নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০২৪ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ কি যেতে পারবে ক্ষমতায়?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৩



নিরপেক্ষ শব্দটা আমাদের জন্য না।
বিশেষ করে আওয়ামীলীগ বা বিএনপি জন্য না। এমন কি নির্বাচন কমিশনের জন্যও না। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ কেউ নেই। উকিল বলুন, পুলিশ বলুন, নির্বাচন কমিশন বলুন, ছাত্র, শিক্ষক, ব্লগটিম, ব্লগার কেউ না। সবাই কোনো না কোনো পক্ষের। বাংলাদেশের মানুষ দল করতে পছন্দ করে। হয়তো সে রাজনীতি করে না। কিন্তু সে দল পছন্দ করে। মনে মনে সে তার দলকে সাপোর্ট করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও নিরপেক্ষ নয়। কাজেই বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নহে। অতীতেও হয়নি। লোকজন এখনও বলাবলি করে- গতবার নির্বাচনে হাসিনা আগের রাতেই সমস্ত ব্যালট পেপারে নৌকায় ছাপা দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরাট করে রেখেছিলো।

আওয়ামীলীগ চায় আজীবন ক্ষমতায় থাকতে।
বিশেষ করে শেখ হাসিনার ইচ্ছা সে আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবে যে করেই হোক। তাই সে ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন দিবে, বিএনপি যতই হইচই করুক। কারো হাতে ক্ষমতা দিবে না হাসিনা। তার ধারনা অন্য কারো হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন করলে হয়তো জেতার সম্ভবনা নেই। আর যদি একবার ক্ষমতা হারিয়ে যায় তার এবং তার দলের লোকদের করুণ পরিনতি হবে। তাদের থাকতে হবে জেলে। এবং নিমর্ম অত্যাচার সহ্য করতে হবে। কারন বিএনপিকে তারা কোনঠাসা করে রেখেছে। বিএনপি নেতা কর্মীরা ফালতু মামলায় জেল খাটছে। খেলদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। তারেক কে দেশ ছাড়া করেছে। কঠিন প্রতিশোধ নেবে বিএনপি। এবার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামীলীগীর চিহ্ন রাখবে না বিএনপি। এটা খুব ভালো করেই জানে হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ। এজন্য সৎ পথে হোক, অসৎ পথে হোক ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকবে। অলরেডি তাঁরা বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এখন চায় অন্য কেউ ক্ষমতায় আসুক।
কারন তাঁরা দীর্ঘদিন হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখে দেখে ক্লান্ত। হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। এই উন্নয়নের মহাসড়কে মানুষ আজও রাস্তায় ঘুমায়। সরকারী হাসপাতালে দালাল। সরকারী লোকজন ঘুষ খাচ্ছে। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন সাধারন মানুষকে অত্যাচার করছে। উন্নয়নের মহাসড়কের দেশে সীমাহীন বেকার। ক্ষমতাসীনরা ইচ্ছা মতো দূর্নীতি করছে। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। পাঁচ বছর আগেও দেশে এত এত ভিক্ষুক ছিলো না। এমনকি রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনও সীমাহীন টাকা দূর্নীতি করেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে। এই হলো আওয়ামীলীগের উন্নয়নের আড়ালে অদেখা কর্মকান্ড। সাধারণ মানুষ চায় জিনিসপত্রের দাম কমুক, সেটা আওয়ামীলীগ পারেনি। একেবারেই পারেনি।

বিএনপি যে খুব ভালো দল সেটা কিন্তু না।
খালেদা জিয়া একজন অদক্ষ ও অযোগ্য লোক। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে পিছিয়ে দিয়েছেন। তার চেয়ে শেখ হাসিনার বুদ্ধি অনেক বেশি। খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা দেশের জন্য ভালো। দেশে আওয়ামীলীগ অনেক কাজ করেছে, সেটা মিথ্যা নয়। বিশেষ করে রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যেটাকে আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন বলতে পারি। সমস্ত সরকারী অফিস গুলো বেশ আধুনিক করা হয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলের কথা তো পুরো বিশ্ব জানে। হাসিনা যদি দূর্নীতি কিছুটা কমাতে পারতো, এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো- তাহলে সারা দেশের মানুষ তাকে স্যলুট করতো। অনেকে বলে থাকেন, ওদের দূর্নীতির সুযোগ হাসিনা ইচ্ছা করেই দিয়েছেন। নইলে হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এই কথা যদি সত্য হয়, তাহলে হাসিনা কি দূর্নীতিবাজদের সুযোগ দিয়ে দেশের ক্ষতি করছেন না? উনি তো দেশকে ভালোবেসেই দেশের জন্য রাজনীতি করছেন।

