নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
হিপনোটিজম একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। এর মধ্যে অবাস্তব-ভুতুড়ে কিছু নেই। তবে প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষকে হিপনোটাইজ করা যায় না। সমাজে গরীব যারা তাদেরকে যদি টাকা দেওয়া যায়, তারা সবসময়ই থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রনে। যারা খুব অহংকারি ব্যক্তি তাদের সঙ্গে নম্র ভদ্রভাবে ব্যবহার করুন৷ দেখবেন সে আপনার একেবারে বশে চলে আসবে। কোনও বোকা ব্যক্তিকে মিথ্যে প্রশংসা করলে সে থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রনে। হিপনোটাইজ সবাই করতে পারে না। হিপনোটাইজ করার জন্য আপনার এ বিষয়ে জানা জরুরি এবং আপনার দক্ষতাও থাকতে হবে। আর যাকে হিপনোটাইজ করবেন তারও ইচ্ছা থাকতে হবে।
হিপনোটাইজড সবাইকেই করানো সম্ভব। কাউকে দেখে মনে হয় যেন কত দিনের চেনা, যেন কোথায় দেখেছেন। কোনও জায়গা প্রথম বার চাক্ষুষ করেও মনে হয় যেন আগে কখনও এসেছেন। এটাও হিপনোসিস। কারও সঙ্গে কথা বলতে খুব ভাল লাগে বা কথা বলতে গিয়ে বারবার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান। সম্মোহনের এর থেকে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে? ‘হিপনোসিস’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘সম্মোহন’। হিপনোথেরাপির উদ্দেশ্য কাউকে হিপনোটাইজ করা নয়, রোগীকে তাঁর সমস্যা থেকে উদ্ধার করা। হিপনোটিক থেরাপিতে শরীর ও মনের রোগ সারানো, পূর্বজন্মে ফিরে যাওয়া, স্পিরিট রিলিজ কেউ বলছেন ‘বৈজ্ঞানিক’, কারও কাছে আজগুবি, বুজরুকি, কেউ মনে করেন ব্ল্যাকম্যাজিক, আবার কারও ব্যাখ্যায় অর্ধেক সত্যি-অর্ধেক কল্পনা।
গল্প বা সিনেমায় হিপনোটাইজ ব্যাপারটিকে যে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়, তা বলতে মানা নেই। সত্যজিত রায়ের ‘হিপনোসিসের’ ব্যাপারে ছিল দারুণ মোহ। তার বিভিন্ন গল্পে ‘হিপনোসিস’ প্রসঙ্গটি বারবার উঠে এসেছে। হিপনোসিস চলাকালীন সময়ে মস্তিষ্কের সচেতন অংশকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঐ ব্যক্তির বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলোকে কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং তাকে মানসিকভাবে শিথিল করার দিকে মনোনিবেশ করানো হয়। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন- “আত্মার ওজন মেরেকেটে ২১ গ্রাম! হিপনোসিসের মাধ্যমে দেহ থেকে আত্মা বার করে নেড়েঘেঁটে দেখে, আবার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়!” “যখন মানুষ হিপনোটাইজড অবস্থায় থাকে তখন তাঁর দেহ ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু মস্তিষ্ক জাগে। অনেকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন বা মদ খেয়ে অর্ধচেতন হয়ে যাওয়ার অবস্থার মতো।
বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের সম্বন্ধে বলা হয়, তিনি নাকি তুখোড় হিপনোটিস্ট। খেলতে বসেই প্রতিপক্ষের চোখের দিকে তাকিয়ে তার মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা নাকি তার হাতের খেল। ২০০ বছরেরও অধিক সময় ধরে লোকজন হিপনোসিস বা সম্মোহন নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে আসছে। মানুষ আপন মনে তার মনকে নিয়ে খেলে। তাই তো এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই আলাদা। আলাদা তাদের চিন্তা ভাবনা, ধ্যান ধারণা। এই মনকে নিয়েই তাই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই চলে আসছে হিপনোসিস বা সম্মোহনের খেলা। হিপনটিজম মূলত বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন প্রকার ম্যাজিক শোতে এটা অতি সাধারন ব্যাপার।
