নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর শেষ ভাগ, চীন তখন শাসন করছে ওয়েই রাজবংশ।
সময়টা ৪৭৭ সাল। চীনের হেনান প্রদেশের মাউন্ট এলাকায় শাওলিন মঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। শাওলিন 'কুংফু' শেখার কারন হচ্ছে- নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলা। শাওনিল সন্যাসীরা প্রত্যেকে কুংফুতে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেয়। শাওলিন সন্যাসীরা পার্থিব বাসনা থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য নির্বাণ অর্জন করা চূড়ান্ত লক্ষ্য। শাওলিন ইতিহাস কাল্পনিক এবং পৌরাণিক কাহিনীতে ভরপুর। শাওলিন মার্শাল আর্ট এর আদি ইতিহাস বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভারত থেকে। বৌদ্ধ ধর্মের 'চান' শাখার সন্ন্যাসীরা বিশ্বাস করেন আত্মরক্ষা ও দেশরক্ষার প্রয়োজনে যুদ্ধে নামতে হবে। চীনের বিখ্যাত শাওলিস মন্দিরে দেড় হাজার বছর ধরে চর্চা হচ্ছে বিশেষ এই কুংফু। বিখ্যাত এই মন্দিরে প্রায় ৫০০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু নিয়মিত বসবাস করেন। তাদের মধ্যে প্রায় একশ শিক্ষার্থী যোদ্ধা হিসাবে প্রশিক্ষণ নেয়।
দেশ ও ধর্মের বিপদে বহুবার যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন শাওলিন সন্ন্যাসীরা।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে কয়েকশো ডাকাত রাতের অন্ধকারে আক্রমণ করেছিল শাওলিন টেম্পল। সন্ন্যাসীদের কুংফু প্রশিক্ষণ তখন গোপনে দেওয়া হত, তাই ডাকাতরা জানত না শাওলিন সন্ন্যাসীদের আলৌকিক দক্ষতার কথা। কয়েকশো ডাকাতের মধ্যে অল্প কয়েকজন বেঁচে ফিরতে পেরেছিল। ৬২০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ওয়েনকে বাঁচাতে শাওলিন সন্ন্যাসীরা যুদ্ধে নেমেছিলেন। সম্রাট ওয়েন শাওলিন মন্দিরকে একটি উপত্যকা দান করেছিলেন চাষ আবাদের জন্য। দেশ ও আত্মরক্ষা ছাড়া এই ১৫০০ বছরে শাওলিন সন্ন্যাসীরা একটি প্রাণীকেও নিজে থেকে আঘাত করেননি। কারণ তাঁদের দর্শন হল আক্রমণকে প্রতিহত করা, আক্রমণ করা নয়। এই শাওলিন কুংফুর যাত্রা শুরু হয়েছিল বুদ্ধভদ্র নামের একজন ভারতীয় সন্ন্যাসীর হাত ধরে।
প্রকৃতি থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা নেওয়া শাওলিন কুংফুর সেরা বৈশিষ্ট্য।
১৯৭৮ সালে হংকং থেকে তৈরি হওয়া একটি চলচ্চিত্র 'The 36th Chamber of Shaolin' শাওলিন টেম্পলের সন্ন্যাসীদের মার্শাল আর্টে অবিশ্বাস্য দক্ষতার কথা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরে। অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু হলে, প্রচুর ধৈর্য ও নিষ্ঠা থাকলে তবেই শাওলিন টেম্পল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করে বেরোনো সম্ভব। প্রত্যেকটি দিনকে চারটি ভাগে ভাগ করে চলে কঠোর ধ্যান, ধর্মশিক্ষা, কুংফু শিক্ষা ও প্রথাগত শিক্ষাদান। শাওলিন টেম্পল জেগে ওঠে ভোর চারটের সময়। ধ্যানের মাধ্যমে শুরু হয় দিন। কয়েক ঘণ্টা ধ্যানের পর শুরু হয় শারীরিক কসরত। মোট ৭২ ধরনের শারীরিক কসরত শেখানো হয়। এর মধ্যে ৩৬ টি সরল এবং ৩৬ কঠিন কসরত। টানা পঁচিশ বছর পর একজন শিক্ষার্থী শাওলিন কুংফুতে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
সত্যিই কি কুংফু-তে অভিজ্ঞরা উড়তে পারেন?
