নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তমনা মানুষেরা কি পারবে সমাজের কুসংস্কার গুলো দূর করতে?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১১



সমস্যা হলো সমাজের সব মানুষ মুক্তমনা নয়।
বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই আছে নানান রকম কুসংস্কার। সবচেয়ে বিপদজনক কুসংস্কার হলো- ধর্মীয় কুসংস্কার। ধর্মীয় কুসংস্কার সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। একটা শিশু বড় হয়- বাবা মায়ের ধর্মীয় গোঁড়ামি দেখে দেখে। তারপর এই শিশুর মধ্যে বাসা বাদে ধর্মীয় গোঁড়ামি। এর থেকে সে আর বেড়িয়ে আসতে পারে না। শিশুকে ভয় দেখিয়ে বড় করা হয়- তুমি এখন খাও, নইলে আল্লাহ গুনাহ দেবে। পাপ দেবে। তুমি এখন ঘুমাও, নইলে শয়তান এসে পড়বে। দুষ্টমি করো না- আল্লাহ রাগ করবে। প্রভুকে ভালোবেসে নয়, ভয় পেয়ে শিশুরা বড় হয়।

এই আধুনিক যুগে এসে মানুষ তাবিজ কবচে বিশ্বাস রাখে।
ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে। রাতে খারাপ স্বপ্ন দেখলে হজুরের কাছে যায় পরামর্শের জন্য। হুজুর বলে- একটা মূরগী ছদকা দিতে। সেই মূরগী হুজুর চিবিয়ে চিবিয়ে খায়। অনেকে মানত করে সিলেট মাজারে ছাগল দিবে। একই ছাগল প্রতিদিন দশবার করে বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চা পাঁচ বছর হয়ে গেছে কিন্তু বিছানায় মুতে, বাচ্চার বাবা মা নিয়ে যায় হুজুরের কাছে। হুজুর ফু দিয়ে দেয়। কেউ কেউ কাইতন শিশুর কোমরে দেয়। বাচ্চার ক'দিন পরপর অসুস্থ হয়, বাচ্চার বাবা মা রোজা রাখে। ধর্মীয় বেড়াজাল থেকে এই আধুনিক যুগে এসেও মানুষ বের হতে পারছে না।

একটি সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ কি আদৌ সম্ভব?
সমাজের যারা অধিপতি, যারা সমাজ আধুনিক করবে, মানুষকে সচেতন করবে- তাদের মধ্যেই গোঁড়ামি দিয়ে ভরা। তাহলে এই সমাজ কুসংস্কারমুক্ত হবে কি করে? আপনি হাজার বলে কয়ে একজন কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষকে লাইনে আনতে পারবেন না। আমাদের দেশে পাঁচশ' মডেল মসজিদ করা হয় কিন্তু পঞ্চাশটা লাইব্রেরী করা হয় না। এখন আপনিই বলুন সমাজ কিভাবে বদলাবে? সমাজের সব মানুষের মধ্যে একটাই চিন্তা আমার পরিবার ভালো থাকুক, অন্যের পরিবার বন্যায় ভেসে যাক। শুধু মাত্র সঠিক শিক্ষাই পারে কুসংস্কার দূর করতে।

আমার কথা বলি- আমার মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই।
আমার বাচ্চা অসুস্থ হলে আমি মসজিদে মিলাদ পড়াই না। রোজা রাখি না। কোনো হুজুরের কাছে যাই না। তাবিজ কবচ তো দূরের কথা। ডাক্তারের কাছে যাই। ডাক্তারের কথা মতো চলি। কিন্তু আমার খালাতো ভাইয়ের বাচ্চা অসুস্থ হলে- তাঁরা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে হাতে কাইতন বাঁধে। জমজম পানি খাওয়ায়। রোজা রাখে। ছদকা দেয়। কোরআন পড়ে। বাচ্চা ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে সূরা পড়ে ফু দেয়। মাগরিবের আযানের সাথে সাথে ঘরের দরজা জানালা লাগাতে হয়, নইলে ঘরে শয়তান ঢুকে যাবে। এরকম চিন্তা ভাবনার মানুষ আজও আছে, বহু আছে।

