নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে (সাত)

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৬

৬১। সিটিজেন কেইন (Citizen cane) ১৯৪১ সালে মুক্তি পেয়েছিল অরসন ওয়েলস এর এই ছবি। প্রথম দৃশ্যেই দেখা যাবে মিডিয়া জগতের দিকপাল চার্লস ফসটার কেইনের মৃত্যুদৃশ্য। মারা যাওয়ার ঠিক আগে তাঁর উচ্চারিত শেষ কথা ছিল ‘রোজবাড’। সাংবাদিক থমসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনি কেন এই কথা বলেছিলেন, কি তার অর্থ। এর পর থমসন কথা বলতে থাকেন ফসটার কেইনের পরিচিতদের সঙ্গে। আর এভাবেই উম্মোচিত হতে থাকে ফসটার কেইনের রহস্যঘেরা জীবনের নানা অধ্যায়।

৬২। কুল হ্যান্ড লুক (Cool hand luke) পার্কিং মিটারের পাইপ কাটার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় লুকাস জ্যাকসনকে। দেওয়া হয় ফ্লোরিডা প্রিজন ক্যাম্পে দুই বছরের কারাদন্ড। ক্যাম্পের অঘোষিত হিরো ড্রাগলাইনের সাথে কথা-কাটাকাটির ফলে তাদের মধ্যে একটা বক্সিং ম্যাচ হয়। যেটাতে লুক জিততে না পারলেও ড্রাগলাইন তাকে নক-আউট করতে পারে না। এরপরে পোকার খেলার সময় লুক কোন ভাল কার্ড ছাড়াই সেটা জিতে নেয়। এভাবে লুক সবার মধ্যে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করে। এর ফলে তার নাম হয়ে যায় ‘কুল হ্যান্ড লুক’। এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছিল কিন্তু মা’র মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকে লুক পালানোর চেষ্টা করতে থাকে, আর প্রতি চেষ্টার সাথে বাড়তে থাকে শাস্তির প্রকোপ।

৬৩। মিডনাইট এক্সপ্রেস (Midnight Express) ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে দুই কেজি ‘হাশিস’ সহ ধরা পড়ল আমেরিকান ছাত্র বিলি হায়েস। এজন্য তাকে জেলে পাঠানো হল দুই বছরের জন্য। জেলের ভেতর বিভিন্ন অত্যাচার সহ্য করে সে দিন গুনতে লাগল তার মুক্তির দিনের। কিন্তু মুক্তির আর মাস দুয়েক বাকী থাকতে তাকে আবার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল, এবার তার শাস্তির সময়কাল বদলিয়ে ৩০ বছর করা হল। সে প্রথমে অনেকের সাথে পরিকল্পনা করে পালানোর চেষ্টা করতে লাগল। নানানভাবে ব্যার্থ হয়ে শেষে কিছুটা পাগলের মত হয়ে গেল। অবশেষে পাচঁ বছর কারাভোগ করার পর সে পালাতে সমর্থ হয়।
এই মুভিটা একটি সত্য ঘটনা নিয়ে তৈরী।

৬৪। প্রুফ অফ লাইফ (Proof of Life) কলম্বিয়ায় কাজ করতে এসে কিডন্যাপ হন ইঞ্জিনিয়ার পিটার বোম্যান। তার স্ত্রী এলিস হয়ে পড়ে দিশেহারা। পরিচালকঃ টেইলর হ্যাকফোর্ড এবং অভিনয়ঃ রাসেল ক্রো, মেগ রায়ান।

৬৫। প্যাপিয়ন (Papillon) ‘প্যাপিয়ন’ হল একটি ফ্রেঞ্চ শব্দ। এর অর্থ হল ‘প্রজাপতি’। হেনরী চ্যারিয়ের এর বুকে অংকিত প্রজাপতির উল্কি থেকেই এই নামকরণ। খুনের আসামী হিসেবে প্যাপিয়নকে যাবতজীবন কারাদন্ড দিয়ে পাঠানো হয় ফ্রেঞ্চ গায়ানার ডেভিলস আইল্যান্ডে। এখানে তার সাথে পরিচয় হয় আরেক আসামী লুইস ভেগার সাথে। বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

