নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
১। আমরা যখন ছোট ছিলাম-
স্কুলে ভরতি হওয়ার আগেই মা, খালার কাছে দারুন সব ছড়া কবিতা শুনতাম। শুনতে শুনতে মুখস্ত হয়ে যেতো। আর এখনকার বাচ্চারা ইউটিউবে শুনে- ''আজ মঙ্গলবার/ ইদুরের জ্বর হয়েছে/ ইদুর গেলে ডাক্তারের কাছে/ ডাক্তার লাগালো সূই/ উই উই উই। এইসব রাইমস পড়ে বাচ্চারা কি শিখবে? আরেকটা রাইমস এরকমঃ বাবার পয়সা গোল গোল/ মায়ের রুটি গোল গোল/ দাদুর চশমা গোল গোল/ দিদার টিপ গোল গোল। বাচ্চারা ইউটিব ছেড়ে এসব শিখছে। বাচ্চার মা মোবাইলে বান্ধবীর সাথে গল্পে ব্যস্ত। বাচ্চার মা খুশি। কারন বাচ্চা তাকে জ্বালাতন করছে না। মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত আছে। এইসব বাচ্চা কাচ্চা ভবিষ্যতে কি করে ভাল মানুষ হবে?
২। গ্রামে আমাদের একজন কাকা আছেন।
আমরা গ্রামে গেলেই উনি সারাক্ষণ আঠার মতো লেগে থাকেন। কোনো কাম কাজ করেন না। যে পর্যন্ত কাকাকে দুইশ' টাকা না দিবো সে পর্যন্ত কাকা পেছন পেছন ঘুরঘুর করতেই থাকবে। টাকা দেওয়ার পর সে আরেকজনকে ধরবে। শহর থেকে গ্রামে গিয়েছি, কেন তাকে টাকা দিবো না। আর সে তো হাজার হাজার টাকা চাচ্ছে না। দুই শ' টাকা দিলেই খুশি। এরকম ৫/৬ জন দুই শ' করে টাকা দিলে তার অনেক টাকা হয়ে যায়। কিছু দিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম। কাকা পেছন পেছন ঘুরছেন। ফালতু সব কথাবার্তা সমানে বলে যাচ্ছেন। আমি প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছি। ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলতেও পারছি না।
কাকাকে দুই শ' টাকা দিলাম।
কাকার অনেক বয়স। ৫০ বছর তো হবেই। ছেলে মেয়ে আছে। তাদের বিয়েও হয়ে গেছে। এই কাকাকে গ্রামের কেউ পছন্দ করে না। তার স্বভাবের কারনে। তাছাড়া কাকা গাঁজা খায় নিয়মিত। একদিন আমি বললাম, কাকা এই বয়সে গাঁজা কেন খান? কাকা বললেন, চল্লিশ বছর ধরে গাঁজা খাই। বাবা আমি তো গরীব মানুষ। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে তো আর বোতল খেতে পারবো না। তাই সস্তা নেশা করি। পঞ্চাশ টাকা দিয়ে গাঁজা কিনি। বন্ধুবান্ধব নিয়ে খাই। গাঁজা নেয় পঞ্চাশ টাকা। সিগারেট কিনতে হয়। গাঁজা খাওয়ার পর খুব ক্ষুধা পায়। তখন দুধ রুটি খেলে মজা পাওয়া যায়। টাকার জন্য দুধ রুটি খেতে পারি না। মুডি খাই।
গত পরশু মোবাইল ফোনে খবর পেলাম-
কাকা এখন মসজিদে আযান দেয়। সারাদিনে পাঁচ বার। আমি প্রচণ্ড অবাক হলাম। কাকা কিভাবে আযান দেয়! সে তো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। স্পষ্ট উচ্চারনে কথা কইতে পারে না। অতি সাধারন কথা বলতে গিয়ে জড়িয়ে ফেলে। আর এই গাঁজা খাওয়া কাকা আযান দিচ্ছে! কাকা এখন মোয়াজ্জিন। কাকা লেখাপড়া জানে না। একদিন গ্রামে গেলাম। দেখি মসজিদ ঘর থেকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় কাকা আযান দিচ্ছেন। মাইকে আওয়াজটা বড় অদ্ভুত শোনাচ্ছিলো। মনে মনে ভাবলাম কাকা বোধহয় গাঁজা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কাকা এলেন। বললাম, কাকা খুব ভাল কাজ করছেন। আযান দিচ্ছেন। এটা অনেক ভাল কাজ।
