নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ সংখ্যা সাপ্তাহিক \'এই সময়\'

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৮



আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। ঈদ মানেই- আনন্দ আর আনন্দ।
বাংলাদেশে অনেক দৈনিক পত্রিকা আছে, ম্যাগাজিন আছে, সাপ্তাহিক পত্রিকা আছে। ছোটবেলায় আমি ঈদ সংখ্যা মানেই বুঝতাম নুরজাহান বেগম সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘বেগম’ পত্রিকা। বিশাল ‘বেগম’ ঈদ সংখ্যা এক সময় ঘরে ঘরে শোভা পেতো। মহিলাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এই পত্রিকায় উপন্যাস-গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ-রম্য রচনা ছাড়াও সেলাই-রান্নাসহ নানা বিষয় স্থান পেতো। বেগম’র ঈদ সংখ্যার আরেকটি বিশেষত্ব ছিল সকল লেখিকার ছবি ছাপানো। লেখকের তালিকাই সকলেই মহিলা। আমার মাকে এই পত্রিকা পড়তে দেখতাম।

যারা সাহিত্য ভালোবাসেন তাদের কাছে ঈদের ঈদ সংখ্যাগুলো এক অন্যরকম আনন্দ নিয়ে উপস্থিত হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা হচ্ছে- সাপ্তাহিক 'এই সময়'। আমি এই পত্রিকায় কাজ করি, এই জন্য বলছি না। আপনি সারা বাংলাদেশের যে কোনো পত্রিকা স্টলে খোঁজ করলেই জানতে পারবেন এর পাঠকপ্রিয়তার কথা। দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। এই পত্রিকায় দেশের স্বনামধন্য ব্যাক্তিরা নিয়মিত লিখে থাকেন।

লেখকরা সারা বছর ঈদ সংখ্যায় লেখার জন্য পরিকল্পনা করে লেখালেখি শুরু করেন। গত কয়েক বছর ধরে শুধু মাত্র ঈদ সংখ্যার জন্য অনেক নতুন পাঠকের জন্ম হয়েছে। তরুণ পাঠিক-পাঠিকা ঈদ সংখ্যার জন্য এক আকাশ অপেক্ষা নিয়ে বসে থাকেন। বাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং ঈদ সংখ্যা এদেশের লেখক এবং পাঠক আজীবন টিকিয়ে রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস। পাঠকের কাছে আমরা সেজন্য কৃতজ্ঞ। কম করে হলেও এবছরও ২৫ টা ঈদ সংখ্যা বের হবে। আমি গত দশ বছর ধরে সব গুলো ঈদ সংখ্যা কিনছি- পড়ছি। একটা ঈদ সংখ্যায় সব রকম অর্থাৎ সব স্বাদের লেখা পাওয়া যায়। সব ধরনের পাঠকের জন্যই পড়ার কোনো না কোনো উপাদান থাকে ঈদ সংখ্যাটিতে।

একটা ঈদ সংখ্যা প্রস্তুত করতে অনেক মানুষের পরিশ্রম করতে হয়। লেখা সংগ্রহ করা, প্রুফ দেখা, বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করা, প্রচ্ছদ তৈরি করা আরও অনেক কিছু। পত্রিকা অফিসের সবাই খুব ব্যস্ত সময়ত পার করছে। টেলিভিশনে ঈদের নাটকের ফাঁকে ফাঁকে যেরকম বিজ্ঞাপন দেখানো হয় ঈদ সংখ্যার লেখার ফাঁকে ফাঁকেও যে বিজ্ঞাপন থাকেও সেটা কী আপনারা লক্ষ্য করেছেন? আমি মনে করি, যে কোনো পত্রিকা অফিসে বিজ্ঞাপন বিভাগের কাজটা অনেক বেশি পরিশ্রমের।


আমরা জানি, আপনারা সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে 'এই সময়' ঈদ সংখ্যার জন্য এক আকাশ অপেক্ষা করে বসে আছেন। আগামী ২৩ তারিখ থেকে সারা বাংলাদেশের যে কোনো পত্রিকা স্টলে পাওয়া যাবে। এই ঈদ সংখ্যাটিকে নির্ভুল ও আকর্ষণীয় করতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখি নাই। আপনারা অবশ্যই সাপ্তাহিক 'এই সময়' এর ঈদ সংখ্যা এক কপি কিনবেন এবং পড়বেন। আপনাদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা অবশ্যই আমাদের জানাবেন। বুকে হাত রেখে বলতে পারি- আমাদের ঈদ সংখ্যাটি পড়ে আপনারা নিরাশ হবেন না।

ঈদ সংখ্যার কথা বলতে হলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় শাহাদত চৌধুরী সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’র ঈদ সংখ্যার কথা।

ঈদের নির্মল আনন্দে মেতে উঠুক সবাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ১৪ সালের ঈদ সংখ্যাটা কিনেছিলাম! ভালো লেগেছিলো!

২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ে দেখব!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.