নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওহে মানব নূর দিয়ে মানুষ তৈরী হয় না

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০



সব কিছুতেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিরাজমান।
যেমন ধরুন- আম, জাম, কলা, কাঠাল ইত্যাদি সমস্ত কিছুতেই। আবার ধরুন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টিভি, রকেট ইত্যাদি সব কিছুতেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিরাজমান। এই আমি, আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছি এটাতেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। এই যে রাত হচ্ছে, দিন হচ্ছে- এখানেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিরাজমান। এজন্য আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেই দিয়েছেন, 'আমার কোন কোন নিয়ামত কে তুমি অস্বীকার করবা'?! না অস্বীকার করি না। সুবানাহাল্লাহ। আল্লাহ মহান। সময় পেলে দুবার বিশাল আকশের দিকে তাকাবেন। একবার দিনের আলোতে, একবার মধ্যরাতে। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

এবার আসি আসল কথায়।
সৃষ্টিকর্তা বলে দুনিয়াতে বা মহাকাশে কেউ নেই। সৃষ্টিকর্তাকে তৈরি করেছে কিছু নির্বোধ ও চতুর মানুষ। নিজেদের সুবিধার জন্য, নিজেদের আরাম আয়েশের জন্য সৃষ্টিকর্তা নামক কাল্পনিক চরিত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজও ধর্ম গুরুরা রাজার হালে জীবনযাপন করে চলেছে। আরও দরিদ্ররা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রভু কারো ভাগ্য বদলায় না। কিন্তু গাধা গুলো বুঝে না- নিজের ভাগ্য নিজেকেই বদলাতে হয়। নামাজ, রোজা, আমল, নেকি, সোয়াব ইত্যাদি দিয়ে কিছুই হাছিল হয় না। একসময় মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তাই সৃষ্টিকর্তা ঝেকে বসতে পেরেছে মানুষের মাথায়। এযুগের বুদ্ধিমান মানুষেরা সৃষ্টিকর্তাকে কেয়ার করে না। তাঁরা ধুমসে দুর্নীতি করেই যাচ্ছে। মন্দ কাজ করেই যাচ্ছে। তাঁরা জানে সৃষ্টিকর্তা বলে আসলে কিছু নেই। কোরআন হাদীস দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চলে সংবিধান দিয়ে।

ধর্ম নয় কর্মটাই আসল।
মানুষের পরিচয় তার কর্মে। কর্ম বড়। ধর্ম একটা ফালতু বিষয়। ধর্ম থেকে দূরে থাকুন। জাস্ট কর্ম করে যান। এই কর্মই আপনাকে বাচিয়ে রাখবে। পথ দেখাবে। সফলতা দিবে। ধর্ম নিয়ে হাঙ্গামা, খুন, হানাহানি, দাঙ্গা কম হয়নি। ফলাফল কি? ফলাফল শূন্য। দেশভাগ হয়ে গেলে ধর্মের কারনে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই মানুষের চিন্তা ভাবনা হবে উন্নত। আধুনিক। পুরনো ধ্যানধারনা আঁকড়ে ধরে থাকলে ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। যার কাজ সুন্দর সে-ই সুন্দর। আপনি ধর্ম করুণ। সেটা আপনার একান্ত ব্যাপার। কিন্তু বর্তমান দুনিয়াতে কেহ সঠিকভাবে ধর্ম পালন করছে না। মসজিদ, মন্দির, গির্জা মানুষকে সঠিক পথে আনতে পারছে না। তাই এখন মানুষের প্রধান কাজ হচ্ছে- ধর্মের পেছনে না ছুটে, নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা। সফল হওয়া। সমাজের জন্য ভাল কিছু করা। এই আধুনিক যুগে ধর্ম নিয়ে ভাবার কিছু নেই।

