নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কন্যা আমার- ৪৯

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৩



হ্যালো ফারাজা,
এখন রাত বারোটা। এই মাত্র তুমি ঘুমোতে গেলে। যাওয়ার আগে আমাকে একটা চুমু দিয়ে গেলে। প্রতিদিনই তুমি ঘুমোতে যাওয়ার আগে আমাকে একটা চুমু দিয়ে যাও। এবং তুমি জানো না আমি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে তোমাকে একটা চুমু দেই। কয়েকদিন আগে হঠাত তোমার জ্বর এলো। টানা পাঁচ দিন তুমি জ্বরে ভূগলে। নাপা সিরাপ খাওয়ালে কিছু সময়ের জন্য জ্বর কমে। তারপর আবার জ্বর বাড়তে থাকে। পুরো শরীর প্রচুর গরম হয়ে যায়। রাত তিনটায় তোমার জ্বর এত বেশী বেড়ে যায়- তখন তোমার মাথায় পানি দিয়ে দেই। তোমার মা আর আমি সারারাত জেগে বসে ছিলাম। এবার তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিইনি। ডাক্তারের কাছে গেলেই নানান রকম টেস্ট ফেস্ট দেয়। এর আগে একবার তোমার জ্বর এলো। তিন দিনের দিন গেলাম ডাক্তারের কাছে, ডাক্তার তোমাকে অনেক গুলো টেস্ট দিলো। নার্স তোমাকে চেপে ধরে রক্ত নিলো। তুমি ব্যথায় চিৎকার দিয়েছো। তাই এবার আর ডাক্তারের কাছে যাইনি। কোনো রকম টেস্ট করতে হয়নি। তুমি সুস্থ হয়ে উঠেছো।

প্রিয় কন্যা আমার-
অনেকদিন পর এবার তুমি তোমার নানা বাড়ি গেলে। দুদিন থাকলে। আমি যাইনি। তুমি আমাকে ভীষন মিস করেছো। আমি তোমার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেছি। তোমার মাত্র দুই বছর দুই মাস হলেও, তুমি অন্যান্য বাচ্চাদের থেকে আলাদা। তুমি অনেক কিছু বুঝ। যা এই বয়সে অনেক বাচ্চা বুঝে না। জানে না। তোমাকে কোনো একটা কথা বুঝিয়ে বললে তুমি বুঝ। শোনো। মানো। এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে। সেদিন ছিলো ফ্রেরুয়ারীর ১৪ তারিখ। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস। তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তুমি এক দোকানের ভেতর যেতে চাইলে আমি তোমাকে নিয়ে গেলাম। সেই দোকানে এক পুতুল দেখে তোমার খুব পছন্দ হয়ে গেলো। তুমি পুতুলটা নিতে চাইলে। আমার কাছে টাকা ছিলো না। আমি তোমাকে বুঝিয়ে বললাম। তুমি আমার কথা মানলে। এবং পুতুলটা রেখে দিলে। কান্না করো নাই। তোমার জায়গায় অন্য বাচ্চা হলে কান্নাকাটি করতো। কিন্তু তুমি আমার কথাটা হাসি মুখে মেনে নিলে।

ফারাজা তাবাসসুম-
ইদানিং আমার সময় খারাপ যাচ্ছে। শরীরটাও ভালো নেই। চোখে সমস্যা। রাতে ঘুম আসে না। এলোমেলো স্বপ্ন দেখি। বেশির ভাগ স্বপ্নই ভয়ঙ্কর। তোমাকে দুই একটা স্বপ্নের কথা বলি। তোমাকে যা বলি, সে কথা তোমার মাকেও বলি না। যাইহোক, স্বপ্নে দেখি আমাকে একটা ঘরে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। ঘর অনেকখানি অন্ধকার। সেই ঘরে কে বা কারা অনেক গুলো বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দিয়েছে। বাস্তব জীবনে আমি সাপ খুব ভয় পাই। এরপর স্বপ্নে দেখি, একদল লোক ছুরি, চাকু আর রামদা হাতে নিয়ে আমাকে তাড়া করছে। তাঁরা আমাকে ধরতে পারলেই মেরে ফেলবে। এরকম ভয়ঙ্কর সব স্বপ্ন দেখি। অনেকদিন হয়ে গেলো সুন্দর স্বপ্ন দেখি না। মূলত আব্বা মারা যাওয়ার পর এরকম স্বপ্ন বেশী দেখছি। তোমার জন্মের সতের দিন আগে আব্বা মারা যায় করোনাতে। আব্বা হঠাত মরে যাওয়াতে আমার জীবন অনেকখানি বদলে গেলো। কমপক্ষে আরো দশ বছর আব্বার বেঁচে থাকা দরকার ছিলো। আব্বাকে তুমি দেখলে না, আব্বাও তোমাকে দেখলে না। ভীষন কষ্ট হয় আমার।

