নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪৫ বছর বয়সে যেভাবে ফিট থাকা যায়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬



ধরে নিলাম আমার বয়স ৪৬ বছর।
আমি দারুন ফিট আছি। বয়সের ভাড়ে নুয়ে যাইনি। আমার কোনো অসুখ বিসুখ নেই। প্রেশার নেই, ডায়বেটিস নেই, হাপানী নেই। কোমরে ব্যথা নেই। হাটুতে সমস্যা নেই। মুখে রুচির অভাব নেই। ঘুমের সমস্যা নেই। সব রকম খাবার চিবিয়ে খেয়ে ফেলি। হজমও হয়ে যায় কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া। দারুণ ফিট আছি। আসলে সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আমি নাদান মানুষ, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। আল্লাহ মহান। আল্লাহ চাইলে তো আমাকে করোনা দিয়ে মেরে ফেলতে পারতেন। লাখ লাখ লোক মারা গেলো করোনায়। আমি পাপী তাপী মানুষ। বারবার আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ফানা চাই। যাইহোক, মাঝে মাঝে আমাকে দেখলে মনে হবে আমার ৫৫ বছর। আবার মাঝে মাঝে আমাকে দেখলে মনে হবে আমার ৩২ এর বেশি হবেই না।

ভোরে আমি ঘুম থেকে উঠি। ছাদে চলে যাই, আকাশ দেখি।
ভোরের আকাশ দেখা দারুণ ব্যাপার। আকাশ দেখার সময় আমি মনে মনে সারাদিনের প্রার্থনা সেরে নেই। নিজের কিছু কথা প্রভুর সাথে শেয়ার করি। এই প্রার্থনা টুকু করে অনেক আনন্দ পাই, আরাম পাই, সাহস পাই, ভরসা পাই এবং হতাশা কেটে যায়। প্রতিদিন প্রার্থনা করা ভীষণ জরুরী। আল্লাহ বলেছেন, হে বান্দা তুমি আমার কাছে চাও। অবশ্যই আমি দেবো। প্রভুর কাছে আমি চাই সুস্থতা। সুস্থতার চাইতে বড় কোনো নেয়ামত আর নেই। প্রভুর কাছে চাইতে চাইতে আমার লোভ বেড়ে গেছে। আমার মন বলে প্রভু আমাকে জান্নাত দেবেন। জাহান্নামের আগুনে আমাকে পুড়তে হবে না। আমি একটা অন্যায় ও পাপ করার পর সাথে সাথে তওবা করি। দয়াল মুর্শিদ যার সহায়, তার কিসের ভাবনা। মৃত্যুচিন্তা আমার নেই। মৃত্যু চিন্তা মানুষকে দুর্বল করে ফেলে। মরন আসলে তো মরতে হবেই। তাই মরন নিয়ে আগেভাগে চিন্তা করার কিছু নেই।

আমি খাবারদাবার বেছে খাই। যা সামনে পাই হুমহাম করে খাই না।
মানুষের দুনিয়াতে সুস্থ ভাবে বেচে থাকার জন্য কি দরকার? দরকার পুষ্টিকর খাদ্য। টানা আট দশটা ঘুম। আনন্দময় ঘুম। প্রচুর মশলা ও প্রচুর তেল দেওয়া খাবার আমি খাই না। ফাস্টফুড খাই না। বাসী খাবার খাই না। অল্প ও পরিমিত বিশুদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করি। এবং তা পরিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর। সারাদিন ২/৩ কাপের বেশি চা খাই না। হ্যা সিগারেট খাই। সিগারেট খারাপ। তাই অল্প পরিমানে খাই। অবশ্য মানুষ হয়ে জন্মেছি। তাই দুই একটা মন্দ কাজ করলে সেটা দোষের নয়। অবশ্য আমার মন্দ কাজে কারো কোনো ক্ষতি হয় না। ছোটবেলায় বিরাট এক মন্দ কাজ করেছিলাম। ডিসেম্বর মাস। প্রচন্ড শীত। গ্রামে গিয়েছি। নদীর ঘাটে নৌকা বাধা। সেই নৌকা বোঝাই পাট। পাট গুলো হয়তো সকালে গঞ্জে নিয়ে যাবে বিক্রি করতে। রাতের অন্ধকারে দুষ্ট ছেলেদের পাল্লায় পড়ে আমি সেই পাট বোঝাই নৌকায় আগুন লাগিয়ে দেই। সেই ছোট বেলার অন্যায়টা আমায়,আজও কষ্ট দেয়। অবশ্য আমার বাবা সেই পাটের মালিককে দাম পরিশোধ করে দিয়েছিলো।

আমি হাসিখুশি মানুষ। মুখ ঘোমড়া করে থাকি না।
সহজ সরল জীবন যাপন করি। জটিলতা কুটিলতা মুক্ত আমার জীবন। আমি নিষ্ঠুর মানুষ নই। প্রকৃতি ভালোবাসি। সময় পেলেই চলে যাই রমনা পার্কে। চলে যাই বোট্যানিকেল গার্ডেন। আরো ভালো লাগে সমুদ্র আর পাহাড়। প্রকৃতি, সমুদ্র আর পাহাড় উপভোগ করি। বড় ভালো লাগে। পৃথিবীতে দীর্ঘদিন বেচে থাকতে ইচ্ছে করে। কত শখ আহ্লাদী এখনো বাকি। আমস্টারডাম শহরটা দেখার বড় শখ। তারপর নবীজির দেশটা দেখার বড় শখ। হজ্ব করবো। মসজিদে নববীতে নামাজ পড়বো। সেই মসজিদে ১২ টা কোরআন শরীর দিবো। নিজের গ্রামের বাড়িতে একটা মসজিদ করবো, মাদ্রাসা করবো। কবরস্থানে বৃষ্টির দিনে হাটা যায় না। প্যাক কাদা পায়ে লেগে যায়। তাই ইচ্ছে কবরস্থানে পায়ে চলার পথ পাকা করে দিবো। হুহু করে সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু কিছুই করা হচ্ছে না। এজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আমার স্বপ্ন গুলো পূরণ হওয়ার আগে যেন আমার মৃত্যু না হয়।

আমি একা মানুষ। হ্যা বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু বউ আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
আমাদের একটা ছেলে আছে। অনেক বছর হবে গেলো, ছেলেটাকে দেখি না। ছেলের কথা মন হলেই ভীষণ কষ্ট হয়। ছেলেটা কি স্কুল ভর্তি হয়েছে কিনা জানি না। ঢাকায় থাকে না কোথায় থাকে জানি না। আমার সাথে যোগাযোগ নেই প্রায় পাচ বছর। জানি না তারা কোথায় আছে, কেমন আছে। বড় কষ্ট!! বড় কষ্ট!!! যাইহোক, শুধু মাত্র খাওয়া দাওয়া সঠিক নিয়মে করলে, দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেচে থাকা যায়। সেই সাথে ঘুম। টানা দশ ঘন্টা ঘুম। আর বেশি করে পানি খেতে হবে। ভাতের সাথে কাচা লবণ একদম নিষেধ। সেই সাথে চিনি। চিনি খুব খারাপ শরীরের জন্য। নিয়মমাফিক চললে ডাক্তারের পিছনে ছুটতে হয় না। আমি গত পনের বছর ডাক্তারের কাছে যাইনি। বেশ আছি আমি। শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.