ধরুন, আল্লাহর কাছে 'সময়' চলমান।
তাতে আপনার বা আমার কি? অথবা পৃথিবীবাসীর কি? আবার ধরুন, আল্লাহর কাছে 'সময়' স্থির- তাতে আপনার বা আমার কি? অথবা পৃথিবীবাসীর কি? পৃথিবীতে যে এত এত অন্যায় হচ্ছে তাতে আল্লাহর ভূমিকা কি? ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীরা আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? গতকাল সকালে ডাস্টবিনে কে বা কারা একটা নতুন জন্ম নেওয়া শিশুকে মেরে ফেলে গেছে, আল্লাহ কি এসব ঘটনা জানেন? দেখেন? হিরোশিমা সম্পর্কে কি ঈশ্বর কিছু জানেন? যখন শিশুদের ধর্ষন করা হয় তখন ঈশ্বর কোথায় থাকেন? নাকি ঈশ্বর আমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়ে দিয়ে মনে মনে বলে দিয়েছেন- নে ব্যাটার এবার চড়ে খা। যা খুশি কর। আমি কিচ্ছু বলব না। তোদের কিতাব দিয়েছি। মানলে ভাল। না মানলে মৃত্যুর পর খরব আছে। চোখের পানিতে ৫৭ টি দেশের অধিকাংশ মুসলিম শেষ হয়ে যাচ্ছে। আফসোস লাগে আমার।

আল্লাহ থাকলেও কিছু না, না থাকলেও কিছু না।
যা করার মানুষকেই করতে হবে। এই যে আজকের পৃথিবী এমন ছিলো না। মানুষের পরিশ্রমের ফলে আজকের আধুনিক পৃথিবী তৈরি হয়েছে। আল্লাহ এসে বা আল্লাহর নবীরা এসব করে দিয়ে যাননি। আল্লাহ/প্রভু/ঈশ্বর নিয়ে ভাবনা চিন্তা বাদ দিন। নিজেকে নিয়ে ভাবুন। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন। পরিবার নিয়ে ভাবুন। তারপর সমাজ ও দেশ নিয়ে ভাবুন। কিছু করুণ, যেহেতু মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছেন। যে জিনিস নেই সেসব নিয়ে ভাবা বাদ দিন। আর কত কচলাবেন? একদম তিতা হয়ে গেছে। সময় অপচয় করবেন না। আমাদের দেশ বা উন্নত দেশ গুলো ইসলামের নিয়মে চলে না। তাদের নিজস্ব সংবিধান আছে। দেশ চলে সংবিধানে। সেদিন একজনকে বলতে শুনলাম- মুসলমানদের আল্লাহ গরিবকে সবসময় সান্ত্বনা দেয়। কিন্তু সুবিধা দেয় ধনীদের।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভাল লেখেছেন রাজীব দা
ভাল থাকবেন--------

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: নিজের চোখে দেখি সূর্য প্রতিদিন পূর্ব দিকে উঠে,পশ্চিমে অস্ত যায়। পৃথিবীর দেখতে সমতল। বইতে পড়লাম সূর্য স্থির আর পৃথিবী গোল। হাজার বছর আগের এই তথ্য কি ঠিক আছে? না কি ভবিষ্যতে এই ধারণা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে?

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

চারাগাছ বলেছেন:



আপনি নিজে বিভ্রান্ত এবং চরম বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী।
আপনার মন স্থির না। আপনি ধর্মের বই পড়া থেকে বিরত থাকুন।
লোড নিতে পারছেন না। বিভূতি সুনীল আপনার জন্য ভালো।
এতে মানসিক প্রশান্তি আসবে। আপনার সংসার আছে , বাচ্চা আছে , বৌ আছে। এইসব ভাবার চেয়ে তাদের কে সময় দিন। ,মানসিক শান্তি পাবেন।

পৃথিবী বেশি দিনের না। পরের জীবনে যদি কিছু না থাকে তবে এই জীবনেই আপনাকে উপভোগ করতে হবে। উপভোগ করুন। এইসব ভাবনা আপনাকে প্রশান্তি দেবে না।
নাকি চান আপনি গৌতম বুদ্ধের মত গৃহত্যাগ করবেন ?
সেক্ষত্রে আপনি প্রিয় কন্যা , বৌ কে হারাবেন।
শুভকামনা।


