নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ টাকার নোটে মন্দির মসজিদের ছবি

২২ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯



এটা অতি তুচ্ছ ব্যাপার।
এটা নিয়ে কথা বলা মানে সময়ের অপচয় করা। দরকারী বিষয়ে কথা বলুন, তাতে সমাজের উপকার হবে। দেশের উপকার হবে। দেশে এক কোটি বেকার তাদের জন্য কি করে চাকরির ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করুন। কত শত লোক রাস্তায় ঘুমায় তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করুন। রাস্তার জ্যাম কি করে কমানো যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা করুন। তার সমাধান খুজে বের করুন। দেশে দূর্নীতি কিভাবে বন্ধ করা যায় সেসব নিয়ে ভাবুন। অভাবী ও দরিদ্র মানুষের কথা ভাবুন। কত বাবা মা তার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারছে না তাদের কথা ভাবুন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান কি করে বাড়ানো যায় সেই চিন্তা করুন। ডাক্তারের ভিজিট, ওষুধের দাম এবং ডাক্তারের দেওয়া এই টেস্ট, সেই টেস্টের খরচ হুহু করে বাড়ছে। এসব নিয়ে কথা বলুন। বিশ টাকার নোট নিয়ে আপনারা চিন্তিত।

প্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দিয়ে আপনারা পড়ে আছেন অতি ফালতু বিষয় নিয়ে।
আজিব! দেশে জিনিসপত্রের দাম কি করে কমানো যায় সেসব নিয়ে ভাবুন। চুরী ডাকাতি ছিনতাই কি করে বন্ধ করা যায় সেসব নিয়ে ভাবুন। ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করুন। ওয়াজ মাহফিল সমাজের কোনো ভালো করতে পারছে না। ওয়াজ শুনে মানুষের পাগলামি বাড়ে। ঘোড়ার মতো লাফায়, বাশ বেয়ে বানরের মতো উপরে উঠে যায়, কৃষকদের সাহায্য করুন। তাদের সমস্যা গুলো শুনুন। আমাদের দেশে মসজিদের অভাব নেই, মসজিদ গুলো মানুষকে সৎ পথে আনতে পারছে কেন, সেটা ভাবুন। মসজিদে এসি, দামী টাইলস অথচ ছোট্ট শিশু ক্ষুধার জ্বালায় কাদছে। ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করছে, তাদের থামান। আমাদের জাতি পেছনে পড়ে আছে কারণ ফালতু বিষয় নিয়ে অতি মাত্রায় লাফালাফি করার কারনে। বিশ টাকার নোটে মসজিদ না মন্দিরের ছবি সেটা অতি তুচ্ছ বিষয়।

বিশ্ব এগিয়ে গেছে। আমরা পিছিয়ে আছি।
দেশে শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে মাদ্রাসা। শিক্ষার মধ্যে ধর্ম ঢুকে গেছে। নতুন প্রজন্ম হয়ে গেছে পংগু প্রজন্ম। এলাকায় এলাকায় তৈরি হয়েছে নতুন সন্ত্রাস। কিশোর গ্যাং। এই কিশোর গ্যাং মারাত্মক হিংস্র। এদের থামানো দরকার। সেই বিষয়ে ভাবুন। বিশ টাকার নোটে মসজিদের ছবি, না মন্দিরের ছবি সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। বিশ টাকার নোটে কুকুর বা বিড়ালের ছবি থাকলেই কি? মন্দিরের ছবি কি আপনার ভাতে ছাই দিয়েছে? দেশ দিন দিন গোল্লায় যাচ্ছে, সেদিকে নজর দিন। গতকাল নিজের চোখে দেখলাম, এক লোক তার সামনে বসে থাকা মহিলার গায়ে হাত দিলো। মহিলা লজ্জায় কান্না করে দিলো। লোকটার বয়স হবে ৫০ থেকে ৫৫ বছর। মুখ ভর্তি দাড়ি। নবীজি মুখে দাড়ি রাখতে বলেছেন। মাথায় টুপি। হুজুর গুলো বেশি লুচ্চা হয়। নবীজির উম্মত গুলো বদমাশ। জাস্ট বদমাশ।

