নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারন মানুষের চিন্তা ভাবনা আমাকে মুগ্ধ করে!

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৪



১। ইতালীতে যারা ঘরে ঘরে স্বেচ্ছা বন্দী হয়ে আছে, তাদের আনন্দফুর্তি করা টুইটার থেকে দেখলাম। বেলকনিতে বুড়োবুড়ি নাচছে , অন্য বেলকনিতে কেউ গিটার বাজিয়ে গান করছে।
রাতে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। এরা আনন্দ করতে জানে। আমিও তাই বলি, যতদিন বাঁচবো, আনন্দের সাথে বাঁচবো।

২। আত্মবিশ্বাস থাকলে হতাশার শক্তি আপনাকে বড় মানুষ বানাবে। কষ্টের জীবন একদিন মহান বানাবে। প্রচণ্ড ইচ্ছা শক্তিই আপনার শক্তি যোগাবে।

৩। ভুত, পেত, জ্বীন, পরীর ভয় আমার কোন কালেও ছিল না। মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা জ্বীন ভুতের ভয় বেশি পায়। ঢাকা শহরের ৭৫% ভাগ ছেলের হাতে অথবা কোমরে তাবিজ বাধা। বলে মায়েরা নাকি বেধে দিছে। যদিও আমার মনে হয় কথাটা আংশিক সত্য।

৪। এই যে পৃথিবীতে এত মানুষ এদের কাজটা কী? এরা কেন এত দিন অকারন বেঁচে থাকে?
পৃথিবীর এত মানুষের দরকারটা কী?

৫। ইতালি থেকে আসা প্রবাসীরা যে ব্যবহার করেছেন, সেটি ঠিক করেননি তারা। এভাবে দেশকে গালাগাল করাটা অশোভন। পুলিশ কর্মকর্তারা অত্যন্ত ধৈর্য্যর সাথে পরিস্থিতি যে মোকাবিলা করেছেন, এটি প্রশংসনীয়। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একটি স্পর্শকাতর দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সাথে এত কাছে গিয়ে এভাবে কথা বলা সঠিক কাজ হয়নি। পুলিশ কর্তাদের যথাযথ প্রটেকশনও ছিল না। ওখানকার কেউ আক্রান্ত থাকলে পুলিশ সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

# অথচ আমার আত্মীয় বা পরিচিত কেউ ইতালী ফেরত হলে নিশ্চয়ই তদবির করতাম ছেড়ে দেবার জন্য। এমনকি সুযোগ থাকলে গাড়ি নিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জে গিয়ে বসে থাকতাম রিসিভ করতে।
এদেশ ও মানুষকে আমি যতোটা চিনি ও বুঝি সেই প্রেক্ষিতে বললাম। ব্যতিক্রম বিবেচ্য নয়।

৬। পৃথিবীর সব স্লোগানই এক। এই এক স্লোগানে স্লোগানেই মানুষ বোঝাতে চায়—নিজ এবং নিজেদের রুহের কথা। যেমন স্বার্থ ছাড়া মানুষ ঈশ্বরকেও ডাকে না। আর পৃথিবীর রাজনীতিতে থাকা একই মানুষ—একেকজন জীবিত ঈশ্বর হতে চায়!

৭। সংক্রমনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ব্যাংকাররা। কারন এই দেশের মানুষ টাকা রাখে শরীরের চিপা চাপায় আর গোনে ছ্যাপ লাগায়া।

৮। নারীরা সারাজীবন মমতাময়ী সেজে ত্যাগের কাহিনী রচনা করে যাবে আর তাদের উত্তরসূরীরা সেইসব ত্যাগের উদাহরণ শুনে শুনে নিজেদেরকেও মহান ত্যাগীরূপে গড়ে তুলতে ব্রতী হবে এবং ঐরূপ ত্যাগে নিজেকে নিযুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানালেই সে "ফাকিং নারীবাদী" আখ্যায় আখ্যায়িত হবে-- এই তো আপনাদের পলিটিকস, তাই না?
কী ফাকিং সুবিধাবাদী পুরুষতান্ত্রিক দলের পলিটিশিয়ান আপনারা!

৯। লাশের রাজনীতির দেশে সরকার মনে হয় একটা স্বীকৃত লাশের অপেক্ষা করছে। ওইটা পেলে তারপর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করবে।

১০। “মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন; তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত, প্রকৃত অভিভাবক।”
——•সূরাঃ আশ-শূরা, ২৮

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন: ৪নং ভালো।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ৪ নং আসলে হতাশাগ্রস্তদের কথা।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

৫।
ইতালিফেরত ১৪২ জন কে ছেড়ে দিয়েছে।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা ........আপনি তো লিখেছেন। আপনি কি হতাশা গ্রস্ত?