০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর আকৃতি এবং গতি এবং আমাদের সৌরজগতে সূর্যের অবস্থান সম্পর্কে বর্তমান বৈজ্ঞানিক উপলব্ধি অনেক বড় প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত এবং ভবিষ্যতে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এসব ঈশ্বর টিশ্বর কিছু না, কর্মটাই আসল - এ উপলব্ধি মানুষের মাথায় যত তাড়াতাড়ি আসবে ততোই ভালো।
কাল্পনিক বিষয় নিয়ে সারাক্ষণ কল্পনা করে মনের শ্বান্তি বিনষ্ট করে লাভ নেই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মৌন পাঠক বলেছেন: মানুষই ঈশ্বর!
বা মানুষই ঈশ্বরের থেকে ও বড়!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ মানুষ।
ইয়েস। মানুষ।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: নূহের প্লাবনের সময় কত কোটি নিরপরাধ শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছে এই দয়াময় ঈশ্বর।রিচার্ড ডকিন্স তার ‘দি গড ডিল্যুশন ‘বইতে সুন্দর করে বলেছেন।তাকে আমরা দয়াময় বলবো।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আহা এরকম সত্য বলবেন না। প্লীজ। ধার্মিকদের লাগবে।

কুরআন শরীফে ঈসা নবীর নাম কেন আর বাইবেলের সাথে কুরআনের এতো মিল কেন?

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩০

বাকপ্রবাস বলেছেন: মানুষ ভাল থাকুক, ভাল কাজ করুক এটাই চাই, হোক সেটা ধর্ম দিয় কিংবা নাস্তিকতা দিয়ে। ইহকালটা সুস্থ্য সুন্দর চাই, পরকারে যারযারটা সে দেখবে, জোর করে কাউকে স্বর্গ নরকে যেন নিয়ে না নিয়ে যাই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মুসলমানই তার কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। কারণ যেকোনো মুসলমান ছেলেকেই তার বোধ বুদ্ধি হওয়ার আগেই নুনু কেটে মুসলমান হতে হয়।
যার কোন বৈজ্ঞানিক কারণ নেই।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৫

সেতু আমিন বলেছেন: আরেক আসিফ মহিউদ্দিন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: হুজুর আসসালামু আলাইকুম।

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেই সুর অসুর!!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: দেখুন ধর্ম টাকে বানানোই হয়েছে মানুষের ভয়কে কাজে লাগিয়ে দুই পয়সা উপার্জনের জন্য।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: বাইবেল হলো তোরাহর নকল আর কোরান হলো বাইবেলের নকল।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। রাইট।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:০২

অগ্নিবেশ বলেছেন: প্রমান ছাড়া যে কেউ, যা কিছু দাবী করতে পারে, তা এরা বোঝে না, আল্লাহ যদি সত্য হয়, তাহলে কালী শিব শাকঁচুন্নিও সত্য। রাজিব ভাই ঠিকই বলেছেন, ঈশ্বর তাদের যারা ঈশ্বর বানিয়েছেন, গরীবের আবার ঈশ্বর কি? ঈশ্বরের এই দুতেরাই গরীবকে শোষন করে।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: অগ্নিবেশ,
কেউ কালী শিব শাকঁচুন্নির পূজা কেউ করলে করুক তাতে তো সমস্যার কিছু নেই । আপনারা ধর্মের বিরুদ্ধে এই যে নিরন্তর বিষাদাগার করছেন ব্লগে সেটা কেন করছেন সেটাইতো বুঝতে পারলাম না এখনো । বিগব্যাং থিওরির অন্তত ২০টা ভেরিয়েশন আছে । এখন যদি কেউ বলে পুরো বিগব্যাঙটাই বিজ্ঞানের ধাপ্পাবাজি তাহলে কি চলবে ? এমন একটাও ভার্সন নেই বিগব্যাং থিওরির যার ব্যাপারে সমাধানহীন কোনো প্রশ্ন নেই। বিজ্ঞান ধাপে ধাপে এগুচ্ছে । এখনই সব জানিনা আমরা । ধীরে ধীরে বিজ্ঞান আরো জানবে কিন্তু সবই জানবে কিনা সেটাও কেউ জানে না । জানেনতো একটা জেনারেল থিওরির যেই চিন্তাটা প্রায় একশো বছর আগে করে আইনস্টাইন করেছিলেন আর যার পেছনে তার জীবনের একটা বড় সময় উনি দিয়েছিলেন সেটা এখনো বাস্তব হয়নি । এমআইটির থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের প্রফেসর বিখ্যাত তাত্বিক বিজ্ঞানী এলাইন লাইটম্যান যিনি নিজেকে এথিইস্ট বলেন আর বিশ্বাস করেন যে একটা জেনারেল থিওরি একদিন পাওয়া যাবে যা দিয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করা যাবে । কিন্তু সেই এলান লাইটম্যানও কিন্তু এইতো কয়েক বছর আগে এই সংশয়টা প্রকাশ করেছেন যে এমনও হতে পারে যে এই জেনারেল থিওরিটা যা দিয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করার যেই স্বপ্নটা বিজ্ঞানীরা দেখছেন সেটা কোনোদিনও হয়তো পাওয়া যাবে না। জেনারেল ফিজিক্সের স্ট্রাকচারের মধ্যে থেকে সৃষ্টির অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না বলেই কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু সেই কোয়ান্টাম ফিজিক্স সব প্রশ্নের উত্তর দেবার মতো পর্যাপ্ত নয় । বিজ্ঞান আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় একটা টুল জানার ব্যাপারে।কিন্তু বিজ্ঞান দিয়েই জানা সম্ভব হবে বা আমরা সব জেনে ফেলবো সেটা কিন্তু নাও হতে পারে। এই চিন্তা সত্যি হবার সম্ভাবনা কিন্তু অনেক ।ডক্টর হকিন্সের জীবনের শেষ আর্টিকেলটা যেটা তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়েছিল তা কিন্তু এ ধরণের সংশয় কথাই বলে। আপনি আর্টিকেলটা নিজ পরে নিলেই এই ব্যাপারে অনেক কিছু আরো পরিস্কা রকরেই বুঝবেন বলে আমার বিশ্বাস ।রাজীব নূর, ধর্ম নিয়ে এই সব হাবিজবাই না লিখে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ুন । ধর্মের বিরুদ্ধে আপনার যুক্তিগুলো কিন্তু হাস্যকর রকমের প্রাগৈতিহাসিক হয়ে যাচ্ছে ইদানিং !

