নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কিছু নাস্তিক আছে যারা অতি কুৎসিত মনের অধিকারী-
শুধু মাত্র তাঁরা নবীজিকে নিয়ে নোংরা কথা বলে। যাকে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ ভালোবাসেন। তাকে নিয়ে এরকম কথা বলাটা অন্যায়। খুবই গর্হিত কাজ। যদি আপনার তাকে ভালো না লাগে তাহলে এড়িয়ে যান। অন্যের বিশ্বাসকে কেন আঘাত করবেন? নিজের মনের অবিশ্বাস দিয়ে অন্যের মনের বিশ্বাসকে আঘাত করা আসলে কাপুরুষতা।
একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন,
নবীজির (সাঃ) যে সময়ে জন্ম নিয়েছেন, সেসময় পুরো পৃথিবীর অবস্থা কেমন ছিলো? আরবের অবস্থা কেমন ছিলো? সেই সময় মানুষের চিন্তা ভাবনা কেমন ছিলো? বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি বলে কিছু ছিলো? মানুষ তখন জ্ঞান বিজ্ঞানে কতটা উন্নত ছিলো? তখন ইন্টারনেট ছিলো না। কম্পিউটার ছিলো না। প্লেন ছিলো না। আধুনিক যন্ত্রপাতি কিছুই ছিলো না। মানুষের মধ্যে ছিলো নানান রকম কুসংস্কার। নবীজি একজন মহৎ ও জ্ঞানী মানুষ। তিনি চেয়েছেন মানুষ যেন মাটির পুতুলকে পূজা না করে। মানুষ যেন সূর্য, আগুন অথবা বজ্রপাতকে দেবতা মনে না করে। তাঁরা যেন শুধু একজন ঈশ্বরকে মানে। একজন প্রভুকে মানে। নবীজি সারা জীবন ন্যায় নীতির কথা বলেছেনে। ধর্মের বানী প্রচার করেছেন। আল্লাহর কথা বলেছেনে। নবীজির উছিলায় আমরা পেয়েছি মহান ও পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন।
নবীজি যুদ্ধ করেছেন।
কারন সে সময় যুদ্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিলো না। যুদ্ধে জয়ী হলে অপর পক্ষের সব কিছু নিয়ে নেওয়া হতো। হোক সে গ্রহনা অথবা কোনো নারী। সে সময় দাস প্রথা ছিলো। দাসদের ভোগ করার নিয়ম ছিলো। দেখুন, এখন কিন্তু বাজারে উলঙ্গ করে নারী বিক্রি হয় না। কারন এখন যুগ বদলে গেছে। মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে, টিকে থাকতে হলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। একসময় মানুষ পায়ে হেঁটে হজ্ব করতে যেতো। আর যাদের টাকা ছিলো তাঁরা হাজাজে করে যেত। কারন সে সময় উড়োজাহাজ ছিলো না। এখন কিন্তু কেউ হেঁটে হেঁটে হজ্ব করতে যায় না। অর্থ্যাত সে সময়ের ইতিহাস আর এখনকার ইতিহাস এক পাল্লায় মাপতে গেলে ঝামেলা বেঁধে যাবে। নবীজি গত হয়েছেন, বহু বছর পার হয়ে গেছে। কজেই তাকে নিয়ে উপহাস করা অন্যায় এবং মস্ত বড় ভুল।
অন্যের মুখ থেকে কিছু শুনে লাফানো ঠিক না।
চিলে কান নিয়ে গেছে, দিলেন চিলের পেছনে দৌড়। অথচ একবারও আগে কানটা কানের জায়গায় আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখলেন না। কাজেই অন্যের মুখে ঝাল খাওয়াটা বন্ধ করুন। আপনার মেধা আছে, বিবেক আছে। সেটা একটু খাটান। বই তুলে নিন হাতে। নিজে পড়ুন। নিজে জানুন। তাহলেই সত্য/মিথ্যা আপনার হাতে এসে ধরা দেবে। আপনি কি জানেন- আল্লাহকে পেতে হলে, আগে নবীজিকে পেতে হবে। রোজ হাশরের ময়দানে আপনার বাবা মা আপনার জন্য ফরিয়াদ করবে না। নবীজি আপনার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবেন। আমরা তো ভাগ্যবান, আমরা নবীজির উম্মত। শুনুন ইহকাল খুবই ছোট আর পরকাল অনন্ত। সেই পরকালের কথা ভাবুন। নবীজির দেখানো পথে চলুন। সত্যের পথে চলুন। নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। এবং আপনার সমস্ত গুনাহর জন্য বারবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। আল্লাহ্ দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
