নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিটা আমিই তুলেছি। অতি সাধারন এবং তুচ্ছ একটা ছবি। আমি ঢাকার কাছেই এক গ্রামে গিয়েছিলাম। ছবিটা ভালো করে খেয়াল করুণ। দুই ভাই বোন তাদের বাবার সাথে বাজারে গিয়েছিলো। বাবা বাজার করে দিয়েছেন। বড় বোনের হাতে বাজারের ব্যাগ। ব্যাগে তরিতরকারি। দুই ভাই বোন গেন্ডারি (আখ) ধরে রেখেছে। তার মধ্যে ঝুলিয়ে দিয়েছে মাছ। পাঙ্গাশ মাছ। আজ তাদের বাসায় পাঙ্গাশ মাছ রান্না হবে।
বুঝাই যাচ্ছে দরিদ্র একটা পরিবার। গরীব মানুষেরা চাষের পাঙ্গাশ মাছ খেয়েই বেঁচে আছে। অনেকের ভাগ্যে এই পাঙ্গাশ মাছও জোটে না। আমার খুব ইচ্ছা করছিলো, ওদের সাথে ওদের বাসায় যাই। দেখি ওদের মা কিভাবে মাটির চুলায় রান্না করেন। মাছটা কি আগে ভেজে নিবেন? না ভাঁজা ছাড়াই রান্না করবেন? ভূনা করবেন? না ঝোল করে রান্না করবেন? মাছের সাথে তরকারী কি কি দিবেন? না কি তরকারী ছাড়াই রান্না করবেন।
ছবিটা আজ তুলেছি মিন্টু রোড থেকে। একজন বেকার বাবা। গ্রাম থেকে এসেছে। শহরে থাকার জায়গা নেই। বস্তিতে ঘর ভাড়া নেবে সেই টাকাও নেই। পরিচিত কেউ নেই, তাই রিকশা পাচ্ছে না। নইলে রিকশা চালাতো। তাছাড়া সে শহরে নতুন। রাস্তাঘাট কিছুই চেনে না। ছেলেকে কি খেতে দিবে সেই ভাবনায় সে অস্থির। ছেলের মা গিয়েছে খাবার সংগ্রহ করতে। খাবারের আশায় বসে আছে।
আমি নিজে দরিদ্র মানুষ। বেকার মানুষ। আমার পকেটে ১৩২ টাকা ছিলো। পুরোটাই তাদের দিয়ে দিলাম। আজ দুপুরে আমাকে না খেয়ে থাকতে হবে। না খেয়ে থাকার অভ্যাস আমার আছে। সবচেয়ে বড় কথা- আমার চেয়েও এই লোকের করুণ অবস্থা। এই শ্রেনীর মানুষের জন্য আমার অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে। একদিন হয়তো আল্লাহ্ আমার এই ইচ্ছা পূরন করবেন।
ছবিটা অনেক বছর আগের। বাচ্চাটা ছুটির দিন ছাড়া বাবাকে কাছে পায় না। তখন আমি চাকরি করি। ভোরবেলা বাসা থেকে বের হই, রাতে বাসায় ফিরি। সকালে যখন কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হই, মেয়ে থাকে ঘুমিয়ে। আবার আমি যখন রাতে বাসায় ফিরি, তখন কন্যা গভীর ঘুমে। দিনের পর দিন একই কাহিনী। একই ঘটনা। মেয়েটার সাথে আমার দেখাই হয় না। কথা হয় না।
সপ্তাহে একদিন ছুটি পাই। শুক্রবার। সারা সপ্তাহ অনেক খাটনির পর শুক্রবার শুধু ঘুম পায়। বেলা ১২ টা পর্যন্ত ঘুমাই। এদিকে কন্যা ঘুম থেকে উঠে দেখে আমি ঘুমাচ্ছি। আমাকে বাসায় দেখে সে ভীষন খুশি। তার মা বলেছে, বাবাকে ঘুমাতে দাও। ডেকো না। তাই সে আমাকে ডাকেনি। ছবিটা তুলেছে কন্যার মা। এই ছবিটা আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি প্রতিদিন একবার করে ছবি দেখি। বড় ভালো লাগে। আমার কন্যা জানে না, সকালে যখন আমি কাজে বের হই, তখন সে ঘুমে থাকলেও আমি তার কপালে একটা চুমু দিয়ে বাসা থেকে বের হই। আবার রাতে বাসায় ফিরে ঘুমানোর আগে কন্যাকে একটা চুমু দিয়ে ঘুমাতে যাই।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: শারীরিক পরিশ্রম করুণ। তাহলে ক্লান্তি আসবে। আর ক্লান্তি থেকে ঘুম আসবে।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখা ও ছবি অসাধারন সুন্দর সুখময়!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কমেন্ট করার জন্য লগইন করলাম। কমেন্ট করা হয়ে গেছে। এখন লগ আউট করবো।
++
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ! চমৎকার!
আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১২
শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনার অদ্ভুত এক গুণ আছে। আপনি খুব সাদামাটা গল্প গুলোকেও অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারেন।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
রাজীব নুর বলেছেন: এটা আসলে আপনাদের ভালোবাসা।
বস্তুত আমি সহজ সরল জীবনযাপন করি। জটিল করে কিছু লিখতে পারি না। আমার মতো আমার লেখাও সাদা মাটা।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭
শায়মা বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। লেখাটাও সুন্দর ভাইয়ু!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
রাজীব নুর বলেছেন: শুনলাম অস্টেলিয়াতে লাখ লাখ টাকার শপিং করেছেন!!!
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনি রাধলেই স্বাদ হয়ে যায় তরকারী যাই হোক
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি যেভাবে লিখি, এভাবেই লেখা সবচেয়ে সহজ। জ্ঞান, প্রতিভাহীন মানুষ আমি। বুদ্ধি করে কিছু লিখতে পারি না।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩
শায়মা বলেছেন: হা হা তাহা বটে তাহা বটে যাহা রটে যাহা রটে.......
অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২ মানে পরের পর্ব লিখলাম এই একটু আগে।
যাও পড়ো!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ এখনই যাচ্ছি।
মাত্রই সামুতে এলাম।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
চারাগাছ বলেছেন:
দারুন উপস্থাপনা !
২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আখ-বহনকারী ছেলেমেয়ে ২টার ( ১ম ছবি ) ভবিষ্যত কি রকম হওয়ার সম্ভাবনা?
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র পিতা মাতার ঘরে ওদের জন্ম। বুঝতেই পারছেন ভবিষ্যৎ কি রকম হবে।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লেখা ভালো হয়েছে।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সব সময়।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
প্রথম ছবিটা চুড়ান্ত ভাবে দারুন!
বাকীগুলোও বাস্তব ঘেষা।
লাইকড......
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি আমার পোষ্টে মন্তব্য করলে আমি আনন্দ পাই।
১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:১২
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ কারো জন্যই কিছু করে না।আপনার জন্যও কিছু করবে না তবু মানুষ ভাবে আল্লাহই সব করেন।
পুজিবাদের কারিশমার ফল।পৃথিবীর মোট সম্পদের বেশির ভাগই কয়েকটি পরিবারের হাতে।বহু মানুষ পেট ভরে খেতে পায় না।অপুষ্টিত্ ভোগে কোটি কোটি মানুষ।একদিন এর অবসান হবে।তবে দেরিতে হবে।ততদিন হয়তো আমরা বেচে থাকবো না।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ্ নাই। থাকলে অবশ্যই কিছু করতেন আমার জন্য।
১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৪৮
ইমরান আশফাক বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো, যদিও মধ্যম ছবিটার কাহিনি জেনে পরানটা হাহাকার করে উঠলো।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরান। ভালো থাকুন।
১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছবিগুলো তার গল্প জেনে মনটা ভার হলো। আহারে জীবন ?
আপনি সুখী মানুষ।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আমি সুখী মানুষ।
১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৬
মৌন পাঠক বলেছেন: বাপেদের গপ্প
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: !
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: রাজীব দা আজকাল আমার ঘুম হচ্ছে না
সবটাকা যদি দিয়েছেন তাহলে আমি এক
টাকা পাঠাই ভাল থাকবেন---------