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৭

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: তিনি কিছু নিয়ে ভাবছেন তার ল জিক দেখাচ্ছেন, আর ও এক জন তার বিপক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন।
আর লাভবান হচ্ছি আমরা। জানতে পারছি, চিন্তা করছি।
আসলে এই ধ রনের আলোচনা খুবই দরকার।
এতে ব্ল গ খুবই উপভোগ্য হয়।
প্লিজ রাজীব ভাইকে লিখতে বাঁধা দিবেন না।
আমাদের মুস লিম সমাজে এখন খুবই দরকার মুক্ত চিন্তার অনুশীলন।

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের উপর রটনা সেই দিন থেকে শুরু হয়েছে যেই দিন ধর্ম ত্যাগের দায়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছিলো । যদি এমন হতো যারা ধর্ম কে ভালোবেসে ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রেখে ইসলাম ধর্মে থেকে যেতো ঠিক তাদের নিয়েই মুসলিমরা এগিয়ে যাবার চেষ্টা করতো তাহলে ইসলাম নিয়ে এই যে এতো বিতর্ক তা মনে হয় কিছুটা কমতো । আপনি এমন একটা ধর্ম পালন করছেন যার এক ভাগ অনুসারী ভয়ে নিজের জীবন বাচাতে ধার্মিক সেজে থাকে তাদের কাছ থেকে ঘৃনাই আপনাক এপেতে হবে ।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এটা কি ধরনের পোষ্ট? আপনি কি মানসিক অসুস্থ্য নাকি?

এভাবে কথা বলে ধর্মের প্রতি বিষেদাগার ছড়ানোর পিছনে কি যুক্তি আছে বুঝিনা । আপনার এই পোষ্টে কি ধরনের যুক্তি আছে যে আপনি ধর্মের প্রতি বিষেদাগার ছড়াতে পারেন? আপনি আপনার পোষ্টে নামকরন করেছেন ওহে মানব নুর দিয়ে মানব তৈরী হয় না। আপনি কতটুকু জ্ঞান রাখেন যে এই কথা বললেন। মানুষ কেনো সমগ্র মহাবিশ্বই তৈরী হয়ে ছে নূর দিয়ে। আপনি কি বস্তু বা পরমানুর গভীরতা সম্পর্কে জানেন। আপনি কি জানেন প্রতিটিা বস্তু কোয়ার্ক এবং ইলেকট্রন কনা দিয়ে তৈরী। কনা কি কোন বস্তুু নাকি ওয়েভ বা আলো? আপনি আপনার চোখ দিয়ে মানুষকে বস্তুর আকৃতিতে দেখলেও মানুষ কিন্তু বস্তু না আপনার চোখ এভা্বে দেখলেও মানুষ কিন্তু কনা বা আলো? সমগ্র মহাবিশ্বের রুপটা কনা বা আলো দিয়ে? আপনার নামকরনই অযৌক্তিক।

