নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপদেশ আমি কাউকে দেই না

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০৪

ছবিঃ আমার তোলা।

১। দুনিয়া আর কয় দিনের! একদিন তো মরেই যাবো।
কাজেই যা হচ্ছে হোক। আমার কি? এরকম মানসিকতা গড়ে তুলতে পারলে সব কিছু সহজ ভাবে নিতে পারবেন। আমার এক ফুপা ছিলেন। উনি দুনিয়ার সব কিছু সহজ ভাবে নিতেন। একদিন তার চোখের সামনে তার ছোট ছেলেরা ঘরের টিভি ভেঙ্গে ফেলল ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে। ফুপা কিছুই বললেন না। চুপচাপ দেখলেন। আরেকদিনের কথা বলি, ফুপা অফিসে। মোবাইল ফোনে জানতে পারলেন তার বাবা মারা গেছেন। তিনি খুব স্বাভাবিক আছেন। দুপুরে লাঞ্চ করলেন। লাঞ্চ শেষে জর্দা দিয়ে একটা পান খেলেন। বিকেলে অফিস শেষ করে বাসায় গেলেন। যেন কিছুই হয় নাই।

২। আসলে পুরুষ মানুষ হলো কুত্তার জাত। ঘরে হাজার ভালো খাবার থাকলেও বাইরের ময়লাতে মুখ দিবেই। স্বামীকে নিজের কলিজাটা রান্না করে খাওয়ায় দিলেও আপনি স্বামীর মন পাবেন না। এদের মন কোনো কালেও ভরবে না। স্বামী অন্য জিনিস। এরা স্ত্রীর ভালোবাসা বুঝে না। কিন্তু বাইরের মেয়েলোকের সব কিছু বুঝে। আপনি আপনার স্বামীর জন্য গলা পর্যন্ত পানিতে নেমে গেলেও, সে ভাববে এটা স্বাভাবিক। অন্য কোনো মেয়ে হলে পুরো মাথাটাই ডুবিয়ে দিতো। পুরুষজাত এই রকমই।

৩। বই আমি প্রতিদিন পড়ি। না পড়লে ভালো লাগে না।
ঘুম আসে না। এই সপ্তাহে আমি পড়েছি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'চক্র' বইটি। এই বইটি এর আগে আরো দুবার পড়েছি। ৩য় বার পড়ার কারন হচ্ছে ঘরে নতুন কোনো বই নেই। তাই পড়া বইটিই আবার পড়লাম। চমৎকার বই। লেখক এমন ভাবে লিখেছেন, প্রতিটা চরিত্রকে আমার খুব আপন মনে হয়েছে। যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি তাদের। এই বইয়ের প্রধান চরিত্র অমল। অমলের স্ত্রী মনা। কিন্তু অমল একসময় ভালোবাসতো পারুলকে। পারুল আর অমল একই গ্রামের। পারুলের সাথে অমলের বিয়ে হবে এটা সবাই জানতো। কিন্তু হয়নি। যাইহোক, এই বইয়ের দুটা চরিত্র দারুন- রসিক বাঙ্গাল আর ধীরেন কাষ্ঠ। আগে দুবার পড়েছি। কিন্তু এবারও মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। একটুও বিরক্ত লাগেনি। পুরো বইতে অনেক গুলো চরিত্র। কিন্তু একটুও তালগোল পাকায় না।

৪। ভালো একটা মেয়ে। হোক সে কালো বা শ্যামলা।
ভদ্র, রুচিশীল, শিক্ষিতা। রান্না জানে। সামাজিকতা জানে। মুরুব্বীদের সম্মান করতে জানে। ছোটদের ভালোবাসতে জানে। নিজে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে। এবং ঘরদুয়ার টিপটপ করে রাখে। যার মধ্যে যথেষ্ট রসবোধ আছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, স্ত্রী যার অবাধ্য জীবন তার দুর্বিসহ। একজন নারীর অনেক ক্ষমতা। তাঁরা ভাঙতে পারে, গড়তে পারে। যে মেয়ে একগাদা মেকাপ করে তাকে ভালো লাগে না। বাঙ্গালী মেয়েদের আসলে সাজতে হয় না। জাস্ট চোখে একটু কাজল আর কপালে একটা টিপ দিলেই দারুন লাগে। কিন্তু বোকা মেয়ে গুলো মুখে একগাধা রঙচঙ লাগিয়ে রাখে। যা বিরক্তিকর। নারীদের সম্মান করতে হয়। হোক সে কাজের বুয়া অথবা গার্মেন্সের মেয়ে। আধুনিকতার নামে কিছু মেয়ে যা করছে, সেটা অবশ্যই বেহায়াপনা।