কাকা বললেন, গাঁজা খাওয়ার পর খুব গান গাইতে ইচ্ছা করে।
কিন্তু আমার গলার অবস্থা ভাল না। তাছাড়া আমি গান গাইলে গ্রামের মানুষ বিরক্ত হয়। লাঠি দিয়ে তাড়া করে। এখন গাঁজা খেয়ে আযান দেই। গ্রামের মানুষ মনে করে আমি এখন 'লাইনে' এসেছি। আল্লাহর পথে এসেছি। এজন্য তাঁরা আমাকে খাতির করে। এর বাড়ি ওর বাড়ি গেলে বসতে দেয়। চা নাস্তা দেয়। তাছাড়া ইমামের সাথে সাথে থাকি। প্রতি সপ্তাহে কোথাও না কোথাও দাওয়াত থাকেই। দাওয়াত খাইয়ে আবার হাতে কিছু টাকাও গুজে দেয়। এই পদ্ধতি যদি অনেক আগে জানতাম তাহলে এত দিনে আমি অনেক টাকার মালিক হয়ে যেতে পারতাম। টাকার পথ চিনলাম শেষ বয়সে এসে। আফসোস।
৩। আমাদের পাশের বাসায় ঝগড়া হচ্ছে।
অতি কুৎসিত ঝগড়া। তাদের মুখের ভাষা বস্তির মহিলাদের মতোন। অথচ তাঁরা শিক্ষিত পরিবার। ভদ্র পরিবার বলে জানতাম। শ্বাশুড়ি ছেলের বউকে মাগী বলে গালি দিয়েছে। এবং বলেছে, তোর মা-ও মাগী। তুই এবং তোর মায়ের স্বভাব খারাপ। শ্বাশুড়ির কথা শুনে ছেলের বউ খুব রেগে গেছে। ঝাড়ু এনে শ্বাশুরিকে বললো- এখন তোকে ঝাড়ু দিয়ে মারবো। শ্বাশুড়ি বলল, তুই তোর বাপের জন্মের না। বউ বলল, তুই যৌবনে কত ব্যাটাদের সাথে সিনেমা দেখতে গেছিস মহল্লার মানুষ সব জানে। এলাকার মানুষজন বউ শ্বাশুড়ির ঝগড়া মন দিয়ে শুনছে। বুঝা যাচ্ছে তাঁরা খুব মজা পাচ্ছে। তাদের চোখে মুখে আনন্দ ঝলমল করছে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: কুরআন সত্যি হলে অধিকাংশ মানুষকে কোটি কোটি বছর জাহান্নামে থাকতে হবে। ইহা অবশ্যই মানসিক শান্তির বিষয় নয়। এটা মানবতা বিরোধী। একজন স্রষ্টা কখনো তার সৃষ্ট জীবের প্রতি এতোটা অমানবিক হতে পারেন না।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০
সোনাগাজী বলেছেন:
চট্টগ্রামের অনেক বয়স্ক লোকজন ইয়াবা খাচ্ছে। আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান এসেছিলো নিউইয়র্ক, তিনি এই তথ্য দিলেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: কুরআনের যে আয়াতগুলিতে বৈজ্ঞানিক ভুল আছে সেগুলি আমার মানসিক শান্তি এনে দিয়েছে। কারন কোটি কোটি বছর দোযখের আগুনের যে ভয় দেখানো হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা। এটা জেনেই আশ্বস্ত হই।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: কিছু চলমান ঘটনার সুন্দর বর্ণনা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: যখন কুরআনের দেখানো কোটি কোটি বছর দোযখের আগুনের পুড়ার ভয় থাকবে না তখনই পৃথিবীবাসী সুখে থাকতে পারবে। তখন এমনিতেই শান্তি আসবে।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২০
চারাগাছ বলেছেন:
আপনার উক্ত মসজিদের সভাপতি হওয়া উচিত।
উক্ত মসজিদে নিশ্চয় নামাজ পড়েননি ?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: না কখনও নামাজ পড়া হয়নি গ্রামের মসজিদে।
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: লিখাটা ভাল লেগেছে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
নতুন বলেছেন: ভালো হয়েছে রানু ভাই। আপনার এই ধরনের লেখা পড়ে বেশ আরাম পাই।
আপনার আসে পাশের মানুষদের দেখে লিখবেন ভালো লাগে।