নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
শয়তান কে? সে দেখতে কেমন?
তার বয়স কত? শয়তানের পিতা মাতা কে? শয়তানকে জন্ম দিলো কে? শয়তান কি কি ক্ষতি করছে আপনার? বা অন্যের? শয়তান আপনার ঘরের কোথায় থাকে? কতদিন ধরে আপনার ঘরে শয়তান আছে? শয়তানকে কি আপনি নিজের চোখে দেখেছেন? অথবা অন্য কেউ দেখেছে? আপনি কি লেখাপড়া করেছেন? আসলে আপনি নিজেই শয়তান। আমার কথায় রাগ করবেন না। শুধু বুঝতে চেষ্টা করুণ। সূরা বা শয়তান কিচ্ছু না। জাস্ট বোগাস। আপনার মনের কুসংস্কার গুলোই শয়তান। তাই একটা কাটা দিয়ে আপনার মাঝে বাস করা শয়তানকে বের করে ফেলুন।
শুনুন, শয়তান বলে দুনিয়াতে কিছু নেই।
সূরা পড়ে দুনিয়াতে আপনি কোনো উপকার পাবেন না। ধরুন আপনার ঘরে খাবার নেই। এখন যদি আপনি দিনরাত ২৪ ঘন্টা সূরা পড়তে থাকেন, আপনার ঘরে খাবার চলে আসবে না। আবার ধরুন আপনি বেকার, এখন যদি আপনি টানা এক বছর বা পাঁচ বছর ধরে সূরা পড়তে থাকেন, আপনি চাকরী পেয়ে যাবেন না। ধরুন, কোনো ছাত্র সারা বছর লেখাপড়া করলো না, কিন্তু সে সূরা পড়তে থাকলো, তাহলে পাশ করে যাবে না। পাশ করার জন্য তাকে পড়তে হবে। অর্থাৎ সূরার কোনো গুনাগুন নেই। প্রতিটা সূরার বাংলা অর্থ মন দিয়ে পড়ুন, তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। অবাস্তব ও ফালতু কথাবার্তা লেখা। যা দিয়ে একটি মানুষ বা সমাজের কোণো উপকার সম্ভব নয়।
ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে বেড়িয়ে আসুন।
এটা বিজ্ঞানের যুগ। একসময় যখন জ্ঞান বিজ্ঞানে মানুষ উন্নত ছিলো না, তখন মানুষ জ্বীন, ভূত, ফেরেশতা, শয়তান ইত্যাদি বিষয় গুলো বিশ্বাস করতো। মানুষ যত জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করেছে, তত কুসংস্কার থেকে দূরে সরে এসেছে। অথচ আপনি এবং আপনার মতো মানুষেরা এখনো রুপকথা ধরে আঁকড়ে আছেন। শুনুন, বুঝতে চেষ্টা করুণ, শয়তান বলে আসলে কিছু নেই। এগুলো অতীতের মানুষের ভুল চিন্তা ভাবনা। এখন মানুষ সভ্য হয়েছে। তাদের চিন্তা ভানার পরিবর্তন হয়েছে। এখন কেউ অসুস্থ হলে পানিপড়া খায় না। ঝাড়ফুঁক করে না। তাবিচকবচ নেয় না। অথচ আপনি সেই অন্ধকার যুগেই পরে আছেন। আলোতে আসুন। নিজেকে উন্নত করুণ।
বাস্তব দুনিয়াতে শয়তান কারা?
একজন ধর্ষনকারীকে আপনি শয়তান বলতে পারেন। একজন দূর্নীতিবাজকে আপনি শয়তান বলতে পারেন। একজন মাদক বিক্রেতাকে আপনি শয়তান বলতে পারেন। ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের আপনি শয়তান বলতে পারেন। যারা সমাজের ক্ষতি করে তাদের শয়তান বলতে পারেন। যারা মানুষকে কুপিয়ে মারে তাদের শয়তান বলতে পারেন। যারা বোমা হামলা করে তাদের শয়তান বলতে পারেন। যারা মানুষ হয়েও মানুষের উপকার না করে ক্ষতি করে তাদের শয়তান বলতে পারেন। যারা দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে ঠকায় তাদের শয়তান বলতে পারেন। যারা অসৎ তাদের আপনি শয়তান বলতে পারেন। যারা খাদ্যে ভেজাল মিশায় তাদের আপনি শয়তান বলতে পারেন।
যত জ্ঞান অর্জন করবেন, আপনি তত আধুনিক হবেন।
তত শয়তান থেকে দূরে থাকবেন। শয়তান তো আসলে বাস করে মানুষের মনে। মানুষের মনের জটিল কুটিল চিন্তা গুলোই শয়তান। কথায় বলে, বনের বাঘে খায় না। মনের বাঘে খায়। মন পরিস্কার থাকলে কোনো প্রকার শয়তান আপনার ধারেকাছে আসতে পারবে না। আপনার বিবেক সব সময় জাগ্রত থাকলে শয়তান আপনার ধারেকাছে আসবে না। কুসংস্কার দূর করে আপনি নিজে ভালো থাকুন। অন্যকেও ভালো থাকতে সাহায্য করুণ। শয়তান নিয়ে চিন্তা ভাবনা বাদ দিন। ভালো কিছু নিয়ে ভাবুন। ভালো কাজ করুণ। মহৎ কাজ করুণ। মানুষ হয়ে জন্মেছেন, তাই মানুষের কথা ভাবুন। মানুষের পাশে থাকুন। মানুষের মঙ্গল করুণ।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৭
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: প্রথমত বলি, সুরা তে কোনো অবাস্তব ফালতু কথা লেখা নেই, কোরআন এর ভাষা হল অনেক টা মেটাফরিক টাইপের, কাব্যিক ধরনের উপমা তে ভরপুর। তো এটা উপলব্ধি করার সামর্থ আপনার নেই, তাই আমার এখন মনে হচ্ছে, আপনার এই লেখাগুলার ও আসলে কোনো অর্থ নেই, ফালতু কথা বার্তা বলতেসেন।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৪
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: প্রথমত বলি, সুরা তে কোনো অবাস্তব ফালতু কথা লেখা নেই, কোরআন এর ভাষা হল অনেক টা মেটাফরিক টাইপের, কাব্যিক ধরনের উপমা তে ভরপুর। তো এটা উপলব্ধি করার সামর্থ আপনার নেই, তাই আমার এখন মনে হচ্ছে, আপনার এই লেখাগুলার ও আসলে কোনো অর্থ নেই, ফালতু কথা বার্তা বলতেসেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৫
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: খুবই রেশনাল চিন্তা ভাবনা আপনার। আসলে ধর্ম মানেই বিশ্বাস, অদেখা কে বিশ্বাস। কিন্তু এই ধর্মে রেশনাল চিন্তা ভাবনা করলে মানুষ নাস্তিক বলে তকমা দিবে যেমন টা পরিবারে আমার সাথে করে।
হাদিসে আছে, গভীর রাতের ইবাদতের সময় নাকি হাজার হাজার ফেরেস্তা পাহারা দেয়, অথচ তারা নাকি কুকুর দেখলে পালায় যায়।