আপনি লিখেছেন সৃষ্টিকর্তা সবত্রই বিরাজমান নয়। আরে ভাই আপনি কি প্রমান করতে পারবেন সৃষ্টিকর্তা নাই। যুক্তি দেখান। গবেষনা কোথায় আছে সেই গবেষনা দেখান। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের চূড়ান্ত দৃষ্টিভঙ্গি বলছে আমাদের মহাবিশ্ব আরেকটি মহাবিশ্ব থেকে এসেছে। আন্দ্রে লিন্দ্রে, এ্যালেন গুথ সহ অনেকেই বলছে আরেক মহাবিশ্ব থেকৈ এই মহাবিশ্ব আবির্ভাব। স্ট্রিং তত্ত্বমতে, মহাবিশ্বের কণাগুলো যে বিন্দুতে বসে আছে, ওগুলো অ্যাবসুলেট মিনিমাম নয়। লোকাল মিনিমাম। একটা সময় গিয়ে লোকাল মিনিমাম অবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। তখন কণাগুলো আর এই বিন্দুতে থাকতে পারবে না। চলে যাবে অ্যাবসুলেট মিনিমাম শক্তির বিন্দুতে।আর সেই বিন্দুগুলো আসলে আলাদা আরেকটা মহাবিশ্বের (যেটা আসলে অ্যাকচুয়াল মহাবিশ্ব) অংশ। তাই লোকাল অবস্থা ভেঙ্গে পড়লে (কুল্লুমান আলাইয়া ফান) আমাদের বর্তমান মহাবিশ্বের আর অস্তিত্ব থাকবেনা। এই মহাবিশ্বের সব উপাদান চলে যাবে আরেকটা মহাবিশ্বে।বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এই পদার্থ ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ার একটি কারন দেখিয়েছেন। তিনে সতর্ক করে বলেছেন মহাবিশ্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ঈশ্বর কণাখ্যাত হিগস বোসন কণার।হকিং দাবি করেছেন, উচ্চশক্তি স্তরে হিগস বোসন কণা ভারসাম্যহীন হয়ে উঠতে পারে। এই কণা অস্থিতিশীল অবস্থায় এলে তা ‘ধ্বংসাত্মক ভ্যাকুয়াম অবক্ষয়’ তৈরি করতে পারে, যাতে স্থান ও কাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কোনো আগেভাগে কোনো বিপদসংকেত টের না-ও পাওয়া যেতে পারে।সম্প্রতি স্টারমাস নামের একটি বই সম্পর্কে তথ্য জানাতে গিয়ে ঈশ্বর কণার সর্বনাশা বৈশিষ্ট্যের কথা জানিয়েছেন এই বিজ্ঞানী। হকিং দাবি দাবি করেছিলেন, ১০০ বিলিয়ন গিগা-ইলেকট্রন ভোল্টসের বেশি শক্তি অর্জন করলে হিগস বোসন কণা ‘মেগা-স্ট্যাবল’ বা সর্বোচ্চ সুস্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছায়। এ কণা এরপর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আরেকটি মহাবিশ্বের অংশ যখন এই মহাবিশ্ব। এই মহাবিশ্বের সকল উপাদানই যখন নিজের নয় তাহলে আরেক মহাবিশ্বের তাহলে এই মহাবিশ্বে তো অন্য মহাবিশ্বেরই উপাদানই বিরাজিত। সেই আরেক মহাবিশ্ব তো ঈশ্বরের মহাবিশ্ব। সেই মহাবিশ্ব এর স্পেস টাইম অসীম। আর আমরা সসীম। এই হলো পাথক্য।

