নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুল জীবনের স্যার ম্যাডাম

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

ছবিঃ বাংলা নিউজ।

আমার কোনো প্রিয় স্যার ম্যাডাম নাই।
এখন বড় হয়ে বুঝতে পারি তাদের পড়ানোর নিয়মটা সুন্দর ছিলো না। নাকি সুন্দর ছিলো, আমারই বুঝার ভুল। তাদের জন্যই হয়তো আমি ভাল ছাত্র হয়ে উঠতে পারিনি। স্কুল জীবনে আমাকে বেশির ভাগ সময় ক্লাশের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিলো। স্যার ম্যাডাম আমাকে শাস্তি দিতে ভালোবাসতেন। টানা চল্লিশ মিনিট ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আশে পাশের ক্লাশ থেকে ছেলেমেয়েরা আমাকে উঁকি দিয়ে দেখতো।

আমাদের ইতিহাসের এক শিক্ষক শুধু বলতেন-
'বাবারা লাইনে থাকিস'। আমাকে ক্লাশের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে উনি এসে বলতেন- তুমি লাইনে নেই। লাইনে থাকলে আজ তোমাকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না। আমি মনে মনে বলতাম, টাক্কু টাক্কু। স্যারের মাথায় চুল ছিলো না। ভাগ্যের কি নিমর্ম পরিহাস। এখন আমার ছোট কন্যা- আমাকে হুটহাঁট বলে উঠে তুমি টাক্কু। তুমি টাক্কু। মেয়েকে বলি- আমার মাথায় তো চুল আছে। তুমি আমাকে টাক্কু টাক্কু বলছো কেন?

একদিন এক ম্যাডাম আমাকে খুব মারলেন।
বেত দিয়ে মারতে মারতে আমার গায়ে অসংখ্য দাগ বসিয়ে দিলেন। আল্লাহর কি বিচার দেখুন, ঐ দিনই ম্যাডাম রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেললেন। এক সপ্তাহ পর ম্যাডাম ক্লাসে এসে বললেন, আমি নাকি তাকে অভিশাপ দিয়েছি। আমি ছাত্র খারাপ ছিলাম না। সারা বছর লেখাপড়া না করলেও পরীক্ষার আগে তেড়েফুড়ে লেখাপড়া করে পাশ করে যেতাম। কমলাপুর এক ম্যাডামের বাসায় ইংরেজি পড়তে যেতাম। দারুন সুন্দরী ছিলেন ম্যাডাম। ম্যাডামকে ভাল লাগতো। ম্যাডাম নুডুলস রান্না করে খাওয়াতো। খুব মজা হতো। সেই ম্যাডামকে মাঝে মাঝে দেখতে ইচ্ছা করে।

আমি চুল বড় রাখতে পছন্দ করতাম।
একবার এক ম্যাডাম স্কুলে আমার চুল কেটে দিয়েছিলেন। বুঝুন অবস্থা। খুবই লজ্জা পেয়েছিলাম। আমাদের আবার ছেলেমেয়ে একসাথে ক্লাশ হতো। মেয়েদের সামনে যেন স্যার ম্যাডাম গুলো আমাকে অপমান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো। অথচ আমি ছিলাম পুরো স্কুলে হিরো। স্মার্ট। আধুনিক এবং মেয়েরা আমার জন্য পাগল পাগল ছিলো। কত মেয়ে যে আমাকে চিঠি দিয়েছে। চকলেট, মিমি দিয়েছে তার হিসাব নেই। সেই সব মেয়ে গুলো এখন কোথায় কে জানে! এদের মধ্যে একটা মেয়ে আছে মিশু নাম। দেখতে বেশ লাগতো। এখন দেখতে কেমন হয়েছে কে জানে!

