নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মানচিত্র বদলের সঙ্গে সঙ্গে এপারের কিছু মানুষ
চলে গেলেন ওপারে, আর ওপারের কিছু মানুষ
চলে এলেন এপারে।
আমার বাবা দেখেছিলেন,
বিক্রমপুরের নারায়ন চন্দ্র বাবুকে শিয়ালদহ'র
ফুটপাতে ভিক্ষা করতে!
হায় আজও কেউ কেউ
উদ্বাস্তু রয়ে গেছে! মন, প্রেম ও আদর্শ থেকে
কোলকাতায় দাদারা খুব আক্ষেপ করে বলেন-
আমাদের বাপদাদার আদিবাড়ি বাংলাদেশের
বরিশাল, ফরিদপুর, কুমিল্লা অথবা বিক্রমপুরে
অথচ সাতচল্লিশে বাইরের শক্তি গুলোর সাহায্য
ছাড়াই হিন্দু-মুসলিমের সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল
আজ বাপদাদার বাড়িতে যেতেও পাসপোর্ট লাগে
সেই সময় মানুষের মন থেকে কিছু কাঁটা তুলে
ফেলতে পারলেই, একসাথে থাকা সম্ভব ছিল।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু। ভালো থাকুন।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: 47 এর আগে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: তা তো অবশ্যই।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
জাহিদ হাসান বলেছেন: মর্মস্পর্শী!
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর ভাবনা, তবে মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ঠিকই বলেছেন, ৪৭ এর আগে আর ফিরে যাওয়া যাবে না, এ মেনে নিয়েই বর্তমানে কিভাবে ভালো থাকা যায় এবং ভবিষ্যৎ আরো ভালো করা যায় উভয় বাংলার সে চেষ্টাই করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ !
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: সেই ভালো থাকার জন্যই দুই দেশ মিলে যাতায়াত সহজ করেছে।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: শুকনো মুখ, উস্কোখুস্কো চুল
বিষাদপ্রতিমা
রোজই রাস্তায় দেখি ফুটপাথের হাঁড়িকুড়ি-ছড়ানো সংসারে
শুকনো মুখ উস্কোখুস্কো চুল
শিয়ালদার প্ল্যাটফর্মে আছড়ে-পড়া উদ্বাস্তু সংসারে
বিষাদপ্রতিমা…
শুকনো মুখ, উস্কোখুস্কো চুল
বিষাদপ্রতিমা
হারানো মা, আমারে কি হারানিধি বলে মনে ধরে!
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ইসিয়াক বলেছেন: লিখেছেন অরণ্য লাহিড়ী
“তেলের শিশি ভাঙল বলে
খুকুর ‘পরে রাগ করো
তোমরা যে সব বুড়ো খোকা
ভারত ভেঙ্গে ভাগ করো!
তার বেলা?”
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২
নুরহোসেন নুর বলেছেন: আমার মেজ ফুফু আর বড় চাচ্চুরা কুচবিহারে থাকেন,
২০০৭ সালে বেড়া টপকে পালিয়ে তাদের কাছে গিয়েছিলাম ফিরেছি ২০১১ সালে।
আমার একটি বারও মনে হয়নি আমি দেশ ছেড়ে এসেছি।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধরা পড়লে আপনার খবর ছিলো।
এর পর আর এভাবে যাবেন না। নিয়ম মেনেই যাবেন।
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইংরেজ বেনিয়ারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামে একটি কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা করতে এসেছিল ভারতবর্ষে । কুট বুদ্ধির জোরে আর ছলচাতুরী দিয়ে তারা পুরো ভারত বর্ষকেই দখল করে নেয় । ভাবা যায় একটা কোম্পানির গুটিকয়েক লোক পুরো দেশটাকে লুটে নিল এবং তাই নয় একশ বছর তারা চালিয়েছে। পরবর্তীতে আবার নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার সরাসরি। ব্রিটিশরা ছেড়ে যাবার পর একটি রাষ্ট্র থাকলে কিছু সুবিধা অবশ্যই থাকতো । অন্তত আমার মনে হয় বাংলাদেশ জায়গাটার সুবিধা একটু বেশি হত।
