নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতে গরীবের কষ্ট হয়

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১১



আমাদের দরিদ্র দেশে এক শ্রেণীর মানুষ আছে-
তারা খুব বেশী রকম বিলাসিতা করে থাকেন। দরিদ্র দেশে বিলাসিতা করা ঠিক নয়। একেবারেই ঠিক নয়। দেশের স্বার্থে বিলাসিতা বন্ধ করতে হবে। নিজের শখকে মাটি করতে হবে। যাদের প্রচুর টাকা আছে- তাদের বিলাসিতা করতে লজ্জা হওয়া উচিত। ওমুক লোকের মেয়ের বিয়ে- ওমুক লোকের ছেলের বিয়ে- দাওয়াত দাও তিন থেকে পাঁচ হাজার মানুষ, খরচ করো লক্ষ লক্ষ টাকা। বিশাল কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করো। লাইটিং করো সারা বাড়ি রাস্তাসহ। কেন রে ভাই এই ফালতু খরচ? আপনার ছেলে অথবা মেয়ের বিয়েতে খরচটা কম করে সেই টাকা দিয়ে- দরিদ্র মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করুন। লোক দেখানো ব্যাপার স্যাপার বন্ধ করুন।

আমাদের দেশে এই শীত কালেই সবচেয়ে বেশী বিয়ে সাদী হয়ে থাকে।
এবং দুঃখের বিষয় এই শীত কালেই লক্ষ লক্ষ মানুষ শীতে কষ্ট করে। একটা শীতের জামার জন্য কি কষ্ট না ভোগ করতে হয় দরিদ্র লোক গুলোর। আচ্ছা, যারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দু তিন দিনের অনুষ্ঠান গুলো করে- তারা কি তখন একটা শীতের জামার অভাবে কষ্ট করা লোক গুলোর কথা ভুলে যায়? কি হয় যদি বিয়েতে কিছু কম খরচ করে, সেই টাকা দিয়ে পঞ্চাশ/একশ জনকে শীতের জামা কিনে দিলে? পাঁচ তারা হোটেল গুলোতে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান লেগেই আছে। এই অনুঠান গুলোতে অনেক টাকা খরচ করা হয়। এই ফালতু খরচ না করে- তারা কি পাঁচশো কম্বল দরিদ্র লোক গুলোর মাঝে বিলিয়ে দিতে পারে না?

কেএফসি অথবা কোনো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায়-
অকারণে বিলাসিতা করা মানুষ জন। তাদের কাছে টাকা যেন কোনো বিষয়ই না। অনেক মহিলাকে দেখা যায়- বড় বড় শপিং সেন্টার গুলোতে কেনাকাটা করতে। তাদের অনেক টাকা। তারা কেন দরিদ্র মানুষ গুলোকে সাহায্য করে না? দরিদ্র দেশে বিলাসিতা করতে তাদের কেন লজ্জা হয় না? তারা যখন বড় বড় রেস্টিরেন্টে আরাম করে বসে বসে মূরগীর ট্যাং চাবায়- তখন ভূখা মানুষ গুলো ফুটপাতে শুয়ে বসে থাকে অনাহারে। তখন কি তাদের ফুটপাতে শুয়ে থাকা দরিদ্র মানুষ গুলোর কথা একবারও মনে পড়ে না? সৎ মানুষেরা কখনও বিলাসিতা করে না। এবং তারা যথা সাধ্য দরিদ্রদের সাহায্য করে থাকে।

বিত্তবানরা সাহায্যের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসলে-
দরিদ্র মানুষ গুলোর শীতের কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়া খুব সম্ভব। বছরে একবার লোক দেখানো জাকাত দিলেই হয় না। অথবা নিজ গ্রামে একটা মসজিদ মাদ্রাসা বানিয়ে দিলেই হবে না। সব মানুষেরই দেশের প্রতি দায়-দায়িত্ব আছে। সরকারের পক্ষে একা সব দিক সামলানো সম্ভব নয়। দেশের প্রতি এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে সবার এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সম্ভব সোনার বাংলা গড়া। দয়া করে কেউ আবার আমাকে কমিনিষ্ট ভাববেন না। আমি আমার অবস্থান থেকে সব সময় দরিদ্রদের সাহায্য সহোযোগিতা করছি। তা খুব সামান্যই। যদি শিল্পপতি হতাম অথবা রাজনীতিবিদ অথবা সরকারী আমলা তাহলে ব্যাপক দুর্নীতি করে দরিদ্র মানুষ গুলোর মুখে হাসি ছড়িয়ে দিতাম।

