![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ
গত কয়েক বছর ধরে কপাল খারাবির প্রতিযোগীতায় প্রথম সারিতে থাকা এক ব্যক্তির নাম “হৃতিক রোশান”। ব্রেন সার্জারি, মুভি ফ্লপ, বউয়ে দিলো ছাইড়া, এবং সর্বশেষ এক নায়িকার সাথে ইটিশ-পিটিশ নিয়ে গুজব। এই খারাবি অবস্থায় হৃতিকের নতুন মুভি “কাবিল”। কাহিনী হলো নায়ক অন্ধ হয়ে মারামারি করে । তার উপর মুভির নির্মাতা কপিমাস্টার সন্জয় গুপ্ত! হইসে কাম! হলিউডেই সুপারম্যান-ব্যাটম্যানই চলে না আর আইসে হিন্দী ডেয়ার-ডেভিল।
কিন্তু মুভিটা দেখার পর আমি অভিভূত হয়ে পুরাই কাইত। কিসের ডেয়ার-ডেভিল? কিসের কোরিয়ান মুভি? এক কথায় এক অন্ধ মানুষের প্রতিশোধের কাহিনী। কোন সুপার হিরো কাহিনী নয়।
কাহিনী জানা যাক। অন্ধ হলেও রোহান ভাটনাগার ( হৃতিক রোশান) এর জীবনটা বেশ গোছানো। সাইকেল ঠিক করা, ঠিকানা জেনে কোন জায়গায় চলে যাওয়া, রান্না করা, এমনকি বিয়ের জন্য পাত্রী পটানো, সব কাজেই সে চরম। অবশেষে পেয়ে যায় জীবনসঙ্গী হিসেবে সুপ্রিয়াকে ( ইয়ামি গৌতম)। দুই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জীবন যেন স্বপ্নের মত চলতে থাকে। কিন্তু বাস্তব জীবন স্বপ্ন নয় বরং দুঃস্বপ্ন! তাদের জীবনে নেমে আসে ঘোর কালো অন্ধকার। কিন্তু রোহান কি চুপ করে থাকবে? অন্ধ হতে পারে সে, কিন্তু দুর্বল নয়। শুরু হয় অত্যাচারীদের জবাব দেবার খেলা।
মুভিটির কাহিনী অনেকে কোরিয়ান মুভি “Broken” এর সাথে তুলনা করলেও এধরণের কাহিনী আসলে জনম জনম ধরে শুনে আসছি। যেমন ১৯৮৬ সালের অমিতাভ বচ্চনের “আখরি রাস্তা”।
সন্জয় গুপ্তের নাম শুনেই মাইনষে প্রতিশোধ নিয়ে কোরিয়ান মুভি বিচড়ানো শুরু করে দিসে। এইটা কোন কথা হইলো? এছাড়া অন্ধ হইলেই কি ডেয়ার-ডেভিল? তাহলে তো আল পাচিনোর “Scent of a woman”ও ডেয়ার-ডেভিলের নকল।
যেহেতু কাহিনীতে তেমন নতুনত্ব নেই, আমার কৌতুহল ছিল কীভাবে এক অন্ধের প্রতিশোধের কাহিনীটি দেখাবে। যেভাবে দেখালো, বলতেই হবে পুরাই জোস। তার সাথে হৃতিক রোশানের মত দারুন একজন নায়ক থাকার কারণের মুভিটি পুরাই চরম বানায়ে ফেলসে।
হৃতিক রোশান খুবই আন্ডার-রেটেড একজন অভিনেতা । একটু বেশিই ভালো নাচ পারার কারণে সবাই খালি তাকে “নাচুনি বুড়ি” বলেই চিনে। এছাড়া কৃশ-জোধা আকবার ধরণের চরিত্রে টাইপ কাস্ট হয়ে যাবার কারণে, যে কোন ধরণের চরিত্রের জন্য নির্মাতারা তাকে বিশ্বাস করতে ভুলে গেছে। গুজারিশ-অগ্নিপথ কোন মুভির কথাই কারও মনে নেই। অবশেষে এই মুভিতে আবারও হৃতিক তার অভিনয়ের জাদু ছড়িয়েছেন। অনেকে হয়তো বলতে পারেন, একশান তো হিরো আলমও পারে ! এ আর নতুন কি? কিন্তু হৃতিকের অভিনয় দেখা গেছে মুভির প্রথমভাগে, যেখানে সে শুধুমাত্র মিষ্টি-মধুর মনের একটি মানুষ। সব মিলিয়ে এটি হৃতিকের অন্যতম সেরা নৈপুণ্য।
এছাড়া কোপাইসে খল-চরিত্রে রনিত রয়। এক কালের আব-জাব নায়ক, হিন্দী সিরিয়াল করতে করতে পুরাই কোপা অভিনেতা হয়ে গেছে। নরম ভাষায় কীভাবে ভয় খাওয়ায় দিতে হয় সেটা রনিত রয়ের কাছে শিখতে হবে। পুরাই ভয়ংকর। এছাড়া ইয়ামি গৌতমকে হৃতিকের সাথে দুর্দান্ত লেগেছে। এই জুটির আরও মুভি সামনে আশা করি। কিন্তু ইয়ামি গৌতমের মত ভদ্র মেয়েদের কি আর বলিউড সুযোগ দেয়?
