নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

Life Is Beautiful মুভি রিভিউ

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮



পৃথিবীতে তিনটি বিষয় মানুষকে আজীবন মনে রাখতে সাহায্য করে।
প্রথমটা- মানুষের সৃতিচারণ মুহূর্ত গুলো,
দ্বিতীয় তার কষ্ট ও সুখ মুহূর্ত,
সর্বশেষ প্রিয় মানুষদের মৃত্যু। হাসি, কষ্ট মানুষের জীবনে আসবেই এবং সেটা একসময় শেষ হয়ে যাবে আজীবন মত মৃত্যু দিয়ে।
বাবার ভালোবাসা, ছেলের প্রতি কতটা গভীর হতে পারে এই মুভিতে তা খুব খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ তার প্রিয় মানুষটার মুখে একটু হাসির জন্যে সব ধরণের কষ্ট মেনে নিতে পারে। একজন বাবা কিভাবে ভয়ানক বন্দীদশাকে তার শিশুর জন্য খেলায় পরিণত করে ফেলতে পারে তারই নিখুত চিত্রায়ণ এই ছবিটি। একজন হৃদয়বান প্রেমিকের অসাধারণ প্রেমকাহিনি, একজন মহান বাবার পুত্র স্নেহের তীব্র আবেদনে নির্মল আনন্দ বেদনার অসাধারণ একটি মুভি।



লাইফ ইজ বিউটিফুল অসাধারন একটা মুভি।
এই মুভি একবার দেখলে মন ভরে না। বারবার দেখলেও একটুও বিরক্ত লাগে না। রবীন্দ্রনাথের 'শেষের কবিতা' আর শরৎ চন্দ্রের 'দত্তা' বইটা আমার ভিষন প্রিয়। প্রতি বছর একবার করে পড়ি। ঠিক তেমনি কিছু কিছু মুভি বারবার দেখি। লাইফ ইজ বিউটিফুল সেই রকমের একটা মুভি। মুভি পাগল লোকেরা সবাই অবশ্যই এই মুভি দেখেছেন। 'লা ভিটা ই বেলা' ইংরেজিতে অনুবাদে দাঁড়ায় লাইফ ইজ বিউটিফুল। সরল বাংলায় ‘জীবন সুন্দর’। জীবন মোটেও রূপকথা নয়। সিনেমার প্রথমার্ধে আপনি যেমন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবেন তেমনি সিনেমার দ্বিতীয়ার্ধে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন।

মুভি শুরু হয় এইভাবে- ১৯৩৯, ইতালির কোন এক রাস্তায় দুই আরোহী বন্ধুকে নিয়ে ছুটে চলছে একটি জীপ। গাড়ির চালক বন্ধুটি একজন কবি, আপন মনে আউড়ে যাচ্ছেন কবিতা। কবিতার শেষ লাইনে গাড়ি ব্রেক ফেল হবার কথা বলতেই কাকতালীয়ভাবে সত্যিই ওদের গাড়িও ব্রেক ফেল করে! কখনো কখনো কাকতালের ফাঁকতালে জীবনের গল্পের নতুন অধ্যায় তৈরি হয়।



১৯৪৫, ওয়েটার থাকাকালীনই বইয়ের দোকান দেবার যে ইচ্ছে জাগে গুইদোর (মুভির নায়ক) তা আলোর মুখ দেখে। স্বামী-স্ত্রী দুইয়ের রোজকারে ভালোই কাটছিল দিনকাল, দেখতে দেখতে এসে যায় একমাত্র সন্তানের পঞ্চম জন্মদিন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সেদিনই নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তারা। গুইদো, জসুয়া, গুইদোর চাচা সবাই। নিজের মাকে আনতে বাইরে যাওয়া ডোরা (মুভির নায়িকা) ফিরে যখন ঘরের ছন্নছাড়া দশা দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না কিছুই। সেও স্বেচ্ছায় বন্দী হয়ে স্বামী সন্তানের সঙ্গে পাড়ি দেয় অজানা গন্তব্যের পানে!

ইতালির ছোট্ট এক শহরে বাস করত হাসিখুশি আর আমুদে এক যুবক গুইডো। জাতে ইহুদি। সেই যুগে গোটা ইউরোপেই বৈষম্য, নির্যাতন আর অত্যাচারের শিকার ছিল ইহুদিরা। যুদ্ধ-ধ্বংস আর নির্মম মৃত্যুর আঁচ লাগে মুসোলিনির ইতালিতেও। হিটলারের নাজিদের নেতৃত্বে ইতালিতে খোলা হতে থাকে ইহুদিদের অমানবিক নির্যাতনের জন্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। ক্যাম্পের কঠোর আর নির্মম বন্দিজীবনে শিশুপুত্রকে বাস্তবতা থেকে আড়াল করে সব ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে সে। গ্রেফতারের পরেই বুড়ো লোকদের নির্মম ভাবে মেরে ফেলা হয়।



এই মুভি দেখে যার মন খারাপ হবে না সে নিষ্ঠুরতম পাষাণ। হার্ট টাচিং মুভি। হৃদয়ে একটা মোচর দিবেই। নায়কের অসাধারণ অভিনয় চোখে লেগে থাকবে দীর্ঘদিন। শেষ যখন গুইডুকে হত্যা করতে নিয়ে যায় তখনও সে তার সন্তানের সাথে খেলা জারি রেখেছে। যেন বাচ্চাটি এই বন্দী জীবনকে সহজভাবে নিতে পারে। এই দৃশ্য দেখে আমার চোখ ভিজে উঠেছিলো।
যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে আপনার দেখা বাবা-ছেলের গল্প নিয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ সেরা মুভির নাম বলুন তাহলে আমি প্রথমেই এই মুভির নাম বলবো।
আমি বই বা মুভি রিভিউ লেখার মানুষ না। এসব আমি পারি না। এত প্রতিভা আমার নেই। আমার লেখার দোষে রিভিউ জঘন্য হয়ে উঠে। এলোমেলো এবং অগোছালো লেখা মানেই যেন আমার লেখা। লেখালেখি করা আমার উচিত না। তবু আমি লিখছি। ব্লগাররা কিভাবে সহ্য করছেন কে জানে! তবে বাবা দিবসে এই মুভি না দেখা অন্যায়।

এক নজরে

# মুভিঃ লাইফ ইজ বিউটিফুল
# প্রথম প্রকাশঃ ১৯৯৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী
# ধরন: কমেডি-ড্রামা/যুদ্ধ
# ভাষা: ইতালিয়ান/ইংরেজি
# ব্যাপ্তি: ১১৬ মিনিট
# আইএমডিবি রেটিংঃ ৮.৬/১০
# ২০ মিলিয়ন বাজেটের মুভিটি আয় করে ২২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
# পরিচালক রবার্তো বেনিনী ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় পরিচালক যিনি নিজের সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার পান
# সিনেমায় রোবার্টো বিনিনীর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করা ‘ডোরা” তার বাস্তব জীবনেরও স্ত্রী।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মুভিটি আমার দেখা ।হিরো অসাধারণ অভিনয় এখনো মনে আছে । না দেখলে বিশাল মিস।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি জানি আপনি দেখেছেন।

২| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুভি রিভিউটি হতে অনেক বিষয় জানা হল ।
শুভেচ্ছা রইল

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা আপনি দেখেন নি?

৩| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আহ,। অসাধারণ।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০

জেন রসি বলেছেন: প্রিয় মুভি।

২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.