নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
সালাউদ্দিন আর মরিয়মের গভীর প্রেম।
টানা তিন বছর তারা প্রেম করলো। তারপর তারা বিয়ে করলো। বিয়ের সময় সাধারনত যে সমস্যা গুলো হয় তার সবই হলো সালাউদ্দিন আর মরিয়মের বিয়ের সময়। মেয়ের বাপ রাজী না। কিছুতেই সে এই ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হতে দিবে না। নানান ঝামেলা করে তাকে রাজী করানো হলো। তখন দেখা যায় ছেলের বাপ রাজী না। এটা, সেটা নানান সমস্যা। যাই হোক দুপক্ষের মধ্যে নানান আ্কথা কুকথা হয়। তবুও শেষমেশ বিয়েটা হয়। সালাউদ্দিন মরিয়ম দুজনেই শিক্ষিত মানুষ। আধুনিক মানুষ। বিয়ের পর তারা সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকলো। সালাউদ্দিন চাকরি করে। মরিয়ম ঘরসংসার সামলায়। প্রতিটা মেয়েই চায় তার নিজের সুন্দর একটা সংসার হবে। মরিয়ম তার সংসার পেয়ে গেছে। সে অনেক খুশি।
মানূষ কেন বিয়ে করে?
মানে বিয়ের মানে কি? সেক্স করার জন্য? ঘর সংসার করার জন্য? বাচ্চা নেওয়ার জন্য? বিয়ের পরই আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব পরিচিত অপরিচিত সবার এক কথা। বাচ্চা কবে নিবে? বাচ্চা নিচ্ছো না কেন? এই সমাজ বড় ভয়ংকর। বাচ্চা না নেওয়া পর্যন্ত দম্পতিকে শান্তি দিবে না। এদিকে সালাউদ্দিন আর মরিয়মের বিয়ের দুই বছর পার হয়ে গেছে। সবার এক কথাই বাচ্চা নাও না কেন? আর কত দেরী করবে? দেরী করলে শেষে সমস্যা হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি নানান কথা। সালাউদ্দিন আর মরিয়মের চেয়ে বেশি মাথা ব্যথা যেন আত্মীয় স্বজনদের, পাড়া প্রতিবেশিদের। সালাউদ্দিন ভাবে বিয়ে করলেই বাচ্চা নিতে হবে এই পুরোনো ধ্যান ধারনা বাদ দিতে হবে। অবশ্য মরিয়ম এরকমটা ভাবে না। তার একটা বাচ্চার ভীষন শখ। কমপক্ষে তার একটা বাচ্চা লাগবেই। বাচ্চা ছাড়া ঘরসংসার এবং সংসার জীবন অসম্পূর্ন লাগে।
একদিন সকালে সালাউদ্দিন অফিসে গেল।
অফিসে যাওয়ার পরই মরিয়ম সালাউদ্দিনকে ফোন করে জানায় তার বাচ্চা হবে। সালাউদ্দিন খুশিও না, আবার অখুশিও না। মরিয়ম তো খুব খুশি। অন্যরকম একটা অনুভূতি। অন্য রকম একটা আনন্দ। নিজদের একটা বাচ্চা। সেদিন সালাউদ্দিন অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরল। তারা সন্ধ্যায় বাইরে গেল। রাতে রেস্টুরেন্টে খেল। ফেরার পথে সালাউদ্দিন মরিয়মকে একটা শাড়ি কিনে দিলো। তারা দুইজন বেশ খুশি। কিন্তু এই খুশি তাদের তিনমাস থাকলো। তিনমাস পর মরিয়মের মিসক্যারেজ হয়ে যায়। সীমাহীন কষ্ট পায় মরিয়ম। সালাউদ্দিন তত কষ্ট পায় না। এরপর পরপর তিনবার মরিয়মের মিসক্যারেজ হয়। মরিয়মের কষ্টের শেষ নেই। সে খুব কাদে। ডাক্তার দেখানো হয়েছে বেশ কয়েকবার। ফলাফল শূন্য।
দিনদিন মরিয়ম বাচ্চার জন্য অস্থির হয়ে উঠলো।
নিরবে সে খুব কাদে। সালাউদ্দিন তাকে অনেক বুঝায়। মরিয়ম সালাউদ্দিনের বুঝ মানে না। বরং মরিয়ম বলে, তোমার সমস্যা আছে। তুমি ডাক্তার দেখাও। তোমার স্পার্ম দুর্বল। সালাউদ্দিন বলে, স্পার্ম সমস্যা হলে তুমি তো প্রেগনেটই হতে না। তাহলে তিনবার তুমি প্রেগনেন্ট হলে কি করে? আমার অন্যসব ভাইদের বাচ্চা আছে। সমস্যা থাকলে আমার অন্য ভাইদের বাচাকাচ্চা হতো না। এরকম কথা কাটাকাটি তাদের মধ্যে প্রায়ই হতে লাগলো। মরিয়ম রান্না করছে, খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে, সালাউদ্দিন অফিস করছে, বাজার করছে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। অথচ তাদের মনে শান্তি নেই। ভীষন একটা চাপা কষ্ট। একটা শিশু কি তাদের হবে না? একদম নিজের। নিজের সন্তান।
একদিন মরিয়ম কঠিক এক সিদ্ধান্ত নেয়।
