নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমি অনেক রকম লেখা লিখি।
কিন্তু কখনও প্রান ভরে ঈশ্বরের গুণগান করে কিছু লিখিনি। বরং ঈশ্বরের সাথে রাগ দেখিয়েছি। কটু কথা বলেছি। মন্দ কথা বলেছি। আমার যত রাগ শেষমেশ গিয়ে পড়ে ঈশ্বরের উপর। রাগে দুঃখে, কষ্টে বহুবার ঈশ্বরকে ভৎসনা করেছি। তাই আজ ঠিক করেছি, একদিন মন ভরে ঈশ্বরের গুণগান গাইবো। এটা আমার দায়িত্ব, এটা আমার কর্তব্য। এতে ঈশ্বর খুশি হবেন এবং আমি নিজেও বিপুল শান্তি পাবো। অতীতে যে ঈশ্বরকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছি, হয়তো সেটারও মাফ পেয়ে যাবো। আমি পাপী হয়েও সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি সূরা শুনি। ইউটিউবে সূরা ছেড়ে দেই। মিষ্টি সুরে একজন সূরা পড়ে যাচ্ছেন। আরেকজন বাংলা উচ্চারন করে যাচ্ছেন। শুনতে অনেক ভালো লাগে। আল্লাহ বলছেন, বলো আমার কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে। অস্বীকার করার প্রশ্নই আসে না।
আল্লাহ্ আমাকে বারবার করুনা করেই যাচ্ছেন।
এই যে করোনা'তে কত লোক মারা গেলো। ঈশ্বর আমাকেও মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ্ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কারন আমার ছোট একটা মেয়ে আছে। আমি ছাড়া এই দুনিয়াতে মেয়েটা একদম অসহায়। এই যে বেঁচে গেলাম এজন্য আমি আল্লাহর কাছে আমৃত্যু কৃতজ্ঞ। দীর্ঘদিন ধরে আমি বেকার অথচ আল্লাহ আমাকে একবেলা না খেয়ে রাখেন নি। এর কারন হচ্ছে রিজিকের মালিক আল্লাহ্। আল্লাহ আমার রিজিক সব সময় আমার পছন্দ মতো রেখেছেন। এজন্য আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া। যেমন আল্লাহ আজ দুপুরে আমাকে তেহারি খাইয়েছেন। অথচ আমার ঘরে গরুর মাংস ছিলো না। পোলাউ এর চালও ছিলো না। এই তো একটু পর ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাবো। এই ব্যবস্থা আমি করিনি। আল্লাহ্ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিন দিন আগে আমি তেহারি ও ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছা হয়েছিলো। আল্লাহ ঠিকই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কারন আমি আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছি।
আসলে আল্লাহর গুণগান করে শেষ করা যাবে না।
তিনি মহান। তিনি তার বান্দাদের ভালোবাসেন। তিনি তার বান্দাদের ভালো চান। বান্দাদের ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। আল্লাহ বারবার বলেছেন, আমার কাছে চাও। আমি দেবো। এজন্য আমি দুনিয়াতে কারো কাছে কিছু চাই না। আমার যা দরকার আমি আল্লাহর কাছে চাই। আমার সমস্যার কথা দুনিয়াতে আমি কাউকে বলি না। আল্লাহ্ বলি। এবং বলার পর আমি নিশ্চিন্ত। সত্য কথা বলি, আল্লাহর কাছে যা চেয়েছি, আমি পেয়েছি। আমি বিয়ের পর একদিন আল্লাহকে বললাম, আমি একটা কন্যা সন্তান চাই। আল্লাহ্ আমাকে কন্যা সন্তান দিলেন। আমার স্ত্রী যেদিন গর্ভনবতী হয়, সেদিন আমি তাকে বলেছি, আমাদের কন্যা সন্তান হবে। স্ত্রী বললেন, তুমি এত নিশ্চিত হলে কি করে? আমি স্ত্রীকে বললাম, আমি আল্লাহর কাছে কন্যা সন্তান চেয়েছি। আমার বিশ্বাস আল্লাহ্ আমাকে নিরাশ করবেন না। আল্লার কাছে মন থেকে কিছু চাইলে আল্লাহ্ তার বান্দাকে নিরাশ করেন না।
আল্লাহ্ আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
