নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দুনিয়াতে যত খাদ্য আছে, তার সব গুলোতেই কিছু না কিছু উপকার আছে।
কালোজিরাতেও আছে। মধুতে আছে। ভূট্রাতেও উপকার আছে। মিষ্টি কুমড়াতেও উপকার আছে। যাই হোক, মুসলিমরা আজন্ম আছে ভুলের মধ্যে। ওদের সবচেয়ে বড় ভুল ওরা নিজেদের মুসলমান ভাবে। কিন্তু গাধা গুলো বুঝে না, মুসলিম হওয়ার আগে ওরা মানুষ। আগে মুসলিমদের নিজেদের মানুষ ভাবা শিখতে হবে। তবেই ওরা কুসংস্কার থেকে দূরে থাকতে পারবে। অসুখ হলেই হুজুররা হাসপাতালে ছুটেন, তখন তাদের কালিজিরার কথা মনে থাকে না। আমার যখন বিনোদনের দরকার হয়, মুসলমানদের কর্মকান্ড দেখি। সকলের সামনে পায়জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে নুনু ঘসতেই থাকে। একটুও লজ্জা করে না। ওয়াজ নাম দিয়ে নানান রকম লজিকবিহীন ফালতু কথা বলে। তবে বিনোদন হিসেবে ভাল্লো। হুজুরদের ওয়াজ শুনে গ্রামের দরিদ্র, অসহায় মানুষ গুলো চিৎকার করে বলে, ঠিক। ঠিক। ঠিক।
মুসলিমরা মুখে এক কথা বলেন, আর কাজ করেন তার উলটো।
তাঁরা ইহুদী, নাসারা, বিধর্মী বলতে বলতে গলা ফাটিয়ে ফেলেন। কিন্তু তাদের আবিস্কার নিলর্জের মতো ব্যবহার করেন। তখন তাদের লজ্জা লাগে না। মূলত মুসলিমদের চিন্তা ভাবনা ১৪০০ শ' বছর পিছিয়ে আছে। অথচ তাঁরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন। ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ। তাদের এসব ব্যবহার করতে লজ্জা হওয়া উচিৎ। হুজুরদের কাছে ধর্ম মূলত ব্যবসা। এই ব্যবসা করে তাঁরা খেয়ে পরে বেঁচে আছেন, যুগ যুগ ধরে। মূর্খ এবং দরিদ্র লোকেরা ধার্মিক বেশি হয়। ধার্মিক হওয়া সমস্যা না। সমস্যা হলো তাদের অন্ধ বিশ্বাস। অনেক ধার্মিকদের দেখা যায়া, গরুর পিঠে নামাজ পড়ছে। হাটু পর্যন্ত পানিতে নামাজ পড়ছে। এক ছাগলকে দেখলাম ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে। কি রে ছাগল, নামাজ পড়ার কি আর কোনো জায়াগা নাই? ছাগলামি বন্ধ কর।
নবিজির আমলে চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত ছিলো না।
তখন কালিজিরা ছাড়া উপায় ছিলো না। এজন্য ঐ সময়ে তাঁরা কালিজিরার এত গুনগান গেয়েছেন। নবিজির আমলে মোবাইল, ইণ্টারনেট, ল্যাপটপ থাকলে কোরআন হাদীসে উন্নত কথায় ভরপুর থাকতো। এখন আগের যুগের কেচ্ছা কাহিনী এই যুগে ভাত পায় না। এখন মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। কিছু হলেই তাবিচকবচে নির্ভর করে না। ঝাড়ফুঁকে নির্ভর করে না। সোজা দৌড় দেয় ডাক্তারের কাছে। এমন কি মুসলিমরা কালিজিরা আর মধু না খেয়ে বেঁচে থাকার আশায় হাসপাতালে ছুটে। আগের দিনে পুরুষরা যাকে ভালো লাগতো তাকেই বিয়ে করতো। কোনো রাখডাক ছিলো না। কেউ কেউ একশ', দেড় শ' বিয়ে করতো। নবিজি তার মেধা দিয়ে, এই বিয়ে কমিয়ে ৩/৪ টাতে সীমাবদ্ধ করলেন। বেলাইনে থাকা সমস্ত আরব জাতিকে লাইনে আনার চেষ্টা করলেন। এবং আরবের প্রায় অর্ধেক লোককে সত্যি সত্যি লাইনে নিয়ে আসতে সক্ষম হন।
আসলে বাংলাদেশের সমস্ত মুসলিমদের চিন্তাভাবনা ১৪০০ শ' বছর পিছিয়ে আছে।
তাঁরা এগোতে পারছে না তাদের ধর্মগ্রন্থ ও হাদীস গুলোর জন্য। অনেক কিছু আধুনিক করা দরকার। বেশির ভাগ হুজুরদের জ্ঞান শুধু একটা বিষয়ে। ধর্ম ছাড়াও তো জানার অনেক বিষয় আছে। আধুনিম বিশ্ব সম্পর্কে ধারনা কম ধার্মিকদের। আধুনিক টেকনোলিজি সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাই তাদের ভরসা কালিজিরা এবং মধু। ওয়াজিরা বিজ্ঞান সম্পর্কে যদি সামান্য কিছু জানতো তাহলে তাদের বক্তব্য আধুনিক হতো। বিশ্ব অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সেই খবর তাঁরা রাখেন না। তাদের রাখতে দেওয়া হয় না। কোরআন হাদীস ছাড়াও যে আর কোটি কোটি বই আছে। সেগুলো সম্পর্কে তাদের কোনো ধারনা নেই। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য বিষয় গুলোও জানা প্রয়োজন। সরকারের উচিত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক করা। মাদ্রাসায় সাধারনত দরিদ্র পিতা মাতার সন্তানরা লেখাপড়া করে। তাঁরা কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকবে? অবশ্য এখানে একটা সমস্যা আছে। যখন মানুষ বিজ্ঞান সম্পর্কে জানবে, তখন মানুষ ধর্ম থেকে দৌড়ে পালাবে। কুসংস্কারের মধ্যে কে থাকতে চায়!
যারাই ধর্মকে আঁকড়ে ধরেছে, তারাই অধঃপতনে গেছে।
উন্নত বিশ্ব ধর্মকে আঁকড়ে ধরে নাই। তাই তাঁরা আজ জ্ঞান বিজ্ঞানে আকাশ ছুয়েছে। সারা বিশ্বের মুসলিমরা পিছিয়ে আছে। তাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। ঠিক আছে, তোমরা কোরআন পড়ো, হাদীস পড়ো। কিন্তু তার সাথে সাথে বিজ্ঞানও পড়ো। ওহে মুমিন পিঁপড়া কথা বলতে পারে না। মাছের পেট থেকে বের হতে দোয়া লাগে না। বুদ্ধি লাগে। মুসলমানদের প্রশ্ন করা শিখতে হবে। লজিক বুঝতে হবে। শুধু বিশ্বাসে কাজ হবে না। দুনিয়া অনেক এগিয়ে গেছে। মুসলিমরা শুধু পিছিয়ে আছে। করোনা থেকেও মুসলমানরা শিক্ষা নিলো না। আফসোস হয়। যাই হোক, সবার আগে তোমরা নিজেদের মানুষ ভাবতে শিখো মুসলিম। প্লীজ। আর কতকাল মুসলিম থাকবে? মানুষ হবে না?
©somewhere in net ltd.