![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমাদের সংস্কৃতিই আমাদের পরিচয়।
আমরা বাঙালি। বর্তমানে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ভুলে গেছি। বিদেশি সংস্কৃতি নিয়ে আমরা লাফাচ্ছি। বর্তমান প্রজন্ম বড় বেশি নোংরামি করে বেড়াচ্ছে। ওদের কেউ থামাচ্ছে না। ভুল বিনোদনের মধ্যে ডুবে আছে জাতি। নির্লজ্জ প্রজন্ম। এদের আমার সকাল বিকাল দুইবেলা থাপড়াতে ইচ্ছা করে। এদের নিজেদের কোনো গুন নেই। নকল নাচ গান করে সেটাও ভালো ভাবে পারে না। এই প্রজন্ম ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউবকে বেছে নিয়েছে নোংরামি করার জন্য। কতিপয় সমাজের আগাছা- লায়লা, শিরিন, রবিন, শুভ্র, পুতুলপরী, নয়ন-মনি, প্রিন্স মামুন, টুইংকেল, প্রনমি, মোজাহেরভাই সহ ইত্যাদি নামের নির্লজ্জ বদ ভন্ড মূর্খ নারী পুরুষ। এদের পরিবারর গার্জিয়ানরাও চুপ। যেন তাদের ছেলেমেয়েরা মহৎ কাজ করছে। সমাজের কল্যান করছে। এদের বাবা মায়েরও শাস্তি হওয়া উচিত।
এই প্রজন্মের কয়েকটি নোংরা বিনোদনের কথা বলি:
বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে- যেমন ইদের দিন, পহেলা বৈশাখ, হ্যাপি নিউ ইয়ার ইত্যাদি দিন গুলোতে কিছু ছেলে একটা ইঞ্জিনওলা নৌকা ভাড়া করে। একটা বা দুটা পতিতা মেয়ে ভাড়া করে, সাউন্ড বক্সে বিকট গান বাজতে থাকে। নৌকা চলতে থাকে, সেই নৌকায় ভাড়া করা মেয়ে নিয়ে কুৎসিত নাচ গান চলে। এদের কেউ থামায় না, দাবড়ানি দেয় না। বাবা মা জম্ম দিয়ে এদের ছেড়ে দিয়েছে। খোজ রাখে না তাদের আদরের সন্তান কি করে বেড়াচ্ছে! কেউ কেউ পিকআপ ভাড়া করে। সাউন্ড সিস্টেম থাকে। উরাধুর নাচ গান চলতে থাকে। আরেক গ্রুপ আছে, তারা রাতে বের হয়। বাইক আর গাড়ি নিয়ে। তিনশ' ফিট গিয়ে তারা বাইক ও গাড়ির রেস লাগায়। মাওয়া রোডে প্রতিদিন একসিডেন্ট করছে। কিছু আছে মদের পাগল।
ঢাকার আশেপাশে অনেক শুটিং স্পট এবং গেস্ট হাউজ হয়েছে।
সেখানে সুইমিংপুল আছে। ডিজে আছে। ডিজে ম্যাডাম হাত পা বাকা করে নাচে। সুইমিংপুলে থাকা ছেলেমেয়েরা লাফালাফি করে। জড়াজড়ি করে নাচে। পুরো বিষয়টির মধ্যে সুন্দর কিছু নেই। নোংরা বিনোদন। এদেরকে কেউ থামায় না। আরেক শ্রেনী লঞ্চ ভাড়া করে। লঞ্চে ছেলেমেয়েরা আনন্দ ভ্রমণ নাম দিয়ে নোংরামি করে। ফাস্টফুড নাম দিয়ে ছোট ছোট খুপরি ঘর করা হয়েছে। সেখানে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা লটকালটকি করছে। তূরাগ নদীর পাড়ে খুপরি ব্যবসা খুব রমরমা। মূলত এই প্রজন্ম নোংরা প্রজন্ম। এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া করে না। এই প্রজন্মের আছে শুরু নেশা ও নোংরামী। এবং মিথ্যার ফুলঝুড়ি।
টিকটক বাংলাদেশে নোংরামির পর্যায়ে চলে গেছে।
টিকটক বিনোদনের জন্য। অথচ এরা টিকটকে যা-তা করছে। কোনো লজ্জা নেই। কেউ সাবান, শ্যাম্পু আর ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি করছে। কেউ নিজের শরীর দেখাচ্ছে। মূলত এরাই সমাজের আগাছা। আগাছার সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। এরাই জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এরা পরিবার থেকে সঠিক পারিবারিক শিক্ষা পায়নি। এরা আবার টিকটক মিলনমেলার আয়োজন করে। (সমাজের আগাছাদের মিলনমেলা) সবার কাছ থেকে চাদা নেয়। একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, ৭০ টাকা দামের ক্রেস্ট দেয়। ক্রেস্টের গায়ে লেখা থাকে সেলিব্রেটি। জ্ঞানে নয় ধান্দাবাজিতে এরা এগিয়ে। এদের নোংরামি প্রচার করে ইউটুবাররা। লাখ লাখ ভিউ হয়। তাদের কোনো হুশ জ্ঞান নেই। উপস্থাপিকা এদের দাওয়াত করে আনে, নোংরা প্রশ্ন করে। চোখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে, হাতে বেগুন ধরিয়ে দেয়। জিজ্ঞেস করে আপনার হাতে কি? রুচির এত অধপতন! ছিঃ।
