নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আসসালামু আলাইকুম।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালোই আছেন। আমি আছি কোনো রকম। বেঁচে আছি। বেঁচে আছি এটাই বড় কথা। ছোটবেলা থেকেই মা শুধু বলতো বেঁচে থাক। বেঁচে থাক বাবা। সেই থেকে আমারে শুধু বেঁচে থাকার চেষ্টা। সুনীলের একটা কবিতা পড়েছিলাম- আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ, এই কি মানুষজন্ম? কবিতার নাম- 'আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি'। এই কবিতায় আরেকটা লাইন আছে, আমার ভিষন প্রিয়- আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি– তার ভেতরের কুকুরটা দেখব বলে। একসময় আমার সুনীলের বহু কবিতা মুখস্ত ছিলো। বিশেষ করে 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতাটি চমৎকার আবৃত্তি করতাম। আমার আবৃত্তিতে আমি নিজেই খুব মুগ্ধ হতাম।
আচ্ছা, আমাদের দেশের লেখক গুলো কেমন?
সুনীল, শীর্ষেন্দু বা সমরেশ মজুমদারের সাথে তুলনা করতে পারি এমন লেখক কেউ কি আছেন আমাদের? আমি তো খুজে কাউকে পাই না। কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ বা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতোন কবিও খুজে পাই না। বাংলাদেশে তো কবির অভাব নাই। অথচ কোনো কবি কি আজ পর্যন্ত পেরেছে জীবন বাবুর মতোন একটা কবিতা লিখতে? অথবা বাংলাদেশের কোনো লেখক কি পেরেছে শীর্ষেন্দুর মতোন করে 'পার্থিব' এর মতো কোনো উপন্যাস লিখতে? অথবা সমরেশ মজুমদারের মতো 'গর্ভধারিনী' বা 'সাতকাহন' এর মতো একটা উপন্যাস লিখতে? কেউ কি পেরেছে সুনীলের 'পূর্ব পশ্চিম' এর মতো উপন্যাস লিখতে? অবশ্য সব লেখকই আলাদা। একজনের সাথে আরেকজনের মিল খুজতে যাওয়া বোকামি।
এই সমাজের মানুষ জাতে উঠতে চায়।
জাতে উঠার জন্য জানজীবন তছনছ করে ফেলছে। সবার টার্গেট থাকে জাতে উঠার। যত সময় লাগে লাগুক। একবার উঠে যেতে পারলে, যা বলবেন তাই ভাষণ, যা করবেন তাই কর্ম, যা লিখবেন তাই সাহিত্য, যা দেখাবেন তাই শিল্প। জাতে উঠলে লোকজন আপনার সাথে সেলফি তোলার জন্য লাইন দিবে। এই সমাজের মানুষের কর্মকান্ড দেখলে আমার রাগ লাগে। আবার হাসিও পয়ায়। আজ দেখলাম- ফুটপাতে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে খুব। এক লোককে দেখলাম ৫/৬ টা মাস্ক ট্রায়াল দিয়ে একটা চয়েজ করছে...তারপর ওইটা দামে মিলে নাই দেখে রেখে চলে গেছে! চারপাশ দেখে শুনে যা বুঝলাম- আমাদের দেশে একদল লোক খুব সচেতন। আরেকদল লোক একেবারেই সচেতন না। আরেক দল আছে প্রচন্ড ভীতু। তারা সারাক্ষন হায় হায় করে বেড়ায়।
করোনার কারনে চারপাশে ব্যাপক পরিবর্তন দেখছি।
আমার বাসার সামনে চায়ের দোকান আর লন্ড্রী দোকান হয়ে গেছে ফলের দোকান। তারা আম, লিচু, কলা বিক্রি করছে। যারা বেনসন সিগারেট খেতো এখন তারা ডার্বি সিগারেট খাচ্ছে। এক পিস বেনসের দাম ১৪ টাকা। আর এক পিস ডার্বির দাম পাঁচ টাকা। রিকশাওয়ালারা পুরো পাগল হয়ে গেছে। ৫০ টাকার ভাড়া চাচ্ছে দুই শ' টাকা। মাছ বিক্রেতারা, সবজি বিক্রেতা, ডাব বা শাক বিক্রেতাসহ অনলাইন ব্যবসায়ীরা সবাই পাগল হয়ে গেছে। তারা পারলে মানুষের গলা টিপে ধরে জিনিস না দিয়ে টাকা নিয়ে নেয় এমন অবস্থা। নেশা জাতীয় জিনিস গাজা, ফেনসিডিল আর ইয়াবা আগের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এখন ফোন দিলে তারা বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসে। একবার মীর্জা গালিব মসজিদে বসে মদ খাচ্চছিলেন। তখন মুসুল্লিরা হায় হায় করে বলছিলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে মদ্যপান করা যায় না। গালিব আরেক চুমুক দিয়ে বলল, 'শরাব পিনে দে/ মসজিদ মে বেঠকার,/ ইয়ার ও জাগা বাতাও/ যাঁহা খুদা নেহি হ্যায়।' মুসুল্লিরা অবাক, খোদা নাই এমন জায়গা কোথায় আছে? ঠিক তেমনি কেউ আমাকে বলেন দুষ্টলোক নেই এমন জায়গা কোথায় আছে?
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০১
আমি সাজিদ বলেছেন: গালিব সাহেবের কথা বিশাল, সমুদ্রের মতো গভীর।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে---
৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তবে এক দিন আমরাও সভ্য হবো।
আমাদের হবে ভালো ভালো লেখক । উদারমনা সব মানুষ।
কোন ধরনের ধর্মীয় গোড়ামী থাকবে না। অন্যায়, অনাচার থাকবে না।
আমরা খুব সুন্দর জাতি হবো।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: তা মনে হয় আপনি আমি দেখে যেতে পারবো না।
৪| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কবিতার জাদুকর সেলিম আনোয়ার ভাই এই মাত্র আপনাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন - দূরন্ত পথিক!!!!
১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---- !!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই দেশে সবাই সুযোগ পেলে পাগল হয়ে যায়। কারণ পাগল হলে দেখা গেছে মজা আর মজা। আর বাংলাদেশের মানুষ মজা ছেড়ে দেওয়ার মানুষ না। মজা করতে করতে এই দেশের মানুষের শালার ডায়াবেটিস হয়ে যাবে তারপরও মজা ছাড়বে না।
আপনার (ব্লগার রাজীব নুরের) দ্রুত মুক্তি কামনা করছি।
আপনার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছি, পোস্ট সময় করে পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।