নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
আজকে সাত রোজা।
সময় আসলে অনেক দ্রুত যায়। গতকাল সুরভি আর ফারাজাকে নিয়ে গিয়েছিলাম শপিং করতে। কারন আমি জানি, ১৫ রোজার পর থেকে ভয়াবহ ভিড় হবে। ভিড় আমার পছন্দ না। কিন্তু হায় কপাল! মার্কেটে গিয়ে দেখি প্রচুর ভিড়। আড়ং এ তো গজব অবস্থা। লোকজন পাগলের মতো কেনাকটা করছে। যাইহোক, কয়েকটা পাঞ্জাবী নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখি বিরাট লাইন। অন্তত ৭ টা লাইন। সাতটাতেই লম্বা লাইন। আমি সুরভিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ফারাজাকে নিয়ে আড়ং থেকে বেড়িয়ে গেলাম। আমার মতো আমার কন্যাও ভিড়ভাট্রা পছন্দ করে না। আমিও রোজা রাখি নাই, আমার কন্যা ফারাজাও রোজা রাখে নাই। তাই আমরা একটা আইসক্রীমের দোকানে চলে গেলাম। বাপ বেটি আইসক্রীম খেলাম। গতকাল বেশ রোদ ছিলো।
আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা নাম দিয়ে মূলত প্রতারনা করেন।
সরকার একদম চুপ। যেন সরকারের ইচ্ছায় তারা মানুষকে ঠকাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা হচ্ছে, কাউকে ঠকাতে পারলেই ভাবে- 'জিতে গেলাম'। আড়ং থেকে একটা পাঞ্জাবী নিলাম, দাম ও ভ্যাট মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার টাকা। অতি সাধারন একটা পাঞ্জাবী। ছয় হাজার টাকা কেন হবে? বড়জোর ১২শ' টাকা হতে পারে। যাইহোক, পাঞ্জাবী কিনতে হবে, কিনলাম। কন্যার জন্য জামা কিনতে একটা বড় দোকানে গেলাম। তাদেরও একই অবস্থা। সিম্পল একটা জামা দাম লিখে রেখেছে ২৭শ' টাকা। এই জামার দাম সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা হতে পারে। যাইহোক, প্রশ্ন করা যাবে না। কাকে প্রশ্ন করবো? বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো দাম বসিয়ে দিয়েছে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। ইহা অন্যায়। অথচ সরকার নিরব বছরের পর বছর ধরে।
ইদকে সামনে রেখে চোর, ছিনতাইকারী এবং পকেটমার পাচ গুন বেড়ে গেছে।
ভিড়ের মধ্যে থেকে প্রায়ই চিৎকার শোনা যাচ্ছে, আমার মোবাইল নিয়ে গেলো। মোবাইল নিয়ে গেলো। পকেটমাররা সমানে পকেট মারছে। তাদের মধ্যে কোনো ভড়ডর নেই। পুলিশ বা দোকান মালিক সমিতি ইচ্ছা করলে এই সমস্ত পকেটমারদের সরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সবাই চুপ। সবাই নিরব। নিরব কেন আমি ভেবে পাই না। প্রতিদিন অসংখ্য মোবাইল চুরী হচ্ছে, পকেটমার হচ্ছে। পুলিশের কোণো তৎপরতা নেই। কোন এলাকায় কারা পকেট মারছে, বা কারা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে, সেসব নিয়ে কারো কোনো মাথা নেই। আমাদের দেশে কেউ তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। দুই মেয়র ফুটপাত দখল মুক্ত করছেন না। পুলিশ, চোর ছিনতাইকারী আর পকেটমারকে ধরছে না। জিনিসপত্রের দাম দাম লাগামহীন।
আমাদের এলাকায় এক কসাই আছে। নাম খলিল।
খলিলকে নিয়ে স্যোসাল মিডিয়া খুব হইচই করছে। খলিল ভালো, খলিল কম দামে মাংস বিক্রি করে, খলিলের দোকানে অনেক ভিড় হয়। আমার এলাকায় খলিলের দোকান। মূলত খলিল একজন ভন্ড ব্যবসায়ী। খলিল প্রচন্ড ভাবে মানুষকে ঠকায়। খলিলের দোকানের স্টাফ গুলো মানুষকে ঠকাতে ওস্তাদ। অথচ প্রশাসন খলিলকে ফুলের মালা দিলো। একজন প্রতারক ব্যবসায়ীকে। প্রশাসনের উচিৎ ছিল আগে এলাকাবাসীর কথা বলা। আমি দিনের পর দিন দেখেছি খলিল কিভাবে মানুষকে ঠকায়। অথচ মিডিয়া একজন ভন্ড, মিথ্যাবাদী ও প্রতারক খলিল কসাইকে নিয়ে মেতেছে। হ্যা তার দোকানে অনেক ভিড় হয়। লম্বা লাইন হয়। সে প্রতিদিন ৩০/৪০ টা গরু জবাই দেয়। আসলে, বাঙ্গালী হুজুগে মাতাল ও ছাগলের মত আচরণ করে। খলিলের দোকান ৫/৬ হাত এর বেশি হবে না। খলিল রাস্তার মধ্যে গরু জবাই করে। ব্যস্ত রাস্তা। সারাক্ষন মানুষ যাতায়াত করছে। কোচিং সেন্টার আছে দুটা। বাচ্চারা এবং পথচারীরা গরু জবাই দেখে ভয় পাচ্ছে। সেদিকে কারো কোনো খেয়াল নেই। স্থানীয় থানার পুলিশ নিরব।
