নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Freelance Blogger | Photographer | Contributor to @GettyImages | @HuffingtonPost | BG: O+(ve) Mail: [email protected]

রাজু রহমান

ভালোবাসি কবিতা লিখতে, অবসরে নিজের মনের কথা গুলো ফুটিয়ে তুলি বিভিন্ন ব্লগে বা ফেবুর ওয়ালে। পত্রযোগ https://www.facebook.com/RazuRahmanBD

রাজু রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ আমার কলেজ জীবনের আমার এক বান্ধবীর প্রেম-কাহিনী বলি...

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:২১

কলেজে প্রথমেই তিনটা মেয়ের সাথে ফ্রেন্ডশীপ হয় আমার। নাম “রিতু”,“রুপন্তি” ও “রাশা”। এইচ.এস.সি প্রথম বর্ষে থাকতেই আমাদের ফ্রেন্ডশীপ হয়। প্রথমেই বলে রাখি নামগুলো নিতান্তই আমার লেখার জন্য ব্যাবহার করলাম, আমার নামের সাথে মিল রেখে “র” অক্ষরে। তো যে প্রেম-কাহিনীটা শেয়ার করতে চাচ্ছি সেটা মূলত “রুপন্তি”কে নিয়ে। তার তার আগে “রুপন্তি”র নিজের সম্পর্কে কিছু বলে নেই।



পুরো কলেজে দশটা সুন্দরী মেয়ের নামের তালিকা করা হলে, আমার ঐ তিনটা বান্ধবী তাদের মধ্যে অবশ্যই থাকবে এবং ঐ তিনজনের মধ্যে আবার সবথেকে সুন্দরী “রুপন্তি”। মেয়েটা খুব চঞ্চল প্রকৃতির। সবসময় চিল্লাপাল্লা, লাফালাফি, জোরে জোরে কথা বলায় অভ্যস্ত। কিন্তু মনের দিন দিয়ে সত্যিই খুবই নরম। বাসা ছিল আমাদের এখানেই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে।



আমার তিন বান্ধবীর মধ্যে দুইজনেরই রিলেশন ছিল, শুধু “রুপন্তি”র বাদে। মিরপুরের আনন্দরোড প্রায়ভেট পড়ত তারা। সেখানে “রিতু”র বয়ফ্রেন্ডের বন্ধুর সাথে দেখা হয় “রুপন্তি”র। আগেই বলেছি “রুপন্তি”র রুপের কথা। তো প্রথম দেখাতেই ছেলেটি পছন্দ করে ফেলে এবং কিছুদিন পর “রিতু”র মাধ্যমে “রিতু”র বয়ফ্রেন্ডের বন্ধুর সাথে রিলেশন শুরু হয় “রুপন্তি”র।



“রিতু”র বয়ফ্রেন্ডে আনন্দরোডের একজন নামকরা বখাটে ছেলে। আসলে রাজনৈতিক পরিবার, তাই মিরপুরে নাকি ওপেনে গুলি ফুটিয়েছে অনেকবার, আমিও দেখেছি ছেলেটাকে। সুবিধার মনে হয় নি। কুত্তার লেজের মত মাথার পেছনে একগুচ্ছ চুল, মুখে কাটা দাগ, চোখে সানগ্লাস আর হাতে সবসময় একটা জ্বলন্ত সিগারেট তো থাকবেই, সবসময় একটা বাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। তো তার ফ্রেন্ড মানে “রুপন্তি”র বয়ফ্রেন্ড নিশ্চয় দুধে ধোয়া তুলসী পাতা হবে না। হ্যাঁ সেও ঐ ছেলেটার মতই।



রিলেশনের শুরুতে কলেজে এসেই শুরু হত ফোনে কথা বলা। সবসময় গুনগুন করে কথা বলত। টিফিনে গাছের এক কোণায় বসে কথা বলত। রিকশায় আমি আর ও একসাথে বাসায় ফিরতাম। রিকশায়ও কথা চলত আনলিমিটেড। তারপর ঘুরতে যাওয়া। কিছুদিন পর শুরু হল কলেজ ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া। এইতো এভাবেই চলছিল রিলেশন। খারাপ না ভালই চলছিল...



তো একদিন টিফিনে কলেজ থেকেই চলে গেল ঘুরতে। আমি দেখলাম সিএনজির মধ্যে ওর বয়ফ্রেন্ড বসে ছিল। ঠিক দেড় ঘন্টা পর “রুপন্তি” ফিরে এল কলেজে। আমি ক্যাম্পাসেই বসে বসে কবিতা লিখার চেষ্টা করছিলাম। আমার পাশে এসে বসল সে। তার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম কেমন মনমরা। একটু লক্ষ করে জিজ্ঞেস করলাম, কিরে তোর ঠোঁট এ কি হয়েছে? উত্তরে সে বলল; “দোস্ত মসা কামড় দিছে”। আমি বললাম; মসা কি সিএনজির ভেতরে কামড় দিয়েছে নাকি কোন পার্কে? “দোস্ত তুই বুঝে ফেলছিস? কি করব বল, আমি নিষেধ করা শর্তেও সে জোর করেই কিস করছে”। আমি বললাম; আজকে কিস করছে, কাল এর থেকে বেশি কিছু করবে, কাজেই রিলেশনটাকে পবিত্র রাখার চেষ্টা কর, মনে রাখবি, ভ্রমর মধু খেয়ে কিন্তু ফুলের উপর বসে থাকে না, উড়ে চলে যায়। “রুপন্তি” বলল, তোর কবির মত কথা বলা বন্ধ কর তো, ও অনেক ভাল, অনেক ভালোবাসে আমাকে, ঐসব কিছুই করবে না।



একদিন কলেজে এসে বাকি দুই বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম আজকে “রুপন্তি” কলেজে আসে নি। আমরা ক্লাস করে বাসায় ফিরে গেলাম। পরদিন “রুপন্তি” কলেজে আসলে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম সে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ছিল।



এরপর থেকে শুরু হল তাদের মধ্যে ঝগড়া। দেখতাম “রুপন্তি” ফোনে কান্না করে বলত; তুমি আমার সাথে এমন করছ কেন? প্লিজ এমন কর না, আমার অনেক কষ্ট হয়, আমি যে সত্যিই তোমাকে খুব ভালোবাসি সত্যি... কিছুদিনের মধ্যেই ব্রেকআপ হয়ে গেল “রুপন্তির”।



সব মেয়েদের আবারো বলছি;

“মনে রাখবে, ভ্রমর মধু খেয়ে কিন্তু ফুলের উপর বসে থাকে না, উড়ে চলে যায়। তোমার ঐ সতীত্ব সবকিছু, তোমরাই যান যে সতীত্বের মূল্য কতটা। কি জবাব দিবে, তোমার স্বামীর কাছে? স্বামীর সাথে যখন একই বিছানায় শোবে তখন কি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে? পারবে ভুলে যেতে যে এর আগেও অন্য একটা ছেলের সাথে বিছানায় শুয়ে এসেছ? তাই দেখেশুনে রিলেশন কর। আবেগের বশবর্তী হয়ে কখনও প্রেমে পড় না প্লিজ... প্লিজ মনে রেখ আমার এই কথাগুলো...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.