নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়ীতা ডাক্তার হতে চেয়েছিলো

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

ছবিঃ আমার তোলা।

একটা মেয়েকে ধর্ষন করা হয়েছে।
মেয়েটার বয়স দশ বছর। দরিদ্র ঘরের একটা মেয়ে। মেয়েটার বাবা মা নেই। তাঁরা সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। তখন মেয়েটার দুই বছর বয়স। মেয়েটার আছে শুধু এক বৃদ্ধা নানী। নানী এবং মেয়েটা একটা কুঁড়ে ঘরে বাস করে। নানী জঙ্গল থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে। বাজারে বিক্রি করে। খুবই মানবেতর জীবনযাপন তাদের। মেয়েটার নাম জয়ীতা। জয়ীতা প্রাইমারী স্কুলে পড়ে। তাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে জয়ী তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও? জয়ীতা বলে, আমি ডাক্তার হতে চাই। জয়ীতা ডাক্তার হতে চায় তার কারন সম্ভবত তার নানী। তার নানী প্রায় সারা বছর অসুস্থ। আর্থিক সমস্যার কারনে চিকিৎসা হচ্ছে না। একবার জয়ীতাদের স্কুলে এক এমপি এসেছিলো। সে জয়ীতাকে বলেছে, তুমি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করো। তারপর তোমার ডাক্তার হতে যত টাকা খরচ লাগে আমি দেবো।

জয়ীতা তার নানীর সাথে জঙ্গলে গিয়েছে মধু সংগ্রহ করতে।
নানী জয়ীতাকে বলল, তুই মধু নিয়ে বাসায় চলে যা। আমি কিছু লাকড়ি টোকাই। বাসায় ফেরার পথে জয়ীতাকে ধর্ষন করা হয়। অনেক রক্ত ক্ষরনের কারনে জয়ীতা অজ্ঞান হয়ে যায়। ছোট ছোট কয়েকটা ছেলে জয়ীতাকে দেখে নানীকে খবর দেয়। নানী এসে দেখে জয়ীতা অজ্ঞান। রক্তে ভেসে গেছে। নানী ভাবে কোনো জংলী পশু হয়তো জয়ীকে আক্রমণ করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার বলল, কোনো পশু তাকে আক্রমণ করেনি। তাকে ধর্ষন করা হয়েছে। কমপক্ষে তিন থেকে চারজন তাকে ধর্ষন করেছে। পুলিশ এসেছে। তাঁরা বলেছে এই বাচ্চাকে যারা ধর্ষন করেছে, অবশ্যই তাদের গ্রেফতার করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দুনিয়াতে দুই শ্রেনীর মানুষ মন্দ কাজ করে। এক, যাদের অনেক টাকা আছে। দুই, যাদের অনেক টাকা নেই।

পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।
আলামত হিসেবে তাঁরা শুধু একটা মদের বোতল পেয়েছে। তন্ন তন্ন করে খুজেও আর কিচ্ছু পাওয়া যায়নি। পাহাড়ি এলাকা। সরকারী একটি হাসপাতাল আছে। কিন্তু সেখানে ফরেনসিক বিভাগ নেই। জয়ীতা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। এজন্য পুলিশ আসামী ধরতে আলসেমি করবে এটাই স্বাভাবিক। উপর মহল থেকে ফোন না পেলে পুলিশ কাজে তাড়া অনুভব করে না। চারদিন পর জয়ীতা হাসপাতাল থেকে বাসায় আসে। সে কারো সাথে কথা বলে না। শুধু কাঁদে। সে হাঁটতে পারে না। প্রচন্ড ব্যথা। তার চোখে মুখে রাজ্যের ভয়। পুলিশ তাকে অনেক প্রশ্ন করেছে, সে পুলিশের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। এদিকে নানী প্রতিদিন একবারা করে থানায় যাচ্ছেন। পুলিশ নানীর উপর বিরক্ত। পুলিশ বলেছে, বুড়ি মা তুমি প্রতিদিন থানায় এসো না। আমাদের বিরক্ত করো না। আসামী ধরা পড়লে তোমাকে জানানো হবে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাছি। থানায় বসে তো আমরা ঘাস খাই না। কাজ করি।