প্রিয় কন্যা আমার-
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম পুতিন। গত ২২ বছর ধরে পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সাহসী লোক। আর আমাদের দেশের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন- আব্দুল হামিদ সাহেব। খুব রসিক মানুষ। হঠাত কেন তোমাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কথা বলতে গেলাম জানি না। যাইহোক, আমি বেঁচে থাকি আর না থাকি তুমি নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলবে। তোমাকে হতে হবে ইউনিক। তোমাকে হতে হবে সবার থেকে আলাদা। নিজেকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। যেন এলেবেলে লোক তোমার সামনে এসে দাঁড়াতে না পারে। তোমাকে চলার পথে অনেকে বাঁধা দেবে। ভয়ভীতি দেখাবে। তোমার মনোবল ভেঙ্গে দিতে চেষ্টা করবে। অন্যের কথা শুনে তুমি থেমে যেও না। সব সময় মনে রেখো বাংলাদেশের মানুষ গুলো ভালো না। বেশির ভাগই ইতর শ্রেনীর। ঘর থেকে বাইরে পা দিলেই দেখবে চারিদিকে অসংখ্য ইতর ঘুরে বেড়াচ্ছে। তোমার যাকে ভালো মনে হবে, আসলে সে-ও ভালো না। মুখোশ পড়ে আছে বলে তুমি বুঝতে পারছো না। মানুষ চেনাটা খুব গুরুত্বপূর্ন। নইলে পদে পদে ঠকতে হবে।

ফারাজা তাবাসসুম খান (ফাইহা)-
বাংলাদেশে ধার্মিকের সংখ্যা অনেক বেশী। অথচ দেখো- আমাদের দেশে শিক্ষা দীক্ষা ও উন্নতিতে কত পিছিয়ে। যার দাড়ি যত লম্বা সে তত বড় ধার্মিক। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ফেলানোকে আমরা ধার্মিকতার চিহ্ন হিসাবে দেখি। যেখানে সব ধর্ম অনুসারে সত্যবাদিতা, সততা, পরোপকার, বিশ্বস্ততা ইত্যাদি হওয়া উচিৎ ছিল ধার্মিকের পরিচয়। ধার্মিকেরা ইহকালে ও পরকালে পরিশ্রম ছাড়াই যেন তেন ভাবে সাফল্য পেতে চায়। নামাজ পড়লেই যদি বেহেশতে যাওয়া যায়, ৬ টি সুন্নত রোজা রাখলেই যদি সারা বছরের গোনাহ মাফ হয়ে যায়, পাথরে চুমু খেলে পূর্বের সকল গোনাহ মুক্ত হয়ে নিষ্পাপ হওয়া যায়, ফেসবুকে নবীর জুতায় লাইক দিলে যদি হাজারটা গোনাহ মাফ হয়ে যায়, তাহলে আর ধর্মের নির্দেশ মত মানুষ সত্যবাদী, সৎ, পরোপকারি হবে কেন? পাপ করতে দ্বিধা করবে কেন? যাইহোক, ফারাজা দেশে বিদেশে ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা কম হয়নি। ধর্ম বিষয়ে তোমাকে সাবধান থাকতে হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ভুল করেছেন।জ্বর হবার অনেক কারন থাকতে পারে।যেটা রক্ত টেষ্ট না করলে বোঝতে পারবেন না।মশা বাহিত অনেক রোগ হয় ঢাকায়।তিন মাসের বেশি পরে জ্বর হলে অবশ্যই টেষ্ট করতে হবে।ডাক্তারের পরামর্শে।তিন মাসের মধ্য শরীরের সকল রক্ত পরিবর্তন হয়ে নতুন রক্ত এসে যায়।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সঠিক।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৩

পন্নি নদীর পুত্র বলেছেন: মেয়ের ইসলামিক নাম রাখছেন কেন

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: নাম কোনো ব্যাপার না। মানুষের কর্ম টাই আসল।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