ধর্মব্যবসায়িদের নিয়ে যদি আপনি কিছু বলতেন তাহলে আমরা মেনে নিতাম যে আপনি ‍যুক্তি সঙ্গত কথা বলছেন। স্রেফ ফাজলামো করছেন! কি এমন প্রমান এভিডেন্স আছে আপনার কাছে ধর্ম বিরোধী স্রষ্টা বিরোধী। মনে করছেন এরকম দুই একটা কথা বললে আমি হিট হয়ে যাবো জার্মান কানাডা আমাকে ভিসা দিয়ে দিতে পারে। আমি দেশের বাইরে চলে যেতে পারবো। এটা এত সহজ না। ধর্ম বিরোধীতা করার যোগ্যতা লাগে। আপনি এমন কোন যোগ্য নই স্বস্তা সেন্টিমেন্টে এ ধরনের কথা বলার আগে ভাববেন আপনি এটা কি বলছেন? আপনি কতটুকু যোগ্য? আপনার এসব কথার পিছনে কতটুকু যুক্তি আছে। অনেক নাস্তিকই ঈশ্বর বিরোধী কথা লেখে। তারা প্রমান করার চেষ্টা করে আমরাও তাদের সাথে আলোচনা করি। কিন্তু আপনি এ কি লিখছেন এটা কি কোন পোষ্ট? আপনার সাথে কি আলোচনা করবো! আপনি কি এগুলো বোঝেন?

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ কামাল১৮, আপনি ডকিন্সের ‘দি গড ডিল্যুশন’ বইয়ের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেছেন নুহের প্লাবনের সময় ঈশ্বর কতমানুষের হত্যাকারী তাকে কি আমরা দয়াময় বলবো? শোনেন কামাল১৮, ইশ্বর সর্ম্পকে রিচার্ড ডকিন্সের ভূল ধারনা তাকে দিয়ে এধরনের কথা বলিয়েছে। কারন ডকিন্সের তো এক চোখ কানা। এ্ক চোখ দিয়ে ঈশ্বরকে দেখে। তাই ঈশ্বররের এক অংশ দেখতে পাই। অন্য অংশ দেখতে পাই না। ইশ্বরের ৩৬০ ডিগ্রীর মেধ্যে যদি কেউ ১৮০ ডিগ্রী দেখতে পাই তাহলে তো সমস্যা তার আমাদের নয়। যদি তাই না হতো তাহলে তো তিনি জানতেন দয়াময় ছাড়াও ঈশ্বরের আরেকটি নাম আছে যাকে বলে ইয়া কাহারু বা কঠোর শাস্তিদাতা। ঈশ্বরের এই অংশকে রিচার্ড ডকিন্স কেনো দেখেন নি? কারন নূহের প্লাবনের সময় ঈশ্বরের ক্রোধ মানবজাতির উপর আছড়ে পড়েছিলো। শাস্তি তো শাস্তি। শাস্তির ক্ষেত্রে দয়ার প্রশ্ন আসে কেনো?
আপনার যেভাবে দয়ার প্রসঙ্গ আনেন সেটা এমন একজন খুনী খুন করেছে। না ভাই তাকে ক্ষমা করে দাও। এটা কি হয়? শাস্তি তো শাস্তি। কিন্তু খুনি নিজের জীবন বাচাঁতে একজন মানুষকে খুন করলো। সেটা ইশ্বর ক্ষমার কথা ভাবতে পারে। এখানেই ঈশ্বর দয়াময়।

আপনি নূহের প্লাবনের কথা বলছেন। এ গুলি তো মানুষের উন্নয়ন এর কারনে প্রাচীন প্রজাতির ধ্বংশের মাধ্যমে সুন্দর প্রজাতির সৃষ্টির খেলা। এখানে আপনি যেমন নেগেটিভ বিষয় দেখছেন তেমন পজিটিভ বিষয়ও বিদ্যমান। তবে একটি কথা মনে রাখবেন যারা ঈশ্বরের ৩৬০ ডিগ্রির মধ্যে ১৮০ ডিগ্রি দেখে তাদের একচোখ কানা। যেমন আপনার ডকিন্স এর এক চোখ কানা।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আমি তর্ক করা পছন্দ করি না।

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ লেখক, আল্লা আল্লা করুন। আপনার মধ্যে প্রশান্তি ফিরে আসবে। আর যদি পারেন নামাজ পড়েন। আপনার মস্তিস্কের পারফেক্টনেস আপনাকে সুস্থ্য করবে। আপনি ভালো থাকুন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক। ভালো থাকুন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খুব ভালো আছি।
টাকাপয়সায়, খাবারদাবারে। পরিবারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.