নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের কি কি ক্ষতি হবে?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২১



আজকের একটা ঘটনা বলি, একটা ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতে গিয়েছি।
দোকানদার আমাকে ওষুধ দিচ্ছেন। এমন সময় একটা মেয়ে ওষুধ কিনতে দোকানে আসছে। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা বলল, আমার হাতের পার্স কই। পার্সে আমার টাকা আছে, কার্ড আছে। দরকারী কাগজ আছে। অনেক খোজাখুজি করেও দোকানে পার্সটা খুজে পাওয়া গেলো না। তখন সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হলো। সিসিটিভিতে দেখা গেলো, মেয়েটা রিকশা থেকে নামার পর পার্স থেকে টাকা বের করে রিকশা চালককে দেয়। এবং রিকশা থেকে নামার পর মনের ভুলে রিকশার সিটে পার্স রেখে ফার্মেসীতে ঢুকে যায়। রিকশা চালক পার্সটা পায়। সেই রিকশা চালক পার্সটা ফেরত দেওয়ার জন্য ফার্মেসীর গেটের কাছে আসে। এক মিনিট অপেক্ষা করে। তারপর মেয়েটাকে পার্স ফেরত না দিয়েই রিকশা নিয়ে চলে যায়। রিকশা চালক লোভ সামলাতে পারেনি।

বিএনপি যারা করে তারা এদেশেরই মানুষ।
এরা কেন দেশের খারাপ করবে? নিজের দেশের খারাপ কেউ করতে পারে? আপনি কি আপনার ঘরে আগুন দিয়ে সব কিছু পুড়িয়ে দেবেন? রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করেন, দেশকে ভালোবেসে। সবচেয়ে দুঃখের কথা হলো- ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর মানুষ বদলে যায়। নিজেকে কন্টোলের মধ্যে রাখতে পারে না। রিকশা চালকের মতো অবস্থা হত। মত ঘুরে যায়। নির্বাচনের আগে যেসব কথা দিয়েছিল, সব ভুলে যায়। ভলো কাজ করতে গিয়েও মন্দ কাজ করে বসে। আসল মানুষ হচ্ছে তারা, যারা ক্ষমতা থাকার পরও ক্ষমতা দেখায় না। দেশের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে। ১৯৭১ সালে দেশকে ভালোবেসে মানুষ যুদ্ধ করেছিলো। নিজের জীবন এবং পরিবারের কথা ভাবেনি। দেশকে সবার আগে রেখেছে। যুদ্ধ করেছে। এরাই খাটি মানুষ। আমাদের দরকার এখন খাটি মানুষ।

একসময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। তখন তারা কি করেছে?
সেই ইতিহাস জাতি নিশ্চিয় ভুলে যায়নি। বিএনপি প্রতি বছর দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। পুরো দেশে সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে। দেশে জংগীবাদ বেড়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ৬৪ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিলো। দেশের উন্নয়ন তেমন কিছুই হয়নি। উন্নয়নটা করবে কে? বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। বুঝে শুধু দূর্নীতি। আওয়ামী লীগ দূর্নীতি করলেও, উন্নয়নটা অব্যাহত রাখে। দেশের মানুষ চায় উন্নয়ন। দেশের মানুষ চায় কর্মসংস্থান। চায় শান্তি মতো ব্যবসা করতে। চায় জিনিস পত্রের দাম না বাড়ুক। শিক্ষার মান বাড়ুক। খুন ধর্ষণ না হোক। বিএনপির ক্ষমতায় আসলেই অনেক অগা মগা জগা সীমাহীন টাকার মালিক হয়। উড়ে এসে জুড়ে বসে অনেক আলু মালু ফালু কালুরা সীমাহীন টাকার মালিক হয়ে যায়। অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়বে। নব্য ধনীদের সংখ্যা বাড়বে। চাটুকারিতা আর দালালি বাড়বে। আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার বাড়বে। ১৭ বছরের প্রতিশোধ নিতে শুরু করবে।

নির্বাচনের আগে নেতারা বড় বড় কথা বলেন। হেন করবো, তেন করবো।
এগুলো আসলে স্রেফ কথার কথা। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে কোনো নেতা এক কোটি মিথ্যা বলতে পারে অনায়াসে। বিএনপি এবার বলেছে, অনেক কর্মসংস্থান করবে। যা এই দরিদ্র দেশে সম্ভব না। বিএনপি বলেছে, সারা দেশে অনেক গাছ লাগাবে। সুন্দর কথা বলেছে। এবং এটা সম্ভব। গাছ আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। গাছের প্রয়োজন আছে। আমি চাই পুরো বাংলাদেশ সবুজ হয়ে যাক। একবার জিয়া সৌদির বাদশাকে নিম গাছ উপহার দিয়েছিলেন। মরুভূমির বুকে সেই নিম গাছ বেড়ে উঠেছে। এখনো সৌদির লোকজন নিম গাছকে বলে জিয়া গাছ। গাছ লাগানোর জন্য মন্ত্রী এমপি হওয়ার দরকার নাই। যে কেউ বৃক্ষ রোপণ করতে পারে। ভালো কাজ করলে কেউ বাধা দেবে না। বরং শ্রদ্ধা করবে, ভালোবাসবে। যখন কেউ মন্দ কাজ করতে চায়, তখনই তার ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। ভালো কাজ করার জন্য, মানুষকে ভালোবাসার জন্য ক্ষমতার কোনো প্রয়োজন নেই।

