নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাংলাদেশ হলো সব সম্ভবের দেশ।
এই দেশে সব সম্ভব। ২৫০ থেকে যদি ৫শ' টাকাও হয়ে যায়- তাহলে কি করবেন? কিচ্ছু করার নেই। শুধু তো ব্রয়লার মূরগী না, প্রতিটা জিনিসের দামই বেড়েছে। সহজ সরল সত্য কথা হলো- হাসিনা সরকার বাজার নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ন ব্যর্থ। এই সরকার অনেক ভালো কাজ করেছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি আজ পর্যন্ত। এই সরকার লেখাপড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। দূর্নীতিকে তাঁরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। জনগন চুপ। একদম বোবা হয়ে গেছে।
যার যেরকম খুশি দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা দেখে সরকার চুপ। তাদের কেউ বলার নেই। ধমক দেবার নেই। নেই কোনো আইন। এজন্য ব্যবসায়ীরা যা মন চায় করছে। বিপাকে পড়েছে দরিদ্র মানুষেরা। যাদের সীমাহীন টাকা তাঁরা দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো চিন্তা করে না। কিন্তু খেটে যাওয়া মানুষদের বড় কষ্ট। টিসিবির লাইনের দিকে তাকালে কষ্ট লাগে। টিসিবির গাড়ি আসার আগেই মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। দরিদ্র লোকজন বাজার থেকে মূরগীর পা, কলিজা গিলা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন ডিম ১৪০ টাকা ডজন।
ডিমের এত দাম বাড়ার কোনো কারন নেই। সরকার চুপ। জনগনও চুপ। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা। কেন? এত দাম হওয়ার কোনো কারনই নেই। সরকার চুপ। জনগনও চুপ। আমাদের এখানে একটা গরুর মাংসের দোকান আছে। প্রতিদিন ১৫ টা গরু জবাই হয়। এত মাংস কারা কিনছে এত দাম দিয়ে? ৪/৫ শ' টাকার কমে কোনো মাছ নেই। চাষের মাছ তবুও অনেক দাম। এখন মানুষের রাজপথে নামতে হবে। নইলে সরকার নড়াচড়া দেবে না। আওয়ামীলীগ যেমন বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে। সেই সাথে দেশের জনগনের বিবেক নড়বড়ে করে দিয়েছে।
এই সরকারের আমলে অনেক লোক কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
সরকার সুযোগ না দিলে এত এত লোক কোটি টাকার মালিক হতে পারতো না। নব্য ধনীরা এখন কলকাতা থেকে বাইজি এনে গ্রামে নিয়ে গিয়ে নাচায়। একদিকে হাহাকার, আরেক দিকে বিলাসিতা। এজন্য দায়ী হাসিনা। কারন তিনি দেশের প্রধান ব্যাক্তি হয়েও চুপ হয়ে আছেন। মানুষ পেট ভরে খেতে না পারলে কি করবে- পদ্মাসেতু দিয়ে? কি করবো মেট্রোরেল দিয়ে? অসংখ্য মানুষের বুকে ঘৃণা জন্মেছে। অসংখ্য মানুষের বুকের ভেতর থেকে উঠে আসছে অভিশাপ।
ব্যসায়ীরা মূলত মজা নিচ্ছে। এদিকে জনগনের অবস্থা শেষ।
আমি নিজের চোখে দেখেছি দরিদ্র মানুষদের সীমাহীন কষ্ট। ছোট বাচ্চাটা খাবারেরে জন্য কাঁদছে। বাবা কিনে দিতে পারছে না। শেখ হাসিনা শুধু দূর্নীতি বন্ধ করতে পারলে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, সেই সাথে দেশে শিক্ষার মান বাড়াতে পারলে এই দেশের মানুষ আজীবন যাকে শ্রদ্ধা নিয়ে স্মরণ করতো। কিন্তু তিনি স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন। যা ভুল ও অন্যায়। এখনও সময় আছে তার হাতে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী দুধের শিশু নন। যে তাকে বুঝানো হবে, তিনি তাই বুঝবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:২৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
যেই দেশে পদ্মা সেতু আছে , মেট্রোরেল আছে সেদেশে ব্রয়লার মুরগির দাম ২৬০ টাকা হতেই পারে। প্রধানমন্ত্রীকে এমনটাই হয়তো বোঝানো হয়েছে।