জয়ীতাকে ধর্ষনের এক সপ্তাহ আগে এই অঞ্চলে আরেকটা ঘটনা ঘটে।
একলোক তার স্ত্রীকে নিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলো। স্ত্রী ছয় মাসের গর্ববতী। তখন অনেক রাত। রাস্তায় হঠাত গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ভদ্রলোক তাঁরা স্ত্রীকে বলে তুমি গাড়িতে বসে থাকো। আমি দেখি আশেপাশে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। গাড়ি ঠেলতে হবে। ভদ্রলোক দশ মিনিট আশেপাশে কাউকে খুঁজে না পেয়ে ফিরে আসে। ফিরে এয়ে দেখে তার স্ত্রী গাড়ীতে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রীকে পাওয়া গেলো না। শেষে ভদ্রলোক থানায় গেলো। পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলল। পরের দিন সকালে পুলিশ ঐ এলাকা পুরোটা সার্চ করলো। স্ত্রীলোকটি কে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না। শুধু পাওয়া গেলো স্ত্রীলোকটির জুতো। এবং একটি মদের বোতল। এরকম একটা মদের বোতল, জয়ীতাকে যেখানে ধর্ষন করা হয়েছিলো, সেখানে পাওয়া গিয়েছিলো। দামী মদের বোতল।

লোকটা এখন প্রতিদিন জঙ্গলে বসে থাকে।
তার বিশ্বাস তার স্ত্রী ফিরে আসবে। পুলিশ তাকে বলল, আপনি দিনরাত জঙ্গলে বসে থেকে লাভ নেই। আমরা তদন্ত করছি। খুব শ্রীঘই আপনার স্ত্রীর সন্ধান দিতে পারবো। লোকটা বলল, যত টাকা লাগে আপনারা নিন। কিন্তু আমাত স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেন। আমি দুবাই থাকি। দুবাইতেই আমার ব্যবসা। দেশে এসেছি বেড়াতে। আমি চেয়েছি আমার সন্তান আমার দেশে হোক। পুলিশের হাতে এখন দুটা কেস। এক জয়ীতা। দুই, দুবাই থেকে আসা নিখোজ স্ত্রীলোকটি। হতে পারে দুটা কেসই সম্পূর্ন আলাদা। একটার সাথে আরেকটার কোনো মিল নেই। আবার হয়তো বা কিছু মিল আছে। পুলিশ জানে জয়ীতার কেস টা মীমাংসা করা সহজ। কিন্তু দুবাই ফেরত কেসটার কোনো ক্লু নেই। জয়ীতার ধর্ষকদের ধরতে পারলেও তাঁরা শাস্তি পাবে না। কিন্তু স্ত্রীলোকটি উধাও হলো কেন? সে গেলো কোথাও!

(....দ্বিতীয় পর্বে বিস্তারিত)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




ধর্ষককে ধরতে পারলে এবং শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গেলে, লিঙ্গ কেটে ক্রসফায়ার দেওয়া উচিত। অনেকেই বলবে এটা মানবাধিকার লংঘন, কিন্তু আমি বুঝিনা অমানুষের কিভাবে মানবাধিকার থাকতে পারে ! এ বিষয়ে আপনার কী মত?

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু কিছু অন্যায় আছে, যা ক্ষমা করাটাই অন্যায়। সে রকম একটা অন্যায় হচ্ছে ধর্ষন। এর কোনো ক্ষমা নেই।
যারা ইচ্ছা করে অন্যায় করে তাদের জন্য ''মানবাধিকার'' কিসের?

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: জয়াতারা বিচার পায়না।দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: দ্বিতীয় পর্ব আর লিখব না।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৩

এম ডি মুসা বলেছেন: নরপশুদের ছোবল থেকে রক্ষা হোক পৃথিবী

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরকমটাই আমরা চাই। কিন্তু তা হবে না।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: উপর মহল থেকে ফোন না পেলে পুলিশ তাড়া অনুভব করে না। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি দ্বিতীয় পর্ব আর লিখব না।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪১

আমি আগন্তুক নই বলেছেন: এটা কি বাস্তব ঘটনা?

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই বাস্তব ঘটনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.