নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা আসলে কি চাচ্ছে?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬



অনেকেই বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার মাথা ব্যথা কেন?
আমেরিকা সব সময় চায় বিশ্বের ভালো হোক। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটা একটা ভালো কাজ করেছে। এতে সমস্যায় পড়বে দূর্নীতিবাজরা। তাঁরা এখন টাকা পয়সা কোথায় রাখবে? তাদের ছেলেমেয়েকে কোথায় রাখবে? অলরেডি বহু মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সরকারের লোকজন বিরাট অসুবিধায় পড়ে গেলো। আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞায় আপনার আমার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হবে- রাজনীতিবিদদের। যেমন মন্ত্রী, এমপি, ছাত্রলীগ, সরকারী আইনজীবী, আমলা। এমনকি শেখ হাসিনার ছেলেরও সমস্যা হতে পারে। যদি আওয়ামীলীগ না শুধরায় তাহলে আমেরিকা আরো রেগে যাবে। তখন হয়তো বলবে, আমাদের দেশে বসবাসরত আওয়ামীলীগদের রাখব না। তাদের বের করে দেওয়া হবে।

এখনও আমেরিকাতে অনেক আওয়ামীলীগের নেতা আছে।
ওদের কপালেও দুঃখ নেমে আসতে পারে। এই বিষেধাজ্ঞা যদিও আমাদের দেশের জন্য অপমানকর। আওয়ামীলীগকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য এই অপমানটাই দরকার ছিলো। আমাদের দেশে লুটপাট, বিনা ভোটে মন্ত্রী এমপি হওয়া, ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি- মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষ সরকারের ভয়ে মুখ খুলে না। অন্যদিকে সংবাদপত্রওলারা নিজেদের হিজড়া বানিয়ে ফেলেছেন। অথচ বিশ্ববাসী সব জানে এবং বুঝে। আওয়ামীলীগের দূর্নীতি ও অসৎ আচরন- বিষয়টা আমেরিকার কাছে ভালো লাগছে না। আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার কারণে হয়তো অনেক দুষ্টলোক এখন ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ব্রাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেলফি তুলবেন। আবার নিষেধাজ্ঞা দেবেন। এইসব কি হচ্ছে? ঘটনা জট পাকিয়ে যাচ্ছে।

যেকোনো দেশ চাইলে যেকোনো দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
সহজ কথায় বলতে গেলে একটা দেশ অপর একটা দেশের ওপর শাস্তি হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমেরিকা আমাদের ভালো চায় বলেই- আমাদের ভিসা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমেরিকা হচ্ছে একটি সয়ংসম্পূর্ন ও সারা বিশ্বে একটি প্রথম সারির শক্তিধর রাষ্ট্র। বেশিরভাগ দেশেরই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ভার আমেরিকার হাতে থাকে। তাই আমেরিকা চাইলেই বিভিন্ন দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। আমেরিকা সারা পৃথিবী থেকে মেধাবী মানুষদের নিয়ে আসে। তাই আমেরিকায় মেধার অভাব নেই। একারনেই আমেরিকা শক্তিশালী এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। সহজ সরল সত্য কথা হলো- আমেরিকা ছাড়া আমাদের উপায় নাই। ভারত এবং আমেরিকা ছাড়া আমাদের উপায় নাই।

আমেরিকা নিজেদের আধিপত্যের জানান দিতে-
প্রথম সারির শক্তিশালী দেশগুলো বিভিন্ন বৈশ্বিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে থাকে ও নানান সময়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। অনেকে বলছেন- যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পিছনে লাগার মূল কারণ কী? যুক্তরাষ্ট্র মোটেও বাংলাদেশের পিছনে লাগেনি। যুক্তরাষ্ট্র যদি কারো পিছনে লেগেই থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে- শেখ হাসিনা। অর্থাৎ তারা আওয়ামীলীগ এর পেছনে লেগেছে। যদিও এটাকে পিছনে লাগা বলা যাবে না। এটা রাজনীতিরই একটা অংশ। হাসিনা এই বিপদ কাটিয়ে উঠবেন। মার্কিন ভিসানীতির প্রভাব আসন্ন নির্বাচনে না রাজনীতিতে পড়বে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বাংলাদেশ নিরপেক্ষ অবস্হানে আছে। আমেরিকা বিভিন্ন সময়ে চেয়েছে যেন বাংলাদেশ আমেরিকাকে সমর্থন দেয় কিন্ত বাংলাদেশ তা করেনি।

আমেরিকা ৭১ সালে আমাদের সাপোর্ট করেনি।
আমেরিকা আসলে আমাদের কাছে কি চায়? সেন্টমার্টিন আইল্যান্ডে ঘাটি করতে চায়? ফ্রান্স বাদ দিয়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনি সেটা চায়? শেখ হাসিনা ব্রিকস গেছে এটা আমেরিকা পছন্দ করে নাই। এজন্যই তাদের এত রাগ? নাকি মোদির সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো। এটা আমেরিকা সহ্য করতে পারছে না? সামিট ২০ কেন শেখ হাসিনা দাওয়াত পেলো? এটা নিয়েই আমেরিকার রাগ? নাকি আমেরিকা সত্যিই চায়- আমাদের দেশে সুষ্ঠু ভোট হোক। দূর্নীতি না হোক। ছাত্রলীগ অত্যাচার না করুক। নাকি শুধু মাত্র আমেরিকা শেখ হাসিনার উপর রেগে আছেন? আমেরিকা কি চায় হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে আসুক। আর ড. ইউনূস দেশের প্রধানমন্ত্রী হোক? আমেরিকার উচিৎ স্পষ্ট করে কথা বলা।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমেরিকা একটা সুষ্ঠ নির্বাচন চায়। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগও সেটাই চায়। প্রশাসন ও পুলিশও হয়ত সেটাই চাইবে। সুতরাং ধরে নিচ্ছি কোথাও কোন সমস্যা নেই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা কেন রোহিংগা সমস্যার সমাধানে কথা বলছে না?