শীত নিয়ে নিজের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি।
সুন্দরবন যাচ্ছিলাম আমরা। বাবা, মা ভাই বোন এবং আমাদের সমস্ত আত্মীয়স্বজনরা। একটা তিনতলা লঞ্চ ভাড়া নিয়ে। যখন আমাদের এমভি মাছরাঙ্গা- ৩ লঞ্চটি বঙ্গোপসাগরে উঠল। তখন মধ্যরাত এবং ভয়াবহ শীতকাল। আমি একটা ঘটনা নিয়ে ছোট চাচার সাথে রাগ করে কেবিনে না ঘুমিয়ে লঞ্চের ছাদে উঠে গিয়েছিলাম। ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। তীব্র ঠান্ডা বাতাস। হাড় কাঁপানো শীত। শীতে আমি কাঁপছিলাম। আমার হাত পায়ের আঙ্গুল ঠান্ডায় বাঁকা হয়ে আসছিল। শীত যে কি পরিমান তীব্র হতে পারে সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম। এরপর থেকে আমি শীতে দরিদ্র মানুষের কি পরিমান কষ্ট হয়- তা আমি বুঝতে শিখেছি।

মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামের অংশটি শরীরের অভ্যন্তরের এই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যেন সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলে। ভাত-মাছ, শাকসবজি থেকে শরীর প্রয়োজনীয় জ্বালানি সঞ্চয় করে, যা পুড়িয়ে শরীর তাপ পায়। অপুষ্টির শিকার গরিব-দুস্থ মানুষ তীব্র শীতের সময় খুব সহজেই হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ সময় শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্ত চলাচল প্রভৃতির গতি কমে যায়, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হলে ঠান্ডার অনুভূতিও নষ্ট হতে পারে, কারণ মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। মৃত্যু যে ঘনিয়ে আসছে, তা টেরও পাওয়া যায় না। খুব ঠান্ডায় হাত-পা জমে যায়, শরীরে কাঁপুনি ওঠে। একসময় মানুষ চেতনা হারায়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

শীতে কষ্ট সবারই হয় ।
তবে সবার জামা কাপড় থাকে না।
এটাই যে যন্ত্রণা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সহায় ও দরিদ্র লোকের পাশে দাড়াতে হবে।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪০

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আমি এই পয়েন্ট নিয়ে অনেককেই বুঝিয়েছিলাম। কাজ হয়নি। এমনও পরিবার দেখেছি, নুন আনতে ফুরায়, অথচ মেয়ের বিয়েতে জব্বর খাওয়া-দাওয়া হওয়া চাই। ধার করে হোক, কারও কাছ থেকে পেতে হোক। আর আমাদের চট্টগ্রামে যৌতুক চাওয়ার কৌশলটাও সুন্দর। বর পক্ষের কোন দাবী ধাওয়া নাই। শুধু ৫০০/১০০০ জন বৈরাত (মেহমান) খাওয়াতে হবে।
হাজার বুঝালেও বুঝেনা। স্ট্যাটাস করে করে শেষ হয়ে গেলো...
আমি গত বছর ভারতে গিয়েছিলাম। শীতের কষ্ট কতটা ভয়ংকর সেটা ভারতে হাড়ে হাড়ে বুঝেছি...
চমৎকার লিখেছেন রাজীব দা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম ধর্মে বিয়ে সাদীতে কম খরচ করতে বলা হয়েছে।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া নির্বাচন ভালোই হয়েছে।
তবে একটা দুঃখের বিষয়ঃ আমি যেই মার্কায় ভোট দিয়েছিলাম তিনি ডাব্বা কাত করিয়া দিয়াছেন।
আফসোস!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভের দেশ।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: হ্যাঁ, কষ্ট হয়।
কিছু দান করার উদ্যোগ নিন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিয়মিত দান করি।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যকথা বলেছেন কিন্তু শীতবস্ত্র বিতরণে সহযোগিতা কবে করনে
সময় শেষ হচ্ছে দাদা

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: এ বছর আপনাদের সহযোগিতা করতে পারবো না। অলরেডি আমাদের এলাকায় একটা সংগঠনকে দিয়ে দিয়েছি।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: শেষ কাকে, কোথায় দিলেন একটু বলুন, পারলে ছবি দিন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের ধর্মে আছে, দান এমন ভাবে করতে হয়, যেন ডান হাত দিয়ে দান করলে যেন বাম হাত না জানতে পারে। আর আপনি বলছেন ছবি দিতে?

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

বিজন রয় বলেছেন: দান এমন ভাবে করতে হয়, যেন ডান হাত দিয়ে দান করলে যেন বাম হাত না জানতে পারে।

এই কথাটি আমার খুব ভালো লাগল।
যদি এই রকম হয় তাহলে ছবি দেওয়ার দরকার নেই।
প্রচারেরও দরকার নেই।

আর ধর্মের কথা ঠিক আছে, তবে এটা বুঝতে ধর্মের দরকার হয় না। আমরা এটা বুঝেছি ধর্ম ছাড়াই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শীতে ফুটপাতে বসবাস কারীদের কষ্ট অবর্ণনীয়।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসুন সামু থেকে আমরা শীত বস্ত্র বিতরন করি।

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪১

নাহল তরকারি বলেছেন: শীতে মানুষের খুব কষ্ট।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: অসহায় দরিদ্র মানুষের কষ্ট দূর করার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

প্রামানিক বলেছেন: নিচের প্যারাটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো লাগল।

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সবারই উচিত সাধ্যমত গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ান। ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.