এবং কোরআন দিয়েছেন। এই কোরআন আকড়ে থাকলে আর কোনো কিছুর দরকার নেই। আমাদের জীবনকে সহজ করার জন্য আল্লাহ্ নবীজিকে পাঠিয়েছেন। নবীজি আমাদের শিখিয়েছেন দুনিয়াতে আমাদের কিভাবে চলতে হবে। কি করতে হবে, কি করতে হবে না। অথচ আমরাই আমাদের জীবনকে জটিল করি, কঠিন করি। আমাদের নবীজি আমাদের অনেক ভালোবাসেন। আমরা তার উম্মত। এটা আমাদের অনেক বড় ভাগ্য। ইহকালটা আমাদের জন্য পরীক্ষাগার। পরকাল হলো আসল। ইহকালে আমরা সুন্দর ভাবে চললে, আমাদের পরকাল সুন্দর হবে। সহজ হিসাব। আল্লাহর হিসাব অতি সুক্ষ্ম। ভোরবেলা যখন আকাশ একটু একটু করে ফর্সা হয়, আমি মুগ্ধ হয়ে চারপাশ দেখি। সন্ধ্যায় যখন চারপাশ একটু একটু করে অন্ধকার হয়ে যায়- আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। মধ্যরাতে যখন আকাশের দিকে তাকাই- নিজের অজান্তেই ঈশ্বরের কাছে মাথা নত হয়ে আসে। সব কিছু কি সুন্দর নিয়ম মেনে চলছে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। ঈশ্বরের কাছে মাথা নত না করার কোনো কারন নেই।
আমি পাপী বান্দা। নামাজ করি না। রোজা করি না।
অথচ আল্লাহ আমাকে তবু বাঁচিয়ে রেখেছেন। আল্লাহর করুনা পেয়ে পেয়ে আমার লোভ গেছে বেড়ে। এখন আমার বুকের ভেতর থেকে উঠে আসে- শুকরিয়া। ভাত খেতে বসলে নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে- বিসমিল্লাহ্। বিপদে আপদে অটোমেটিক আল্লাহর নাম মুখে চলে আসে। অবশ্যই এটা আল্লাহর কুদরত। আমি বারবার আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে আল্লাহকে স্মরণ করি। বলি, হে আল্লাহ্ আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমি আল্লাহকে স্মরণ করি। বলি, হে আল্লাহ্ আজকের দিনটা সুন্দরভাবে পার হয়েছে। হৃদয় থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এবং সব সময় বলি, হে আল্লাহ্ আমি পাপী। কিন্তু আপনি আপনার রহমত থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন না। মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আপনি আমাকে রহমত করে যাবেন। আপনার রহমত ছাড়া আমার বেঁচে থাকা সম্ভব না।
আমি সব সময় আল্লাহকে বলি-
আমাকে সুস্থ রাখুন। আল্লাহ আমাকে সুস্থ রেখেছেন। গত ২০/২৫ বছর আমাকে কোনো ডাক্তারের কাছে যেতে হয়নি। আমার কোনো অসুখ বিসুখ হয়নি। অথচ আমি পাপী মানুষ। তবু আল্লাহ আমাকে করুনা করেই যাচ্ছেন। আমার স্ত্রীর বাচ্চা হবে। হাসপাতাল থেকে বলল, ৮০ থেকে এক লাখ টাকা লাগবে। আমি আল্লাহকে বললাম, হে আল্লাহপাক আমি গরীব মানুষ। এত টাকা আমার নেই। আপনি যা করার করুণ। আমার স্ত্রী বাচ্চা হলো। মাত্র দশ হাজার টাকা লাগলো। সকাল নয়টায় বাচ্চা হলো। বিকেল পাঁচ টায় ডাক্তার বললেন, আপনারা বাসায় চলে যান। আর কোনো সমস্যা নেই। ভয় নেই। আমার জীবনে আমি আল্লাহর নেয়ামতের কথা বলে শেষ করতে পারবো না। আমি আপনাদের বলল, অনুরোধ করবো- আপনারা আল্লাহকে সব সময় স্মরণ করুণ। যখন সুখে থাকবেন, যখন দুঃখে থাকবেন। ব্যস আর কোনো সমস্যা নাই। বাকিসব আল্লাহ্ দেখবেন। আল্লাহ্ আমাদের উত্তম রিজিক ও উত্তম জীবন দান করুণ।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন, আল্লাহ দুনিয়াতে এসে লোকজনের সমস্যার সমাধান করে দিয়ে যাবেন না। আল্লাহ্ কোরআন দিয়েছেন। সেই মোতাবেগ আমাদের চলতে হবে। আর কোরআনের নিয়মে না চললে আল্লাহ্ এখন কিছুই করবেন না। আল্লাহ্ ধরবেন হাশরের ময়দানে। তখন কোনো ছাড় দিবেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ব্রয়লার মুরগির দাম হবার কথা ১৩০ টাকা কিন্তু আমরা কিনছি ২৬০ টাকা কেজি !
এই বিষয়ে আল্লাহর কাছে কি বলেছেন ? কি চেয়েছেন ?
আল্লাহর উপর রাগ হয়নি ?
আপনি সৎ কিন্তু বাকিরা কেন আপনার সাথে অসৎ ব্যবহার করবে ? কখনো মনে হয়নি ?