নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৬৬

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২



গতকাল মিরপুর এসেছিলাম এক কাজে।
অল্প সময়েই কাজ শেষ, হাতে সময় আছে। তাই চলে গেলাম মিল্লাত ক্যাম্পে। মিরপুর এগারো'তে। এই ক্যাম্পে বিহারীরা থাকে। আজও তারা নিজেদের মধ্যে উর্দুতে কথা বলে। ক্যাম্প গুলোতে যারা থাকে তারা ভয়ানক দরিদ্র। ঘর গুলো জাস্ট মূরগী ঘরের মতো। একটা ছোট্র রুমে ৭/৮ জন থাকে। শুনেছি মিল্লাত ক্যাম্প মাদকের জন্য বিখ্যাত। অথচ সামনেই পল্লবী থানা। ভর সন্ধ্যায় আমি এক বিহারীর দোকান থেকে চা খেলাম। চা টা ভালো ছিলো। চায়ের মধ্যে একগাদা দুধের সর দিয়েছে। আগুন গরম চা। এক কাপ চা খাওয়ার পর মনে হলো- আরেক কাপ খাওয়া যেতে পারে। চায়ের মধ্যে এত সর! এরকম চা আমি সাধারনত খাই না। মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্প আর মিরপুর এগারোর মিল্লাদ ক্যাম্প সারারাত জমজমাট থাকে। এখানকার কাবাবের দোকান গুলো খুব জমজমাট।

সুরভি ফোন দিয়ে বলল- কমলা নিয়ে এসো।
ফারাজার স্কুল থেকে বলা হয়েছে কমলা নিয়ে যেতে। কমলা কোথাও খুঁজে পেলাম না। কমলা কি বারো মাস পাওয়া যায় না? মালটা আছে। কমলার মতোন দেখতে কেনু আছে। কিন্তু কমলা কোথাও নেই। কমলা নেই কেন? কমলা কি শীত কালের ফল? শেষমেষ মালটা ও কেনু নিয়ে নিলাম। মালটার কেজি ৩৫০ টাকা। কেনুও ৩৫০ টাকা কেজি। গতকাল আপেল নিয়েছি। আপেলের কেজিও নিলো ৩৫০ টাকা। একলোক ভ্যানে করে শশা বিক্রি করছে। দেশী শশা। শশা দেখে মনে পড়লো- ফারাজা শশা পছন্দ করে। তিন কেজি শশা কিনে নিলাম। সুরভি তিন ধরে বলছে কাচা মরিচ লাগবে। সব কেনা হলেও কাচামরিচ কিনতে মনে থাকে না। ৮০ টাকার কাচা মরিচ কিনে নিলাম। কিন্তু গত তিন দিন কাচা মরিচ ছাড়া রান্না হয়েছে?

দিন বদলেছে, যুগ বদলেছে।
সবাই নিজেদের বদলে নিয়েছে। ভিক্ষুকরাও নিজেদের বদলে নিয়েছে। করোনার পর থেকেই দেশে ভিক্ষুকদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এখন আমার লোকাল বাসে উঠা হয় না। মেট্রোরেলে উঠি। সেদিন অনেক দেরি হয়ে গেছে। মেট্রোরেল বন্ধ। বাসে উঠেছি। বাসে এক ছেলে উঠেছে। স্মার্ট ছেলে। মাস্ক পরা। সেই ছেলে- নরম সুরে, ভদ্রভাবে বলছে, আমার মায়ের অপারেশন। ধারধেনা করে মায়ের অপারেশন করেছি। এখন ওষুধ কেনার টাকা নেই। বাধ্য হয়েছি হাত পাততে। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। মায়ের ওষুধ কিনবো। বাসের লোকজন কমবেশি সবাই সাহায্য করলো। একজন দিলো দুইশ টাকা। ছেলেটা সব মিলিয়ে পাঁচ শ' টাকার মতো ইনকাম হলো। এক মহিলা তারা দুই ছেলে মেয়েকে রাস্তায় শুইয়ে ভিক্ষা করে। ছোট ছোট দুই বাচ্চা। প্রতিদিন একই দৃশ্য! বাচ্চা দুটা ঘুমে। গভীর ঘুমে। বাচ্চাদের কি ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে?

