নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক নই আমি। কোন চলচ্চিত্র দেখা মাত্র মনের কথা গুলি লিখে ফেলি আর কি।

রাজিন

আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ

রাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজিন রিভিউ: Detective Byomkesh Bakshy!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

সুপার হিরো মুভি এবং গোয়েন্দা নিয়ে মুভি একসময় সাধারণ মুভির কাতারেই পড়তো। কিন্তু ভেজাল লাগাইলো The Dark Knight এবং Sherlock। এরপর থেকে যতই ভালো সুপার হিরো মুভি বানাও না কেন সেটা The Dark Knight এর সাথে তুলনা চলে আসে এবং একই ঘটনা ঘটে গোয়েন্দা মুভির সাথে Sherlock নিয়ে। যদিও কোন ভারতীয় নির্মাতার বাপ-দাদারও সামর্থ্য নেই Sherlock এর মত কিছু করার তবুও “ব্যোমকেশ বক্সী” নিয়ে যখন মুভি হচ্ছে সেটা নিয়ে আগ্রহ থেকেই যায়। তবে ব্যোমকেশের গোয়েন্দাগিরি দেখতে গিয়ে যদি মনে হয় এর চেয়ে ভালো গোয়েন্দাগিরি পাশের ঔষধের দোকানের তপন করতে পারে তাহলে ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক।

তরুণ গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সী ( Sushant Singh Rajput) এর নিকট অজিত বন্দোপাধ্যায় ( Anand Tiwari) তার বাপের নিখোঁজ হবার সমস্যার সমাধানের জন্য আসেন। বিশ্ব বিখ্যাত গোয়েন্দার সমাধান:” তোর বাপ কোন মাইয়ারে লইয়া ভাইগা গেসে।“ আরে আজব! বাপ না এরশাদ? আরো কিছু সূত্র থেকে জানা যায় মুভির এরশাদ পান খাইতো এবং কোন একখান ব্যাচেলর মেসে থাকতো। কেস তামাম করার লাইগ্গা ব্যোমকেশ সেই মেসে উপস্থিত। কয়দিন পর দেখি অজিতও সেই মেসে থাকবো ব্যোমকেশের লগে। গোয়েন্দা মুভি দেখি নাকি Gay-এন্দা মুভি ? পান খাওয়ার কথা শুইন্যা এক ব্যাটায় টেনশানে কাশি দেওয়ার এক দৃশ্য দেখে আমার স্ত্রী বলে উঠলো নিশ্চয় এই ব্যাটার কাছে পানের বাক্স টাইপ কিছু লুকানো আছে। কিন্তু আমাদের ব্যোমকেশের একটু বেশি বুদ্ধি তো এই জন্য তার ব্যাপারটা বুঝতে ২-৩ ঘন্টা লাগলো। তার এই হয় সেই হয় , চায়না থেকে লোক আসে , জাপান থেকে লোক আসে কিছুক্ষণ পর মঙ্গোলিয়া থেকে মনে হয়ে চেঙ্গিস খানও আসে। কিযে হইতেসে সেটা বোঝার জন্য মাথায় চিন্তা আসে মুভিটা দেখবো নাকি দেখার ভান করে ঘুমাবো? এই মুভি থেকেই আমি আইনস্টানের আপেক্ষিকতা তত্বের “কাল দির্ঘায়ন” এর নমুনা দেখতে পাই। ২-৩ ঘন্টা যাবার পর দেখি মুভি মাত্র ৩০ মিনিট হয়েছে। আল্লাহ্ বাঁচাও!

শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের সৃষ্টি ব্যোমকেশ নিয়ে রচনাবলী পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। তবে সত্যজিত রায়ের ১৯৬৭ সালের মুভি “চিড়িয়াখানা” তে ব্যোমকেশ চরিত্রে উত্তম কুমারকে দেখে পুরাই কাইত হইয়া গেসিলাম। কি চরম একখান চরিত্র! কিন্তু এই মুভিতে এইডা কী দেখলাম? Sushant Singh Rajput কে ব্যোমকেশ হিসেবে দেখে মনে হয় “কে ভাই এইডা?”

দোষ বেচারা সুশান্ত সিং কে দেবার চাইতে আমি নির্দেশক দিবাকর বন্দোপাধ্যায়কেই দিবো। রক্ত দেখলে বমি করে, সব কিছুতেই একটু ভয় পায় এটা কোন ব্যোমকেশ? কই তার মুজিব চশমা? মোঁচ ব্যোমকেশ কবে থেকে রাখলো? যাই হোক চরিত্রের বাহ্যিক গঠন নিয়ে আমার জ্ঞান কম তাই ভুল হতেই পারে তবে ব্যোমকেশ বক্সীকে এরকম লুতাপুতা চরিত্র বানানো মাইনা নিলাম না। কারণটা কী? বাঙালী মানে লুতাপুতা আর পাঞ্জাবী মানে সিংহ?

