নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমার মেয়ে জিজ্ঞেস করলো- বাবা কচ্ছপ ইংরেজী কি?
মেয়েকে সাথে সাথে উত্তর দিতে পারলাম না। ডিকশনারি দেখতে হলো আমাকে। অথচ একসময় আমি জানতাম কচ্ছপ ইংরেজি tortoise। টরটস। আর সমুদ্রের কচ্ছপকে turtle বলে। টারটল। মেয়ে যদি আবার কচ্ছপ নিয়ে কিছু জানতে চায়- এই ভয়ে আমি কচ্ছপ নিয়ে কিছু পড়াশোনা করলাম। অনেক কিছু জানলাম কচ্ছপ নিয়ে। কি কি জানলাম তা আজ আপনাদে জানাবো। দুনিয়ায়তে কত কিছু যে আছে জানার! অথচ আমরা জানছি না। দেখছি না। আসলে জানার জন্য, দেখার জন্য জীবন অনেক ছোট। এদিকে কচ্ছপ দীর্ঘদিন বাঁচে। তবে তাদের গড় আয়ু ৫০/৬০ বছর।
কচ্ছপ একধরনের সরীসৃপ যারা জল এবং ডাঙা দুই জায়গাতেই বাস করে।
কচ্ছপ পৃথিবীতে এখনও বর্তমান এমন প্রাচীন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে কচ্ছপের প্রায় ৩০০ প্রজাতি পৃথিবীতে রয়েছে। বহু কচ্ছপ এর জাত আজ আর পৃথিবীতে নেই। কচ্ছপ সাধারণত দলবদ্ধ প্রাণী নয় এবং একাকি জীবন যাপন করে থাকে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রজাতি বিশেষে ৬০ থেকে ১২০ দিন সময় লাগে। ডিম দেয়ার পূর্বে স্ত্রী কচ্ছপ পিছনের পা দিয়ে নরম মাটি বা বালিতে গর্ত করে প্রতিটি গর্তে একটি করে ডিম ছাড়ে। ডিম ছাড়ার শেষ হলে সংরক্ষণের জন্য স্ত্রী কচ্ছপ মাটি দিয়ে ডিম ঢেকে রাখে। বাংলাদেশে প্রায় ২৫ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে। তবে এদের মধ্যে ১১টি প্রজাতি মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় যার ৪ টি বিদেশে রপ্তানী করা যায়। কচ্ছপকে কোনো প্রানী কামড়ে খেতে পারে না। কার তার পিঠ অনেক শক্ত।
বিভিন্ন দেশে কচ্ছপ সৌভাগ্য প্রদানকারী প্রাণী হিসেবে পরিচিত।
ভগবান বিষ্ণু শরীরের উপরের অংশ মানুষের এবং নিচের অংশ কচ্ছপের রূপ ধারণ করতেন। সেই কারণে হিন্দুরা মনে করেন ঘরে কচ্ছপ রাখলে তা সৌভাগ্য নিয়ে আসে। হংকং আর চীনে সবুজ কচ্ছপের স্যুপ বানানো হয়। এই কচ্ছপ পাওয়া যায় ট্রপিক্যাল সমুদ্রে। কচ্ছপ গোটা শীতকাল নিজেকে পানির মধ্যে অথবা মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে। মূলত তিন প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ অলিভ রিডলে, গ্রিন টার্টল আর হকসবিল বাংলাদেশের উপকূলে ডিম ছাড়তে আসে। সামুদ্রিক প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কচ্ছপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলজ প্রাণি বিবেচনা করা হয়। কচ্ছপ ক্ষতিকর জেলি ফিশ খেয়ে ফেলে, যা মাছের বংশ বিস্তারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। কিন্তু এই নিরীহ প্রানীকে জেলে এবং নদী বা সমুদ্র পাড়ের মানুষেরা পিটিয়ে মেরে ফেলে। নিজের চোখের সামনে কচ্ছপের মৃত্যু দেখে তারা পিচাশের মতোন আনন্দ পায়।
কচ্ছপ বাংলাদেশের জাতীয় অর্থকরী সম্পদ।
মানুষের খাদ্য হিসাবে কচ্ছপের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। দক্ষিণ ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়েই কচ্ছপ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চোরাচালান হয়ে থাকে। বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানের লোকজন সবচেয়ে বেশি কচ্ছপ চোরাচালান করে থাকে। বাঘ, সিংহ, কুমির, সাপ ইত্যাদি কোনো প্রাণীর শিকারের তালিকায় কচ্ছপ নেই বললেই চলে! একে তো কচ্ছপ আকারে কিম্ভূতকিমাকার, তার ওপর পিঠের ওপর ওই বর্ম—এদের দেখলে ভীষণ ক্ষুধার্ত শিকারি প্রাণীও অরুচিতে ভোগে! কচ্ছপের বেশি দিন বেঁচে থাকার প্রধান কারণ হল এদের দেহে বিপাকীয় হার অত্যন্ত কম। কচ্ছপ কম খায় আর যেটুকু খায় তা দিয়ে খুব কম শক্তি উৎপন্ন হয়। এরা যে খাবারটা খায় সেটাও পুরোটা হজম হয় না তাই কম শক্তি উৎপন্ন হয়।
কচ্ছপের দৃষ্টিশক্তি, স্পর্শ শক্তি, স্বাদশক্তি প্রবল।