হিপনোটাইজ এটা একটা বড় প্রসেস। নির্ভর করে একজনের অধ্যবসায়ের উপর। এটা পুরোটাই নির্ভর করে আপনি যাকে হিপনোটিস করবেন তার মনের উপর আর আপনার জায়গা নির্বাচনের উপর। ১০০% ঠিক হবার পরেও আপনার করা মানুষটা হিপনোটিস নাও হতে পারে। একটি অন্ধকার বা মৃদু আলোযুক্ত ঘরে বসতে হয় প্রথমে।তারপর নিচু স্বরে সম্মোহিত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিটিকে একদৃষ্টিতে কোনদিকে তাকিয়ে থাকতে বলতে হয়।বার বার আরাম করে বসার জন্য বলতে হয়।তার পর চোখ বন্ধ করার জন্য বলে তাকে নানা নির্দেশ দিয়ে সম্মোহিত করা হয়।যেমন বলা যায়, মনে করেন আপনি একটা বিশাল তালগাছের উপরে আছেন।তালগাছটার মাথা গিয়ে লাগছে আসমানে।আপনি আরো উঠছেন আরো উঠছেন।আপনি হঠাত উঠতে উঠতে আসমানে উঠে গেলেন। চারিদিকে শুভ্র মেঘমালা।তুলার মত নরম মেঘরাশির মাঝে আপনি ভাসছেন। ভেসে থাকা অবস্থায় আপনি নিচে তাকালেন। দেখলেন সবই আছে,সাদা মেঘের ছড়াছড়ি কিন্তু আপনার তালগাছটা নেই।এই টাইপের কথাবার্তা।
পৃথিবীর সকল মানুষ প্রকৃতির কাছে সম্মোহিত হয়ে আছে। প্রকৃতি সম্মোহিত করে রেখেছে সবাইকে। মিথ্যে মায়ার পিছনে ঘুরছে সবাই সম্মোহনের কারনে।
স্বামী: সম্মোহনবিদ্যা আবার কী গো?
শিক্ষিত স্ত্রী: সম্মোহনবিদ্যা জানলে দ্বিতীয় কোনো মানুষকে নিজের বশে রেখে তাকে দিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করানো যায়।
স্বামী: ওটা আবার সম্মোহনবিদ্যা নাকি? ওটা তো বিয়ে।
খুব কৌতূহল হলে এখানে ডু মারুন
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
অলিউর রহমান খান বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। এ জন্য ব্লগে যোগদান করা উচিত।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমার মিল আছে। আমিও কিন্তু খান।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
মরুসিংহ বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম। সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু...
আপনার কিছু লেখা আমার পছন্দ না।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: যে লেখা গুলো পছন্দ না সেগুলো আমাকে বলবেন। আমি শুধরে নিব।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাকে কি হিপটোনাইজ করা হয়েছিল কখনো?
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
একটা মেয়ে করেছিল।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভালো লাগল জেনে ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: লেখা ও কৌতুক ভালো লাগল
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: প্রামানিক কি আপনার আসল নাম না ছদ্মনাম?
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শেষেতো পুরাই হাসাই ফেললেন তাইতো লেখায় সম্মোহিত হতে পারিনি।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: দেরী হোক। যায়নি সময়।
৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৪
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ব্লাক ম্যাজিক তাহলে কি?
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লাক ম্যাজিক বলে আসলে কিছু নেই।
৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আইসিস-এ যোগ দেয়াটাও এক রকম হিপনোটিজম...
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমিও তাই মনে করি।
১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ফ্রয়েড সাহেব নাকি রোগিকে হিপনোটাইস করে অপারেশন করতেন!
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ফ্রয়েড ?? জানি না।
তবে অনেকে রোগিকে হিপনোটাইস করে চিকিৎসা করেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: হাহাহা, সম্মোহনবিদ্যার অংশটুকু ভাল ছিল।