স্কুলের সেই সব স্যার ম্যাডাম এখনও কেউ কেউ বেঁচে আছেন।
কেউ কেউ মরে গেছেন। মাঝে মাঝে দুই একজন স্যার ম্যাডামের সাথে রাস্তায় দেখা হয়েছে। তাঁরা আমাকে চিনতে পারেন নি। আমি ঠিকই চিনেছি। আমি সালাম দেই নি। কারন তাদের উপর আমার অনেক রাগ জমে আছে। অনেক কে দেখি স্কুল জীবনের শিক্ষকদের সাথে দেখা হলে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে। এত আদিখ্যেতা আমার পছন্দ না। স্যার ম্যাডাম গুলো আমার জীবনটা প্রায় তেজপাতা বানিয়ে দিয়েছিলো।

আমার রাগ বেশি। এই দুনিয়ায় আমি সবার উপরেই রেগে থাকি।
অবশ্য যার উপর রেগে থাকি, তাকে বুঝতে দেই না। রাগ প্রকাশ করি না। কিন্তু কিভাবে যেন সে ঠিকই বুঝে যায়। যাইহোক, আমাদের একজন ধর্ম শিক্ষিক ছিলেন। হুজুর মানুষ। চ্যাংড়া হুজুর। তাকে কেউ পাত্তা দিতো না। একমাত্র আমিই স্যারকে পাত্তা দিতাম। এজন্য স্যার খুশি হয়ে আমাকে ১০/২০ নম্বর বেশি দিয়ে দিতেন। একজন অংক স্যার ছিলেন। তিনি বোর্ডে অংক করতেন, আরা বলতেন- বেশি বেগ পেতে হচ্ছে? তাহলে বিকেলে আমার বাসায় এসো। আমি ব্যাচে পড়াই। এই স্যার পরীক্ষার আগে প্রায় প্রশ্নই দিয়ে দিতেন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকার তালিকা দীর্ঘ। কলেজে ভালো লাগতো আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্যার, মণিপুর স্কুলে শেখ সফদার আলী আমাদের প্রয়াত শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ...

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি যে সাদাসিধে ব্লগ লিখেন, পরিবার নিয়ে প্রায় সময় মাস্তিতে থাকেন, তাতে আপনাকে রাগী মনে হয় না...

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে--
মূলত আমি হাসিখুশি মানুষ। কিন্তু আমার রাগ হয়। খুব রাগ হয়। হাতে ক্ষমতা নেই তাই চুপ করে থাকি। কারন হাতে ক্ষমতা না থাকলে রাগ দেখানো বোকামি।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: স্কুল জীবনে এমন রাগ অনেক শিক্ষকের প্রতি হয় এটা অস্বাভাবিক না কিন্তু বৃধ্য বয়সে তাদের অসহায়ত্ব দেখে কষ্ট হয় । আমার এক শীক্ষক তো মানুষিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে মারা গেলেন তিনি তার পুত্রদের মেধা নিয়ে বেশ গর্বীত ছিলেন সেই পুত্ররাই তাকে শেষ বয়সে ফেলে চলে গিয়েছিলো । একজন পুত্রশোঁকে মারা গেলেন। ছেলেটি আমাদের সাথে দুই বছর পড়েছিলো মাদকের থাবা থেকে বাচঁতে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলো ওখানেই বিনা চিকিৎসায় অমানুষিক অত্যাচারে মারা যায়। একজন চিকিৎসার অভাবে কিডনি রোগে মারা গেলেন ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে যুগে শিক্ষা হচ্ছে ব্যবসা। অথচ শিক্ষা কোনো পন্য নয়।
প্রতিটা শিক্ষক প্রাইভেট পড়ায়। এবং অনেক টাকা নেয়।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