কিন্তু শ্রবণশক্তি খানিকটা দুর্বল। কচ্ছপরা বিশ কোটি বছর আগেও পৃথিবীতে ছিল। সাগরে জাল পুঁতে, বেহন্দি জাল বসিয়ে, বড়শি দিয়ে কচ্ছপ ধরে একটি চক্র। পাচার হয় কচ্ছপের খোলস ও ডিম। আমাদের দেশে নদী, সমুদ্র আর খালবিল থেকে শিকার করা কচ্ছপের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। পাইকারেরা এগুলো কিনে ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে। ২৩শে মে ‘বিশ্ব কাছিম দিবস’ হিসাবে পরিচিত। ২০০০ সালে ‘অ্যামেরিকান কচ্ছপ উদ্ধার’ নামক প্রতিষ্ঠান এই দিবসের সূচনা করেন। তখন থেকেই সারা পৃথিবীজুড়ে এই দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে কচ্ছপ নিয়ে সরকারের কোনো কর্মকান্ড বা আলোচনা থাকে না। সরকার তাদের নিয়ে কোনো বানীও দেন না।
ইসলাম ধর্ম মতে, কচ্ছপ খাওয়া হালাল।
তবে আমাদের দেশের মানুষ যেভাবে কাঁকড়া খায়, সেই তুলনাত কচ্ছপ খায় না। এখন বাংলাদেশে কাছিমের (কচ্ছপ) প্রায় সব প্রজাতিই বিপন্নের তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে মিঠে পানির কাছিম এবং কচ্ছপের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে চীন এবং হংকং। প্লাস্টিক ব্যাগের কারণে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ সামুদ্রিক প্রানী মারা যায়। আর এই সামুদ্রিক প্রানীর মধ্যে রয়েছে কচ্ছপও। কচ্ছপের দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। কচ্ছপ থেকে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আসলে সরকার আন্তরিক হলে অনেক বড় বড় কাজ করা সম্ভব। সরকারের লোকজনের মাথায় ঘিলু কম। তারা দেশের চিন্তার চেয়ে বেশি করে নিজের চিন্তা। এই শ্রেনীর মানুষের রাজনীতিতে আসা একেবারেই ঠিক না।
(ছোট ছোট ঘটনায় মন খারাপ হয়ে যায়? সেই সঙ্গে হাজার চেষ্টা করেও মানসিক শান্তি মেলে না? তাহলে আজই বাড়িতে একটা কাঠের কচ্ছপ এনে রাখুন। এমনটা করলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এত বাড়বে যে মনের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া খারাপ চিন্তা দূরে পালাবে। ফলে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসতে সময় লাগবে না।)
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা-----
কত রকমের ব্লগার যে আছে!!!
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
ইসিয়াক বলেছেন:
বাহ! অনেক কিছু জানলাম। কচ্ছপের খোলস মানে শক্ত আবরণ দিয়ে কি তৈরি হয় বা কি কাজে লাগে? যদি একটু জানাতেন।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ওই আবরন কোনো কাজে লাগে না।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৭
দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: ছোট বেলায় অনেক কচ্ছপ খেতাম। প্রায় সময়ই ক্ষেতে-পুকুরে কচ্ছপ পাওয়া গেলে আমাদের বাসায় দিয়ে যেতো। তবে এখন খুব খারাপ লাগছে কারণ নিজের অজান্তেই কচ্ছপ বিলুপ্তিতে অংশ গ্রহন করলাম। এখন তো প্রামে গঞ্জে বন্য কচ্ছপ প্রায় দেখাই যায় না বোধয়।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: কচ্ছপ বিলুপ্তির পথে।
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোটকালে কিছু লোক এসে পুকুর হতে কচ্ছপ ধরে নিয়ে যেত এখন আসে কিন জানি না।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু পুকুর না। নদী, খাল বিল থেকে শুরু করে সমুদ্রেও কচ্ছপ থাকে।
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
এই সুন্দর পোস্টে আমি খানিকটা যোগ করি -----
