![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রিয় কন্যা আমার-
তোমার প্রায় একমাস স্কুল বন্ধ। তুমি অত্যন্ত সফলতার সাথে প্লে-গ্রুপ থেকে পাশ করে নার্সারীতে উঠেছো। তুমি একটা বুদ্ধিমতি মেয়ে। স্মার্ট এবং আধুনিক। কথাবার্তা চালচলনে তুমি ভালো। যথেষ্ঠ মানবিক। তোমাকে যত দেখি, তত মুগ্ধ হই। মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি, ভাবি এটা আমার মেয়ে!! এই মেয়েটা আমার!! আমার গর্ব হয়। আনন্দ হয়। আমি এবং তোমার মা- তোমার মতো বয়সে এত চালাক চতুর ছিলাম না। ছোটবেলা থেকেই আমি তোমাকে বাজারে নিয়ে গেছি, বড় শপিংমলে নিয়ে গেছি, রিকশায় উঠিয়েছি, ব্যস্ত রাস্তায় নিয়ে ভিড়ের মধ্যে তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি, লোকাল বাসে উঠিয়েছি। ফুটপাতে একা ছেড়ে দিয়েছি। যেন সব অবস্থায় তুমি মানিয়ে নিতে পারো। ভয় যেন না পাও। বলা যেতে পারে তোমাকে ট্রেনিং দিয়েছি। কিন্তু তুমি টের পাওনি।
ফারাজা তাবাসসুম খান-
মাঝে মাঝে তুমি দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করো- বাবা খেয়েছো? মাত্র দুটা শব্দ- বাবা খেয়েছো? আমার অনেক ভালো লাগে। একসময় তোমার মা জিজ্ঞেস করতো খেয়েছো? আজকাল জিজ্ঞেস করে না। হয়তো তুমি জানতে চাও বলেই, তোমার মা জানতে চায় না। অবশ্য এজন্য আমার কোনো রাগ নেই। কারন সারাদিন তোমার মা সংসারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তোমার মায়ের বেশির ভাগ সময় তুমিই নিয়ে নাও। সকালের নাস্তা তুমি একা খাও। কিন্তু দুপুর ও রাতে তোমাকে খাইয়ে দেওয়া হয়। তোমাকে খাওয়াতে অনেক সময় লাগে। খাবার মুখে নিয়ে তুমি বসে থাকো। এই ঘর থেকে ওই ঘরে চলে যাও, টিভি দেখো। একটু পর-পর তোমাকে মনে করিয়ে দিতে হয়, মুখের খাবার শেষ করো। চাবাও। আমি মাঝে মাঝে তোমাকে খাইয়ে দেই। তখন তুমি তালবাহানা কম করো।
প্রিয় কন্যা আমার-
শামীম আপা মারা গেলেন। আমার খালাতো বোন। তার ক্যান্সার হয়েছিলো। শামীম আপার মৃত্যু তোমাকে ভাবিয়েছে। এই প্রথম তুমি মৃত্যু সম্পর্কে জানলে। হয়তো কিছুটা বুঝতেও পেরেছো। কারন তোমার মা তোমাকে নিয়ে হাসপাতালে গেছে শামীম আপাকে দেখতে। অনেক লোকজন এসেছে, তারা শামীম আপাকে নিয়ে কথা বলেছে, তুমি তাদের কথা শুনেছো। একদিন তুমি মন খারাপ করে আমায় বললে, বাবা তুমি মরে যেও না। আমি মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি- মেয়ের ভীষন মন খারাপ। তার চোখে প্রায় পানি চলে এসেছে। শামীর আপা মৃত্যুর সাত দিন পর। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ। আমরা বিছানায়। ঘুমাবো। ঘরের লাইট বন্ধ। হঠাত তুমি বলল- বাবা, মা তোমরা মরে যেও না। প্লীজ। ফাজ্জা মানুষের মৃত্যু হবেই। মৃত্যু থেকে কেউ বাচতে পারবে না। তবে আমরা জানি না, কার কখন মৃত্যু হবে!