আসল কথা হচ্ছে মানুষ এবং দেশকে ভালোবাসার জন্য ক্ষমতার প্রয়োজন নেই।
সদিচ্ছা থাকলেই হবে। বিএনপিতে যোগ্য ও দক্ষ লোক নেই বললেই চলে। বেগম জিয়া ছিলেন সাধারণত গৃহবধু। উনি রাজনীতি বা উন্নতির কি বুঝবেন? উনার বিশেষ লেখাপড়াও নেই। উন্নত বিশ্ব সম্পর্কে নেতা কর্মীদের কোনো ধারণা নেই। স্বামীর কারণে বেগম জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দেশকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্য যে জ্ঞান বা মেধার প্রয়োজন তা বিএনপির নেতা কর্মীদের নেই। বেশির ভাগ নেতা কর্মীদের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, প্রত্যেকের কাধে দূর্নীতির ও সন্ত্রাসীর মামলা আছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো, তারা কি কি করেছে দেশের জন্য সেই তালিকা করতে গেলে কিছুই খুজে পাওয়া যাবে না। জ্বালাও পোড়াও তো বিএনপি কম করে নাই। দেশের ক্ষতি তো কম করে নাই। বিএনপি কি পারবে চাদাবাজি বন্ধ করতে? চাদাবাজি করার জন্য বিএনপি ওস্তাদ। স্বচ্ছ রাজনীতি বিএনপি বুঝে না। এবার যদি বিএনপি আওয়ামীলীগের ঘটনা থেকে শিক্ষা না নেয়, তাহলে তাদের কপালে দুঃখ আছে।

দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর হয়ে গেছে।
জাতি তার লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি। দু:খের বিষয় যে শালা'ই ক্ষমতায় আসুক, জনগণের ভাগ্য বদলায় না। যুগ যুগ ধরে মানুষ ফুটপাতে ঘুমাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ বেকার। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যাওয়া। ফুটপাত দখল। সিএনজি গুলো মিটারে না যাওয়া। প্রতি বছর নদীভাঙন, ধর্মীয় সহিংসতা। খুন, ধর্ষণ। সরকারি অফিস গুলোর জমিদার ভাব বন্ধ করা। সরকারি হাসপাতালে দালাল। সমস্যা গুলোর এগুলোর কেউ স্থায়ী সমাধান কেউ করে না। কত সরকার এলো, গেলো। কিন্তু সমস্যার সমাধান নেই। অথচ তাদের কত চ্যাটাং চ্যাটাং কথা। নির্বাচনের আগে দল গুলো কত ভালো ভালো কথা। আসলে আমাদের খাটি দেশ প্রেমিক নেতা নেই। এখন আমাদের দরকার মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা, শেখ মুজিব, তাজউদ্দীন আহমদ এদের মতো মহান নেতা। তবে জামাতের চেয়ে বিএনপি ভালো। বিএনপির চেয়ে আওয়ামিলীগ ভালো।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৬

আলামিন১০৪ বলেছেন: জামাতকে ভোট দিন, দুর্নিীতি থাকবে না

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: জামাত এলে দেশ হবে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়ার মতো।
জামাত!!! নো নেভার।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি এটলিস্ট আওয়ামী লীগের মতো ফটকা না। সারাসময় জংগীবাদ দমবের নামে শেখ হাসিনা জংগীবাদের বীজ আরো বিস্তৃত করে গিয়েছে। বিএনপির ডাকাতি সহযে বোঝা যায় আওয়ামী লীগের ডাকাতি বুঝতে মানুষের ১৬ বছর লেগেছে। শেখ হাসিনা এবং উনার পরিবারের সবাই এখন তারেকের চেয়ে বড়ো ডাকাত!

আওয়ামী লীগ একটা প্রজন্মকে উগ্র ডানপন্থী করে দিয়ে গেছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপির ইতিহাস আপনি ভুলে গেছেন।
বাদাম বেশি করে খান।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩১

বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনাদের রক্ত আওয়ামী পজিটিভ, বিএনপি নীতি দুর্নীতি যাই করুক আওয়ামী এর মতো হিংস্য জঘন্য হতে পারবেনা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ মানবিক এবং হৃদয়বান।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




দেশটা এনেছে স্বাধীনতাকামীরা, স্বাধীনতাবিরোধীরা ( পাকীদের পক্ষের লোকজন ) শেখ হত্যায় খুশী হয়ে বিএনপি'কে সাপোর্ট করে যাচ্ছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর ইউনুস সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুব বেশি অপমান করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.