নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

NTR সিনেমা (রিভিউ)

০৩ রা জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪০

ছবিঃ গুগল।

সন্ধ্যা তখনও হয়নি। গ্রামের রাস্তা।
নায়ক তাঁর বাবাকে নিয়ে পাজারো গাড়িতে করে যাচ্ছে। নায়ক নিজেই গাড়ি চালাচ্ছে। হঠাত রাস্তার মাঝখানে একটা ছাগল চলে আসে। তখন নায়ক হঠাত গাড়ী ব্রেক করে। সময় মতো ব্রেক করতে পারার কারনে ছাগলটি বেঁচে যায়। নায়কের গাড়ির পেছনে আরোও দশটা গাড়ি আছে। তারা নায়কের পেছন পেছন আসছে। এগুলোও নায়কদের'ই গাড়ি। যাই হোক, হঠাত নায়ক দেখে তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে কমপক্ষে দুই তিন শ' মানুষ। তারা নায়ক এবং নায়কের বাবাকে হত্যা করতে চায়। নায়ক দিশেহারা ভাবে চারিদিক দেখছে। এমন সময় একটা গুলি এসে লাগে নায়কের বাবার মাথায়। নায়কের বাবা সাথে সাথে মরে যায়। নায়ক রেগে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে এলোপাথাড়ি, যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। একসময় নায়ক সবাইকে মেরে জখম করে দেয়। তবে নায়কের পিঠে একটা আঘাত লাগে। সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। এমন সময় পুলিশ আসে। পুলিশ এসে বলে- তোমরা একই গ্রামে থাকো। তাহলে ফাইট করো কেন? এটা ঠিক না। ঝগড়া ভাল জিনিস না।

নায়ক তাঁর মৃত বাবা আর চাচাকে বাড়ি নিয়ে আসে।
তাদের বিশাল তিন তলা বাড়ি। মৃত দুই লাশের সামনে পুরো বাড়ির সবাই খুব কান্না করে। নায়কও কান্না করে। ঠিক কান্না না। বাপের মৃত্যুতে নায়ক নির্বাক হয়ে যায়। থম ধরে বসে থাকে। নায়কের বাবা রাজনীতি করতো। অনেকে ফোন করে নায়ককে সহানুভূতি জানিয়েছে। এবং দুঃখপ্রকাশ করেছে শ্মশানে না আসতে পারার কারনে। এদিকে নায়কের দাদী বলছেন, মারামারি বন্ধ করো। এসব আমার ভাল লাগে না। যদি তোমাদের বংশে মারামারি লেগেই আছে বছরের পর বছর। তোমার বাপ দাদাও সারা জীবন মারামারি করেছে। দাদী জোর দিয়ে বললেন, এসব মারামারি এবার তুমি বন্ধ করো। তা না হলে দেখা যাবে তোমার সন্তানও বড় হয়ে মারামারি করবে। এদিকে নায়কের বংশে শুধু নায়ক একাই ছেলে মানুষ। বাকি সব নারী। এবং তারা বিধবা। মারামারিতে তাদের স্বামীরা খুন হয়েছে। নায়ক দাদীর কোথায় চিন্তায় পড়ে যায়।

নায়িকারা দুই বোন।
এক ভাই। ভাই ছোট ১৩/১৪ বছর হবে। কিন্তু খুব পাকনা। নায়িকার মা নায়িকার মতোন সুন্দরী। নায়িকার দাদাজান বেঁচে আছেন। তিনি সারাদিন কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনেন। নায়িকার বাবা নামকরা উঁকিল। কিন্তু কখনও কোনো দিন কোনো মামলা জিততে পারেনি। তবে সে নাম করা উকিল। নায়িকা খুব সুন্দর জামা পড়ে ইউনিভার্সিটি যায়। নায়িকা খুব হাসি খুশি। শহরের সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি নায়িকাদের। যাই হোক, এদিকে নায়ক সিদ্ধান্ত নেয় সে আর বাপ চাচাদের মতোন মারামারি করবে না। তাই সে মা আর দাদীকে বুঝিয়ে সুজিয়ে শহরে চলে আসে। এই শহরেই একদিন নায়ক নায়িকার দেখা হয়। নায়িকা রাত্রে তাঁর বান্ধবীর জন্মদিনে যায়। নিজেই গাড়ি চালিয়ে যায়। তখন কিছু দুষ্টলোক নায়িকাকে আক্রমন করে। এই সময় নায়কের আগমন হয়। নায়ক মন দিয়ে একাএকা কেরাম খেলছিলো। এমনিতেই তাঁর মন মেজাজ ভাল নেই। দুই দিন আগে তাঁর বাবা মারা গেছে।