মুভির চিত্রনাট্য খুবই শ্বাসরুদ্ধকর। এর জন্য বিজয় কুমার মিশ্র এবং সন্জয় মাসুমের কাজ প্রশংসনীয়। মুভিটির নির্দেশনা হিসেবে সন্জয় গুপ্তও ভালোই করেছেন। বেশিরভাগ দৃশ্য অসাধারণ হলেও, কিছু দৃশ্যচিত্র একটু নাটক ধরণের মনে হয়েছে। এটা কোন খারাপ দিক নয়, বরং একটু অন্য ধরনের চিত্রায়ন যেটা সবার ভালো নাও লাগতে পারে।
মুভিটি খারাপ দিক হিসেবে বলা যায় রাজেশ রোশানের সঙ্গীত। এই যুগে এই ধরনের সঙ্গীত খুব একটা ভালো লাগে না। এছাড়া মুভির মাঝের দিকে হৃতিক এবং ইয়ামি গৌতমের মধ্যে একটি ভুল বুঝাবুঝি হয় যেটা মুভির শেষে কেন জানি একটু খটকা লাগে। ঐ দৃশ্যটি না দিলেও পারতো। তবে আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে “হাসিনো কা দিওয়ানা” গানটি। এধরণের মুভিতে আইটেম সংটি খুবই খারাপ লেগেছে। যেন নির্মাতা চাচ্ছেন, ভিলেন যে চোখে নারীদের দেখেন, সে চোখে দর্শকরাও দেখুক। ঐ গানের সময় আমার গা গুলিয়ে যাচ্ছিল।
সব মিলিয়ে হৃতিক রোশান আরেকবার বাজিমাত করলেন। খুবই রোমাঞ্চকর একটি মুভি।
রেটিং – ৪.০ / ৫.০
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৬
রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
সিনিয়ার মোফিজ বলেছেন: কোন ডাউনলোড লিঙ্ক থাকলে দিয়েন।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহা দেখুম... রিত্বিক বলে কথা। আর ওরে আন্ডার রেটেড বইলেন না.. কষ্ট পাই । এমন হ্যান্ডসাম নায়ক সাথে কঠিন বাপ তাও ভাত নাই বলিউডে...... মনে পড়লে কষ্ট হয়
রিভিউতে সুপার ++++++++
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৭
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দেখেছি, ভালই লেগেছে । আপনার রিভিও ভাল হয়েছে ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৪
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২০
মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: আজই দেখতে হবে
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: একটুখানি মেকাপ দিলেই ঋত্বিক বেটা মাইয়া হইয়া যাইতো ! আগের কাল হইলে যাত্রাপালায় দারুন জনপ্রিয় হইত, ঘেটুপুত্র হিসেবে ব্যাপক নাম কামাইতো ! খিকজ
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
মিশখাতুল আলম আজাদ বলেছেন:
Are You Looking For Jobs?For More Info: Please visit-
আপনি কি চাকরি খুঁজছেন?
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ১১তম থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত বেসামারিক কর্মচারী নিয়োগ।
আবেদন করা যাবে পুরুশ ও মহিলা।
বেতন=গ্রেড-১১)- ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা ।
বিস্তারিত জানার জন্য,অনুগ্রহ করে পরিদর্শন করুন..
↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓
https://findctgjobs.blogspot.com/2017/01/bangladesh-navy-job-circular-2017.html
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৮
সুমন কর বলেছেন: রিভিউ চমৎকার করে লিখেছেন। দেখি, দেখা যায় কি না !!
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০০
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০
আমি ইহতিব বলেছেন: ভালো প্রিন্ট কি পেয়েছেন? রিভিউ দেখে তো আজই দেখার ইচ্ছে হচ্ছে।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১২:০০
রাজিন বলেছেন: এতদিনে চলে আসার কথা।
১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
মন থেকে বলি বলেছেন: আপনার রিভিউ আমার সবসময়ই দারুন লাগে। আরেকবার লাগল। ছবিটা কিনেছি। দেখে ফেলব।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১২:০০
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২২
পোটলা ভরা জল বলেছেন: ছবি টা দেখছি অামি । ভালো লাগলো
১২| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
জোহরা কেয়া বলেছেন: অন্ধ হয়েও প্রতিশোধ নেয়ার অংশ টুকু আমার কাছে "Don't Breathe " মুভি টির মত লেগেছে । কাবিল মুভি টিও ভাল লেগেছে ,সেই সাথে আপনারা সম্ভব হলে Don't Breathe মুভি টি দেখতে পারেন। আমার অসম্ভব ভাল লেগেছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে। ঋত্বিক রোশন একজন আন্ডার রেটেড অভিনেতা, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। আর রাজেশ রোশন আসলে এ যুগের কম্পোজার নন। তিনি যে যুগের মানুষ, সে যুগে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।
ধন্যবাদ ভাই রাজিন।