অ্যাঞ্জেলেসের খুন, মাদকব্যবসা, প্রতিতাবৃত্তি সহ অপরাধগুলো একে অপরের সাথে মাকড়শার জালে আবদ্ধ, এবং কেউ একজন বিরাট মাকড়শা হয়ে সুতায় টান দিচ্ছে একটা একটা করে। কে সে?

৪৯। দ্যা ইনটোক্রেব্লেস (The Intouchables) ফ্লিপ একজন Tetraplegic পেসেন্ট। বেশ ধনী ব্যক্তি। স্ত্রী ছিল মারা গেছেন। তার কোনো সন্তান নেই। তাই সে একটি মেয়েকে দত্তক নেন। Tetraplegic কে বলতে গেলে পেরালাইসিস-ই বলা চলে। হাত পা নারাতে পারেন না। শুধু মাত্র মাথার অংশে তাঁর সেন্সেসন আছে। পুরো শরীর অচল। ব্রেন কন্ট্রোল্ড একটা হুইল চেয়ারই তাঁর চলা ফেরার এক মাত্র ব্যবস্থা।
তো তাঁকে দেখা শুনা করার জন্য একজন লোককে তিনি ঠিক করতে চান।। তাঁর ঠিক করা লোকটি হয়ে যান Driss. Driss এর জীবনটাও বেশ কমপ্লিকেটেড। তাঁর মা-বাবা নেই। আংকেল আর আন্টির কাছে বড় হয় সে। তাঁর আরও বেশ কয়েকটি ভাই বোন আছে। তাঁর আন্টি তাঁকে যথেষ্ট পরিমাণ ভালবাসে। কিন্তু Driss ঘর থেকে না বলে চলে যেত।
সত্য কাহিনী অবলম্বনে মুভি তৈরি করা হয়।

৫০। সিক্স সেভেন এইট (678) মিশরীয় মুভি। পরিচালক Mohamed Diab মুভিটিতে মিশরের রাস্তাঘাট, বাসে মেয়েদের যৌনহয়রানিকে তুলে ধরেছেন। ২০১০সালের এই মুভি অনেক বিতর্কের শিকার হলেও Dubai International Film Festivalএ সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছিল।
সমাজের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত- এই তিন শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসেবে তিনটি প্রধান নারীচরিত্র। ফায়জা নিম্নবিত্ত রক্ষণশীল গৃহিণী ও অল্পবেতনের চাকরী করে। প্রতিদিন বাসে করে যায় অফিসে। বাসে নিয়মিত হয়রানির শিকার সে। কিন্তু বাস ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। প্রতিদিন বের হবার আগে সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঢিলেঢালা পোশাক খোঁজে, হিজাব পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে নিজেকে। তার এই পোশাক-আশাক কাউকে প্রলুব্ধ করবে কি গতদিনের মত? লাভ হয় না। দিন দিন আতংক বাড়ে মনে। স্বামী কাছে আসলেও আতংকে কুঁকড়ে যেত ফায়জা। নারীদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সেমিনারে যায়, টিভিতে প্রোগ্রাম দেখে। আবার একদিন নির্জন রাস্তায় একজন ফলো করে। ফায়জা পিছে ঘুরেই স্কার্ফের সেফটি পিন ঢুকিয়ে দেয় পুরুষাঙ্গ বরাবর এবং পালিয়ে যায়। ফায়জা ধরা না পড়লেও ঘটনা পুলিশের কানে যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে ফায়জাকে খুঁজে বের করার জন্য।
মুভিটি দেখুন। মুভিটিতে অনেকগুলো দিক তুলে ধরা হয়েছে।

হ্যাপি মুভি ওয়াচিং। ডেভিড লিনের মতো বলতে ইচ্ছা করে, আই স্পেন্ড মাই চাইল্ডহুড ইন এ মুভি হাউস।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: বাঁকি ৫০ টার অপেক্ষায় ।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাকি ৫০ টাও দিয়েছি।

২| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

জাহিদ বেস্ট বলেছেন: নাইস জব।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

সুমন কর বলেছেন: আপনি আপনার অাগের পোস্টে করা সহ ব্লগারদের উত্তরের প্রতি উত্তর দিচ্ছেন না।

ব্যপারটি ভেবে দেখা উচিত বলে, আমার মনে হয়। যদিও এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এখন সবার মন্তব্যের উত্তর দেই।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দারুণ পোস্ট।+++

সুমন ভাইয়ের কমেন্টটি ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: এখন আমি সবার মন্তব্যের উত্তর দেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.