অন্তর্বতী সরকার গত ১১ মাসে কোন ভালো কাজটা করেছে?
তারা সরকারি হাসপাতাল থেকে দালাল দূর করতে পেরেছে? দূর্নীতি বন্ধ করতে পেরেছে? বিনা কারণে কত লোক জেলে আছে জানেন? চাদাবাজি বন্ধ করতে পেরেছে? ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পেরেছে? সিএনজি গুলোকে মিটারে যেতে পেরেছে? চুরী, ছিনতাই, ডাকাতি বন্ধ করতে পেরেছে? বরং তারা কারাগার থেকে দাগী আসামীকে ছেড়ে দিয়েছে, মগজহীন ধার্মিকেরা মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পড়িয়েছে, ওয়াজ মাহফিলের নামে নারীদের নিয়ে উপহাস করছে, ওয়াজিরা বিজ্ঞানের যুগে ভুলভাল কথা বলছে। সব মিলিয়ে অন্তবর্তী সরকার দেশে গজব অবস্থা সৃষ্টি করেছে। মানুষের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, লুটপাট করেছে। ত্রাস সৃষ্টি করেছে। সব হয়েছে ইউনুসের ছত্রছায়ায়। ইউনুস দেশটাকে মগের মুল্লুক করে ফেলেছে। জামাত শিবির ছাত্রজনতা নাম দিয়ে দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। রাজাকারদের জয়জয়কার। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা আছে ভয়ে।

দেশকে গড়তে হলে দরকার আধুনিক শিক্ষা।
আধুনিক শিক্ষার বদলে ছেলেপেলে মাদ্রাসায় শিখছে কোন সূরা পাঠ করলে কবরের আযাব কমবে। কোন সূরা পাঠ করলে অভাব থেকে বাচা যাবে। সূরা টুরা দিয়ে দেশ সমাজ এমনকি সংসারের কোনো উপকার হবে না। দরকার শিক্ষা। সঠিক শিক্ষা। গলিতে গলিতে মাদ্রাসা। দিন শেষে মাদ্রাসার তালিবুল আলেম গুলো হবে সমাজের বোঝা। কোরআন মুখস্ত করে এরা তো ভালো একটা চাকরি পাবে না। মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা না নিয়ে এরা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করলেও তাদের ভালো হতো। শিক্ষার অভাবে আমাদের ছেলেমেয়েরা মধ্যপ্রাচ্যে যায়। গাড়ি চালায়, খেজুর বিক্রি করে, টেবিল মুছে, শ্রমিকের কাজ করে, বাসা বাড়িতে কাজ করে। আর ভারতের ছেলেমেয়েরা আমেরিকা গিয়ে আইটি সেক্টরে কাজ করে। ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা পড়ে আছে টিকটক, ইউটিউব আর ফেসবুক নিয়ে। বিশ টাকার নোটের চিন্তা বাদ দিন। দুষ্ট লোকজন অনলাইনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি করছে, ট্যাবলেট বিক্রি করছে এদের থামান। তাদের ক্রিম ও ট্যাবলেট খেয়ে মানুষের চর্ম সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের থামান। এটা জরুরি। বিশ টাকার নোটে মন্দির না মসজিদের ছবি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