অনেকে বাসা বাড়িতে কুকুর বিড়াল পালে।
ঢাকা শহরে বাসা বাড়ি ছোট ছোট। এর মধ্যে কুকুর বিড়াল পালা কি দরকার? কুকুর বিড়াল প্রতি মাসে কয়েক লাখ মানুষকে খামচি/আচড় দেয়। কুকুর বিড়াল আচড় দিলে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হয়। এই ভেকসিনের আবার অনেক নিয়ম কানুন আছে। যে বাড়িতে কুকুর বিড়াল পালে, আমি সেসব বাসায় যাই না। আমার খালা গতকাল ফোন দিয়েছেন। বাসায় আয়। অনেকদিন তোর কোনো খোজ খবর নাই। আমি অসুস্থ আমাকে দেখতে আয়। আমি খালার বাসায় যাই না। খালার এক মেয়ে কুকুর, বিড়াল দুটাই পালে। কুকুর বিড়াল নিয়ে কি যে আহ্লাদ করে। দেখলেই মেজাজ খারাপ লাগে। ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসরের বাসায় আমি যেতাম। সেই প্রফেসরের বাসা ভরতি খরগোস। বসার জন্য আমি পরিস্কার কোনো জায়গা খুঁজে পেলাম না। খরগোস পিসাব করে, পটি করে। পুরো ঘরে বাজে গন্ধ! এখানে সেখানে গাজর, বাধাকপি পড়ে আছে।

আমার এক বন্ধু মুহিব।
মুহিব বিয়ে করেনি। সে ঘোষনা দিয়েছে কোনোদিন বিয়ে করবে না। মুহিবের বাবা মা চাকরির জন্য সাউথ আফ্রিকা থাকেন। মুহিবের অন্য ভাইবোনরা সব বিয়ে করে ফেলেছে। মুহিব থাকে তার খালার কাছে দিনাজপুর। খালার ব্যবসা দেখাশোনা করে। মুহিব ঢাকায় এলে আমাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়। বছরে দুই একবারের বেশী মুহিব ঢাকায় আসে না। মুহিব শুধু ঘুরে বেড়ায়। বছরের এগারো মাস কাজ করে, এক মাস ঘুরে বেড়ায়। আমিও মুহিবের সাথে অতি দুর্গম এলাকায় গিয়েছি। জঙ্গলের মধ্যে ছোট তাবুর মধ্যে থেকেছি। আমরা সব বন্ধুবান্ধব বিয়ে করে ফেলেছি। বাচ্চা-কাচ্চাও হয়ে গেছে। মুহিব বিয়ে করে না। আমরা ধরেই নিয়েছি মুহিব কোনোদিন বিয়ে করিবে না। সেই মুহিব শালা কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। মানুষ বোধহয় কথা দেয়, কথা না রাখার জন্য।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



এসব বিহারী পাকিস্তান যেতে চাহে না?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০০

রাজীব নুর বলেছেন: না চায় না।
তারা মনে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে তারা ভালো আছে। পাকিস্তান গেলে তারা ভোটার আইডি কার্ড পাবে না। ভালো চাকরি পাবে না। মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। বাংলাদেশে যে তারা ভালো আছে, তা-ও না। আসলে ওদের বাপ দাদা মারা গেছে। ওদের জন্য স্বাধীনতার পরে। আর যাদের বাপ দাদা আছে, তারা মাঝে মাঝে পাকিস্তান যায়, দেখা করে আসে। তাছাড়া এখন মোবাইলের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ আছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু বিহারী তাদের ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছে। এখন তারা ভালো চাকরি করছে। বিহারী এলাকা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। তারা বিহারী।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র বিহারীরা কি খায় আপনাকে বলতে চাই-

ফার্মের মূরগীর পা গুলো জমায়। এক মাসে অনেক গুলো পা জমে যায়। সেই পা দিয়ে কোনো এক শুক্রবার তারা স্যুপ বানায়। এই স্যুপ তাদের খুব পছন্দ।

আমি কখনও এই স্যুপ টা খাইনি।
একদিন সুরভিকে বললাম, ফার্মের মূরগীর পায়ের স্যুপ বানাও। সুরভি বলল- এই স্যুপ আমি কোনোদিনও বানাতে পারবো না।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনার বন্ধু মুহিবের জন্যে শুভকামনা।

আমার মা কমলা খুব পছন্দ করেন। বাজার থেকে নিজে ঐদিন কমলা কিনে এনেছেন! সিলেটে আগে খুব ভালো কমলা পাওয়া যেতো। কমলার বাগান ছিলো বেশ! এখন খুঁজেই পাওয়া যায় না!

