নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এই মাত্র খবর পেলাম- আমি যে মেয়েটিকে বিয়ে করেছিলাম সে আত্মহত্যা করেছে।
আমরা পালিয়ে বিয়ে করি। অথবা বলা যায় পালিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হই। মেয়ের বাপ মা কিছুতেই রাজী হচ্ছিল না। মেয়েটির নাম সুমি। খুব সুন্দরী মেয়ে। ঢাকার একটি নামকরা কলেজে লেখা পড়া করছে। চমৎকার একদম আধুনিক। একটু বেশীই আধুনিক। আমার সাথে পরিচয় হয় ঢাকার একটি নাইট ক্লাবে। বিয়েটা আমার কাছে মুখ্য বিষয় না। এটা আমার কাছে এক ধরনের খেলা। এই খেলা গত পনের বছরে অসংখ্যবার খেলেছি। আমি বুঝি না শিক্ষিত এবং ভদ্র ঘরের মেয়ে গুলো এত নির্বোধ হয় কি করে?
আমি খুব দুষ্টলোক। শুধু দুষ্টলোক না অতি বদ লোক। নেশা করি। সব রকম নেশাই করি। ঢাকা শহরে যারা নেশা দ্রব্য বিক্রি করে তারা সবাই আমাকে চিনে। এমনও হয়েছে রাত দু'টায় গিয়ে ইয়াবা কিনে এনেছি। এক এলাকায় না পেলে অন্য এলাকায় গিয়েছি। ঢাকা শহরের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে নেশা জাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায় না। অথচ রাজনীতিবিদরা কত রকম চেটাং চেটাং কথা বলেন। এক সিরিঞ্জ নিলেই আমার মাথা পরিস্কার হয়ে যায়।
মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয় করি, তাদেরকে বিছানায় নিই। ভিডিও করে রাখি। মেয়ে গুলোকেও আমার সাথে নেশা করতে বাধ্য করি। কোনো রকমে একবার নেশা ধরিয়ে দিতে পারলে- তারপর তারা আমাকে খুঁজে নেয়। যার দিকে আমার চোখ পড়ে তাকে হাসিল করেই ছাড়ি। সুমি মেয়েটাকে পুরোপুরি নেশাগ্রস্ত করতে সক্ষম হই খুব অল্প সময়ে। অসংখ্যবার তাকে বিছানায় নিই। বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। সুমি বেশ কয়েকবার আমাকে ছেড়ে যেতে চেয়েছিল। যখন তাকে ভিডিও ক্লিপ এর কথা বলেছি, তখন আবার সুরসুর করে আমার কাছে চলে আসছে। এরকম অসংখ্য মেয়ের ভিডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। টাকার দরকার হলেই মেয়ে গুলোকে ভয় দেখাই- তারা আমার জন্য টাকা নিয়ে আসে। সেই টাকা দিয়ে আমি নেশা করি। নেশা করার দ্রব্যের অনেক দাম।
সুমি ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে শুনেও আমি মোটেও বিচলিত নই।যারা নেশা করে শেষমেষ তাদের এই অবস্থাই হয়। একশ জনের মধ্যে তিনজন বড়জোর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে পারে। সুমি মরছে ভালো হইছে। অর কাছ থেকে পাওয়ার আর কিছু ছিল না। সুমির সব রস শুসে নেয়া হয়েছে। সুমির কথা মনে পড়লে ভিডিও ক্লিপ গুলো দেখব। সুমির মৃত্যুতে পুলিশ আমাকে ধরবে না। কারন আমি সুমিকে যখন যা বলি সে তা'ই করেছে। আমি বলেছিলাম তুমি ফাঁসিতে ঝোলার আগে কাগজে লিখে দিও 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না'। সুমি তাই'ই লিখে মরেছে। কিন্তু সমস্যা হলো পোষ্টমোরটেম রিপোর্টে অনেক অজানা সত্য কথা বের হয়ে এসেছে। সুমির বাসার দাড়োয়ানের কাছ থেকে সব তথ্যই আমি পাই। কখন তাদের বাসায় কে আসলো, কে গেলো। এজন্য অবশ্যই দাড়োয়ানকে আমি টাকা দেই। সুমি ফাসি নিয়েছে এই খবরটাও দাড়োয়ানই আমাকে দেয়।
আমার যখন নেশা মাথায় চড়ে যেত কিন্তু হাতে টাকা থাকত না। তখন আমি সুমিকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে অন্য পুরুষের কাছে নিয়ে যেতাম- সেই সব পুরুষ সুমিকে ভোগ করত, বিনিময়ে আমি অনেক টাকা পেতাম। সেই টাকা দিয়ে আমি নেশা করতাম। সুমিকেও নেশা করাতাম। একসময় এটা আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেল। পোষ্টমোরটেম রিপোর্টে বের হয়ে গেল- সুমির শরীরে অসংখ্য দাগ। খামচির দাগ, কামড়ের দাগ। আচড়ের দাগ। সারা শরীরে অসংখ্য ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা। মানুষ টাকা দিয়ে নিয়ে গিয়ে তো আর সোনার পালঙ্কে শুইয়ে রাখে না। তারা ক্ষুধার্ত শেয়াল কুকুরের মতো খুবলে খায়। সুমি যতই লিখে যাক 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। কিন্তু পুলিশ ইচ্ছা করলে আমাকে গ্রেফতার করতে পারে। পুলিশ আমাকে প্রচুর ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রচুর টাকা চায়। টাকা দিলে তারা চুপ করে থাকবে বলেছে। পনের লক্ষ চেয়েছে কিন্তু আমি জানি পাঁচ দিলেও চুপ থাকবে।