মেয়েকে মাছ ও টমেটো থেকে তৈরি করা ( ঘরের খাবার ) স্যুপ খেতে দিবেন প্রতিদিন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ অবশ্যই।
মেয়ের খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
তাকে সবচেয়ে ভালো ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় সব সময়।
তিন গুণ বেশি দাম দিয়ে দূরদূরান্ত থেকে ঘি, মধু, দুধ ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশে থেকে ধর্ম নিয়ে বেশি লিখলে মৃত্যু ঝুকিতে থাকবেন।জলে বাস করে কুমিরের সাথে বিবাদ করা যায় না।তাছাড়া আপনি নিজের নাম দিয়ে ছবি দিয়ে লেখেন।সাহধান থাকবেন।ভয়ের কারণে অনেকে দেশ ছাড়ছে।শিবির দেশে ভর্তি।এরা জামার নিচে চাপাতি নিয়ে হাটে।অভিজিত সহ অনেক কে পরিকল্পনা করে মেরেছে।অনেক ধর্মান্ধ আছে।ব্লগেও আছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সঠিক কথা বলেছেন।
বেশ ভয়ে ভয়ে থাকি। বিশেষ করে হুজুর দেখলেই আমার ভয় করে।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:


আপনার পোস্টে ভেবে চিনতে মন্তব্য করতে হবে। নয়তো ইগনোর করতে হবে।

মেয়ের অনেক পোস্টে আপনি লিখেন আপনার বাঁচতে হবে। বাঁচতে ইচ্ছা করে। না হলে মেয়ের কি হবে। অনেকদিন ধরে এমন চিন্তা আমার হয়। অনেক বছর বাঁচতে ইচ্ছা হয়। আমার ছেলের বয়স মাত্র তিন।


ভালো থাকবেন। সাপের স্বপ্ন দেখা ভালো না , অনেকেই বলে। আমি আপনার জন্য দোয়া করবো বন্ধু।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন নিয়ে আমি চিন্তিত না।
জাগ্রত অবস্থায় যেসব স্বপ্ন দেখি, সেসব নিয়ে আমি চিন্তিত।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

চারাগাছ বলেছেন: ভাইসাহেব ,
প্রকৃত ধার্মিক মানুষ পাওয়া কঠিন।
যেভাবে ধর্ম পালন করার কথা সে ভাবে ধর্ম পালন করে না।

আপনি নবীজির অনেক সুন্নত পালন করেন। একশ্রেণীর মানুষ মূল সুন্নত গুলো এড়িয়ে যায়।


মেয়ে কে বুঝে শুনে ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। নামাজ পড়া , ধর্ম পালন করা ডাক্তারের কাছে ভুলেও নিবেন না। এরা ধর্ম নিয়ে পরে থাকে। এদের ডাক্তারি পড়া ঠিক হয়নি । মাদ্রাসায় পড়ে আল্লাহ আল্লাহ করা দরকার ছিল। আপনি যাবেন 'মুক্তমনা' ডাক্তারের কাছে।




পুতিন রা এতো আধুনিক হয়েও কেন যুদ্ধ করছে এটাও মেয়েকে জানাবেন। যুদ্ধ করবে ধর্মানুসারীরা। পুতিনরা ধর্মের ধার ধরে না। তারপরও তারা যুদ্ধবাজ রাষ্ট্র। এগুলো মেয়েকে বোঝাবেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী। জ্বী। অবশ্যই।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১

চারাগাছ বলেছেন:
ভাইসাহেব ,
এই ব্লগে পছন্দের কিছু মানুষ আছে। সেই ছোট্ট তালিকায় আপনার নাম তালিকা ভুক্ত করা কাছে। আপনার লেখা পছন্দ করি।
আমার তালিকা থেকে আরো দুজনার নাম বলুনতো দেখি আপনার কেমন বুদ্ধি।

ভালো থাকবেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: একজন চাঁদগাজী/সোনাগাজী। আরেকজন কে বলতে পারছি না।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: @ নদীর পুত্র, নামের কোন ধর্ম নাই।মোহাম্মদ একজন পৌত্তলিকের নাম। ৪০ বছর বয়স হলে সে ইসলাম ধর্ম প্রচার করে কিন্তু নাম পরিবর্তন করে নাই।তার পিতা আব্দুল্লা (আল্লাহর বান্দা ) সে পৌত্তলিক অবস্থাতেই মারা যার।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাংলাদেশের মানুষগুলো ভালো না। বেশিরভাগই ইতর শ্রেণীর" - এত ছোট্ট একটা বাচ্চাকে এখন থেকেই নিজ দেশ সম্পর্কে এরকম নেতিবাচক ধারণা দেয়াটা বাবা হিসেবে আপনার ঠিক হচ্ছে না।

মেয়েকে উন্নত মানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন, সে নিজেই বুঝে নিতে পারবে, কে ইতর আর কে ইতর নয়। সে ধর্মভীরু হবে, কিংবা ধর্মে অবিশ্বাসী হবে, সেটা তখন সে আপন জ্ঞানেই বেছে নিতে পারবে।

২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সঠিক কথা বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.