আমাদের আসল সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে।
আমরা সবাই মুখোশ পড়ে আছি। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। মুখোশ পরা বিনোদনের জন্য আমরা আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছি। নৌকা বাইচ, বউচি, দাড়িয়াবান্ধা, পুথিপাঠ হারিয়ে গেছে। কানামাছি কেউ খেলে না। গ্রামে নবীন প্রবীনের ফুটবল খেলা হয় না। বাউলদের খুজে পাওয়া যায় না। এখন ভাত খেয়ে মায়ের শাড়ির আচলে মুখ মোছা হয় না। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের সাথে নাচা হয়। হলুদ বাটো, মেন্দি বাটো গান গাওয়া হয় না। আমরা আসল রেখে নকলের পেছনে দৌড়াচ্ছি। পালা গান, সারি গান কোথায় আজ? এখন মেয়েরা পায়ে আলতা দেয় না। চুল জুটি করে বাধে না। কাচের চুড়ি পরে না। এখন শবে ররাতে রুটি হালুয়া বানায় না, দোকান থেকে কিনে আনে। দিনদিন বাঙ্গালী জাতি গজবের দিকে যাচ্ছে।
৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০
রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক।
২| ৩০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সত্যকথা বিনোদনের মোহে আমরা কি আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছি।
৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
দেশ এনার্খীর মাঝে ডুবে গেছে।
আসিফ মাহমুদ যে আমেরিকার ভাড়াকরা জল্লদ, সেটার প্রমাণ পেয়েছেন?
৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা প্রমান পেলাম।
আপনি আজাইরা বা ফাউ কথা বলার মানুষ না।
আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় প্রবল।
৪| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২
কাঁউটাল বলেছেন: আসিফ মাহমুদ যেই ছাগলটাকে শিকার করার জন্য গুলি নিয়ে আমেরিকা যাচ্ছিল উহার নাম ছাগল খাইয়াম।
৫| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের কালচার খারাপ করার নাটের গুরু ফারুকি ।
৬| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:০২
কামাল১৮ বলেছেন: সব কিছুর মতো সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়।দ্রুত হয়না বলে আমরা বুঝতে পারি না।পরিবর্তন বিশ্বের একটা মৌলিক নিয়ম।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০
অধীতি বলেছেন: একহাত জায়গা পেলে মানুষ দালান কোঠা নির্মান করে। গ্রামে আগে উঠানে ফুলের গাছ থাকত এখন নাই। গ্রামের পর গ্রামের রাস্তা পাকা হয়েছে কিন্তু কালবার্ট হয়নি। ঢাকায় একটা বাচ্চা তার আশেপাশের ফ্লাটেরও কাউকে চিনেনা। ফাঁকা জায়গা পেলেই ময়লার ভাগার। এখানে কুতকুত খেলারও জায়গা নেই। আগে আমরা ছিলাম সমাজের ছেলে। কোন অপরাধ করলে যে কেউই শাসন করতে পারতো। আর এখন হচ্ছে সব নেতার ছেলে, আপন বাপকেও এরা মানেনা। নেতার ছেলেরা এখন বাইক রেস দেয়। এদের বাপের নাম জিজ্ঞেস করলেও এরা নেতার নাম বলে।