৬৬। ৮৮ মিনিটস (88 Minutes) এফবিআইয়ের চৌকস মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ জ্যাক গ্রায়েম শিক্ষকতাও করেন। তাঁর তদন্তে ধরা পড়া ক্রমিক খুনি জন ফস্টারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। জ্যাককে মৃত্যুর হুমকি দেয় ফস্টার। ফোনে তাঁকে বলা হয়, তাঁর হাতে আর সময় আছে মাত্র ৮৮ মিনিট।
গন ইন সিক্সটি সেকেন্ডস (Gone in 60 Seconds) এই মুভিটাও দেখুন ভাল লাগবে।

৬৭। ওয়েস্ট সাইড স্টোরি (West Side Story) শেক্সপিয়ারের গল্প নিয়ে নিজের মতো করে সিনেমা বানানোর ক্ষেত্রে সেরা সম্ভবত 'ওয়েস্ট সাইড স্টোরি'। কাহিনীর মূল ভিত্তি রোমিও জুলিয়েট। ছবিটা মিউজিক্যাল। অনেকগুলো গান আছে।

৬৮। গেট স্মার্ট (Get Smart) ম্যাক্সওয়েল স্মার্ট একটি স্পাই এজেন্সিতে এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে কাজ করেন। এই এজেন্সির প্রধান কার্জালয় একদিন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। তখন এজেন্সির প্রধান স্মার্টকে স্পাই হিসেবে কিছু দায়িত্ব পালন করতে দেয়। স্মার্টের পার্টনার হিসেবে সাথে থাকে এক সুন্দরী স্পাই যার কোড নাম এজেন্ট-৯৯। তাদের দুজনকে প্যারাশুটের মাধ্যমে রাশিয়ার সীমানার মধ্যে নামতে হয়। সেখানে রয়েছে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই তারা জানতে পারে যে সন্ত্রাসীরা ইতোমধ্যে একটি কনসার্টে বোমা হামলা চালানোর জন্য একটি মিসাইল সেট করেছে।

৬৯। মি. বিন'স হলিডে (Mr. Bean's Holiday) মি. বিন রূপে তিনি এ ছবিতে হাজির হয়েছেন। লটারী জিতে ফ্রান্সে ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়ে যান তিনি। তারপর ওখানে যাবার পর নানা বিপত্তি ঘটতে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত তার লক্ষ্য চেন্নাই সী-বিচ-এ পৌছাতে সমর্থ হয়।
মি.বিন এই নামটি শোনেনি এমন লোক পৃথিবীতে পাওয়া দুষ্কর। আর এই নামের আড়ালে তার যে আসল নাম ঢাকা পড়ে গেছে তা হচ্ছে রোয়ান এ্যাটকিনসন । যেসব শিল্পীরা নির্বাক ছবিতে অভিনয় করে সবাক যুগের মানুষকে অবাক করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে রোয়ান এ্যাটকিনসন অন্যতম।

৭০। স্টার ট্রেক ইনটু ড্রাকনেস (Star Trek into Darkness) এটা পপকর্ণ খাওয়া জাতীয় মুভি না, বরং পোলাও, কোর্মা নিয়ে বইসে দেখার মত মুভি । মুভিটা আসলে ফিকশন লাভারদের জন্যে । যারা সিরিয়াস টাইপ মুভি দেখেন, তারা এটাকে খেলনাও বলতে পারেন ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

আমি সাধারণ মেয়ে বলেছেন: ভালো পোস্ট , মুভিগুলো দেখতে চেস্টা করব ।

৩| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ৬২, ৬৪ দেখি নাই। দেখব।

৪| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: সবগুলো দেখা হয়নি।

৫| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৫৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৬| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:২০

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: নাইস

৭| ১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

জাহিদ বেস্ট বলেছেন: এই পোষ্টের অপেক্ষায় থাকি।ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

সুমন কর বলেছেন: Citizen cane মুভিটা প্রায় ৩ মাস ধরে পিসি পরে আছে, দেখা হচ্ছে না। :(

৯| ১২ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১৬

মোহাম্মাদ কাইয়ুম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.