মুক্তমনা মানুষেরা সমাজের ভালো চায়।
মুক্তমনা মানুষেরা চায়- মানুষ আধুনিক হোক। তাদের চিন্তা ভাবনা উন্নত হোক। তাদের মধ্যে থাকা কুসংস্কার গুলো দূর হোক। উন্নত দেশের একটা শিশু যেভাবে সঠিক আধুনিক শিক্ষা পেয়ে বড় হয়, আমাদের দেশের শিশুরা সঠিক ও আধুনিক শিক্ষা পেয়ে বড় হচ্ছে না। কারন তাদের বাপ মায়ের মধ্যেই নানান রকম কুসংস্কার দিয়ে ভরা। এক বাচ্চা খেলা করতে গিয়ে জানালার গ্রিল থেকে পড়ে গেছে। তাদের বাবা মায়ের ধারনা শয়তান বাচ্চাটাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এখন ঘরে সোনা রুপার পানি ছিটাও। ধর্মীয় শিক্ষার চেয়ে বেশি জোর দিতে হবে আধুনিক শিক্ষায়। মাদ্রসা সমাজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: দিন দিন যেন এই সব আর ও বেশি বেড়ে যাচ্ছে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো দূর করার দায়িত্ব আপনার আমার আমাদের।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দেখেন গল্প থাকবে গল্প তৈরি হবে
কৃসংস্কারের রূপ পরিবর্তন হবে
একই ধারা থাকবে শুধু নাম পরিবর্তন

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমি বুঝতে পারি না। কখনই পারি না। একটু সহজ করে বলুন।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনি মুক্তমনা না দোদুল্যমনা ? :(

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মুক্তমনা।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

কাঁউটাল বলেছেন: জ্বিন কফিল কইছিল কোহেকাফ নগরে নাকি "মুক্তমনা" ব্রান্ডের (উন্নত জাতের দুই কাঁটাওয়ালা) গুড়া কিরমি পাওয়া যায়। আপনার জন্য দুই কৌটা অর্ডার দিতে পারেন। জিনিস ভাল, যথেষ্ট পরিমানে চুলকানি উদ্রেক করতে পারবে। আপনার লেখার মাণ আরও বাড়ানোর জন্য এইরকম কিছু দরকার।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: মাল্টি নিক গুলো কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষের চেয়েও বেশি খারাপ।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শিশুদের যদি কুসংস্কার মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা যায় তাহলে হয়তো দূর করা সম্ভব।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: পুঁথিবিদ্যায় উচ্চশিক্ষিত মানুষগুলো যখন সামান্য ঘুষ ছাড়া গরী কৃষকের ব্যাংক ঋন মঞ্জুর করে না/উচ্চশিক্ষার মেধা দিয়ে দেশের টাকা লোপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া বানায় এমন উচ্চশিক্ষিত হবার চাইতে ধর্মী অনুশাসনে সৎ/নিষ্ঠাবান মানুষ হওয়া ভালো-অন্যায় করলে পরকারে শাস্তি আছে এই ভয়ে যদি সমাজে অন্যায় বন্ধ হয় তবে এই কুসংস্কারই ভালো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

বিটপি বলেছেন: যে দেশে শিশু শিক্ষার মান দিনকে দিন ডাউনগ্রেড হচ্ছে, যে দেশে একের পর এক ইন্ড্রাস্টি ফল করছে, ব্যাংক দেউলিয়া হচ্ছে, বেকারত্ব হু হু করে বাড়ছে - এরকম একটা দেশে বসবাস করে আপনার কাছে কেবল কুসংস্কারকেই সমস্যা মনে হচ্ছে?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের আরেক নাম হচ্ছে সমস্যার দেশ। এই দেশে সমস্যার শেষ নেই।

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: বিষাদ সময় বলেছেন: আপনি মুক্তমনা না দোদুল্যমনা ?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: !

৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনার মগজের নিউরনে একই জিনিস ঘুরে ফিরে খেলা করছে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মগজে অনেক কিছু খেলা করে।

১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনি সংস্কৃতি কথা প্রবন্ধটি না পড়ে থাকলে একবার পড়ে দে্খতে পারেন আশা করি আপনার ভাল লাগবে।


**বার্ধ্যক্যে পৌঁছান দেখবেন আনেক কিছু বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করবে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ প্রবন্ধটি পড়বো। পিডিএফ আছে?

