নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এ-যুগে চাকরি পাওয়ার চেয়ে চাকরি পেয়ে, চাকরি টিকিয়ে রাখা বেশি কঠিন।
অফিস পলিটিক্স মারাত্নক খারাপ ব্যাপার। চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক সময় দালালী চাটুকারিতা পর্যন্ত করতে হয়। অনেক অফিসের বস চাটুকারিতা পছন্দ করে, উপভোগ করে। বস গুলো কানকথা মন দিয়ে শুনে এবং বিশ্বাস করে। অফিসের বস গুলো বেশ নির্বোধ হয়। এদের বুদ্ধির ঘাটতি আছে। বস গুলো বুদ্ধিমান হলে চাকরি করে আরাম আছে। বসদের উচিৎ কান কথা না শোনা। নিজের বিবেকটাকে খাটানো। বেশির ভাগ অফিসের বসরা পিয়ন গুলোর কথা বিশ্বাস করে।
কলিগ এবং বন্ধু দুটার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
অফিসে আপনার সহকর্মীকে কখনো আপন ভাববেন না। বিশ্বাস করে ভরভর করে সব কথা বলে দিবেন না। প্রিয় সহকর্মী সাপ হতে সময় নিবে না। অফিসে শুধু আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করবেন। সহজ সরল ভাবে অফিসে থাকিবেন। সবার সাথে সহজ সরল সম্পর্ক বজায় রাখবেন। সাবধান থাকবেন কেউ যেন আপনার দোষ না ধরতে পারে। সবার চেয়ে কাজ বেশি করবেন। আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করবেন কাজের মাধ্যমে। তাই কথা কম বলুন। কাজ বেশি করুন।
সময় মতো অফিসে যাবেন।
এবং অফিস ছুটির আগে অফিস থেকে বের হয়ে যাবেন না। অফিসে বসে অযথা কম্পিউটার চালাবেন না। বিভিন্ন সাইটে ঢুকবেন না। মোবাইলে বেশিক্ষন কথা বলবেন না। চা সিগারেট খাওয়ার জন্য অফিস থেকে ঘন ঘন বের হবেন না। মনে রাখবেন কেউ না কেউ আপনার দিকে নজর রাখছে। অফিসে পিয়নদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন। সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলবেন। নিজের ব্যাক্তিত্ব ধরে রাখুন। কারো কাছে সস্তা হবেন না। কর্ম জীবনে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে। অসৎ মানুষকে কেউ সম্মান করে না।
অফিসে নারী সহকর্মীদের সাথে পিতলা খাতির করবেন না।
তাদের সাথে সস্তা রসিকতা করবেন না। প্রতিটা নারীকে সম্মান করবেন। কেউ আপনার কাছে সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন। ভাব দেখাবেন না। নিজের ইমেজ ধরে রাখবেন। ব্যাক্তিত্ব ধরে রাখবেন। আপনার কোনো কর্মকাণ্ডে যেন কেউ বিরক্ত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। ভুলেও কারো নামে গীবত করতে যাবেন না। কথা কম বলবেন, তাহলে শত্রু তৈরি হবে না। অনেকে অফিসকে সেকেন্ড হোম মনে করে। ইহা ভুল। অফিস হচ্ছে কাজের জায়গা। কাজ করবেন মাস শেষে টাকা পাবেন। টাকার চেয়ে বড় কাজ করে আনন্দ পাওয়া। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, সুখের চেয়ে স্বস্তিতে থাকা ভালো।
জাস্ট অফিসে আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করলেই হবে।
কে কি করলো সেটা আপনার দেখার দরকার নেই। কে দেরীতে হলো, কে কাজ করলো না, কে কাজে ফাকি দিলো, সেসব নিয়ে আপনি মাথা ঘামাবেন না। আপনি শুধু আপনার দায়িত্ব পালন করে যান। মনে রাখবেন দিন শেষে যোগ্য এবং দক্ষ লোকেরাই টিকে থাকে। আপনি অন্যদের চেয়ে বেশি কাজ করুন। কারো গীবত শুনবেন না। কারো গীবত করবেন না। তাহলে আপনি লাভবান হবেন। একটা কথা সারাজীবন মনে রাখবেন, আপ পিঠ নিচু না করলে কেউ আপনার পিঠে চড়তে পারবে না।
কৃপনতা বাদ দিন। প্রানবন্ত থাকুন। হাসিখুশি থাকুন।
সব সময় স্মার্ট থাকবেন, কথায় কাজে এবং পোশাকে। নিজের ডেস্ক নিজে পরিস্কার করবেন। আপনার পানির বোতল আপনি নিজে ভরে নিবেন। পিয়নদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। একটা অফিস তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যখন অফিসের স্টাফরা তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে না। কাউকে বলবেন না, আপনি অন্যদের চেয়ে বেশি কাজ করছেন, ওমুকে কিছুই করছে না। মনে রাখবেন সবার চোখ আছে, সবাই দেখছে, সবাই জানে। মন দিয়ে কাজ করে যান, সাফল্য আসবেই। দেরি হোক যায়নি সময়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৩২
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
বছরা নীর্বোধ হৈলে বছ হৈতে পারিতো না।
তারা বড় বেশী সেয়ানা।
সাড়ে শয়তান।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:১৯
আহরণ বলেছেন: সবাই আপনার মত হলে কোন সমস্যাই ছিল না। কিন্তু বাস্তবতা একদম ভিন্ন। অবৈধ ক্ষমতার দাপট, ঘুষ, চুরি, অফিস ফাঁকি দিয়ে নামাজের উছিলা, নারী সহকর্মীকে কুৎসিত প্রস্তাব দেওয়া........ এসবই তো, @ ভাইয়া?
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
নামাজের উসিলা একটা বড় ধরনের উসিলা।
এইটা বাংলাদেশের অফিস গুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে।
নামাজের কথা বলে অফিস থেকে বের হয়ে যায়।
এক ঘন্টার আগেও ফিরে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শত ভাগ সত্য!