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: জানি না।
তবে সম্ভবনা আছে।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমার কাছে 'গুড' মনে হচ্ছে না। ইতালী ফেরত মানুষ গুলোর আরো ধৈর্য্যশীল উচিত ছিল। পরিস্থিতি বুঝতে হবে। ওই কয়েকজনের জন্য পুরো দেশ সাফার করতে পারে না।
দেশে তারা পিকনিক করতে আসেনি।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে তাদের মন মানসিকতা বুঝতে চেষ্টা করেন।
এতদিন পর দেশে ফিরেছে। নিজের দেশে। সব মিলিয়ে তারা যেটা করেছে অনেক দুঃখে কষ্টেই করেছে। সেটা আমাদের ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখা দরকার।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৪

ইসিয়াক বলেছেন: কোক বার্গার খাবেন? আমি খাওয়াবো।
আজ পকেট মেলা গরম। ;)

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: জানি সেলারি পেয়েছেন।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৭

রাশিয়া বলেছেন: ১। সম্পূর্ন একমত। তবে বিপদ থেকে আল্লাহ্‌র সাহায্যও চাইতে হবে।

৪। এদের কাজ আপনার মুখে অন্ন যোগানো বা আপনাকে বিপদে ফেলা না। তাদের কাজ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, "ওয়ামা খলাক্কতুল জিন্না ওয়াল ইনসানা ইল্লা লিইয়াবুদুন"

৫। আমার কোন আত্মীয় ইতালি থেকে এলে আমি অবশ্যই চাইতাম না সে আমার বা আমার পরিবারের কারও সংস্পর্শে আসুক। তবে সরকারের কাছে নিশ্চয়তা চাইতাম, তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা যাতে ত্রুটিমুক্ত রাখে, যেন ইতালী ফিরে গিয়ে তারা গর্ব করে দেশের নাম নিতে পারে।

৬। নারীদের আসলে ত্যাগ করা ছাড়া কিছুই করার নেই। গৃহবধুরা ত্যাগ করে তাদের ক্যারিয়ার আর কর্মজীবিরা ত্যাগ করে তাদের সংসার। কেবল রাজনীতি করা নারীরা সব দিকেই ক্রেডিট নিতে পারে।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যকে আমি সম্মানের চোখেই দেখছি।

ভালো থাকুন।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এঅবস্থায় দেশে ফিরে এসে গালাগল করা ঠিক হয়নি
কারণ ইতালিতে বেশ করোনা ভাইরাস ছড়েছে
তাদের বুঝা উচিত -----------------

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: তারা যা করেছে আবেগ থেকেই করেছে। এর বেশি কিছু না।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিদিন ৩/৪ টা পোষ্ট দিলে ব্লগারদের কাছে পোষ্টের গ্রহনযোগ্যতা কমে যায়।
প্রথম পাতায় আজও আপনার দুইটি লেখা
দেখা যাচ্ছে !! আপনার কথায় লেখার গ্রহণ
পাঠকের কাছে যোগ্যতা কমে যাবার কথা তাইনা।

মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন; তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত, প্রকৃত অভিভাবক।”
——•সূরাঃ আশ-শূরা,

আয়াতটি দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করতে হবে। আপনার মন কিন্তু দোদুল্যমান!!

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রতিদিন দু'টা পোষ্ট দেই।
তবে খুব কম তিন টা পোষ্ট দেই।

বেশির ভাগ সময়ই দুটা পোষ্ট দেই।

সূরা পড়তে ভালো লাগে।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা ।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: এটা ভেবে যদি শান্তি পান তো ভালো কথা।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




৫। ইতালি থেকে আসা প্রবাসীরা যে ব্যবহার করেছেন, সেটি ঠিক করেননি তারা। এভাবে দেশকে গালাগাল করাটা অশোভন। পুলিশ কর্মকর্তারা অত্যন্ত ধৈর্য্যর সাথে পরিস্থিতি যে মোকাবিলা করেছেন, এটি প্রশংসনীয়। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একটি স্পর্শকাতর দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সাথে এত কাছে গিয়ে এভাবে কথা বলা সঠিক কাজ হয়নি। পুলিশ কর্তাদের যথাযথ প্রটেকশনও ছিল না। ওখানকার কেউ আক্রান্ত থাকলে পুলিশ সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

ইটালি ফেরতদের দুপুরের রোদ্রে ইট বিছিয়ে শুতে দেওয়া হোক। শুনেছি গরমে করোনা টিকে না। তাই ইটালিদের ও রোদ্রের তাপে ইট ব্যবস্থা দেওয়া হোক। বেশী হৈ চৈ করলে ইটের সাথে পাটকেলটি ও দেয়া হোক।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: না এতটা কঠোর হবার দরকার নেই।
তারা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। কি বলেছে না বলেছে তারা তা জানে না। রাগের সময় মানুষ অনেক কথাই বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.