রাষ্ট্র হিসেবে ভারত হতে পারতো অনেক বেশি শক্তিশালী। অন্তত এটাকে উপমহাদেশ বলাটা সার্থক হতে পারত। দ্বিজাতি তত্ত্ব দিয়ে ভাগ করে খুব বেশি লাভ হয়েছে এ কথা বলা যাবে না । তবে সে আমলের মানুষের চেয়ে এই আমলের মানুষ অনেক বেশি সংকীর্ণমনা। সে আমলে উদার মানুষের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১
ইসিয়াক বলেছেন: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
===========
ধাত্রী
====
শিয়ালদার ফুটপাথে বসে আছেন আমার ধাইমা
দুটো হাত সামনে পেতে রাখা
ঠোঁট নড়ে উঠছে মাঝে মাঝে
যে কেউ ভাববে দিনকানা এক হেঁজিপোঁজি বাহাত্তুরে রিফিউজি বুড়ি।
আঁতুড়ঘরে আমার মুমূর্ষু মায়ের কোল থেকে উনি
একদিন আমাকে বুকে তুলে নিয়েছিলেন
ঐর ডাটো শরীরের স্তন্য পান করেছিলুম প্র
তিদিন শুষে নিয়েছি রক্ত
ধাইমার কুঁড়োর গন্ধ মাখা বুকে শুয়ে আমি
চিল-কান্না কেঁদেছি
রোদ্দুরে পা ছড়িয়ে বসে আমাকে তেল মাখাতে মাখাতে
কত আদিখ্যেতা করতেন
মা-মাসিদের কাছে পরে অনেকবার শুনেছি সেই গল্প—
আমার ভেদ-বমির সময় অমাবস্যার মধ্যরাত্ৰে স্নান করে
তুলে এনেছিলেন গন্ধবাদালির পাতা
সত্যপীরের দায়গায় মানত করেছিলেন আমলকী।
প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে আমি সিকির বদলে
দশ নয়া খুঁজছিলাম
দিনকানা বুড়ি চাইছিল, দুটো পয়সা দে বাবা!
ধাইমা, তুমি প্রথম আমার চোখ ফাঁক করে দিয়েছিলে
গোলাপজল,
দেখিয়েছিলে পৃথিবী
ধাইমা, এ কোন পৃথিবী আমাকে দেখালে?
বুড়ি, সর্বনাশিনী, আমাকে কেন বাঁচিয়ে রেখেছিলি
এই অকল্পনীয় পৃথিবীতে
আমি আর কত কিছু হারাবো?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুনীলের কবিতা আমার দারুন লাগে।
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩
নার্গিস জামান বলেছেন: সুন্দর
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৫
কাজী সোহেল রানা বলেছেন: ভাল লিখেছেন। হাজার বছর ধরে কাঁটা তারের বেড়ার দুই পাশের মানুষের এ আক্ষেপ বোধহয় থেকেই যাবে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: যেদিন যায়, তা কি আর ফিরে আসে!
১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: আমি ও কত হাটতে হাটতে ভারতে গেছি ? লুঙ্গি পরে ্চঠি স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে । গোঁফ রেখে । এই সাজে মিশে যাওয়া সহজ । হা হা হা...
্একবার বি ডিআর এর ভয়ে কপোতাক্ষে ঝাঁপ দিয়ে শ্যাওলায় পা জড়িয়ে ডুবে যাচ্ছিলাম ।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
বনগাঁ হয়ে কলকাতা গেছি কতবার .....।১৯৯০-৯৫ সালের কথা ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভীষন অন্যায়।
নিয়মের মধ্যে থাকবেন।
১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: তখন এভাবেই সবাই যেত ।
মাঠে মাঠে ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় নিজের অজান্তে ও ভারতের ভিতরে চলে যেতাম।
বয়রায় রায় বাড়িতে একটা মেয়ে ছিলো অসম্ভব সুন্দর দেখতে। তাকে দেখতে যেতাম।
তখন দেবশ্রী রায়ের আমি কলকাতার রসগোল্লা খুবই জনপ্রিয় গান . ছবির নাম রক্তেলেখা ।ওর নাম জানতাম না ওর নাম দিয়েছিলাম কলকাতার রসগোল্লা ।ও মাঠে গরু চরাতে আসতো ..দিব্যাভারতীর ছবির গান গাইতো ।মিলনে কে তুম কোশিশ করনা ওয়াদা কাভি না করনা ....কিন্তু আমার কোশিশের কমতি ছিলো না ....।ওর শর্ট ড্রেস মাথা খারাপ করে দিতো........
