নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালী গোয়েন্দা

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩০




আমার কিছু সমস্যা আছে।
আমি যখন যার বই পড়ি সে-ই আমার কাছে প্রিয় লেখক হয়ে যায়। প্রিয় লেখকের প্রতি একদম মুগ্ধ হয়ে যাই। সুনীলের কাকাবাবু পড়লে সুনীলের প্রতি মুগ্ধ হয়ে যাই। এমন কি কাকাবাবু প্রতিও মুগ্ধ হয়ে যাই। ব্যোমকেশ বক্সীকেও খুব ভালো লাগে। গতকাল 'শজারুর কাটা' বইটা পড়লাম। খুব ভালো লাগলো, লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। সমরেশ মজুমদারের অর্জুন চরিত্রটাও ভালো লাগে। হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি তো আমার সব সময়ের জন্য প্রিয়। তবে ফরিদুর রেজা সাগরের 'ছোট কাকু' আমার একটুও ভালো লাগে না। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক হিসেবে মানা হয় পাঁচকড়ি দেকে। উনার গল্পে ছিলেন দুইজন প্রধান গোয়েন্দা। একজন অরিন্দম বসু আরেকজন দেবেন্দ্রবিজয় মিত্র।

বাংলা সাহিত্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যোমকেশ’ খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি সাধু ভাষায় লিখতেন। তারপর সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা। ব্যোমকেশ বক্সীর প্রথম আবির্ভাব হয় 'সত্যান্বেষী' গল্পের মধ্য দিয়ে। ব্যোমকেশ প্রচুর সিগারেট খায়। তুখোড় বুদ্ধিমান।
ব্যোমকেশের মুভি গুলো দেখেছি, বইও পড়েছি। পুরো সমগ্র শেষ করতে একমাস সময় লেগেছে। লেখক ব্যোমকেশকে নিয়ে মোট তেত্রিশটি গল্প লিখেছেন। ব্যোকেশকে নিয়ে বেশ কিছু ভালো মুভি বানানো হয়েছে। প্রতিটা মুভি আমি তিনবার করে দেখেছি। সত্যজিৎ রায়ের নিজ হাতে গড়া চরিত্র ফেলুদা। ফেলুদার পুরো নাম প্রদোষচন্দ্র মিত্র। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সন্দেশ পত্রিকায় “ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি” প্রথম প্রকাশিত হলে চারদিকে সাড়া পড়ে যায়। ফেলুদার মোট ৩৫ টি সম্পূর্ণ এবং ৪ টি অসম্পূর্ণ গল্প এবং উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।

'মাসুদ রানা' বাংলাদেশের সাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের তৈরি চরিত্র। ১৯৬৬ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। প্রথম বইটির নাম ছিল ধ্বংস পাহাড়। ব্যোমকেশ, ফেলুদা আর মিসির আলি পড়ার পর মাসুদ রানা আর ভালো লাগে নি। আমাকে মোটেও টানে নি। এক অনবদ্য কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র হল 'কাকবাবু'। কাকাবাবুর আসল নাম রাজা রায়চৌধুরী। কাকাবাবু মধ্যবয়েসি এক গোয়েন্দা। তিনি ভারত সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা। কাকাবাবু একবার আফগানিস্তানে গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তারপর থেকেই কাকাবাবুর এক পা ভাঙ্গা। হাঁটেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে। দারুন বুদ্ধিমান কাকাবাবু। কাকাবাবুর সাথে থাকে সন্তু। সন্তুর বন্ধু একজন বন্ধু আছে জোজো নাম। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মোট ৩৬ টি কাকাবাবুর কাহিনী লিখেছেন।

টেনিদা, ঘনাদা আর প্রফেসর শঙ্কু এদেরকে ঠিক আমার গোয়েন্দা মনে হয় না। টেনিদা থাকেন কলকাতার পটলডাঙায়। তার মুখের গল্প শুনতে অনেকে ভিড় করে। তুখোড় গল্প বলিয়ে তিনি। ফুটবল মাঠে যেমন সেরা তিনি। আবার ক্রিকেট খেলার ক্যাপ্টেন। কেউ বিপদে পড়েছে সেখানে টেনিদা নেই- এটা হতে পারে না।
প্রেমেন্দ্র মিত্র এর ‘মশা’ গল্পে প্রথম ঘনাদা ওরফে ঘনশ্যাম দাসের দেখা পাই। ঘনাদা ৭২ নং বনমালী লস্কর লেনে একটি মেসে থাকেন। মেসের প্রতিবেশী শিবু, শিশির, গৌর আর সুধীর এই চার যুবককে নিয়েই তার সব কাহিনি। ঘনাদা নিজের জীবনের নানা অভিযান সম্পর্কে আজগুবি ও অবিশ্বাস্য গল্প মুখে মুখে বানিয়ে শোনান। তবে বানানো গল্পের ভেতর বাস্তবের শক্ত ভীত থাকে।
প্রফেসর শঙ্কুকে ভালো লাগে না। তিনি একজন পদার্থ বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক। অকুতোভয়, আত্মভোলা শঙ্কু ৬৯টি ভাষা জানেন।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫০

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: ব্যোমকেশ সব থেকে বেশী ভাল লাগছে, প্রত্যেকটা গল্পই চমৎকার। ব্যোমকেশ চরিত্রে যীশুর অভিনয় অসাধারণ। কাকা বাবু আগে ভালো লাগতো, এখন আর তেমন লাগে না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: যিশুর চেয়ে আবীর কে বেশী ভালো লাগে।
গত একমাস ধরে আমি কাকাবাবু পোড়ে যাচ্ছি।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:


বাংলার গয়েন্দাদের নিয়ে ভালো বিশ্লেষণ হলো অল্প কথায়। চালিয়ে যান।
এরপর প্রতি জনকে নিয়ে আলাদা আলাদা করে লেখেন, অল্পকথায়।
সেই সাথে বাংলার আরেক ধারা দস্যুদের নিয়ে লেখেন, অল্পকথায়।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: দস্যবনহুর আমার কালের না। আমার বাপ দাদারা দস্যু পড়েছে।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: উদ্দেশ্যহীন ভাবে পড়া।পড়তে হবে সমস্যাকে সামনে রেখে।আগে ঠিক করতে হবে কি জানতে চান।একজন মানুষের সব কিছু জানার দরকার নেই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: রেগে আছেন নাকি আমার উপর?

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৫১

Rajibrpsoft বলেছেন: আমিও খুব বেশি পরিমানে ব্যোমকেশ এর ভক্ত

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বহু লোক ব্যোমকেশের ভক্ত।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:৫০

অনল চৌধুরী বলেছেন: 'মাসুদ রানা' বাংলাদেশের সাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের তৈরি চরিত্র[/sb, এটা ইয়ন ফ্লেমিংগস এর জেমস বন্ড চরিত্রের হুবহু নকল ।শুধু বৃটিশ সিক্রেট সার্ভিস এর জায়গায় বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টালিজেণ্স নামে ভূয়া একটা সংস্থার নাম বসানো হয়েছে আর সে এগুলির অনুবাদকও না, সেকথাও প্রমাণসহ পত্রিকায় এসেছে।
সব গোয়েন্দার সেরা গোয়েন্দা শার্লক হোমস-এর নাম বাদ পড়েছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এখানে আমি শুধু বাঙ্গালী গোয়েন্দাদের কথা বলেছি। তাই শার্লক হোমস এর কথা আসে নি।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যে কোন লেখাই লেখক অনেক সাধনা করে লিখেন।
তবে কারো কারো ভালো নাও লাগতে পারে।
আমার যেমন হুজুরদের কোন লেখা ভালো লাগে না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই জুহুরদের লেখা বিনোদন হিসেবে নিবে। মজা পাবেন।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক সময় প্রচুর বই পড়তাম গোয়েন্দা সিরিজের। নীহাররঞ্জন গুপ্তের বই আমার খুব প্রিয় ছিল এক সময়। কিরিটি রায় ছিলেন এক জন বিরাট গোয়েন্দা।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে এদের বই আমার পড়া হয় নি।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: পাঠ্য পুস্তকের বাইরে, অভিভাবকদের চোখের আড়ালে বই পড়ার প্রথম অভিজ্ঞতা হয়, রোমেনা আফাজের দস্যু বনহুর দিয়ে। বড় হয়ে বনহুর হবো, এমন একটি ভাবনায় পুলকসঞ্চার হতো। তারপর, কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা, নীহার রঞ্জন গুপ্তের কিরিটি, এ চরিত্রগুলো শক্তিশালী ছাপ ফেলে মনের ভেতর।
ভালো লিখেছেন প্রিয় রাজীব নুর। শুভ কামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: নেক দন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: পাঠ্য পুস্তকের বাইরে, অভিভাবকদের চোখের আড়ালে বই পড়ার প্রথম অভিজ্ঞতা হয়, রোমেনা আফাজের দস্যু বনহুর দিয়ে। বড় হয়ে বনহুর হবো, এমন একটি ভাবনায় পুলকসঞ্চার হতো। তারপর, কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা, নীহার রঞ্জন গুপ্তের কিরিটি, এ চরিত্রগুলো শক্তিশালী ছাপ ফেলে মনের ভেতর।
ভালো লিখেছেন প্রিয় রাজীব নুর। শুভ কামনা।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৬

স্থিতধী বলেছেন: মিসির আলি কে " গোয়েন্দা" বলে উল্লেখ করাটা ভুল হবে। মিসির আলির গল্পগুলো লেখক মূলত প্যরাসাইকোলজি ঘরানার গল্প হিসেবে লিখেছেন, যদিওবা মিসির আলির পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি হুবুহু শারলক হোমসের কথা মনে করিয়ে দেয়। কাজী আনোয়ার হোসেনের "কুয়াশা" সিরিজের লেখাগুলো বোধয় আপনার পড়া হয়নি, ওটা মাসুদ রানারও আগের সৃষ্টি, আর বেশ আকর্ষণীয় সৃষ্টি। ওখানে শহীদ নামক চরিত্রটি পেশাদার গোয়েন্দা আর কুয়াশা কে বাংলা সাহিত্যির এক অন্যতম ব্যাতিক্রমী চরিত্র বলা চলে। কুয়াশা মূলত একজন বিজ্ঞানী ও সঙ্গীত বিশারদ , যে কিনা আবার রাষ্ট্রের চোখে এক পলাতক অপরাধীও বটে। শহীদ কুয়াশা কে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালায় প্রথম গল্পে আর পরবর্তীতে তাঁর বোন মহুয়াকে ভালোবেশে বিয়ে করে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: কুয়াশা পড়েছই কিনা মনে করতে পারছি না।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: আগাথা ক্রিস্টির গল্প পড়েছেন?
কর্নিশ রহস্য - আগাথা ক্রিস্টি - গোয়েন্দা গল্প | The Cornish Mystery - Agatha Christie
https://www.youtube.com/watch?v=PugtlRKbMdo

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.