বার্ধক্য মানুষের মনকে দুর্বল করে দেয়।

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

চারাগাছ বলেছেন:

সদকার মুরগি যে মোল্লা বাড়ি যায় এই কুসংস্কার থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে হবে।
অসহায় , এতিম , অভাবীদের ঘরে সদকা চলে যায় এ বিষয়ে আপনার কোন ধারণায় নেই আশা করি। আমি আপনাকে যত পড়ছি ততই নিরাশ হচ্ছি।

আপনি যে পরিমান খাওয়া দাওয়া করেন তাতে আপনার রোজা রাখা কঠিন। রোজার দিনে আপনার জিভে পানি চলে আসে। সারাদিন খাই খাই করতে থাকেন। আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যায়। একজন মিলাদ পড়ানো হুজুর আপনার চেয়ে কম খায়। কোন মুক্তমনা কে আপনার মত খেতে দেখিনি।
আপনার জন্য রোজা রাখা কষ্টকর।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন, অনেকে সদকা (মূরগী) মসজিদে দেয়। তাঁরা মনে করে এতে কাজ হয় বেশি। তারপর ধরুন, অনেকে আকিকা দেয়। আকিকার মাংস গরীবেরা পায় না। নিজেরাই খেয়ে নেয়। কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনকে দেয়। ইহা ভুল।

আমি অতি সামান্য খাই। রোজা আমি রাখি না। সারাদিন না খেয়ে থাকা বোকার কাজ। হুজুরেরা প্রচুর খায়। হুজুরদের বাসায় দাওয়াত দেন। দেখুন।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

বিষাদ সময় বলেছেন: নিচের লিঙ্কে চেষ্টা করতে পারেন-

সংস্কৃতি কথা

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি নিয়মিত বাচ্চার জন্য রোজা রাখি । ওর জন্মদিনেও রোজা রেখেছিলাম। তার অসুস্থতার জন্য আমি ডাক্তারের চেয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখি।
আমার রোজা রাখা নিয়ে আপনার বাসার চুলা নিশ্চয় বন্ধ হয় নি। আপনার গালে কেউ কষে থাপ্পড় দেয়নি। আপনার মেয়েকে কটু কথা শোনায়নি।
তাহলে আমি রোজা রাখলে আপনার সমস্যা কি ?
আমি সদকা দিলে আপনার সমস্যা কি ?
তাহাজ্জুদে দাঁড়ালে আপনার সমস্যা কি ?


আমার বাচ্চার যখন অসুস্থ হয় তখন ও আপনাকে ডাকে না , আল্লাহ কে ডেকে বলে , 'আল্লাহ সারাই দাও'!
বিরক্ত করে আল্লাহকে , আপনাকে নয়।
ও আল্লাহকে ডাকলে আপনার সমস্যা কি ?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো ভয়াবহ রকমের ধার্মিক!!! ধার্মিকের আমার ভয় লাগে।

অসহায় ও দুর্বল মানুষের শেষ ভরসা আল্লাহ্‌। কিন্তু আল্লাহ শেষ পর্যন্ত রক্ষা করেন না।
রোজা রাখলে হয়তো সামান্য কিছু উপকার পাওয়া যায়।

আপনি রোজা রাখুন, তাহাজ্জুদ পড়ুন, সদকা দিন- আমার কোনো সমস্যা নাই। তাতে আপনি কি কি উপকার হয় সেটা বলেন?
ধরুন, আপনি পরীক্ষা দিতে গেলেন।, পরীক্ষায় খাতায় কিছুই লিখলেন না। এখন বাসায় এসে যদি সারাদিন আল্লাহ্‌ আল্লাহ করেন, তাতে কি পরীক্ষায় পাস করে যাবেন?

