নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
আজকে বাজার করেছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাজারে গিয়েছি। বাজারে যাওয়ার আগে ভাবলাম দেখি, এলাকায় কি কি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। গলির মধ্যে প্রতিদিন মাছ বিক্রি করে। সব রকম মাছ'ই পাওয়া যায়। গলির মধ্য থেকে মাছ কিনলে সমস্যা হলো, মাছ কাটার ব্যবস্থা নাই। অবশ্য এক মাছ বিক্রেতা মাছ কেটে দেয়। কিন্তু লোকটার মাছ কাটা সুন্দর না। চুদুর বুদুর করে কেটে দেয়। মাছ কাটা সুন্দর না হলে, সে মাছ আমার খেতে ইচ্ছা করে না। আজ প্রথমেই কিনলাম চিংড়ি মাছ। ৯শ' টাকা কেজি। এই চিংড়ি রোজার আগে ছিলো ৭শ' টাকা কেজি। যাইহোক, দুই কেজি নিলাম। ফারাজা চিংড়ি মাছ পছন্দ করে।
বাজারে গেলাম। দেশী মূরগী কিনব।
দুটা দেশী মূরগী। রোস্ট সাইজ। দাম নিলো ১৪শ' টাকা। রোজার আগে রোস্ট সাইজ দুটা দেশী মূরগী কিনতাম এক হাজার টাকা দিয়ে। রমজান মাসে মানুষ বেশি খায়। দাম তো একটু বাড়বেই। একটা রুই মাছ কিনলাম। বড় রুই মাছ। ওজন তিন কেজি থেকে একটু বেশি। দাম নিলো ১২শ' চল্লিশ টাকা। চার শ' টাকা করে কেজি। রুই মাছটা বাজার থেকেই কাটিয়ে নিলাম। চায়নিজ কাট। আমি সব সময় মাছ চায়নিজ কাট দেই। বাংলা কাট আমার পছন্দ না। রুই মাছ চায়নিজ কাট'ই ভালো। বড় রুই মাছ খেতে স্বাদ বেশি। আফসোস ঢাকা শহরে দেশী মাছ পাওয়া যায় না। সব চাষের মাছ। মাছ কাটার লোক আমার পরিচিত। লোকটার হাতের একটা আঙ্গুল কাটা। আঙ্গুলটা কাটলো কি করে? জিজ্ঞেস করি নাই। মাছ কাটতে গিয়ে কি আঙ্গুল কাটলো? নাকি সৌদি গিয়েছিলো। চুরী করেছে। ধরা পড়েছে। আঙ্গুল কেটে দিয়েছে?
আমাদের এলাকার বাজারটা সিটি করপোরেশন ভেঙ্গে দিয়েছে।
তারা বড় বিল্ডিং করবে। তারপর সবাইকে একটা করে দোকান দেওয়া হবে। এখন এত এত দোকানদার যাবে কোথায়? তাছাড়া এই খিলগাও বাজার অনেক পুরোনো। এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ দাবী করছে এই জায়গা তাদের, আবার সিটি করপোরেশন বলছে এই জায়গা তাদের। হয়তো মামলাও হয়েছে। মামলায় মেয়র তাপস সাহেব জিতেছেন। প্রভাবশালী লোকজন চিন্তা করলো। এত দিনের পুরোনো বাজার। এত এত দোকানদার। তারা যাবে কোথায়? তখন দেখা গেলো, চারপাশে অনেক জায়গা খালি পড়ে আছে। সেই জায়গায় টিন ও বাশ দিয়ে অনেক দোকান বানানো হয়েছে। খোপ খোপ দোকান। ছোট দোকান। নিচে বিছানা হয়েছে ইট। সেই দোকানের জন্য দিতে হয়েছে এক লাখ টাকা। কেউ কেউ দিয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। এই টাকা কে বা কারা পেয়েছেন, আমি জানি না।
যাইহোক, অনেকদিন ইলিশ মাছ খাই না।
দামের দিক দিয়ে বলতে গেলে ইলিশ মাছের গজব অবস্থা। এক কেজি ওজনের একটা ইলিশ দুই হাজার টাকা। আমার একটা ইলিশ নিলে হবে না। আমাদের বড় পরিবার। অনেক সদস্য। দুটা ইলিশ কিনে ফেললাম। ৩৬ শ' টাকা দিয়ে। ইলিশ মাছটা চকচক করছিলো। এই ইলিশ মাছ বিক্রেতা আমার পরিচিত। ওর সমস্যা হলো দাম জিজ্ঞেস করলেই মাছ ব্যাগে ভরে দিয়ে দেয়। যাইহোক, শেষে গেলাম- খলিলের মাংসের দোকানে। লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে আমি গরুর মাংস কিনতে পারবো না। খলিলের দোকানের পরিচিত এক লোককে ফোন করে বললাম। সে বাসায় এসে তিন কেজি গরুর মাংস দিয়ে গেলো। এলাকা থেকে সবজি কিনলাম। সবজির দাম কমই মনে হলো। ফারাজা লাউ ডাল পছন্দ করে। একটা লাউ নিলাম। মিষ্টি কুমড়া আরো অনেক কিছু।
রমজান মাসে যে গজব জ্যামটা থাকে।
প্রতি বছর ১০/১৫ রোজার পর গজব জ্যাম শুরু হয়। কিন্তু সেটা এ বছর প্রথম রমজান থেকেই শুরু হয়েছে। যে রাস্তায় যাই, সেই রাস্তায় জ্যাম। হ্যা মেট্রোরেল আছে। তাতে বাস ব্যবসায়ীদের কোনো ক্ষতি হয় নাই। সেই আগের মতোই বাসে সিট পাওয়া যায় না। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। বাজারে, রাস্তায়, শপিং মলে সব জায়গায় ভিড়। প্রচুর ভিড়। সকালে ভিড়, দুপুরে ভিড়, রাতেও ভিড়। অনেকে আজকাল বলছেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২৪ কোটি। সরকার কেন ১৮ কোটি বলে আমি বুঝি না। যা খুশি হোক, আমার কি? জানি আমার কিছু না। যাইহোক, মূলত সব সময়ই বাংলাদেশের গজব অবস্থা। বিশেষ করে করোনার পর থেকে গজবের মাত্রা বেড়ে গেছে আমাদের দেশে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। আবার অন্যদিকে নব্য ধনীদের সংখ্যা বেড়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি টাকার কুমির।