বাংলাদেশ হলো সব সম্ভবের দেশ।
কিন্তু এই সম্ভবের দেশে আর যাইহোক, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না কখনই। কথার কথা বলি, যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়ও তখন যে দল নির্বাচনে হেরে যাবে সে চিৎকার করে বলবে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। তবে এবার নির্বাচনে বিএনপি মরন কামড় দিবে নিশ্চিত। কারন তাঁরা শুকিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন তাঁরা ক্ষমতার স্বাদ থেকে বঞ্চিত। আরাম আয়েশ বিলাসিতা থেকে বঞ্চিত। দূর্নীতি করতে পারছে না। তাই তাঁরা এবার নির্বাচনে জয়ী হতে জ্বালাও পোড়াও ভালোই করবে। এতে ভূগবে সাধারন মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। তবু শেষমেশ বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না। নো নেভার। হাসিনা এই ব্যাপারে একটুও ছাড় দিবে না। নো নেভার। মূলত ক্ষতি হবে দেশের। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর এমন ভাব- দেশটা যেন ওদের বাপ দাদার। ওরা যা খুশি তাই করবে। আমরা প্রজা। আমরা শুধু সহ্য করে যাবো।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা আধুনিক অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, শিক্ষা, চাকুরী সৃষ্টি নিয়ে কিছুই বুঝেন না; উনার দরকার ছিলো বিদেশী এডভাইজার; কিন্তু উনাকে চালাচ্ছে চোরদোর ব্যুরোক্রেটরা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার উচিৎ উন্নত দেশে গিয়ে প্রশিক্ষন নেওয়া।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: বিদেশী কেনো ?দেশে কি নীতিবান লোক নাই ?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই আছে।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ ক্ষেত্রে অন্য দলকে জনগণের ভোট দেওয়ার কোন কারণ দেখি না। নতুন প্রজম্মের মাঝে রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা বেড়েছে। সুতরাং তারা আওয়ামী লীগকেই ভোট দেওয়ার কথা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ভোট কি কেউ দিতে পারে? দিচ্ছে?
কেউ যদি ভোট না দিতে যায়, তার ভোট দেওয়া হয়ে যাবে। এবং অবধারিত ভাবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৬

হরিরাম বলেছেন: সেই যোগ্য বি এম পি এবং আওলীগ হারিয়ে ফেলেছে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:


অনল চৌধুরী বলেছেন: বিদেশী কেনো ?দেশে কি নীতিবান লোক নাই ?


-দেশে প্রতিটি চাষীই নীতিবান; কিন্তু ওরা অশিক্ষিত; শিক্ষিতদের মাঝে আধুনিক অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স জানা মানুষজন নেই!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: দেশে প্রতিটি চাষীই নীতিবান; কিন্তু ওরা অশিক্ষিত; শিক্ষিতদের মাঝে আধুনিক অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স জানা মানুষজন নেই! - আরেক ভুল।
দেশের কয়টা চাষীকে আপনি চেনেন?
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক যেমন নীতিহীস চাষীরাও তাই।
প্রত্যেকেই তাদের সাধ্য অনুযাযী চুরি-দুুর্নীতি করে।
কেউই সাধু ‍না।
আমি নিজে এদের সাথে লেনদেন করে দেখেছি এরা কতোটা নীতিহীন।
এদের ছেলে-মেয়েরাই পরিবারে নৈতিক শিক্ষা না পাওয়ার কারণে ডিগ্রিধারী হয়ে সরকারী চাকরী করে, নেতা বা ব্যবসায়ী হয়ে লুটপাট করে দেশ ধ্বংস করছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: হয়তো অল্প কিছু চাষী দুষ্ট হতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ কৃষক ভালো মানুষ। সৎ মানুষ।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন।তুলনামূলক খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা ভালো,বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ ভালো।জনগন যাকে ভোট দিবে তাঁরাই নির্বাচিত হবে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু এখন সিস্টেম এমন করা হয়েছে জনগন ভোট না দিলেও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে যাবে।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ আসলে পরিবর্তন চায় এটা সঠিক তবে পরিবর্তন মানে এই নয় মানুষ আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে চাচ্ছে। মানুষ মূলত নেতৃত্বের পরিবর্তন চাচ্ছে। শেখ হাসিনার উচিত হবে সরকার প্রধান থেকে সরে গিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে থেকে দলকে আরো সুসংগঠিত করে দিয়ে যাওয়া। সরকার প্রধান হিসেবে যোগ্য লোক খুঁজে বের করে তার হাতে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: একদম কোটি জনতার মনের কথা বলেছেন।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অর্ধশতক ধরে বাবা-স্বামীর বুলি কপচানো লোকজন থেকে বাংলাদেশীদের বেরিয়ে আসা উচিত। এদের কেউই আধুনিক গণতন্ত্র বুঝে রাষ্ট্র চালানোর জ্ঞান রাখেন না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২০

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সুষ্ঠ নির্বাচনে ব্যাক্তির নিরপেক্ষতা কোন শর্ত হওয়া উচিত নয়। আমি ধরে নিয়েছি আপনি নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে সুষ্ঠ নির্বাচন বুঝিয়েছেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.