মুসলিমরা হিন্দুদের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছে, চাদাবাজি করছে তাতে সমস্যা নেই।
বিশ টাকার নোটে মন্দিরের ছবি থাকলে সমস্যা? আওয়ামী লীগের আমলের চেয়ে দেশ তো এখন ভালো নেই। বিএনপি আসার পর দেশের আরো করুন অবস্থা হবে। তারা উন্নয়ন বুঝে না। বাংলাদেশের আসল শত্রু হচ্ছে জামাত শিবির। একাত্তরের পরাজিত শক্তি কোনদিন বাংলাদেশের ভালো চায়নি। তারা তাদের বাপ পাকিস্তানের কথা মতো কাজ করে যাচ্ছে। এনসিপি হলো জামাতের আরেকটা শাখা। শিবিরের চেয়েও ভয়াবহ এনসিপি। ইউনুসের উপর জাতি ভরসা করতে চেয়েছিল, বিশ্বাস করতে চেয়েছিল। কিন্তু গত ৫৪ বছরে যা হয়নি ইউনুসের আমলে তাই হয়েছে। মব সৃষ্টি করে চুরী ডাকাতি করা হয়েছে। মানুষকে পিটানো হয়েছে। রাজাকারদের সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে, পুলিশ হত্যা করা হয়েছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭১ এ পাকিস্তান বাহিনী যা করেছে, ইউনুসের আমলে জামাত শিবির সেই কাজ গুলোই করেছে। এসব নিয়ে ভাবুন। কথা বলুন। আওয়াজ দিন। বিশ টাকার নোটে মসজিদের ছবি না মন্দিরের ছবি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

ফারমার২ বলেছেন:



১০০ টাকার উপরে রাজাকার গোলাম আজমের ছবি চাই!

প্রায় ব্লগারদের পিতা মুক্তিযোদ্ধা; কোন ব্লগার দাবী করেননি যে, উনার পিতা রাজাকার ছিলো; কোন রাজাকারের বাচ্ছা কি ব্লগার হয়নি?

২| ২২ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৭

অপলক বলেছেন: ১৬ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। ১১ মাসে সেটা ঠিক হবে কি করে? ১৬ বছরে যে অত্যাচার, অনাচার, চাঁদাবাজি করে জীবন কে অসহ্য করেছে, তার প্রতিশোধ তো ভিক্টিমরা নেবেই। নিজেরা প্রতিশোধ নিত না যদি দেশের আগের সরকার বিচার ব্যবস্থা ঠিক রেখে যেত। চোরেরা ব্যাংক ফাঁকা করে রেখে গেছে।অর্থনীতিকে এমন ধ্বংস করেছে যে, দেশে ছিচকে চুরি, ডাকাতি বেড়ে গেছে। বেকারত্ত বেড়েছে।

আগের সরকার সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষিত জাতি রেখে গেছে, চাঁদাবাজ গোষ্ঠী জন্ম দিয়ে গেছে, কিশোর গ্যাং রেখে গেছে, দেশকে ভারতের কাছে যতটুকু সম্ভব বিকিয়ে গেছে। ২০২৩ সালে দুর্নীতি তে বাংলাদেশকে ১০ম স্থানে রেখে গেছে। আইনের শাসন তো ছিলই না। RAB কে মিস ইউজ করেছে। প্রত্যেকটা থানা অবিচারের আখড়া বানিয়েছিল। আর কি লাগে? দোষ শুধু ইউনুসের তাইনা। ঐ বেচারা তো উঁই এর ঢিবিতে পা ফেলেছে। নিজের সুনাম ধ্বংস করতে বেসেছে।

লীগ ভাবতো ঐ কাকের মত, যে গাছের ডালে বসে হাগু দিত আর মনে করত কেউ দেখেনি। ভাই আমরা সাধারন মানুষ, গাছের নিচে থেকে কাকের অকাম দেখেছি। গত ১১ মাসের কাহিনি নিয়ে ব্লগে এত গুলা প্রশ্ন যে ছুড়েছ, লজ্জা করেনি? ১৬ বছরের কাহিনী ভুলে গেছ?

লেখালেখি তো ভালই কর। পা চাটা কুত্তার মত কথা বলা মানায় না তোমার।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মশা নিধন করা দরকার।
এই অতি দরকারী কাজটা বাংলাদেশের কেউ করতে চায় না।

মশক নিধন করলে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক কমে যাবে। ফলে হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলি রাজস্ব খোয়াবে।
এই কারণে কেউই মশা নিধন করতে চায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.