সালাউদ্দিনের এক বন্ধুর সাথে মরিয়ম ইচ্ছা করে খুব ভাব করে। সালাউদিন অফিসে ছিলো। তখন মরিয়ম সালাউদ্দিনের বন্ধুকে বাসায় ডেকে আনে। তারা একসাথে অনেকক্ষন সময় কাটায়। এ বিষয়ে সালাউদ্দিন কিছুই জানে না। বেশ কিছুদন পর মরিয়ম প্রেগনেন্ট হয়। এবং এবার কোনো সমস্যা হয় না। ঠিকই তাদের সংসারে একটা শিশু আসে। ছেলে বাচ্চা। মরিয়ম খুব খুশি। সালাউদ্দিন ভাবে এটা তার বাচ্চা। মরিয়ম শুধু শুধু তাকে এতদিন ভুল বুঝেছে। প্রভু তাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। এদিকে সালাউদ্দিনের সেই বন্ধু বিদেশ চলে যায়। তার সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। বাচ্চা নিয়ে সালাউদ্দিন আর মরিয়ম বেশ ভালো আছে। তারা সুখে শান্তিতে ঘরসংসার করছে। মানুষের সুখে থাকা দরকার আছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে--
আছে আছে। কিছুটা গড়মিল আছেই।
তবে গড়মিলটা কেউ ধরতে পারবে না।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা যাক কাকের বাসায় কোকিলের বাচ্চা বড় হচ্ছে!! তবে নৈতিকতা বাদ দিয়ে হলেও কি বাচ্চা দরকার! খুব দরকার হলে পালক নিয়েও বাবা মা হওয়া যায়, সেখানে একটি অপরাধবোদ নিয়ে বাচতে হবে না। যাইহোক গল্পতো গল্পই।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা এখানেই সবার চিন্তা ভাবনা এক রকম না।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুমমমমমমমমমমমমমমমমম। এভাবে সংসার হতে পারে তৃপ্তি পাওয়ার সম্ভবনা কম
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: না। কোথাও কোনো সমস্যা নাই। তারা বেশ ভালো আছে।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: গল্পে যেটা ইঙ্গিত করেছেন সেই ইঙ্গিত যদি ধরে নেয়া যায় সত্যি গল্পে লজিক ঠিক নেই অন্তত। আর লজিক যদি ঠিক হয় তাহলে এটা কাকের বাচ্চাই হবে কোকিলের নয়।
হুম সবার চিন্তা এক নয়।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু এই টুকুই আপনাকে বলি- গল্পটা বাস্তব।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষ মূলত বিয়েকরে তার সম্পদের নিরাপত্তার জন্য।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: যার সম্পদ নেই?
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০২
আমি রানা বলেছেন: মানুষ বিয়ে করে কেন? আপনার গল্পে যা বুঝলাম, দুজনেই বাপ হলো একজন বিয়ে করে অন্যজন বিয়ে ছাড়া।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ হিসাব। সহজ ভাবে দেখুন।
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনবদ্য , ভালো লাগলো।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আজকে যার সম্পদ নেই,কালকে হবে।সম্পদ ছাড়া কেউ মরতে চায়না।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: হাস্যকর কথা।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:০১
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো থাকুন জনাব।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই খারাপ।
এরকম না হলেই ভালো।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম খুব হচ্ছে।
১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মানুষ বিয়ে করে লোভে, সেটা কিসের লোভ আমি বলতে পারবো না! বিবাহ মুলত মৃত্যু গন্তবে পৌঁছে দেয়ার একটা সহায়ক বিষয়!
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: মনে হয় আপনি ঠিকই বলেছেন।
১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০১
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: শেষে আইসা এইটা কী হইল
মাথার উপ্রে দিয়া গেল মনে লয়
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: জীবনের গল্প গুলো এই রকম ভাই। এই রকমই হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্লটটাতে কোথায় যেন কিছু গরমিল আছে