নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ নারী দিবস।
বাংলাদেশের নারীরা আজও স্বাধীন নয়। একটা মাস্টার্স পাশ মেয়ে গিয়েছেন চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে। সাথে গেছে তার মা। কারন মেয়েটা একটা অপরচিত অফিসে একা ইন্টারভিউ দিতে সাহস পায়নি। এই ঘটনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের নারীরা কতটা স্বাধীন! বাংলাদেশের পুরুষেরা ভালো মানুষ নয়। তাদের চোখের দৃষ্টি ভালো নয়। স্বভাব ভালো নয়। সুযোগ পেলেই পুরুষেরা মেয়েদের গায়ে হায় দিবে। যদি গায়ে হাত দেওয়ার সুযোগ না পায় তাহলে কোনো একটা বাজে মন্তব্য করে দেবে। ঘর থেকে একটা মেয়ে বাইরে বের হলেই বাবা মায়ের মধ্যে নানান রকম ভয় কাজ করে। একসময় নারীরা নিয়মিত স্বামীর হাতে মাইর খেতো। নারীদের মুখে এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া হতো। আর এখন ছবিও ভিডিও দিয়ে মেয়েদের ব্লাকমেইল করা হয়।
বাংলাদেশের সরকার প্রধান একজন নারী।
উনার উচিৎ নারীদের জন্য অনেক কিছু করা। এর আগে খালেদা জিয়া ছিলেন, উনি কিছু করেন নি। শেখ হাসিনাও চোখে পড়ার মতোন নারীদের জন্য কিছু করেন নি। আজও অল্প বয়সী মেয়েরা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে। যারা গার্মেন্সে কাজ করে তাঁরা অল্প টাকা সেলারি পায়। ফকাফল মানবেতর জীবনযাপন করে। নারী শিক্ষা ও নারী উন্নয়ন ছাড়া একটি দেশে এগিয়ে যেতে পারে না। এই আধুনিক যুগে এসেও নারীরা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে। নানান রকম অন্যায়ের স্বীকার হচ্ছে ঘরে বাইরে। নারীরা মূলত বোকা। এবং সহজ সরল। এই জন্য তাদের বার বার ঠকতে হয়। তাঁরা ভাইয়ের কাছে ঠকে, বাবা মায়ের কাছে ঠকে, স্বামীর কাছে ঠকে এমন কি নিজের সন্তানের কাছেও ঠকে। যুগ যুগ ধরে নারীরা ঠকেই গেলো। কিন্তু আর কত দিন?
ধর্ম নারীদের কোনঠাসা করে রেখেছে।
অথচ ধর্মের কত বুলি- তাঁরা নারীদের সম্মান দিয়েছে। বাপের জমির ভাগ দিয়েছে। দেনমোহর দিয়েছে। হাবিজাবি অনেক কথা। এসব আসলে ধর্মের বুলি। ফাঁকা বুলি। নারীর সবচেয়ে বেশি সর্বনাশ করেছে ধর্ম। ধর্ম চায় নারীকে পুতুল বানিয়ে রাখতে আর ভোগ করতে। ইসলাম ধর্মের নারীদের কালো বোরকায় ঢেকে রাখতে হয়। হাত মোজা পড়ে থাকতে হয়। পার্লারে যাওয়া যাবে না। স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। নানান বায়নাক্কা। নারীরা শুধু কোরআন হদীস পড়তেই পারলেই হলো। স্কুল কলেজের শিক্ষা তাদের দরকার নেই। তাঁরা স্বামীকে খুশি রাখবে। আর বাচ্চা পালবে। কোরআনে বলা হয়েছে- তুমি যদি রান্না করতে থাকো, তখন যদি তোমার স্বামী তোমাকে সহবাসের জন্য ডাকে, রান্না ফেলে দৌড় দিবে। কি সম্মান নারীর! কারো সামনে যেও না। কি সম্মান নারীর! উঁচু গলায় কথা বলো না। কি সম্মান নারীর। কোরআন হাদীস লিখেছে পুরুষেরা, তাদের মনের মতোণ করে।
একসময় নারীদের গজব অবস্থা ছিলো।
স্বামী মারা গেলে জ্বলন্ত চিতায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা হতো। তাহলে নাকি স্বর্গ নিশ্চত। রাজা রামমোহন সতী পথা বন্ধ করেন। তাকে এই বিষয়ে সহযোগিতা করে ইংরেজরা। এরপর বুড়া বুড়া লোক বিয়ে করতো কিশোরী মেয়েদের। দেখা যেতো বুড়ো স্বামী বিয়ের কয়েকদিন পর মরে গেছে। এরপর মেয়েটিকে বাকি জীবন বিধবা টাইটেল নিয়ে বেঁচে থাকতে হতো। বিধবা মেয়েটিকে সারাজীবন নানান রকম নিয়ম কানুন মেনে চলতে হতো। নইলে পাপ হবে। এমনকি বিধবা কে পেঁয়াজ পর্যন্ত খেতে দেওয়া হতো না। এই সময় এগিয়ে এলেন বিদ্যাসাগর। তিনি অনেক সংগ্রাম করে বিধবা বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। এজন্য তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ইংরেজরা বিদ্যাসাগরকে সাপোর্ট করেছেন। নইলে এই কাজ এত সহজে হতো না। বিদ্যাসাগর শুধু বিধবা বিয়ে নয়, নারী শিক্ষা নিয়েও অনেক কাজ করেছেন। নিজেই নারীদের জন্য সহজ করে বই লিখেছেন। গ্রাম ঘুরে ঘুরে মেয়ের বাবা মাদের বুঝিয়েছেন কেন মেয়েদের শিক্ষার দরকার। কেন তাদের লেখাপড়া করাতে হবে।
