নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
গত ২/৩ মাস শুধু নাটক দেখেছি। কম করে হলেও প্রায় ৩০০টি নাটক দেখে ফেলেছি। নাটক দেখার কারনে বই পড়া খুবই কম হয়েছে। কিছু নাটক যেমন খুব ভালো। আবার কিছু নাটক মানহীন। দক্ষ নাট্যকার, দক্ষ নির্মাতা, দক্ষ ক্যামেরাম্যান এবং দক্ষ অভিনেতা আর অভিনেত্রী দিয়েই একমাত্র ভালো নাটক তৈরি করা সম্ভব। আমাদের দেশে ভালো ভালো মেধাবী নাট্যকার-নির্দেশক আছে, আছে ভালো ক্যামেরাম্যান এবং অভিনয় শিল্পী। তাদেরকে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
বাংলাদেশে এখন প্রচুর ভালো নাটক হয়। এই ভালো নাটক গুলো দেখে আমি মুগ্ধ! কিছু কিছু নাটক দেখে আমার মতো মানুষের চোখেও পানি এসে পড়ে। বেশ কিছু নতুন অভিনেতা আর অভিনেত্রী এসেছেন। তারা দারুন অভিনয় করেন। নব্বই এর দশোকে ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘ঢাকায় থাকি’, ‘শুকতারা’, ‘সংশপ্তক’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘রূপনগর’, ‘আজ রবিবার’, ‘জোনাকী জ্বলে’ ইত্যাদি ধারাবাহিক নাটক সারা দেশের দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল।
নাটক সিনেমা বা উপন্যাসের কোনো চরিত্র খুব অল্প সময়ে মানুষকে খুব বেশি প্রভাবিত করে। কাজেই সচেতন মূলক নাটক বেশি হওয়া দরকার। নাটকের বাজেট কমতে কমতে যেই জায়গায় এসেছে এখন, শুনলে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকবেন। নতুন পরিচালকেরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নাটক বানান, সেটা করেও শান্তি নাই। চরিত্র অনুযায়ী তারা আর্টিস্ট নিতে পারেন না। এজেন্সি যাদের ঠিক করে দিবে, বাধ্য হয়ে তাদেরকেই নিতে হবে। এজেন্সি কি দেখে আর্টিস্ট ঠিক করে জানেন? কার ফেসবুকে ফলোয়ার কত বেশি তা দেখে! এরপরেও শান্তি নাই, চ্যানেল ইচ্ছামত নাটক কেটে ফেলে, দর্শক কাহিনী বুঝুক বা না বুঝুক- আমার কি?
টিভিতে নাটক দেখার চেয়ে ইউটিউব এ নাটক দেখা বেশি আরামের। টিভিতে প্রচুর এড দেখায়। তবে কিছু সমস্যা আছে যেমন- নাটক চলছে, সেটার নিচে দিয়ে খবরের স্ক্রল যাচ্ছে- ক্যান রে ভাই? নাটকের সময়ও আমাকে জোর করে খবর দেখাবি? নায়ক নায়িকার রোম্যান্টিক সিনের সময় আমি যদি নিচের স্ক্রলে দেখি- রাজশাহীতে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা- তাহলে আমি কীভাবে নায়ক নায়িকার রোমান্স এঞ্জয় করব আমাকে বলেন!
আমি খুব মন দিয়ে নাটক দেখি। নাটকের ক্যামেরাম্যানের সহকারি কে? মেকাপ কে? লাইটিং কে? তুচ্ছ বিষয় গুলোতেও আমার খুব আগ্রহ। আমার খুব ইচ্ছা নাটক লিখি। নাটক পরিচালনা করি। ভালো নাটক তৈরি করার প্রধান বাঁধা হলো বাজেট কম। স্বল্প বাজেটের কারণেই এখন নাটকের শুটিং করতে হয় দুই দিনে।
হুমায়ূন আহমেদের নাটক গুলো অসাধারন। বিশেষ করে তার পরিচালনায় নাটক গুলোর তুলনা হয় না। আমি বলব তার সমতুল্য খুব কমই আছে। বিশেষ করে- কোথাও কেউ নেই, আজ রবিবার, চৈত্র দিনের গান, চোর ইত্যাদি প্রচুর নাটক আছে। আমি প্রতিদিন হুমায়ূন আহমেদের নাটক দেখি। প্রতিটা নাটক যে কতবার দেখেছি তার হিসাব নেই। নাটকের সব ডায়লগ আমার মূখস্ত। সুরভি আমাকে প্রায়ই বলে- তোমার সমস্যা কি(?) এক নাটক এত বার দেখো কেন?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ওস্তাদ আসলে আমি কথাটা গুছিয়ে বলতে পারিনি। এডিট করে দিয়েছি।
বিখ্যাত আর জনপ্রিয় কত সাহিত্য দিয়ে নাটক হয়েছে।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
নাটক সাহিত্যের একটা বড় অংশ।
আপনি যে নাটকের নামগুলো বললেন সেগুলো কালজয়ী। সেগুলোর নাট্যকারেরা ছিলেন সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং এবং মার্জিত লেখক গুণীজন।
বর্তমানে টেলিভিশনে প্যাকেজ নাটকের নামে না চলে যা বলা যায় কাতুকুতু দিয়ে মানুষ হাসানো।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১১
বদিউজ্জামা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নব্বই এর দশোকে ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘ঢাকায় থাকি’, ‘শুকতারা’, ‘সংশপ্তক’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘রূপনগর’, ‘আজ রবিবার’, ‘জোনাকী জ্বলে’ আমিও সেই জামানার দর্শক।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪১
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: বিখ্যাত সেই নাটক গুলো ছোটবেলায় দেখেছি। খুব উপভোগ করতাম তখন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা লেখাপড়া শিখার সুযোগ পাননি, তাদের জন্য নাটকই বড় সাহিত্য