নবীজি সারা জীবন মানুষকে ভালো ভালো কথা বলেছেনে।
কোনোদিন কাউকে খারাপ পরামর্শ দেননি। নবীজি নারীদের সম্মান করতেন। ভালোবাসতেন। মানুষের ভালো করতে গিয়ে তিনি বহুবার বিপদে পড়েছেন। অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। টাকাপয়সা, জমি, উঠ বা কোনো সম্পদের উপর নবীজির সামান্য লোভ ছিলো না। নবীজি সারা জীবন সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চেয়েছেন। নবীজি কখনও নিজের কথা ভাবেননি। তাকে ভাবতে হয়েছে সমস্ত মানুষের কথা। সব দিকে নবীজির খেয়াল ছিলো। নবীজি অলৌকিক বোরাকে চেপেছিলেন। গিয়েছিলেন সাত আসমানের উপর। আসমান থেকে আমাদের জন্য এনেছেনে নামাজ। এই নামাজ আমাদের বেহেশের দিকে ধাবিত করে। নামাজ ছাড়া গতি নেই। নামাজ পড়ুন, আল্লাহ খুশি হবেন। আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ্ কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। একবার ট্রাই করেই দেখুন না।
আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ,
দয়া করে নবীজিকে নিয়ে কোনো মন্দ কথা বলবেন না। যদি আপনার নবীজিকে ভালো না লাগে সেটা আপনার ব্যাপার। সেটা আপনার মধ্যে রাখুন। সেটা ছড়িয়ে দেবেন না। এই পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ নবীজিকে মানে, সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে। নবীজিকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, কটু কথা বলে- পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষকে আঘাত দেবেন না। আপনাদের মতো মানুষদের জন্যই পৃথিবীতে হাজার হাজার বার ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা হয়েছে। এবার থামুন। নিজে ভালো থাকুন। অন্যকে ভালো থাকতে দিন। আপনি অধম বলে তো আমি অধম হতে পারবো না। বরং আমি আপনার জন্য প্রার্থনা করবো, আপনি যেন সঠিক পথে ফিরে আসেন। নিজের ভুল গুলো বুঝতে পারেন। নবীজির দুনিয়া সুন্দর। সহজ সরল এবং মানবিক। একবার ভালো করে তাকিয়ে দেখুন। তাহলেই অনুভব করতে পারবেন।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: না লিস্ট বদলাই নাই।
আসলে ভাবলাম পজেটিভ লেখা লিখি, তাহলে হয়তো ব্যান থেকে মুক্ত হতে পারবো।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আসলে ভাবলাম পজেটিভ লেখা লিখি, তাহলে হয়তো ব্যান থেকে মুক্ত হতে পারবো।
আপনার কি ধারনা নবীজিকে নিয়ে মন্দ লিখে ব্যান হয়েছেন ?
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি যা দেখি তাই লিখি। নিজে যা বুঝি তাই লিখি।
মন্দ আমি লিখতে পারি না। জানি না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ভাই আপনি আপনার লাইনে থাকুন।
আপনার মহামানবের লিস্টে নবীজি নেই। তাকে নিয়ে এভাবে লিখার কি দরকার ? আপনার লিস্ট কি বদলিয়েছেন ?
আপনার কি ধারনা নবীজিকে নিয়ে মন্দ লিখে ব্যান হয়েছেন ?
তাই এখন গুনগান লিখে ব্যান তুলবেন ?