নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। পাঁচ বছর ধরে পাগলটা বসে আছে ঐ বকুল গাছের তলায় । কিন্তু কেন ?
পাগলটা বসে থাকে । বৃষ্টি আসে, ঝড় বয়ে যায়, আবার দেখা দেয় রোদ । পাগল বসে থাকে । ক্লান্তি আসে না । বকুল গাছ থেকে পাতা খসে পড়ে । আহ হা রে... বড় মায়া লাগে !
একদিন রাতে আমি পাগলকে ডেকে পাশে বসিয়ে ভাত খেতে দেই । পাগল খায়, কথা বলে না । কি বিপুল দারিদ্রের চেহারা । পৃথিবীর সব ধুলো আর নোংরা ওর গায়ে লেগে আছে । অন্ধকার ! ভীষন অন্ধকার ! পাগল বলে । বড় শীত পরেছে এবার । বকুল গাছ থেকে শুকনো পাতা খসে পড়ছে পাগলের গায়ে ।
২। বছরটা শেষ হয়ে এলো। ভাবতে বসলাম এবছরে আমার অর্জন কি? অর্জন তো কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। এ বছরে প্রচুর বই পড়েছি। একটাও ভালো ছোট গল্প বা কবিতা লিখতে পারিনি। ব্যাংকে টাকা রাখতে পারিনি। দেশের বাইরে বেড়াতে যেতে পারিনি। আগামী বছরটাও কি এই রকমই যাবে? আমি চাই আগামী বছরে দুইবার দেশের বাইরে বেড়াতে যাবো। থাইল্যান্ড অথবা ইন্দোনেশিয়া অথবা ইন্ডিয়া বা নেপাল।
৩। আমার আসে পাশের বেশির ভাগ মানূষকে আমার নির্বোধ বলে মনে হয়। দিন্র পর দিন তাদের নির্বোধগিরি দেখে আমার খুব রাগ হয়। আমি মনে মনে হাসি, রাগি। কিন্তু এক সময় দেখি, আমিই সবচেয়ে বড় নির্বোধ। তারা সবাই চালাক। তারা ঠিকই আছে।
৪। একজন মানুষের জীবনের আসল উদ্দ্যেশ্য কি কি অতে পারে? লেখা পড়া শেষ করে, চাকরি বা ব্যবসা করা। তারপর বিয়ে, এবং বিয়ের পর বাচ্চা। তারপর সেই বাচ্চাকে মানুষ করো। ষাট বা সত্তর বছর পার করে রোগে ভূগে মরে যাও। এই'ই? এই চক্রই কি চলবে আজীবন? আর কিছু করার নেই মানূষের? যদি তুমি ধর্ম মানো তাহলে মরার পর আছে- কবরের আযাব। যদি তোমার সৎ বা অসৎ পথে প্রচুর টাকা থাকে, তাহলে হজ্ব করো। যাকাত দাও। ইত্যাদি ইত্যাদি---
আমি মনে করি, তুমি পৃথিবীতে এসেছো- কাজেই প্রতিটা সময়, প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করো। ভালো মুভি দেখ, ভালো বই পড়ো, নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াও, প্রিয় প্রিয় খাবার গুলো খাও, সামর্থ থাকলে দরিদ্র মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করো। দেশোকে ভালোবাসো, দেশের মানূষকে ভালোবাসো।
৫। আসলে আজ ছিল আমার ডে অফ। সারাটা দিন বাসায় শুয়ে বসে কাটালাম। অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম বলেই কিছুই লিখতে পারলাম না। আজ সারাদিন কি করেছি আপনার একটূ বলি- ভেবেছিলাম আজ অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমাবো, কিন্তু ঘুম ভেঙ্গে গেল ভোর ছয় টায়। ছাদে গেলাম- গাছে পানি দিলাম। গাছের পরিচর্যা করলাম। ৯ টায় নিচে নেমে দেখি সুরভি বাইরে যাচ্ছে। তার ভাই এর বিয়ে, সে মহা ব্যস্ত। সুরভি বলল- হাতে সময় নেই, হোটেলে নাস্তা খেয়ে নিও। হোটেলে গিয়ে নাস্তা করলাম পেট ভরে। নেহারি, স্যুপ আর তিনটা তন্দুর রুটি। সবার শেষে এক কাপ চা। বিল ১৭০ টাকা। বাসায় ফিরে অনেকক্ষন সময় নিয়ে ক্যামেরাটা পরিস্কার করলাম। ফ্রিজে বরফ জমে ছিল- পরিস্কার করলাম। ফ্যানটায় ময়লা জমেছিল- পরিস্কার করলাম। আলমারিতে আমার কাপড় গুলো গোছালাম তখন প্রায় সাড়ে বারোটা বাজে। বিছানায় গেলাম মুহূর্তের ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙল দুপুর দুইটায় সুরভির ফোনে। দুপুরে কোথায় খাবে? কিছু তো রান্না করি নাই। ............সুরভির শেষ কথা হল, রাতের জন্য তোমার প্রিয় চিকেন ফ্রাই আর ফ্রাইড রাইস নিয়ে আসবো।
হাফ প্যান্ট পরেই চলে গেলাম পুরান ঢাকায়। রাস্তা ফাঁকা। হাজির বিরানী খেলাম দুই প্লেট। সাথে ফান্টা। তারপর রিকশা নিয়ে বাসায় উদ্যেশে রুওনা দিলাম। রিকশায় বসে একটা সিগারেট ধরাতেই মনে হলো- জীবনটা মন্দ নয়। দোতলায় যেতেই ভাবী বললেন, রাজীব ঘরে আসো তিন পদের শীতের পিঠা বানিয়েছি। আমি বললাম, ভাবী পিঠা খাবো না। এক কাপ চা খাওয়াতে পারেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেকদিন আগে একটা লেখা লিখেছিলাম- ''দ্বিতীয় সত্তা' নামে। সেই লেখার সাথে এই ছবিটা ব্যবহার করেছিলাম। আসলে অই লেখাটার জন্যই এই ছবিটা তুলতে হয়েছিল।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: লেখাটা কখন লিখলেন, আমিতো ছুটির দিনে বউ বাচ্চার জন্য কিছুই লিখতে পারি না