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: হুম। ওকে।
১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যাক্ এতদিনে আপনি জনপ্রিয় ব্লগার হলেন। (পোস্ট দিলেই আলোচিত পেজে)
তা এটা কী কবিতা লিখেছেন? না গদ্য?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: এটা কবিতা।
১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: সাঁকোটা দুলছে
=========
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
============
মনে পড়ে সেই সুপুরি গাছের সারি
তার পাশে মৃদু জ্যোতস্না মাখানো গ্রাম
মাটির দেয়ালে গাঁথা আমাদের বাড়ি
ছোট ছোট সুখে স্নিগ্ধ মনস্কাম ।
পড়শি নদীটি ধনুকের মতো বাঁকা
উরু ডোবা জলে সারাদিন খুনশুটি
বাঁশের সাঁকোটি শিশু শিল্পীর আঁকা
হেলানো বটের ডালে দোল খায় ছুটি ।
এপারে ওপারে ঢিল ছুঁড়ে ডাকাডাকি
ওদিকের গ্রামে রোদ্দুর কিছু বেশি
ছায়া ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যায় ক'টি পাখি
ভরা নৌকায় গান গায় ভিনদেশি ।
আমার বন্ধু আজানের সুরে জাগে
আমার দু'চোখ তখনো স্বপ্নলতা
ভোরের কুসুম ওপারে ফুটেছে আগে
এপারে শিশির পতনের নীরবতা ।
আমার বন্ধু বহু ঝগড়ার সাথী
কথায় কথায় এই ভাব এই আড়ি
মা'র কাছে গিয়ে পাশাপাশি হাত পাতি
গাব গাছে উঠে সে-হাতেই কাড়াকাড়ি ।
আমার বন্ধু দুনিয়াদারির রাজা
মিথ্যে কথায় জগত্ সভায় সেরা
দোষ না করেও পিঠ পেতে নেয় সাজা
আমি দেখি তার সহাস্য মুখে ফেরা ।
আমাদের ছুটি মন বদলের খেলা
আমাদের ছুটি অরণ্যে খোঁজাখুঁজি
আমাদের ছুটি হাসি-কান্নার বেলা
আমাদের ছুটি ঈঙ্গিতে বোঝাবুঝি ।
বন্ধু হারালে দুনিয়াটা খাঁ খাঁ করে
ভেঙে যায় গ্রাম ,নদীও শুকনো ধু ধু
খেলার বয়েস পেরোলেও একা ঘরে
বারবার দেখি বন্ধুরই মুখ শুধু ।
সাঁকোটির কথা মনে আছে ,আনোয়ার ?
এত কিছু গেল ,সাঁকোটি এখনো আছে
এপার ওপার স্মৃতিময় একাকার
সাঁকোটা দুলছে ,এই আমি তোর কাছে ।।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।
১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার জন্য একটি ধাঁধা। বলুন তো, প্রাচীন মিশরের কোন রাজা শেষ পর্যন্ত একটি পাসপোর্ট পেয়েছিলেন?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আখেনআতেন? অথবা তার স্ত্রী নেফারতিতি??
১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক উত্তরটি হবেঃ
মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস । ঐতিহাসিক সেই পাসপোর্ট ছবি এখানে সংযুক্ত করা হলো।সঠিক উত্তরটি হবেঃ
মিশরের রাজা দ্বিতীয় রেমেসিস । ঐতিহাসিক সেই পাসপোর্ট ছবি এখানে সংযুক্ত করা হলো।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
সেজুতি_শিপু বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সুন্দর লিখেছেন । ভালো লাগলো