১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

অগ্নিবেশ বলেছেন: যাচাই বাছাই না করেই যারা কোনো কিছু বিশ্বাস করে তারাই ধার্মিক। এই ধার্মিকরা যে বলদামী করবে এটাই স্বাভাবিক। এদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ যদি থাকে এবং পরীক্ষা নেয় এই ধার্মিক বলদগুলো ডাহা ফেল করবে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ১০০% রাইট।

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের দেশে মূলত ধর্মহীনতা মানে মুক্তমনা। আসলে কি তাই? মুক্তমনা হওয়া যতটা সহজ মনে হয় বাস্তবে তা আসলে ততটাই কঠিন। মুক্তমনা হতে গেলে শুধু ধর্ম থেকে নয় পরিবেশ, পরিস্থিতি , ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, জাতীয়তা, পরিবার পরিজন সব কিছুর প্রভাবমুক্ত হয়ে চিন্তা করতে পারতে হয়। মুক্তমনা ব্যাক্তিকে কোন ডিসিশনে আসতে গেলে নিরপেক্ষ ভাবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করতে হয় এবং নিজের ডিসিশন এর বিরুদ্ধে নিজের মনে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুড়ে রাখতে হয়। কিন্তু আপনি হুটহাট যেভাবে মতামত দেন তাতে আপনার মুক্তমনের ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সংশয় আছে। আমি আপনাকে যতটুকু বুঝেছি তাতে মনে হয় আপনি যুক্তি নির্ভর নন, আবেগ নির্ভর মানুষ। ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: একজন মানুষের মধ্যে অনেক কিছুই বিদ্যমান থাকে।
আবেগ থাকে, ভালোবাসা থাকে, প্রেম থাকে, অভিমান থাকে, দুঃখ থাকে, দ্বিধা থাকে। সব কিছু মিলিয়েই সে মানুষ।

আমার এক দূরসম্পর্কের চাচা আছেন। ব্যবসায়ী। ভন্ড ব্যবসায়ী। নকল পন্য বিক্রি করে। মানুষকে ঠকায়। তার দোকানে বেচাকেনা না হলেই সে দোকান ঝাড়ু দেয়, পানি ছিটায়। এখন বলুন ঝাড়ু দিলে আর পানি ছিটালে বেচাকেনা বাড়বে? এই যে মানুষের মধ্যে কুসংস্কার এগুলো দূর করা দরকার।

১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামের পিছে লাগা মানে মুক্তমনা। আপনার মত।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম নয়। কুসংস্কার।

১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

চারাগাছ বলেছেন:
সদকা আকিকা আপনি সঠিক জায়গায় দিন। অভাবীদের দিন কেন নিষেধ করেছে ?
আপনি নিষেধ করছেন কেন ?


আপনার কাছে না খেয়ে থাকাটা বোকার কাজ। কিন্তু যারা রোজা রাখছে তারা শুধু না খেয়ে থাকছে না।

আপনাকে কেউ কি বলছে রোজা রাখুন ? যদি বলে তবে তাদের না করে দিন।

আপনার নিজের ভেতর সমস্যা চলছে। রমজান আসন্ন। এই সমস্যা আরো দীর্ঘ হবে। তবে ট্র্যাজেডি হচ্ছে আপনি আপনার ফ্যামিলিকে রোজা না নামাজ থেকে বিরত রাখতে পারবেন না। এটা ভয়ঙ্কর রকমের দুঃখজনক ব্যাপার।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি জোর করে ধরে আমাকে অসুস্থ বানাতে চাচ্ছেন।

১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

চারাগাছ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ইসলাম নয়। কুসংস্কার।

কোনটা কুসংস্কার ?
নামাজ , রোজা , জাকাত ?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: নামাজ পড়লে বেহেশত, রোজা রাখলে আল্লাহ্‌ খুশি হবেন, রমজান মাসে জাকাত দিলে পরকাল ভালো কাটবে- এই চিন্তা ভাবনা গুলো কুসংস্কার।

১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নতুন বলেছেন: আপনি ধর্মীয় বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং আমাদের সমাজে প্রচলিত বিশ্বাসকে গুলিয়ে ফেলেছেন।

ধরুন, আপনি পরীক্ষা দিতে গেলেন।, পরীক্ষায় খাতায় কিছুই লিখলেন না। এখন বাসায় এসে যদি সারাদিন আল্লাহ্‌ আল্লাহ করেন, তাতে কি পরীক্ষায় পাস করে যাবেন?

আপনি যে উপরে উপমা দিলেন সেটা কি কোরানে বা হাদিসে কোথাও আছে যে আল্লাহ বলেছেন যে কাজ না করে আল্লাহের নাম ডাকলে ফল পাবে?