তুলনামূলক এ যুগের নারীরা অনেক স্বাধীন।
তাঁরা ফেসবুকিং করতে পারছে। টিকটক করতে পারছে। প্রেম ভালোবাসা করতে পারছে। লেখাপড়া করতে পারছে। বহু নারী চাকরী করছে। অফিস করছে, আবার ঘর সামলাচ্ছে। প্রতিটা পুরুষের উচিৎ নারীকে সম্মান করা। হোক সে তার স্ত্রী, বোন, অথবা কাজের বুয়া। হক সে গারমেন্সের মেয়ে অথবা রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া কোনো নারী। নারীকে সম্মান করতে হবে। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আর অবহেল করা যাবে না। নারীরা ভালো থাকলে পুরুষ ভালো থাকবে। আর নারী পুরুষ উভয়ে ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। এজন্য সমাজের প্রতিটা মেয়ের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সাথে ভালো আচরন করতে হবে। আর কতদিন নারীরা বাড়ি বাড়ি ঝি'য়ের কাজ করবে। বিয়ের আগে বাবার ইচ্ছাতে চলবে আর বিয়ের পর স্বামীর ইচ্ছায় চলবে? লেখাপড়া শিখে, ভালো রেজাল্ট করে, এরপর চাকরী বা বিজনেস করে মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। তাহলে দুষ্ট পুরুষেরা আর নারীদের অবহেলা করতে পারবে না।
আমি নারীদের শ্রদ্ধা করি। সম্মান করি।
বাবা মায়ের উচিৎ মেয়েদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা। প্রতিটা মেয়ের যদি নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত হয়- তাহলে দুষ্ট পুরুষেরা মেয়েদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এজন্য আমি সব সময় বলি- মেয়েদের লেখাপড়া করতে হবে। প্রচুর পড়ালেখা করতে হবে। এই পড়ালেখাই মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে। মেয়েদের পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে আয় করতে হবে। ভালো রেজাল্ট করতে পারলে মেয়েরা ভালো চাকরী পাবে। ভালো চাকরী করতে পারলে ইনকাম বাড়বে। তাহলে আর মেয়েদের পিতা ও স্বামীর উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। এমনকি মেয়েরা তাহলে বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে মাথা উঁচু করে থাকতে পারলে। কাজেই আপনার মেয়েকে সঠিক শিক্ষা দিন। তাকে একজন ভালো ও শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। যেন তাকে কারো উপর নির্ভর করে চলতে না হয়। পৃথিবীর প্রতিটা নারী ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক। তাদের জীবন হোক আনন্দময়।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কোন ধর্ম নারীকে কোনঠাসা করে রাখলো ?
অনেক নারী তো বাসাতে বাসাতে কাজ করে। কারণ ওই বাড়ির নারী চাকুরী করে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা ধর্মই নারীকে কোনটাঠা করেছে। সবচেয়ে বেশি করেছে ইসলাম ধর্ম।
চাকরানীদের অনেক কষ্ট। কিন্তু টাকা কম। ওদের আরো ভালো থাকার কথা।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনাদের বাসায় চাকরানী আছে ?
মানে বাসার সাহায্যকারিনী ?
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আছে।
ছুটা তিনজন। আর বান্দা একজন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
শুভ্রকথা শুভ্রর দিনলিপি বলেছেন: বাংলাদেশের সরকার প্রধান একজন নারী।
উনার উচিৎ নারীদের জন্য অনেক কিছু করা। এর আগে খালেদা জিয়া ছিলেন, উনি কিছু করেন নি। শেখ হাসিনাও চোখে পড়ার মতোন নারীদের জন্য কিছু করেন নি। আজও অল্প বয়সী মেয়েরা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে। যারা গার্মেন্সে কাজ করে তাঁরা অল্প টাকা সেলারি পায়। ফকাফল মানবেতর জীবনযাপন করে।
সহমত।