সুমির বাবা মা দুইজনই চাকরি করেন। মেয়ের সাথে সারাদিন শুধু মোবাইলে যোগাযোগ করতো। সুমির বাবা ফোন দিয়ে বলতো- তুমি কই মা? সুমি বলতো- আমি ক্লাশে বাবা। কিন্তু সুমি তখন আমার কোলে বসা। নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। বাসায় সারাদিন কেউ না থাকায়- যখন তখন আমার কাছে চলে আসতে পারতো। আমিও মাঝে মাঝে সুমির বাসায় চলে যেতাম। দুইজন একসাথে নেশা করে অন্যভুবনে চলে যেতাম। আহ সে এক অদ্ভুত ব্যাপার! সুমিকে আমি কখনও ভালোবাসিনি। শুধু ভালোবাসার অভিনয় করে গেছি। শরীরের জন্য আর নেশা করার টাকার জন্য। কিন্তু মেয়েটা সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করবে বুঝতে পারিনি। অবশ্যই মেয়েটা অনেক বার আমার কাছ থেকে পলাতে চেয়েছে- কিন্তু আমি মেয়েটিকে নানান ভয়ভীতি দেখিয়েছি। ভিডিও ক্লিপ গুলো নেটে ছেড়ে দিব বলে ভয় দেখিয়েছি। ভয়ের চোটে সে আমার কাছে ছুটে এসেছে। অল্পতেই ইমোশনাল হয়ে যাওয়া মেয়ে গুলোকে সহজেই বাগে আনা যায়।
আপনারা হয়তো আমাকে খারাপ ভাবছেন। আমার মুখে হয়তো থু থু দিতে ইচ্ছা করছে। দেখুন আমি কত ভালো। সব সত্য স্বীকার করলাম। কিন্তু এই সমাজে আমার মতো ছেলের অভাব নেই। আমার কাছ থেকে তাদের কাছে ভিডিও ক্লিপের সংখ্যা অনেক বেশি। আমার থেকে হাজার গুন বেশি নেশা তারা করে। নিজের গার্ল ফ্রেন্ডকে মধ্যরাতে অন্য লোকের হাতে তুলে দিয়ে আসে। আবার সকালে গিয়ে নিয়ে আসে। নির্বোধ মেয়ে গুলো সুন্দরী হওয়ার কারনে অনেক টাকা পাওয়া পায়। সেই টাকা দিয়ে নেশা করে। সেই সমস্ত মেয়ের সারা শরীরের অসংখ্যা দাগ। কামড়ের দাগ'ই বেশি। দেখলে ভয় পেয়ে যাবেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখার থিম ভাল ছিল। বর্ননা আরও ভাল হতে পারত।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন:
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনি হয়তো দেশের এখনকার একটা বাস্তব গল্পই বললেন কিন্তু আপনার এতো সুন্দর লেখাটা মন খারাপ করে দিলো ভীষণ | জানিনা কেন | জানিনা দ্রুত বদলে যাওয়া দেশের সাথে আমিই তাল মেলে চলতে পারছি না, নাকি অন্য কিছু | দেখলে, শুনলে বিশ্বাস করতে হয় | আমি কি দিনে দিনে অবিশ্বাসী হয়ে উঠছি কি না তাও বুঝতে পারছি না ! তবুও ধন্যবাদ আপনাকে লেখার জন্য |
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: অবিশ্বাস মানে সত্যকে লুকানো।
বাস্তব ঘটনা।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সমাজে নষ্টদেরই জয়জয়কার।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: তাই তো দেখছি।
একবার ভেবে দেখুন ভবিষ্যত পৃথিবী টা কেমন হবে?
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: হুঁম, ভদ্র সমাজের বাস্তব চিত্র।
নেশার কারণে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে গল্পে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরলেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান করবে কে?
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রশাসন ছাড়া আর কী হতে পারে?
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রশাসনের বেশির ভাগ লোকই অযোগ্য।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রশাসনের বেশির ভাগ লোকই অযোগ্য।
মাদকাশক্তও বলতে পারেন। আমার দেখা কয়েকজন পুলিশ কং ও একই রোগের রুগি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে তবে একটু ছোট করে লিখলে ভালো হতো।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।