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: বউ ব্যস্ত তার ভাই এর বিয়ে নিয়ে।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জীবন টা মন্দ নয়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: তাই বলে জীবনে প্যারাও কম নয়।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
রুরু বলেছেন: ভাবীর হাতের পিঠা খেলে মন্দ হতো না।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুরভি এবছর এখনও পিঠা বানায় নাই। তবে আমি বলেছি সব রকম পিঠা এবছর বানাবে।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার দেয়া সেরা ছবি
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ বেগ পেতে হয়েছিল ছবিটা তুলতে এবং এডিট করতে।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শালার বিয়েতে দাওয়ায় দেয়নি? শুধু সুরুভি গেল আপনি কেন যাননি?
নাকি সুরুভি ভাবী কোথাও বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে আপনি মুখের উপর না করে দিয়েছেন।
ফলাফল: সুরুভি ভাবী বাপের বাড়ি চলে গেছেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: না। বিয়ে সামনের মাসে ১৮ তারিখ।
এখন কেনাকাটায় ব্যস্ত।
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬
পথিক সরদার বলেছেন: শত ব্যস্ততার মাঝেও জীবনটা আসলেই সুন্দর।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২
রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫
আটলান্টিক বলেছেন: অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম বলেই কিছুই লিখতে পারলাম না
কে বলল আপনাকে কিছু লিখতে পারেননি?আপনি যথেষ্ট লিখেছেন এবং খুব ভাল লিখেছেন ভাইয়া।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মনটা আসলেই আটলান্টিক মহাসাগরের মতো।
৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭
পথিক সরদার বলেছেন: হতে পারে বৈকি মেনে নিতেই হবে জীবনটা আসলেই সুন্দর। না মানলে অনশন হবে অনশন
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: জীবনে কষ্ট আছে, পরিশ্রম আছে, ব্যর্থতা আছে, অপমান আছে, রোগ আছে, টেনশন আছে, অস্থিরতা আছে। এই রকম বহু কিছু আছে যা মানূষের জীবনের আনন্দ মাটি করে দেয়।
১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক ভালো আছেন। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন যদি আস্তিক হয়ে থাকেন...
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রতিদিন শুকরিয়া আদায় করি।
১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
রাজীব ভাই আপনার এই ছবিটা এতটাই ভাল লেগেছে যে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আরেকবার এলাম;
একটা গান মনে পড়ে গেল ছবিটা দেখে;
শ্রীকান্ত আচার্যের এই গানটা শুনেছেন না?
আর হ্যাঁ, ছবিটার জন্যই পোষ্টটা প্রিয়তে নিলাম।
চাদগাজী ঠিকই বলেছেন,
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার দেয়া সেরা ছবি
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।
১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর জীবন
১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮
সোহানী বলেছেন: একটি ঝমেলা বিহিন জীবনের দিন।
ছবিটা সত্যিই দারুন হয়েছে। +++++++++++++
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
দিন তো আপনার বেশ ভালোই গেল। অনেক কাজ করলেন ছাদের বাগানে পানি দিলেন, ফ্যান, ফ্রিজ কাপড় গোছগাছ করলেন।
দুইবেলা পেট ভরে খেলেন।
ছবিটা সুন্দর হয়েছে খুব। দুই মিনিট দেখলাম তাকিয়ে।