গতকাল শ্বশুর বাড়িতে ইফতারী করলাম।
আমার শ্বাশুড়ি বেচে নেই। আমি সুরভিকে বিয়ে করার অনেক আগেই আমার শ্বাশুড়ি মারা গেছেন। বিশাল বাসায় আমার শ্বশুর একা বাস করছেন। সুরভি এক ভাই তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রবাসী। ছোট ভাই বেশির ভাগ সময়'ই অফিসের কাজে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার শ্বশুরের বয়স হয়েছে, কিন্তু তার পাশে কেউ নেই। তিনি এখন একা। তার জন্য আমার মায়া হয়। অবশ্য শ্বশুর মশাই এখনও কর্মক্ষম। আমি যখন'ই শ্বশুর বাড়ি যাই, সাথে সাথে শ্বশুর মশাই বাজার করতে চলে যান। ফ্রিজে মাছ মাংস সব থাকলেও তিনি বাজারে যাবেনই। বিয়ে করেছি অনেক বছর হয়ে গেছে, তবু শ্বশুর সাহেব জামাই বাজার করতে ছুটেন। শাহানা নামে একজন আছেন। বিক্রমপুর বাড়ি। উনি রান্নাবান্না করেন। তার রান্নার হাত ভালো। উনি আমাকে আব্বা বলে ডাকেন। অনেক পদের খাবার রান্না করে তিনি আমার সামনে দেন। কিছুদিন আগে শাহানা আপার বড় ছেলের বিয়ে হলো।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দোয়া ও ইফতার পাটিতে অবশ্যই আসবেন রাজীব দা
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
আরইউ বলেছেন:
পোস্টে এসে দেখে গেলাম কে কী মন্তব্য করেছেন। আবার এসে দেখে যাবো সামনে।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি ৬ হাজার টাকা দিয়ে পাঞ্জাবী কিনে ফেললেন!
এতো টাকা দিয়ে পাঞ্জাবী কেনা যায় এটা আমার জানাই ছিল না।
অবশ্য আড়ং এর কাজ হচ্ছে বাইরের অন্য মানুষের তৈরী কম দামের জামাকাপড় কিনে এনে ১৫/২০ গুণ দামে বিক্রি করা।
দেশে অনেক টাকাওয়ালা ভোদাই ও অহংকারী ক্রেতা আছেন। তারা ভালো জিনিস নয়, ব্রান্ড এর জিনিস চান। আড়ং যেহেতু ব্রান্ড হয়ে গেছে তাই টাকাওয়ালারা ফুটানী দেখানোর জন্য আড়ং এর জামাকাপড় কেনে।
বলে- এটা না আড়ং থেকে এনেছি। আমি আবার যে সে পাঞ্জাবী পড়তে পারি না। আমার শরীর চুলকায়।
দেশের ব্যবসায়ীরা সৎ হলে কিছু মানুষের ফুটানীর হাত থেকে জাতি মুক্তি পেত।
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: আরইউ বলেছেন: আপনার বাসায় শুওরের মাংস রান্না হয়? সুরভী, পরী, ফাইহা, আপনি সবাই মিলে নিশ্চই মজা করে খান!
আরইউ@ এটা আপনি কি ঠিক বললেন ?
আড়ং দুই'শ পার্সেন্ট প্রফিট করে ।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২২
আরইউ বলেছেন:
@রানার,
ভুল কী বললাম। রাজীব নুর মুক্তচিন্তার মানুষ; উনিই বলে বেড়ান সবসময়। ওনার নিশ্চই পর্ক খাওয়া নিয়ে ট্যাবু থাকার কথা নয়!
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি আজ সন্ধায় হাতিরঝিল যাবো, বোটে চড়ে একটু হাওয়া খাবো।
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭
সোনাগাজী বলেছেন:
@আরইউ ,
শুনলাম আপনি অষ্ট্রেলিয়ায় থাকেন; সেখানে কি বানরের সাথে বসবাস?
১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:১২
আরইউ বলেছেন:
@লিলিপুটগাজী,
নাহ, অস্ট্রেলিয়ার মানুষ আমেরিকায় থাকা আপনার মত পিগমী, ডোডো, লিলিপুটদের মত বানরের সাথে বসবাস-সহবাস কিছু করেনা। ওটা আপনার কাজ, আপনিই করুন!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
আরইউ বলেছেন:
আপনার বাসায় শুওরের মাংস রান্না হয়? সুরভী, পরী, ফাইহা, আপনি সবাই মিলে নিশ্চই মজা করে খান!