সমাজে প্রচলিত বিশ্বাসগুলি আমাদের সমাজের সমস্যা মুল ধর্মের না।

আপনার পোস্টের যেই বিষয়গুলি সেইগুলি বেশির ভাগই আমাদের সমাজে প্রচলিত বিশ্বাস, ধর্মীয় নিদের্শ না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে এসব উৎপত্তি হয়েছে। কাজেই সব সব দোষ ধর্মের।

২০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বিষাদ সময় বলেছেন: এখন বলুন ঝাড়ু দিলে আর পানি ছিটালে বেচাকেনা বাড়বে?
না বাড়বে না । কিন্তু কিসে বাড়বে সেটা ভালভাবে না বুঝিয়ে যদি শুধু বলেন এতে কাজ হবে না এটা কুসংস্কার তবে কদিন পর হয়তো তিনি ব্যবসা ছেড়ে ঠকবাজী বা প্রতরণায় নেমে পড়বেন।

কোন ব্যক্তিকে আগে সুসংস্কার দিন, কুসংস্কার এমনিতেই দূরে চলে যাবে। আর কারও সম্বল যদি কুসংস্কারটুকু হয় তাকে কিছু না দিয়ে সেটুকু কেড়ে নিলে সে শুন্য স্থান হয়তো আরো ভয়ঙ্কর কিছু দ্বারা পূর্ণ হতে পারে।

বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে ছোট খাটো অসূখ সারােনোর জন্য মানুষের ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট এমনকি বড় বড় অসুখের ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি রুগীর মনোবল অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে ঝাড়ফুক বা পানিপড়া নিঃস্ব মানুেষর জন্য সে কাজটি করে থাকে। তবে সামর্থ্য থাকলে ওষুধের বিকল্প কথনই পানি পড়া নয়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

২১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৪

চারাগাছ বলেছেন:
রোজা রাখলে অবশ্যই আল্লাহ খুশি হবেন।
এটা ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী ছাড়া সকলেই জানে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি না খেয়ে থাকলে আল্লাহ্‌ খুশি হবেন?
বাংলাদেশ গরীব দেশে। এই দেশের দরিদ্র মানুষেরা প্রায় সারা বছরই ভূখা থাকে। তাতে কি আল্লাহ খুশি হন না?

২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: সকল ধর্মই কুসংস্কারে ডিপো।আধুনিক রাষ্ট্রগুলো ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসছে।আমরা রাষ্ট্রের গায়েই ধর্ম চাপিয়ে দিয়েছি।নাগরিকরাও ধর্ম পালন করে,রাষ্ট্রও ধর্ম পালন করে।
ধর্ম পালনের এক প্রতিযোগিতা চলছে।কুসংস্কার না থাকলে যে ধর্ম থাকে না।কেমিষ্ট্রিতে পিএইচডি করা বুয়েটের শিক্ষক গরুর হাড্ডিতে পায় আরবিতে আল্লাহ লেখা।তার ছাত্ররা আর কি শিখবে।
এক সময় মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: একদম রাইট বলেছেন। দশে দশ।

২৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ম থেকে এসব উৎপত্তি হয়েছে। কাজেই সব সব দোষ ধর্মের।


এইগুলি সামাজিক ভাবে সৃস্টি হয়েছে, মানুষের অজ্ঞতার ফলে।

মানুষ শিক্ষিত হলে ঠিক হয়ে যাবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক হলে তো ভালোই।

২৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: অজ্ঞতা ও কুসংস্কার ধর্মকে পূজি করে গড়ে উঠেছে। এখানে ধর্মের দোষ যতটা তার থেকে এই সব কুসংস্কার থেকে যারা লাভবান হন তাদের দোষ বেশি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।

২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

চারাগাছ বলেছেন:
আপনি রোজা রাখুন আল্লাহ খুশি হবেন।
আবার পাশের জন না খেয়ে থাকলে আল্লাহ অখুশি হবেন আপনার উপর।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই আল্লাহ আমাকে খুশি করুক।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মুক্তমনাদের মন মুক্ত নয়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা সহ দেশের কারো মনই মুক্ত নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.