নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বিশাল বক্ষের রমনীর কারনে- রফিক সাহেবের
চাকরি চলে গেল। রফিক সাহেবের অপরাধ
তাঁর শরীরে গন্ধ। বিকট ঘামের গন্ধ। অথচ
তিনি রোজ সকালে গোছল করে, পরিস্কার জামা
পড়ে অফিসে আসেন। তবে হ্যা, অফিসের কাজে
বাইরে গেলে- এক অফিস থেকে আরেক অফিস
ছোটাছুটি করতে গিয়ে- রফিক সাহেবকে খুব ঘামতে
হয়। তখন তার শার্ট থাকে ভেজা। বাইরে যা গরম,
লোকাল বাসে প্রচন্ড ভীড়।
প্রতিদিন সকালে অফিসে এসে একজন দুষ্টনারীকে দেখে-
যে কিনা বিনা কারনে চোখ মুখ কুচকে রাখেন-
এই রকম একটা মুখ দেখে- সারাটা দিন মাটি যায়।
যাই হোক, অফিসের সবাই ফিসফিস আর মিটমিট করে
হাসছে। রফিক সাহেব খুব অপমানিত বোধ করলেন
বিশাল বক্ষধারিনী তাঁর পাশেই বসতেন
একদিন সৎ ও পরিশ্রমী রফিক সাহেব
রেগে গিয়ে বললেন, কাজে মন দিন বোন,
ফাঁকিবাজি ভালো নয়, অন্তত মাস শেষে
যে টাকা বেতন নেন, সে টাকার শ্রমটুকু দিন।
এই কথায় দুষ্টমহিলা রেগে গেলেন, চিৎকার করে
বললেন, আপনি চিনেন আমাকে(?) এইবার আপনাকে
দেখাবো আমার কত ক্ষমতা। তিনি তাঁর ক্ষমতা বেশ ভালোই
দেখালেন। নানান মিথ্যা অভিযোগে তার চাকরি গেল চলে
রমনা পার্কের বেঞ্চে বসে তিনি তার ছোট মেয়েটার কথা ভাবছেন
এখন কি হবে? সংসার কিভাবে চলবে? মেয়েটাকে স্কুলে ভরতি
করাতে পারবেন?
আসলেই কি রফিক সাহেবের গায়ে ঘামের গন্ধ?
রফিক সাহেব বাসায় ফিরে তাঁর স্ত্রীকে বললেন,
আমার গায়ে কি কখনও বাজে গন্ধ পেয়েছো?
স্ত্রী হাসি মুখে রফিক সাহেবকে জড়িয়ে ধরে বললেন-
নো নেভার। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে
তিনি যখন বাসায় ফিরেন, তার স্ত্রী আর কন্যা জড়িয়ে ধরে
এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে।
অবশেষে দুষ্টনারী রফিক সাহেবকে হেনস্তা করতে গিয়ে-
নিজেই বিছানায় পড়ে গেলেন টানা তিন দিন, জ্বর, শরীর ব্যাথা
এবং তার স্বামী আজও তাকে নিজের কাছে নেয়নি
দুই বছর তো পেরিয়েই গেল, তবে প্রতি সপ্তাহে দুই রাত
সে তার স্বামীর কাছে থেকে আসে।
এই জন্যই বলে আল্লহার মাইর দুনিয়ার বাইর।
রফিক সাহেবের বিশ্বাস একদিন এই মিথ্যা অভিযোগকারী নারী
রফিক সাহেবের কাছে এসে ক্ষমা চাইবেন। অবশ্য তিনি জানেন,
দুষ্টনারীকে ক্ষমা করে দিবেন। তিনি রাগ পুশে রাখতে পারেন না।
মধ্যরাতে তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবেন-
একজন নারী ঘামে ভেজা থাকা স্বত্তেও জড়িয়ে ধরে, আরেকজন
নারী লিখিত অভিযোগ দেয়।
(আমি কবি নই। কবিতা লেখার সামান্য যোগ্যতা আমার নেই। তবুও কবিতার মতো করে কিছু একটা লিখলাম। কবিতার নাম দেয়া যেতে পারে- 'বিশাল বক্ষওয়ালা দুষ্ট রমনী' ভুল ত্রুটির জন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।)
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই পাবেন।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: ভাই,আপনার কবিতা হয়েছে আমার আঁকা ছবিগুলোর মতো।বলে না দিলে কেউ বুঝতেই পারবে না—গরু আঁকলাম না ছাগল আঁকলাম।মন খারাপ করবেন না।লেগে থাকুন।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: মন খারাপ করি নাই। কথা তো সত্য বলেছেন।
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ছোটগল্প বলা যেতে পারে। লিখতে থাকুন। শুভকামনা।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প কবিতা সবই তো একই মায়ের।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: এটা গল্প না কবিতা?
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: গল্পের মতো কবিতা বা কবিতার মতো গল্প।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই ধরণের কিছু ঘটেছে?
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমে বলি- আমার বাসার ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে গেছে।
অফিসে লুকিয়ে লুকিয়ে সামুতে আসি।
জ্বী এই ধরনের ব্যাপারই ঘটেছে। কিন্তু পরে অনুসন্ধান করা জানা গেছে- এই গন্ধ রফিক সাহেবের গা থেকে আসেনি। ঐ রুমে আরও তিনজন বসেন, তারা অফিসে এসে জুতা মোজা খুলে ফেলেন। তাদেরই মোজার গন্ধ।
রফিক সাহেব নির্দোষ।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভালো। আপনি কবিতার ছলে কোন একটা কাহিনী তোলে ধরেছেন।
কবিতার প্রথমে বিশাল বক্ষের রমণী বলে আপনি চারিত্রিক দোষের আগে শারীরিক যৌনাঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এতে কবিতার গুরুত্ব কিছুটা হলেও হারাবে।
আর বাকি সব ঠিক আছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার মতামত সম্মানের সহিত গ্রহন করলাম।
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হা হা হা আমি কিন্তু কবিতা পড়ে হাসি নি মন্তব্যগুলো পড়ে হাসলাম। যাই হোক এ যে একটি পোস্ট হয়েছে নিশ্চিৎ। ভাল থাকবেন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
কাহিনী খারাপ! এরকম দুষ্টু নারী চাই না। রফিক সাহেবের জন্য খারাপ লাগলো। গদ্যময় কবিতা!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু পরে অনুসন্ধান করা জানা গেছে- এই গন্ধ রফিক সাহেবের গা থেকে আসেনি। ঐ রুমে আরও তিনজন বসেন, তারা অফিসে এসে জুতা মোজা খুলে ফেলেন। তাদেরই মোজার গন্ধ।
রফিক সাহেব নির্দোষ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
শামচুল হক বলেছেন: প্রথম হলাম। চা দেন