![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মনসা মঙ্গল কাব্য মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন এ জনপ্রিয় কাব্য।
সাপের দেবীর নাম মনসা। মূলত বেহুলা লখিন্দরের কাহিনী এই কাব্যের মুল বিষয় বস্তু। চাঁদ সওদাগরের বিদ্রোহ আর মনসার তেজ। মনসা মঙ্গল কাব্যের আসল নায়ক চাঁদ সওদাগরের ছেলে লখিন্দর। আজকের এই আধুনিক যুগে এসে পরিস্কার বুঝা যায়, এসব কাহিনির বানোয়াট। বাস্তব ভিত্তি নেই। এসব গল্প মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য।
কাব্যে ফিরি, পার্বতী ছাড়া শিব কারো সাথে সহবাস করতে চায় না। একদিন পার্বতী কাছে নেই। শিব বীর্য বের করেন সেই বীর্য পদ্ম পাতার রাখেন। শিবের বিন্দু থেকে মনসার জন্ম হয়। শিব মনসাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। যাইহোক, মনসার জন্ম হলো। মনসার অন্য নাম কেতকা বা পদ্মাবতী। কিন্তু মনসাকে কেউ পূজা করতে চায় না। চাঁদ সওদাগরও না। একজন দেবতার কন্যাকে পূজা কেন করবে না চাঁদ সওদাগর?
বিশ্বে সর্বপ্রথম সর্প পূজা কে করেন?
উত্তর হচ্ছে, তুরানী জাতি। আমাদের নবীজি, যিশু এবং গৌতম বুদ্ধের জন্মের আগে তুরানী জাতি সাপের পূজা করতো। আদি কাল থেকেই দরিদ্র লোকেরা সাপের পূজা করে। পূজা করলে মনে এক ধরনের শান্তি পাওয়া যায়। ব্যস এই টুকুই, আর কিছু না। অনেকে আজও আগে চাঁদ সওদাগরের পূজা করে, পরে মনসার পূজা করে। পূজা হয় ভারতে সবচেয়ে বেশি।
মনসা মঙ্গল কাহিনী মুখে মুখে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত।
তের চৌদ্দ শতকে কোনো এক মহান কবি এই কাহিনী লিখে ফেলেন। বাংলা, বিহার আর আসামে এই কাহিনী খুব জনপ্রিয়তা পায়। সত্য মিথ্যা মিলিয়েই এই কাহিনী তৈরি হয়েছে। যাইহোক, আলোচনায় যাই। চাঁদ সওদাগর বীর পুরুষ। সাহসী। একবার সে মনসাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। মনসা কোনো সহজ পাত্রী নয়, সে অনেক রকম রুপ ধারণ করতে পারে। মনসা চায় সওদাগর তার পূজা করুক। চাঁদ সওদাগর বলে, আমি তোমার পিতা শিবের পূজা করবো। তোমার নয়।
অনেক শাখা উপশাখা নিয়ে কাহিনী এগিয়ে যায়।
চাঁদ সওদাগরের ছেলের নাম লখিন্দর। অন্যদিকে একই সময় জন্ম নেয় বেহুলা। দুজন একই অঞ্চলের। তারা একসাথে খেলা করে। একসময় তারা বড় হয়। তাদের পরিবার তাদের বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু কোষ্ঠী মিলে না। তারপরও যদি তাদের বিবাহ হয়, তাহলে বাসর ঘরে লখিন্দরের মৃত্যু হবে সাপের কামড়ে। মনসা কঠিন দেবী। কিছুটা নিষ্ঠুরও। অন্যান্য দেবদেবীর মতো তারও কিছু অলৌকিক পাওয়ার আছে।
মনসা সাপ পাঠায় এবং সেই সাপ লখিন্দর কে কামড় দেয়।
সেই যুগে সাপে কাটা রুগীর চিকিৎসা ছিল না। ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। মৃত স্বামীর সাথে বেহুলা নিজেও ভেলায় ওঠে বসে। অনেক সময় পেরিয়ে যায়। লাশে পচন ধরে। বেহুলা প্রার্থনা করতে থাকে। তাতে মনসার মন কিছুটা নরম হয়। বেহুলাকে ডেকে স্বর্গে নিয়ে যায়। মনসা বলে তোমার শ্বশুর (চাঁদ সওদাগর) কে বলো আমার পূজা করতে। তাহলে তুমি তোমার স্বামীর প্রান ফিরে পাবে।
শেষমেশ চাঁদ সওদাগর মনসার পূজা করে।
মনসা তার অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে লখিন্দর কে বাচিয়ে দেয়। অতপর লখিন্দর আর বেহুলা সুখে শান্তিতে ঘর করিতে লাগিলো। এই যুগে এরকম লজিকহীন গল্প কেউ পড়বে না। এই কাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে। সিনেমা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
সাপের মাংস খেতে কেমন? সাপের পাম্প করা টগবগে লাফানো হার্ট একটু মদের সাথে খেলে দেহে কয়েক ঘোড়ার শক্তি পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশ্বাস।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই ঘটনা আরো বিশদ । তবে সামুতে লেখা আপনার ভারশন মেনে নিলাম।
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: এই কাহিনী নিয়ে আমরা যাত্রাপালা করেছিলাম।
নাম - চাঁদ সওদাগর।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
সাপের মাংস খেতে কেমন? সাপের পাম্প করা টগবগে লাফানো হার্ট একটু মদের সাথে খেলে দেহে কয়েক ঘোড়ার শক্তি পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশ্বাস।