নায়কের অনেক শক্তি আছে।
সে দুই হাত দিয়ে লোহার রোড বাঁকা করতে পারে। আবার সোজা করতে পারে। এটা করতে তাঁর কোনো বেগ পেতে হয় না। যাই হোক, নায়কের এক বন্ধুকে পুলিশ বিনা কারনে ধরে নিয়ে যায়। তখন নায়ক তাঁর বন্ধুর জামিনের জন্য নায়িকার বাবার কাছে আসে। নায়িকা তাঁর বাবাকে বলে- বাবা এই ছেলের অনেক শক্তি আছে। সে লোহার রোড দুই হাত দিয়ে মুহুর্তের বাঁকা করে ফেলতে পারে। নায়কের মতো নায়িকার বাবা অনেক চেষ্টা করে লোহার রোড বাঁকা করতে কিন্তু পারে না। নায়ক নায়িকাদের বাসায় থেকে যায়। লোহার রোড বাঁকা করার প্রতিভা দেখে নায়িকার বাপ খুব অবাক হয়। নায়িকার বাবা তাকে কাজ দেয়। তাঁর মেয়েকে ইউনিভার্সিটি দিয়ে আসতে হবে। নিয়ে আসতে হবে। কারন কিছু দুষ্টলোক রাস্তায় নায়িকাকে বিরক্ত করে। নায়ক শহরে থাকার জায়গা পেয়ে অনেক খুশি। সমস্যা হলো নায়িকারা দুই বোনই নায়কের প্রেমে পড়ে যায়।

নায়ক নায়িকাকে নিয়ে ইউনিভার্সিটি যায়।
নায়িকা বলে আজ ক্লাশ করতে ইচ্ছা করছে না। চলো ঐ দোকানটায় যাই। ওরা বার্গার ভাল বানায়। খেতে খুব মজা। আবার সস অনেক বেশি দেয়। দুজন মিলে বার্গার খায়। নায়িকা নায়ককে বলে, 'তুমি মানুষ ভাল'। নায়ক বলে, কি করে বুঝলে? নায়িকা বলে- ভাল-মন্দ অতি সহজেই বুঝা যায় মনের চোখ দিয়ে। এদিকে নায়কের বন্ধু জামিন পায়। নায়ক তাঁর বন্ধুকে বলে, মেয়েটা অনেক ভালো। আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি অনেক কষ্টে ছিলাম। মেয়েটা আমার কষ্ট কমিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটা বেশ ভাল। আমি মেয়েটাকে সব সময় আমার পাশেই রাখতে চাই। যাই হোক, এতটুকু মুভি দেখে আর দেখতে ইচ্ছা করছে না। ফালতু মুভি জীবনে অনেক দেখেছি আর দেখবো না।

মানুষের জীবন এবং সময় মূল্যবান।
তাই সময়ের অপচয় করা ঠিক না। অবশ্য এই মুভিটা ৪৮ মিনিট দেখে ফেলেছি। বাকিটুকু আমার সহ্য হবে না। মুভিটা ইউটিউবে এসেছে দুই দিনও হয় নাই। অলরেডি দুই লাখ মানুষ দেখে ফেলেছে। মুভির নাম: NTR। একশন মুভি। খুব মারামারি আছে মুভিতে। সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি। খুব জনপ্রিয় নায়ক। এই নায়কের জন্ম ১৯৮৩ সালে। তাঁর পুরো নাম Nandamuri Taraka Rama Rao। সংক্ষেপেঃ NTR। বাস্তব জীবনে নায়ক একজন সংগীত শিল্পীও। রি নায়ক অনেক গুলো তেলেগু সিনেমা করেছে। তাঁর মোট সিনেমার সংখ্যা ত্রিশ। এছাড়া টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

আমি নই বলেছেন: আমার মনে হয় ৯০% সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি এরকমই হয়, সবচাইতে বিরক্তিকর হল মারামারির দৃশ্যগুলোতে এরা ফিজিক্সের মা-বোন এক করে ফেলে।

০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: তবে সাউথ ইন্ডিয়ানরা কিছু পরিচালক খুবই ভাল সিনেমাও তৈরি করে।

২| ০৩ রা জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

আরা২৩১১ বলেছেন: সাউথ ইন্ডিয়ান তে মারামারিই মূল আকর্ষণ। প্রতিটা মুভিই কোন গেঞ্জামকে কেন্দ্র করে হয় আর অবশেষে মারামারি হবেই :-B

০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: এটাও সত্যি কিছু মারামারি দৃশ্য ওরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.