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকা ভিসানীতি ঘোষণা করার আগে নিশ্চয় বাংলাদেশ সরকারের সাথে কারণ ও ইহার ফলাফল নিয়ে আলাপ করেছে; এই ব্যাপারে বাংলাদেশে সরকার মানুষকে কিছুই অবহিত করেনি। ওয়ায়দুল কাদের, আবদুল মোমেন ও বিএনপি'র বেকুবেরা যা বলছে, এতে মানুষের কাছে কোন কিছুই পরিস্কার নয়, মানুষ বিভ্রান্ত। একটা ব্যাপার ইহা নিয়ে ব্যুরোক্রেটরা নিজেদের স্বার্থের কথা ভাববে; এতে সরকারের মাঝে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই ইহা নিয়ে আমেরিকার সাথে কথা বলছে; কিন্তু আলোচনার বিষয় মানুষকে জানানোর সম্ভাবনা নেই; কারণ, বিএনপি ইহাকে ব্যব হার করতে পারে। পরোক্ষভাবে বিএনপি পুরো জাতির জন্য ১ টা বিশাল সমস্যা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা কি বিপদের মধ্যে আছে?

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকা নিজের ভালো চায়,চীন বিরোধী ঐক্য চায়।তার অনুগত সরকার চায়।এর কোনটিতেই বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু নাই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই পরিস্থির জন্য কি বিএনপি দায়ী?

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

কাঁউটাল বলেছেন: আমেরিকা বাংলাদেশের পোগোতিশীলদেরকে বাংগু দিতে চায়।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ইহা ভুল।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমেরিকা একনায়কতন্ত্র রোধ করতে চাইছে। কারন এগুলা একেক্টা বিষ্ফোড়া এই বিশ্বের শান্তির জন্য। রাশিয়া , চীন , উত্তর কোড়ীয়ার একনায়কেরা বিশ্বটাকে অশান্তিময় করে ফেলেছে। বাংলাদেশকে একনায়ক থেকে মুক্ত করতে পারলে ভারতকে টাইট দিয়ে রাখতে পারবে আমেরিকা কারন ভারতও একনায়কতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হয় আপনি সঠিক কথাই বলেছেন।

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অ্যামেরিকা আওয়ামীলীগের তৈরি সরকারকে হাল্কা টাইট দিতে চাচ্ছে। বেশী টাইট দিতে চাইলে এত সময় দিত না। অ্যামেরিকা সেটা করে ফেলত যে কোন ভাবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা মূলত বাংলাদেশের উপর রাগ নাই। সমস্ত রাগ শুধু শেখ হাসিনার উপরে।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

যুদ্ধটা সচেতন ভাবেই আমেরিকার সাথে নিয়ে যাচ্ছে হাসিনা,
এতে হাসিনার উপর আঘাত হলে দায়টা এখন আমেরিকাকেই নিতে হবে। এতে আন্তর্জাতিকভাবে আমেরিকাকে চাপে রাখা যাবে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এখন আর বিএনপি নয়, আমেরিকা। আর আমেরিকা দায় নিতে না চাইলে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা যাতে হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আর আমেরিকার ব্যবসায়ী মহলেরও চাপ আছে, বাংলাদেশে গন্ডগোল শুরু হলে হলে মার্কিন শেয়ার বাজারেও আঘাত পড়বে।
এই জিনিসটা বুঝতে পেরেই এম্ব্যাসেডর সাহেবও নিজেদের নিরাপত্তার দিকটা সামনে এনেছে। খেলা চলছে, খেলার প্লেয়ার হিসেবে এখন আর বিএনপি-জামাট নেই।

ভারত তো আছেই সৌদির মত দেশও আমেরিকারের পাত্তা না দিয়ে চীন রাশিয়ার সাথে ব্যাবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটাইতেছে। এতে কি বুঝা যায় না আমেরিকারে যে কেউ আর গুনে না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুব একটা ভুল বলেন নাই।
আপনার কথা আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছে।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমেরিকা আসলে দেখতে চাচ্ছে ছোটখাটো ব্যাপারে আমরা আসলে কত টেনশন করি আর কি পরিমান ক্যাচাল করি সেইটা দেখতে :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সম্পূর্ন ভুল কথা বললেন।

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: অন্য কিছুই নে কেবল মাত্র নিজের আধিপত্য । এরা বিএনপি আওমিলীগ বোঝে না বোঝে নিজের লাভ লস । যারা একে লাভবান করবে তারা তাদের পক্ষেই কথা বলবে । নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাখা এরা ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে এত দেশ থাকতে আমাদের উপর আধিপত্য করতে চাইছে কেন?

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

জুন বলেছেন: বাংলাদেশ, আওয়ামী, বিম্পি, নির্বাচন এইসব কিছুই আমেরিকার কাছে মেইন বিষয় না, তারা চাইছে সারা বিশ্ব জুড়ে ক্যাচাল এর মাধ্যমে তৃতীয় মহাযুদ্ধ লাগিয়ে কয়টা বন্দুক বেচতে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা একটি সভ্য দেশ।
সভ্য দেশের মানুষরা এরকম মানসিকতা কেন হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.