৫। উপদেশ আমি কাউকে দেই না।
উপদেশ কেউ মন দিয়ে শুনে না। অথবা শুনলেও এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেয়। সহজ সরল সত্য কথা হলো- দুনিয়াতে কারো উপদেশে আপনার জীবন বদলে যাবে না। এরকম নাটক সিনেমাতে হয়। বাস্তব বড় কঠিন। আপনার জীবন আপনার হাতে। শুধু মাত্র আপনিই পারেন আপনার জীবন বদলাতে। আর কেউ পারবে না। সৎ ও পরিশ্রমী হোন জীবনে। নিজের পরিবারের কথা ভাবুন। পরিবারের প্রতি আপনার যা দায়িত্ব তা পালন করুণ। পরিবারের দায়িত্ব পালন করার পর সমাজের জন্য ভালো কিছু করুণ। আপনি মানুষ। আপনি সৃষ্টির সেরা জীব। তাই আপনাকে ভালো কিছু করতে হবে। যেন মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। শ্রদ্ধা করে। মনে রাখবেন এই দুনিয়া হৃদয়বান মানুষদের জন্য। প্রতিদিন কোনো না কোনো ভালো কাজ অবশ্যই করবেন।

৬। প্রতিবাদ অনলাইনে অফলাইনে কোথাও করার দরকার নাই।
আপনি করবেন অন্য রকম প্রতিবাদ। যা কেউ আগে কখনও করেনি। প্রতিবাদ স্বরুপ আপনি দশ জন বেকারকে চাকরী দিবেন। অসহায় পিতা মাতার সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবেন। কমপক্ষে পাঁচজন। পাঁচ জন অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন। প্রতিদিন দশ জন ক্ষুধার্থ মানুষকে পেট ভরে খাওয়াবেন। এরকমই হোক আপনার প্রতিবাদ। এরকমই হোক সকল মানুষের প্রতিবাদ। যে প্রতিবাদের বিনিময়ে মানুষের কল্যান হবে। উন্নয়ন হবে। কাজে লাগবে। ফালতু প্রতিবাদ করে লাভ কি? আর এরকম প্রতিবাদ করলে প্রভুও খুশি হবেন। এবার দেখি আপনার মুরোদ কত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ২:৫৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

নারীর সাজ/দাম্পত্যজীবন/ক্ষুধার্ত খাওয়া থেকে শীর্ষেন্দুর বই "এতো এদিক সেদিক ছোটাছুটি।

২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই। এলোমেলো অবস্থা।

২| ২০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছবিটা সুন্দর ।

২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বললেন আপনি উপদেশ দেন না! কিন্তু ৫ ও ৬ তো
শুধুই উপদেশ! মানুষ উপদেশ শুনতে নয় দিতে
পছন্দ করে। আলনিও তার ব্যতিক্রম নন।

২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
উফ আল্লাহ!!!!

৪| ২০ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: শ্যামলা মেয়ে ও কুত্তাপুরুষ দুটোই ভাল লেগেছে রাজীব দা বাস্তবতা আছে
ভাল ও সুস্থ থাকবেন

২০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

৫| ২০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



ঢাকা শহরে পানি উঠেছে?

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০২

রাজীব নুর বলেছেন: না।

৬| ২২ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি কি আপনার এই পোস্টে আগে কোনো মন্তব্য করি নাই?

২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: না। করেন নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.