নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এত লম্বা সময় আর কেউ ক্ষমতায় ছিলো না।
আওয়ামীলীগ পেরেছে। লম্বা সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য তাঁরা দেশে অনেক কাজ করতে পেরেছে। অলরেডি শেখ হাসিনা রাজাকারদের বিচার করেছেন। তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫২ বছর পরে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আর কি কোনো প্রয়োজন আছে? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর হয়ে গেছে! এখন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। শেখ হাসিনা দেশের জন্য অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি তিনটা কাজ সঠিক ভাবে করতে পারেন নি। এই তিনিটা কাজের জন্য তার কিছু বদনাম রটে গেছে।
১। শেখ হসিনা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি।
২। লেখাপড়ার মান ভালো করতে পারেননি। এবং ৩। দূর্নীতি বন্ধ করতে পারেন নি। এই তিনটা কাজ সঠিক ভাবে করতে পারলে- সারা বিশ্ব তাকে স্যলুট দিতো। যে মানুষ পদ্মাসেতু করেছেন, মেট্রোরেল করছেন, লাখ লাখ রোহিংঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, রাজাকারদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার করেছেন, বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে, তিনি কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না? তিনি কেন লেখাপড়ার মান বাড়াতে পারবেন না। তিনি কেন দূর্নীতি বন্ধ করতে পারবেন না। আমার বিশ্বাস তিনি এদিকে নজর দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কেন যে নজর দিচ্ছেন না, সেটা আমার বুঝে আসে না।
গত ১৪ বছরে দেশে ধনী লোকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
ছাত্রলীগ তাদের ভয়ঙ্কর রুপ দেখিয়েছে বেশ কয়েকবার। কোনো কোনো ছাত্রলীগ নেতা লেখাপড়া শেষ করার আগেই সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছেন। শহরের ধনীদের এলাকায় তাদের বিলাস বহুল ফ্লাটসহ আরো অনেক কিছু। শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন। সেটা অব্যহত রাখা দরকার ছিলো না। কিন্তু সেটা হঠাত বন্ধ হয়ে গেলো। এক বালতি দুধের মধ্যে এক ফোটা চুন পড়লে সে দুধ নষ্ট হয়ে যায়। শেখ হসিনার অনেক মহৎ কাজ, দুই তিনটা বাজে কাজের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বিচক্ষন মানুষ। তিনি একের পর এক কাজ দেশের জন্য করে যাচ্ছেন। তিনি খুব শীঘ্রই দূর্নীতিবাজদের ধরবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর।
এখন আর নতুন করে রাজাকারদের তালিকার প্রয়োজন নেই। তবে দেশে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা দরকার ছিলো। যেটা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় পারেনি। অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভিড়ে আসল মুক্তিযোদ্ধারা হারিয়ে গেছেন। এটা দুঃখজনক। সবচেয়ে দুঃখ লাগে যখন জানি মুক্তিযোদ্ধারা অভাবে আছেন। রিকশা চালাচ্ছেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অন্যদিকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি নানান রকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করাটা খুব কঠিন কিছু নয়। তবু সেটা কেন হলো না। নাকি শেখ হাসিনা অন্যদিকে নজর দিতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার দিকে নজর দিতে পারেন নি?
আমি জানি- রাজাকারদের তালিকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার চেয়েও দেশে অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজ বাকি আছে।
আমার মনে হয় সেগুলোই আগে করা উচিৎ। দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে। লেখাপড়ার মান বাড়াতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেশে ইদানিং বয়স্ক রিকশা চালকদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। রাস্তায় ভিক্ষুকদের সংখ্যা বেড়েছে। কিশোর অপরাধীদের সংখ্যা বেড়েছে। লেখাপড়া শেষ করার আগেই ছাত্রলীগের নেতারা এত টাকার মালিক কিভাবে হলো সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। বর্তমানে যত নেতা আছে, শেখ হাসিনার কাছে তাঁরা সবাই দুধভাত। শেখ হাসিনা নজর না দিলে, কোনো কাজ হবে না। শেখ হাসিনা চাইলে অনেক কিছু করা সম্ভব। তার সেই সাহস ও ক্ষমতা আছে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো বাংলাদেশে কোনো ভালো মানুষ খুঁজে পাই না।
২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: এটা আপনার দেখার সমস্যা।আমি লাখ লাখ ভালো মানুষ দেখি।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে কয়েকজন ভালো মানুষের নাম ঠিকানা দেবেন। আমি তাদের পায়ের ধুলো নেবো।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: শেখ হাসিনা একজন ভালো মানুষ।পরীর মা একজন ভালো মানুষ।এই ভাবে দেখতে শুরু করেন,লাখ লাখ পেয়ে যাবেন।
১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: জোর করে শান্তনা পেতে চাই না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক বছর খারাপ লোকদের হাতে ক্ষমতা থাকায় প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে খারাপ লোক ঢুকে গেছে।এর থেকে বেরিয়ে আসা অত সহজ না।