আপনার Turtle এবং Tortoise সরীসৃপ জাতীয় প্রানী হলেও কিন্তু এক নয়। সব Turtle কিন্তু Tortoise নয়। পার্থক্য হচ্ছে - Turtle রা পানিতে বাস করে আর ডাঙায় বাস করে Tortoise। Turtle দের খোল অপেক্ষাকৃত পাতলা এবং "ওয়াটার ডাইনামিক"। তাদের খোল অনেক বেশি সমান (ডোমের মতো নয়) যাতে পানিতে সাতার কাটা সহজ হয়। অন্যদিকে Tortoise এর খোল বেশি পুরু ও শক্ত এবং ডোম আকৃতির। এদের শরীর Turtle দের তুলনায় বেশ ভারী আর বড় । এদের সামনের পা জোড়া মুগুর বা গদার মতো আর পেছনের পা জোড়া হাতির মতো দশাসই ও ভারি যাতে ভারী শরীর নিয়ে ডাঙায় চলাচলে তাদের সুবিধা হয়। অন্যদিকে Turtle দের পা "ফ্লিপার" আকৃতির যাতে সাঁতার কাটা যায় সহজে।
অথচ Turtle রা কিন্তু Tortoiseদের থেকে দ্রুতগতি সম্পন্ন এমনকি ডাঙাতেও।
আর প্রজাতিভেদে এরা কিন্তু ৮০ থেকে ২৫৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।
পোষ্টটা আরো ভালো হলো আপনার মন্তব্যে।
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কচ্ছপ অনেক দিন বাঁচে
মাঝে মাঝে মনে হয় কচ্ছপের মত যদি আমি আয়ূ পেতাম।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: কি দরকার বেশি দিন বেঁচে? যত দিন বাচবেন পাপ তত বাড়বে। মৃত্যুর পর শাস্তি বেশি হবে।
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মেয়ের জিজ্ঞাসার ভয়ে কচ্ছপ সম্বন্ধে ভালভাবে জানার জন্য পড়াশুনা করে তা জেনে নিয়েছেন, এ বিষয়টা জেনে খুব ভাল লাগলো। ভালো লেগেছে আপনার নাতিদীর্ঘ আলোচনাটুকুও।
Turtle এবং Tortoise এর মধ্যকার পার্থক্যটুকু বুঝিয়ে বলার জন্য আহমেদ জী এস কে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পোস্টে ভাল লাগা + +।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিনজা টারটেলতো শিশুদের খুব পছদের কার্টুন ছিল।
কচ্ছপ নাকি চোখের দৃষ্টি শক্তির মাধ্যমে ডিমে তা দেয় ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ঠিক জানি না।
৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৯
এপোলো বলেছেন: কচ্চপ নিয়ে এত ভাল একটা লেখা লিখলেন, খুব ভাল লাগল, রাজীব ভাই। আমার বাসায় একটা পোষা কচ্চপ আছে, নাম রেখেছি চপচপ। জাতে পন্ড স্লাইডার (Pond Slider), রকমে রেড ইয়ারড (Red Eared Slider)। সারাদিন পানিতে থাকে। চপচপকে বাসায় রাখতে বউকে রাজি করানোর জন্য অনেক কাঠখর পোড়াতে হইছে। ধর্মীয় দিক বিবেচনায় ইতস্থত বোধ করতেছিল সে। আপনার লেখায় দেখলাম, আমাদের ধর্মে এই সম্পর্কিত কোন বাধা নেই। মনে মনে শান্তি পাইলাম।
২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: চপচপ নামটা সুন্দর। চপচপের যত্ন নেবেন।
১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আজকাল ছেলে মেয়েদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বাবা মারা লেখা পড়াও করে,আগের দিন হলে দিত একটা ধমক।
২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ছেলেমেয়েদের জন্য অনেক জানতে হয়। আর জানার জন্য পড়তে হয়।
১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
অজ্ঞ বালক বলেছেন: কচ্ছপ নাকি সবচেয়ে দীর্ঘকাল বাঁচে, বিশেষ কৈরা জায়ান্ট টরটজ গুলা। একটা তো দেড়শ বছর বাঁচছিল মনে হয়।
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ওদের এত বছর বাঁচার দরকার ছিলো না।
১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪০
এইচ তালুকদার বলেছেন: মি একটা ইন্ডিয়ান রুফড টার্টেল পালতাম,কাটাবন থেকে কিনেছিলাম,আমার আম্মা প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাপাল্লসা করতেন।যাই হোক আমার কচ্ছপ্টার নাম রেখেছিলাম শামসু মিয়া,আমি ঢাকার বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়ার পর আমার আম্মা বুয়াকে দিয়ে শামসু মিয়াকে শ্যামলী খালে ফেলে দিয়ে আসে।
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম এই ঘটনায়
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---
শামসু এখন কই?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
কচ্ছপ ব্লাগারও আছেন।
কচ্ছপ যদি শোনে যে, আপনি উহাকে ইংরেজীতে "টরটস" বলেছেন, বেচারা মন খারাপ করবে।