প্রিয় শিক্ষক একজন ছিলো পড়ানোর জন্য নয়, ব্যাক্তিত্ববোধের জন্য ;বড় হয়ে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: বেশির ভাগ মানুষ দেরী বুঝে। এটাই জীবন।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: আমার জীবনে আমি অনেক ভালো ভালো শিক্ষক/শিক্ষিকার সান্নিধ্য পেয়েছি। জীবনে অনেক স্কুল পরিবর্তন করেছি, এবং যেখানেই গিয়েছি বেশকিছু ভালো শিক্ষক/শিক্ষিকার সান্নিধ্য পেয়েছি। আমার সেইসব প্রিয় শিক্ষক/শিক্ষিকাদের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাদের কাছে আমি আজীবন ঋণী।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সেই সব শিক্ষকদের খোজ খবর নিন। তাদের জন্য কিছু করুণ।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: স্কুলের এক ম্যাডাম প্রথম সাক্ষাতে আমার চেহারা দেখেই আমার বাবার নাম বলে দিয়েছিলেন। পরে জেনেছিলাম তিনি আমার বাবার বান্ধবী ছিলেন। ওই ম্যাডাম আমাদের বিজ্ঞান পড়াতেন, আমরা কয়েকজন আরেকজন স্যারের কাছেও বিজ্ঞান পড়তাম।
স্যার আমাদের শিখাতেন- ঘড়, বাড়ি, কল, কারখানা, গাড়ি এগুলোা সব মানুষের তৈরী এবং গাছ পালা, চন্দ্র, সূর্য, পশু পাখি, মানুষ এগুলো সব সৃষ্টি কর্তার তৈরী
আর ম্যাডাম বলতেন- না, মানুষ ও মানুষের তৈরী, এগুলো তোমরা এখন বুঝবে না বড় হয়ে বুঝবে
বিষয়টা আমরা স্যারের কাছে বললে স্যার রেগে গিয়ে বলেছিলেন- তোমরা ম্যাডামকে বলতে পারলে না, মানুষ যদি মানুষের তৈরী হয় তাহলে আমাদের এক্ষুনি একটা মানুষ তৈরী করে দেখান।
পরে বিষয়টা নিয়ে স্যার আর ম্যাডার মধ্যে বেশ তর্কাতর্কি হয়েছিল, আমরা আর এর মধ্যে জড়াইনি, পরে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে নিজেরাই গবেষণা শুরু করে দিলাম, আসলে মানুষ কিভাবে হয়, পেটের ভিতর শিশু কিভাবে ঢুকে, আসলে ঘটনা কি!! ইত্যাদি... B:-)

বেশ কয়েক বছর আগে, উক্ত মেডামকে একটা রেস্টুরেন্টে দেখছিলাম, সে কিছু একটা খাচ্ছিল আর আমি একই রেস্ট্রুরেন্টে একটু দূর থেকে তাকে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম ইনিই তো আমাদের সেই মেডাম, চেহারা সেই আগের মতই আছে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, কাছে যাবো কি না, কথা বলবো কি না, কি বলবো, যদি না চিনে? ইত্যাদি ভাবতে ভাবতেই উনি আমার পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন, কথা বলা আর হলো না।
এখন বুঝি কাজটা আমি মোটেও ঠিক করিনি, উনার সাথে আমার কথা বলা উচিৎ ছিল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ সেই ম্যাডামের সাথে কথা বলা দরকার ছিলো। কেন বলেন নি? কি দ্বিধা ছিলো?

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন যারা আমার প্রিয় তালিকায়। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়েছি পুরনো ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে, সেখানে ছিলেন মিজ উরশুলা ভ্যানডপ। ক্লাস ফোর থেকে সিক্স পর্যন্ত পড়েছি সেন্ট জোসেফ স্কুলে। সেখানে প্রিয় ছিলেন ফাদার রেগ্যান রিগভী এবং মিজ ক্যাথরিন। ক্যাডেট কলেজে কোনো লেডি টিচার ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় শিক্ষক ছিলেন ডক্টর মহব্বত আলী খান, ডক্টর রওনক জাহান এবং ডক্টর এমাজউদ্দীন স্যার। কিন্তু সব চাইতে বেশী মিস করি আমার তিন জন গৃহশিক্ষকদের যারা আমাদের বাড়িতে এসে যৌথ পরিবারের একদংগল কাজীনদের সাথে আমাকেও পড়াতেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যেন কোন ক্যাডেট কলেজে পড়েছিলেন? ভুলে গেছি।
আমার বড় ভাই পোড়েছিলেন পাবনা ক্যাডেট কলেজে।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:


আমাদের সময়ের শিক্ষকেরা নিবেদিত-প্রাণ ছিলেন; হাইস্কুলের ৩ জন শিক্ষক আমাদের সাথে ফুটবল খেলতেন, ইহা আমি খুব অল্প স্কুলে দেখেছি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: এখনকার শিক্ষকেরা টাকা ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সত্তরের দশকে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের ভালো মনে হয়েছে। এর পরে high স্কুল আর কলেজের শিক্ষকদের ভালো লাগেনি, বেশিরভাগই তখন বাসাভর্তি প্রাইভেট পড়াতেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দরকার দক্ষ শিক্ষক।
কিন্তু টাকার লোভ শিক্ষকদের অন্ধ করে দিচ্ছে।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহর বিচার ও অভিশাপ শব্দদুটি দিয়ে কুসংস্কার প্রচার করা হয়।
কমলাপুরের ম্যাডামের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন।সাহস করে বললে খারাপ হতো না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য। আপনি একদম আসল পয়েন্টটা ধরেছেন।
ম্যাডামের মধ্যে কোনো জড়তা ছিলো না। শাড়ি পড়লে ম্যাডামের অনেকখানি ফর্সা পেট দেখা যেত। সেটা নিয়ে ম্যাডামের কোনো অস্বস্তি ছিলো না। শেলোয়ার কামিজ পড়লে ম্যাডাম ওড়না পড়তো না। দেখতে ভাল লাগতো।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪২

চারাগাছ বলেছেন:
আমি স্কুল লাইফে চমৎকার সব শিক্ষক পেয়েছিলাম। ভাগ্যবান বলতে পারেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ ভাল।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার কলেজের শিক্ষক আর প্রাইমারি স্কুলের দুয়েকজন বাদে আমার এ পর্যন্ত যত শিক্ষক পেয়েছি সবাইকে ঘৃণা করি , তারা সবাই শিক্ষক হবার যোগ্যতা রাখে না !!

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মতো অবস্থা।

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমাদের হাই-স্কুলে এক শিক্ষক ছিলেন, তাকে দেখে সবাই জমের মত ভয় পেত! তবে স্যার আমাকে তেমন মাড়তেন না, সম্ভবত আমি তার কাছে প্রাইভেট পড়তাম এর জন্য! তবে একদিন ক্লাসের বাই রে হাঁটু গেরে হাত দিয়ে কান দরিয়ে রেখেছিলেন রোধে। স্যারের বজ্র হুংকারে ক্লাসের সবাই তটস্থ থাকতে।

স্যার এখনো স্কুলে পড়ান। কয়েক বছর আগে স্কুলে গিয়ে দিয়ে দেখি স্যার বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, মুখে সাদা ধবধবে চাপ দাড়ি, ছাত্রছাত্রীরা নাকি তাকে আর ভয় পায় না বরং পিছন থেকে দাদু দাদু বলে ক্ষেপায়!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: রাগী, তর্জন গর্জন করা মানুষ গুলো শান্ত হয়ে গেলে- খুব মায়া লাগে।

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২১

িসজার বলেছেন: এই জীবনে অনেক প্রিয় শিক্ষকের সান্নিধ্যে এসেছি আর যাদের কাছ থেকে পেয়েছি কিছু অমূল্য শিক্ষা যা আমার জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে সবসময়। দুরন্ত ছিলাম না কিন্তু একেবারে সুবোধ ছিলাম তা বলা যাবে না! ম্যাডাম ও ছিলেন বেশ কয়েকজন পছন্দের আর আমি প্রেমেও পড়েছিলাম এক জনের! আফসোস উনি বিয়ে করে ফেলেন আর সম্পর্কের কোনো অগ্রগতি হয় নি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: সেই সব স্যার ম্যাডামরা ভাল থাকুক। সুস্থ থাকুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.