পানির উপর দিয়ে হাঁটতে পারেন? হ্যাঁ পারেন। পানির উপর দিয়ে দৌড়ানো এবং উড়ার বিষয়টা পুরোটাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির খেলা। শাওলিনের বৌদ্ধমঠে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে উড়তে পারেন। এখানে কোনো অলৌকিকতা নেই। অনেকে তাদের উড়াউড়ি দেখে মুগ্ধ হোন। প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক টিকেট কেটে যাদের এইসব উড়াউড়ি ও পানিত উপর দিয়ে দৌড়ানো দেখতে আসেন। বৌদ্ধদের আত্মরক্ষার পাঠ শেখাতেই কুংফু শিখিয়েছিলেন ভারতীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু। একজন সন্ন্যাসীর প্রধান কাজ হল আত্মা এবং শরীরের উন্নতি করা। কুংফু সকলেরই শিখে রাখা দরকার। বিশেষ করে মেয়েদের। প্রতিটা দেশের সরকারের উচিৎ মেয়েদের বিনামূল্যে কুংফু শেখানো। যেহেতু সরকার মেয়েদের ১০০% নিরাপদ থাকার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
দুনিয়ার সব মার্শাল আর্টের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী হলো কুংফু।
এর ধরন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে শাওলিন কুংফু। বিশেষ এ কুংফুর যাত্রা শুরু হয়েছিল বুদ্ধভদ্র নামের এক ভারতীয় সন্ন্যাসীর হাত ধরে। চীনের হেনান প্রদেশের এক পাহাড়ি উপত্যকাকে ঘিরে থাকা জঙ্গল, ঝরনা আর উঁচু পর্বতশ্রেণীর অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্য বুদ্ধভদ্র কে মুগ্ধ করেছিল। তাই তিনি 'সং' পর্বতের গুহায় তপস্যা শুরু করেন। স্থানীয়রা বৃদ্ধভদ্রের প্রতি মুগ্ধ হয়ে শিষ্যত্ব গ্রহণও শুরু করেন। তাকে নতুন নামও দেয়া হয় ‘ফতুও বাতুও লও’। এরপর তিনি তার শিষ্যদের কুংফু শিক্ষা দান করেন। ধীরে ধীরে তাঁরা কুংফুকে একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়। এই সময় চীনারা নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলো- আর মরুভূমির দেশ গুলোর লোকেরা নানান কুসংসারে ডুবে ছিলো। মূর্তি পূজা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো।
ছবিঃ কোকোয়েট ডটকম।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: মার্শাল আর্ট কে অপ্রয়োজনীয় বলছেন?
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
গৌতম বুদ্ধ কুংফুর প্রয়োজনীয়তা বোধ করলে, খবর ছিলো।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: গৌতম বুদ্ধ সহজ সরল মানুষ ছিলেন। একদম মানবিক।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: একবার ডিসকভারি চ্যানেলে মার্শাল আর্টের উপর একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম। তাতে একজন চীনা মার্শাল আর্টের ওস্তাদ একটা সুঁই ছুড়ে তিন এমএম গ্লাস ভেধ করেছেন!
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: শাওলিন সন্যাসীদের মার্শাল আর্ট একেবারে ভিন্ন রকমের।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ইহাকি কপি-পেস্ট মাল?
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভদ্র মানুষ।
সুন্দর ভাষায় কথা বলুন।
হ্যাঁ কপিপেস্ট পোস্ট বলা যেতে পারে। সে কথা পোষ্টে উল্লেখ করেছি।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি চীনে ছাত্র জীবনে স্কুলের ভ্রমনে শাওলিন টেম্পলে গিয়েছি । তখন এত প্রাচুর্য ছিল না মন্দিরে । পুজারিরা খুব দরিদ্র অবস্থায় থাকতো । পেছনের বিশাল বাগানে সিনেমা শুটিং হত । ভিক্ষু আমায় বললেন এ বছর ( ৮৫ সাল) থেকে আমরা আমাদের তহবিল ম্যানেজ করব । এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার মঠের আয় নিয়ে নিত এবং তাদের বাৎসরিক কিছু খরচাপাতি দিত যা অপ্রতুল । মুক্ত চীনে ওপেন পলিসির আওতায় মঠ নিজের আয় নিজেই সামলাবে । ছবিতে দেখছি নতুন অনেক দালান কোঠা হাকিয়েছে ভিক্ষুরা । ওরা সবাই নিরামিষাশী । একসময় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আক্রান্ত হত বলে প্রতিরোধ ব্যাবস্থা হিসাবে কুং ফু শিখে নেয় । আমরা লুওইয়াং শহর থেকে বাসে মন্দিরে গিয়েছি ।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: এখম শাওলিন টেম্পলের খুব রমরমা অবস্থা। তাদের আয় অনেক। সারা বিশ্ব থেকে প্রচুর পর্যটক আসে।
চীন দেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখুন।
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট আর কপি-পেস্ট এক জিনিস!! বেশ বেশ।
মাল শব্দটি আপনার কাছে অসুন্দর লাগায় দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কোনো গতি নাই। কারণ ঐমন্তব্যে কোনো কিছু পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমার নাই। তবে আপনি চাইলে মন্তব্যটি মুছে দিতে পারেন।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: এটা হুবহু কপি পেস্ট না।
আপনার সন্দেহ হলে গুগল করে দেখতে পারেন।
৭| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: নিনজা কোন সন্নাসিদের।ক্যারাতেই বা কাদের খেলা।ব্রুস লীর অনেক সিনেমা দেখেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩
সোনাগাজী বলেছেন:
সামন্তবাদের সময়, অনেক মানুষ হতাশ হয়ে, অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজ করেছেন