কাহিনীর অনেক জায়গায় গোয়েন্দাগিরির প্যাঁচ আপনি গোয়েন্দার আগে বুঝে যাবেন কিন্তু কাহিনীটাই বুঝবেন না। এটা চিত্রনাট্যকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। মুভির অর্ধেক দুর্দান্ত রকমের বোরিং এবং শেষভাগ সাধারণ মানের বোরিং।

অভিনয়ের দিক দিয়ে আনন্দ তিওয়ারী এবং নিরজ কবি বেশ ভালো করেছেন। সুশান্ত সিং এর জন্য একটু বেশি কঠিন হয়ে গেছে হয়তো তবে ছেলেটি মেধাবী। চরিত্রটি আরো একটু শক্তিশালী করলে হয়তো পারবে।

মুভিটির প্রোডাকশন ডিজাইন বেশ দারুন হয়েছে। ১৯৪৩ সালের কোলকাতাকে বেশ সুন্দরভাবেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মুভিটি আমার ভালো না লাগলেও বেশ ভালোই ব্যবসা করছে। পরবর্তী মুভিটিতে আশা করি আরো একটু ভালো করে বানাবে।

সব মিলিয়ে বোরিং মুভি।

রেটিং – ১/৫

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২১

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ডিটেক্টিভ ব্যোমক্যাশের চেয়ে আমার কাছে ডিটেক্টিভ কিরিটি রায়- সিরিজ বেশী ভালো লেগেছে। কিরিটি রায়ের গল্পগুলো কেন যেন বেশ গুছালো আর বুদ্ধিদীপ্ত বলে মনে হয়। তারপরও আমার মতের সাথে সবার মিলবে না। তবে আমি কিরিটি রায়-কে বেশি পছন্দ করে ফেলেছি।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখা ভালো লাগছে। ছবিটা আগে দেখি নাই। দেখতে হবে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখুম না।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: ++++

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ৯৫-৯৬ তেই ব্যোমকেশের সকল লেখা শেষ করেছি এক টানে। কিন্তু, ছবির চেহারার সাথে বইয়ের চেহারার কোন মিল নেই...

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

শহিদুল বলেছেন: দেখার ইচ্ছা ছিল এই পোষ্টের কল্যাণে সময় বেচে গেলো।
ধন্যবাদ

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

সুমন কর বলেছেন: সত্যজিত রায়ের ছবির ফেলুদার চরিত্রে সৌমিত্রকে চরম লাগত এবং লাগে।

রিভিউ মজা করেই লিখেছেন।

দেখুম না। ;) ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: যাক দেখার আগেই দেখে নিলাম রিভিউতে। :)

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: "মুভির অর্ধেক দুর্দান্ত রকমের বোরিং এবং শেষভাগ সাধারণ মানের বোরিং " =p~


টাইম বাচায়া দিলেন, ধন্যবাদ !

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্যোমকেশ পড়লেও ভালো লাগত না। ছোট বাচ্চার কাহিনী

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১১

তাসজিদ বলেছেন: ভাল রিভিও। মুভি দেখমু না।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০২

দি রিফর্মার বলেছেন: ভারতীয় গোয়েন্দাদের মধ্যে নীহাররঞ্জন গুপ্তের কিরীটি রায় চরিত্রটি সবচেয়ে ভাল। যারা গোয়েন্দা গল্প ভালবাসেন তারা অবশ্য অবশ্যই পড়ে দেখবেন। আমি শার্লক হোমস্ এর একজন খাঁটি ফ্যান হতে চাচ্ছি। শার্লক হোমস্ রচনা সমগ্র (অনুবাদ-নচিকেতা ঘোষ-খুব ভাল অনুবাদ) কম পক্ষে সাতবার পড়া হয়েছে। শার্লক হোমস টিভি সিরিজ সবগুলো দেখেছি। কিছুদিন আগে টিভি সিরিজের ডিভিডি সংগ্রহ করেছি। ব্যস্ততার ফাকে ফাকে ল্যাপটপে এখনও শার্লক হোমস দেখি। বাংলাদেশ রেডিওতে প্রচারিত শার্লক হোমস নাটক শুনেছি-(খুবই ভাল লাগত)। ধন্যবাদ স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, ধন্যবাদ নীহাররঞ্জন গুপ্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.