ফারাজা তাবাসসুম-
আজকাল তুমি খুব বেশি প্রশ্ন করো। কঠিন সব প্রশ্ন। অবশ্য উত্তর আমার জানা। সেই উত্তর তোমাকে বললে তুমি কিছুই বুঝবে না। তুমি অনেক ছোট। মাত্র সাড়ে চার বছর। সেদিন তুমি প্রশ্ন করলে- বাবা মানুষ মারা যায় কেন? তুমিও কি মরে যাবে বাবা? আল্লাহ দেখতে কেমন বাবা? আল্লাহ কোথায় থাকে বাবা? একটা বাচ্চা মেয়েকে এই প্রশ্নের উত্তর কি দিবো আমি? সেদিন তুমি বললে, বাবা মশারা রক্ত খায় কেন? গতকাল রাতে তুমি বললে, বাবা তোমার বাবা নেই। আর মায়ের মা নেই। তারা দুজন মরে গেছে। একজন আমার দাদা, একজন আমার নানু। ফারাজা, আমার ধারনা তুমি অন্য সবার মতো হবে না। তুমি অন্য সবার থেকে আলাদা হবে। জ্ঞানে, ব্যবহারে, মানসিকতায়, মহত্বে, শিক্ষায় এবং ভালোবাসায়। ফারাজা মাঝে মাঝে তুমি আমার মাসে মজা করো। তুমি আমাকে সব সময় 'বাবা' 'বাবা' বলে ডাকো। সেদিন হঠাত 'আব্বু' 'আব্বু' বলে ডাকলে। আর খিলখিল করে হাসো।
ফাজ্জা প্রিয় কন্যা আমার-
দেশের পরিস্থির কথা কিছু বলতে চাই। ইসরায়েল আর ইরান যুদ্ধ শুরু করেছে। ভয়াবহ যুদ্ধ! এখন তো আদি যুগের মতো তীর আর তরোয়াল দিয়ে যুদ্ধ হয় না। যুদ্ধ হয় বোমা দিয়ে। এদিকে গাজা শেষ করে দিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধ খুবই ডেঞ্জারাস। আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে নয় মাস যুদ্ধ হয়েছিলো। লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। এখন আমাদের দেশে সরকার প্রধান হচ্ছেন ইউনুস। উনি নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত মানুষ। উনার সময়ে শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইহা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইদানিং আরেক কাহিনি শুরু হয়েছে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া। যার নাম মব। মব সৃষ্টি করে মানুষকে মারা হচ্ছে। জুতার মালা পড়ানো হচ্ছে। মেরে আধমরা করে পুলিশের কাছে দেওয়া হচ্ছে। কি ভয়াবহ চিন্তা করো!
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
২| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রিয় ভাইজি, লেডি হিটলার হাসিনার বিচার চলমান, আশা রাখি তুমি বড় হবার আগেই বিচার শেষ হয়ে যাবে। আরো আশা রাখি এমন লেডি হিটলার এর মুখোমুখি হবেনা তোমাদের প্রজন্ম
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মহান মানুষদের স্পর্শে ফারাজাও মহান হয়ে উঠুক, এই দোওয়া করি।
ধানমণ্ডি ২৭-এ বেঙ্গল বইতে তাকে নিয়ে যাবেন ঘন ঘন। সেখানে শিশুদের একটি কর্নার আছে।
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
অনেক ধন্যবনাদ।
৪| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- হাতির বাচ্চা কেনার পরিকল্পনার কি হলো?
- কন্যার জন্য শুভকামনা আর ভালোবাসা রইলো।
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: হাতির বাচ্চা ভাড়া নেওয়া হবে। হাতি পালা বিরাট দিকদারি।
৫| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মেয়ের জন্য শুভকামনা।
২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৬/৭ বছর বয়সেই সেলফ ডিফেন্স কোর্সে এডমিট করে দিন। দেশে হরামজাদা বাচ্চার অভাব নেই।"
২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: হারামজাদার বাচ্চারা সব যুগেই আছে, ছিলো।
৭| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
ফারাজা মামনির জন্য শুভকামনা।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: সাফল্য কামনা করি।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৯| ২৭ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৫:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই কন্যাটি খুবই কিউট।
মুগ্ধ হয়ে দেখি।
কষ্ট লাগে যখন ভাবি যে আগামী কয়েক বছর পরেই সে হিজাবের আড়ালে হারিয়ে যাবে।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: না এই মেয়ে হিজাবে হারাবে না।
হিজাব ছাড়াও শালীন ভাবে চলা যায়।
১০| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কষ্ট লাগে যখন ভাবি যে আগামী কয়েক বছর পরেই সে হিজাবের আড়ালে হারিয়ে যাবে।
@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,
-আপনি হুদাই কষ্ট লাগাইতাছেন! রাজীব নুর কি আফনারে এই কথা কইছে যে হের কন্যারে হ্যায় হিজাব পড়াইবো!
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: না হিজাব পড়াবো না।
১১| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ফারাজার প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা ও শুভকামনা।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৫
দানবিক রাক্ষস বলেছেন: আপনার মেয়ের জন্য লেখাগুলো আম্র পড়তে ভালো লাগে,
আশা করি, এক দিন সে এই সব লেখা পড়বে আর অনেক অবেগী হয়ে যাবে।
শুভকামনা রইল প্নার মেয়ের জন্য।