আমার ছোট মেয়ে সোহানা পশু-পাখি খুব পছন্দ করে। কিন্তু, বিবিজানের সেগুলো পছন্দ না বলে ঘরে পশুপাখির এন্ট্রি একদম বন্ধ!

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০১

রাজীব নুর বলেছেন: মুহিবের বিয়ের খবর আমি পেয়েছি।
বিয়ের পর মুহিবের সাথে আমার দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।

কমলা ভালো ফল। ভিটামিনে ভরপুর। আমার কন্যা ফারাজা কমলা পছন্দ করে। শীত কালে কমলা খেতে বেশি ভালো লাগে।

ঘরে কুকুর বিড়াল ডুকাবেন না। সর্বনাশ হবে তাহলে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভাবছি মুহিবকে দাওয়াত দিবো।
আসুক বাসায় বউ নিয়ে। দুদিন বেড়িয়ে যাক।

শ্যাইয়ান ভাই বললে বিশ্বাস করবেন না। আমি কমলা পছন্দ করি। কিন্তু ছিলে খেতে হবে বলে খাই না। কেউ আমাকে কমলা ছিলে দেয় না। ছোটবেলায় আব্বা কমলা ছিলে দিতো। এখন কে ছিলে দিবে?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লক্ষ্মী মেয়ে সোহানা।
একদিন বাসায় নিয়ে আসুন। ফারাজার সাথে খেলবে।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বড়োলোক মানুষ , বড়োলোকি কারবার ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকায় নিজেদের একটা বাড়ি আছে। ছোট বাড়ি।
ব্যস এই টুকুই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি শুনলে অবাক হবেন- মাস শেষে আমাকে বাড়ি ভাড়া দিতে হয় না।
পানি বিল, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল কিছুই দিতে হয় না। এমনকি সিড়ি মোছার টাকা, নেট বিলও দিতে হয় না।

সুন্দর জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: তবে আমরা ধনী নই।
তাই বলে হত দরিদ্র নই। কারো কাছে হাত পাততে হয় না।
খেয়েপড়ে বেঁচে আছি। সুন্দর আছি।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



কমলা নিজে অথবা খুব নিকট আত্মীয়ের হাতে ছিলে খাওয়া উচিৎ।

নাহলে, জার্ম ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা তা তো অবশ্যই।
হাতে ময়লা নিয়ে কেউ কমলা ছিলে দিলে আমি ভুলেও খাবো না। ওয়াক ওয়াক।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আবার এসব ব্যাপারে খুব সাবধান।
যারা পরিস্কার পরিছন্ন থাকে না তাদের সাথে হ্যান্ডশেকও করি না। এদের সাথে মিশি না।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকে আছে, ভাত খাইয়ে দেয়।
আমি আজ পর্যন্ত কারো হাতে খাইনি।

আমার এক চাচা। গ্রামে গেলেই ভাত নিয়ে সবাইকে নলা করে খাইয়ে দেয়। আমি কখনও খাইনি।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




জেনেভা ক্যাম্প খুব নোংরা জায়গা।

আমি একবার একজনকে সাহায্য করতে তাঁর বাসায় ঢুকেছিলাম। গন্ধে আমার নাড়িভুঁড়ি উল্টে এসেছিলো।

যারা থাকেন, তাদের উচিৎ জায়গাটাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: মিল্লাত ক্যাম্পও নোংরা।
ভয়াবহ নোংরা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে বিহারীরা ভালো নেই।
ওরা নোংরা পরিবেশে থাকে। তবে কিছু বিহারী লেখাপড়া করেছে। তারা চাকরি করছে। বিহারী পট্রি ছেড়ে- ভালো পরিবেশে ভাড়া বাসা নিয়ে থাকে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াপদা কলোনী আছে মিরপুর। বিহারীদের। ভয়াবহ নোংরা।

কিন্তু আপনি অবাক হবেন, এই ওয়াবদা কলোনীতে কয়েকটা রুম আছে। আপনি ভিতরে ঢুকলে অবাক হয়ের যাবেন। এত সুন্দর করে সাজানো গোছানো। এসি আছে। টিপটপ।

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমি মিরপুরের ওয়াপদা কলোনি যাই নাই।

তবে, মগবাজারের ওয়াপদা কলোনিতে অনেক দিন গিয়েছি। খুব সুন্দর জায়গা ছিলো।

আমার মেঝ ফুফা মরহুম ডব্লিউ চৌধুরী ওয়াপদার চেয়ারম্যান ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.